নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মানুষ আল্লাহর সৃষ্টীজগতের সেরা উপহার। তাই আমাদের সকলের উচিত ঘৃনা,নিন্দা,অত্যাচার,গুম,খুন পরিহার করে মানব সেবায় আত্মনিয়োগ করা।

ব্লগারনির্ভীক

আমি একজন মেডিকেল ছাত্র,ভাল ডাক্তার হয়ে মানুষের সেবা করাই আমার লক্ষ।

ব্লগারনির্ভীক › বিস্তারিত পোস্টঃ

হিজড়াদের চাঁদাবাজি! জনসাধারন আতংকিত। এর থেকে মুক্তি কি মিলবে???

০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৬:২৬

হিজড়া আমাদের সমাজে অনেক আগে থেকে এক প্রধান সমস্যা হয়ে দাঁরিয়েছে! আজ থেকে বহু আগে হতে এদের চাঁদাবাজি চলে আসছে। ঢাকা শহরে আমার পদার্পন সেই ৯৯ সাল থেকে যখন ছোট ছিলাম। তখন থেকে দেখতে দেখতে গা শয়ে গেছে ওদের এই কর্মকান্ড। প্রথম দিকে দেখতাম ওরা দোকানগুলো থেকে সপ্তাহ কিংবা মাসে একবার চাঁদা তুলতো ও কারও ঘরে নতুন অতিথি অর্থাৎ কোন শিশু জন্ম নিলেই আদপান্ত করে দলবল নিয়ে এসে হাজির হতো হিজড়াদের দল। চাল,কাপড়,টাকা ছিল তাদের দাবি কেউ দিতে গড়িমসি বা দেরি করলে তাদের কপারে ঝুটতো অশ্রাব্য গালিগালাজ,গায়ে হাত তোলা টানাহেছড়া কিন্তু কারই নিস্তার মিলতো না। দরকসাকসি করে ওদের টার্গেটের কাছাকাছি হলে মুক্তি মিলতো তাও দুধের শিশুকে নিয়ে গান বাজনা কোলে তুরে নাচানাচি করার পর। গত দু‘এক বছর যাবৎ হিজড়াদের চাঁদাবাজির ক্ষেত্র যেন বেড়েই চলছে যা এক অভিনব সংযোজন যেমন গাড়ীতে উঠে টাকা তোলা অর্থাৎ চাঁদা দাবি করা। গত রমজান মাসের ঘটনাই দরুন আম্মুকে নিয়ে শিকড় গাড়ীতে করে মিরপুর থেকে যাত্রাবাড়ী যাচ্ছিলাম পথে হঠাৎ করে বাসে উঠল ২জন হিজড়া দু‘পাশ থেকে ওদের দশ টাকা করে চাঁদা দাবি। গায়ে হাত দেয়া চিমটি কাটাতো নিত্য অভ্যাস আমি তরিঘরি করে মানিব্যাগ থেকে টাকা বের করে দিয়েছি যাহ বাবা রোজার দিনে জামেলা মুক্ত থাকি, চক্ষু লজ্জা ও অপমান হতে বাচঁতে অনেকেই এই কাজ করেছে। ওরা নেমে যাওয়ার পর কন্টাক্টারকে যাত্রীদের সেকি বকুনি কেন ওদের গাড়ীতে উঠতে দিয়েছে। আজ আবার তেতুলিয়া গাড়ীতে শ্যামলী থেকে মিরপুর যেতে এক হিজড়া উঠলো তারও একই দাবি টাকা। ঘটনাক্রমে আওয়ামীলীগের এক নেতাও এই বাসে তিনি ওই হিজড়াকে জিঙ্গেস করলেন কেন সে টাকা চাচ্ছে ওনার সাথে তুমুল বিতর্ক। ওনার পরিচয় জানার পরে গুরুকে ফোন দেয় আমতা আমতা করছে,ওনি বাস থেকে নামার সময় ওকে সাথে নিয়ে নেমে যান। যাক এ যাত্রায় হয়রানি থেকে মুক্ত হলাম। এখন প্রশ্ন হচ্ছে জনসাধারন আর কত ভোগান্তির স্বীকার হবে, সব ক্ষেত্রে এদেশের জনগন দ্বিধাগ্রস্থ, ভয়ান্বিত,হতাশাগ্রস্থ,আতংকিত একদিকে জঙ্গি সমস্যা তার উপর চলতে ফিরতে যাত্রাপথে হিজড়াদের উৎপাত এর শেষ কোথায় এভাবে আর কতদিন? তাই সরকারের কাছে আমার দাবি এদের পুনঃর্বাসন করে জনগনকে সস্থি দিন।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ সন্ধ্যা ৭:২৪

নোমান প্রধান বলেছেন: তারা অবহেলিত। পুনঃবাসনের মাধ্যমে এই সমস্যা থামানো সম্ভব

২| ০৭ ই আগস্ট, ২০১৬ রাত ৮:৪৫

বিচার মানি তালগাছ আমার বলেছেন: সরকারের উচিত তাদের নেতাদের নিয়ে বসা...

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.