নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

অাসলে ব্লগে নতুন। লেখা লেখি শিখতে চাই, ব্লগে পদচারনা তাই।

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা

আমি একটি শান্ত ছেলে/আমি কম কথা বলতে ভালোবাসি/ফেসবুক ব্লগ ভালোই লাগে/ মাঝে মাঝে গান করি/ পরিচয় দেওয়ার মতো অার কোন পরিচয় নেই।

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা › বিস্তারিত পোস্টঃ

বাংলা সাহিত্যের উজ্জ্বল এক নক্ষত্র "আখতারুজ্জামান ইলিয়াস" এর বীরত্ব

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৮:২০

একবার কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন
তাদের অফিসেই বাংলাদেশের সাহিত্যের
গতি-প্রকৃতির উপর একটি সেমিনারের
আয়োজন করে। যার সভাপতিত্ব করেন সুনীল
গঙ্গোপাধ্যায়। সেখানে বাংলাদেশ এবং
পশ্চিমবঙ্গের বেশ কয়েকজন জাদরেল লেখক-
সাহিত্যিক অংশ নেন। সেমিনারের মূল বিষয়
ছিল বাংলাদেশের উপন্যাসের ভাষা কী রকম
হবে। সবাই সেখানে তাদের মতামত তুলে
ধরছিলেন। যখন আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের
বক্তব্যের সময় এলো, তিনি বললেন -
বাংলাদেশের সাহিত্যের ভাষা হবে
বাংলাদেশের জনগণের মুখের ভাষার
কাছাকাছি। তাতে করে যদি পশ্চিম বাংলার
ভাষার চাইতে বাংলাদেশের সাহিত্যের
ভাষা, বিশেষ করে উপন্যাসের ভাষা যদি
সম্পূর্ণ একটি আলাদা খাতে প্রবাহিত হয়ে
যায় তবে সেটা সকলেরই স্বাভাবিকভাবে
মেনে নেয়া উচিৎ।
.
ইলিয়াস সাহেবের সোজা-সাপ্টা এই কথাটি
পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যের মোড়লদের
অনেকেরই ভালো লাগেনি। আর ভালো না
লাগার প্রমাণও মিলল সেদিন সন্ধ্যাতেই।
সেদিন রাতে সেমিনারে অংশ নেয়া সকল
সাহিত্যিকদের নিয়ে একটি গ্র্যান্ড ডিনারের
আয়োজন করে 'আনন্দবাজার পত্রিকা'।
সেখানে সবাইকে আমন্ত্রণ করা হলেও
একমাত্র আমন্ত্রণ পাওয়া থেকে বঞ্চিত
হয়েছিলেন আখতারুজ্জামান ইলিয়াস। এই
ঘটনার পর দেশে ফিরে সেই অপমানের জ্বালা
মেটাতে এবং নিজের দেওয়া বক্তব্যের
যথার্থতা প্রমাণের জন্য তিনি লেখেন তাঁর
অমর উপন্যাস 'খোয়াবনামা'।
.
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস তার পুরো
সাহিত্যিক জীবনে লিখেছেন অনেক অনেক
কম। মাত্র দুটো উপন্যাস আর অল্প কিছু প্রবন্ধ
ও ছোটগল্প। কিন্তু 'কোয়ান্টিটি'তে কম হলেও
এদের 'কোয়ালিটি' নিয়ে আজ পর্যন্ত প্রশ্ন
তুলতে পারেনি কেউই, উপরন্তু তার লেখনীর
গভীরতার কারণে ভূষিত হয়েছেন 'লেখকের
লেখক' হিসেবে। মহাশ্বেতা দেবী পর্যন্ত
তাকে নিয়ে বলেছেন, ‘কি পশ্চিম বাংলা, কি
বাংলাদেশ সবটা মেলালে তিনি শ্রেষ্ঠ
লেখক। ইলিয়াস-এর পায়ের নখের তুল্য কিছু
লিখতে পারলে আমি ধন্য হতাম।'
.
একজন লেখক হিসেবে তিনি লিখেছেন যেমন
অল্প তেমনি বেঁচেছেনও খুবই অল্প সময়। ১৯৯৭
সালের ৪ জানুয়ারি, অর্থাৎ আজকের এই দিনে
আখতারুজ্জামান ইলিয়াস ক্যান্সারে
আক্রান্ত হয়ে এই পৃথিবীর মায়া কাটিয়ে
পাড়ি জমান নক্ষত্রের আরেক পাশে। বাংলার
মানুষদের জন্য রেখে যান তার সৃষ্টি করা
চরিত্র রঞ্জু, হাড্ডি খিজির, ওসমান, শওকত,
নূরুল হুদাসহ আরো অনেককে। প্রয়ান দিবসে
নক্ষত্রের আরেক পাশে হলেও ভালো থাকুন,
সুখে থাকুন এই কামনাই রইলো আপনার জন্য।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৩৯

সামিউল ইসলাম বাবু বলেছেন: নতুন তথ্য জানা হলো

২| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০১৭ দুপুর ১:৩০

উন্মুক্ত অাঙ্গিনা বলেছেন: thanks

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.