![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মিথ্যাকে নয়, সত্যকে আকড়ে ধরুন। সত্যকে নয়, মিথ্যাকে বিচার করুন।
আজকের সমাজে নব-বিবাহিতা মেয়েদের ব্যপারে কয়েকটি অভিযোগ বা আপত্তি রয়েছে । বিশেষত তোমরা যারা মাদরাসায় পড়ছো তাদের ব্যপারে পরিমাণটা একটু বেশিই। সাদাকাপড় বলে কথা। এর মাঝে সবচে‘ বড়ো অভিযোগ, তোমরা শ্বশুর-শ্বাশুরির খিদমতে অবহেলা করো। তোমাদের যুক্তি, শ্বশুর-শ্বাশুরির খিদমত করা আমাদের জন্য জরুরি নয়।
:
আমিও বলি জরুরি নয়। তবে, কয়েকটি বিষয় তোমাকে মাথায় রাখতে হবে।
১. তোমার স্বামীর জন্য তার পিতা-মাতার খিদমাত করা জরুরি। তোমার জন্য নয়। কিন্তু তোমার স্বামী বেচারা তোমার ভরণ-পোষণের যথাযোগ্য ব্যবস্থাপনা করতে গিয়ে তার দায়িত্ব যথাযথ আদায় করতে পারছে না। তুমি হলে তার অর্ধাঙ্গীনী। তাই তোমার জন্যও উচিত হবে স্বামীর উপর অর্পিত দায়িত্ব আদায়ে তাকে পূর্ণ সহযোগিতা করা। সুতরাং এভাবে খেয়াল করলে তোমার উপরও শ্বশুর-শ্বাশুরির খিদমত করা জরুরি হয়ে পড়ে।
:
২. শ্বশুর-শ্বাশুরি যদিও তোমার কেউ না। কিন্তু তোমার স্বামীর তো বাবা-মা। সুতরাং তুমি তোমার অবস্থান থেকে চিন্তা করো! তোমার স্বামী যদি তোমার বাবা-মা‘র সেবা করেন তাহলে তোমার কেমন লাগবে। নিশ্চয় তুমি খুশি হবে তাই না?
তাহলে তুমিও যদি তার বাবা-মার সেবা করো সে কতোটা খুশি হবে? বেশি নিশ্চয়। স্বামীর খুশির জন্যেতো অনেক নারীই নিজের জীবনকেও বাজি লাগাতে পারে। তাহলে তুমি কেনো পারবে না?
:
৩. শ্বশুর-শ্বাশুরী গুরুজন। তাদের খিদমত করে যদি তুমি তাদের খুশি রাখতে পারো, তাহলে তাঁদের আন্তরিক দোয়াই তোমাকে সফলতার বন্দরে পৌঁছে দিতে পারে। তাছাড়া তুমিও তো একদিন শ্বাশুরি হবে। তোমার আজকের মানসিকতার প্রতিফল সেদিন কদমে কদমে পেতে থাকবে। সেদিনের বিষয়টাও মাথায় রেখো!!
:
আশাকরি বিষয়টা বোঝাতে পেরেছি।
:
[নোটঃ বিষয়গুলো পরিষ্কার ভাবে স্ত্রীর সামনে উপস্থাপন করার দায়িত্ব স্বামীর। একজন আদর্শ স্বামী তার আদর্শ আর ভালোবাসা দিয়ে অনেক কিছুই বদলে দিতে পারে। এজন্য সবচে‘ জরুরি স্ত্রীর মন্তব্য শুনে কোনো এ্যাকশানে না যাওয়া। ঠাণ্ডা মাথায় বিষয়গুলো হ্যান্ডেল করা।
:
দোষ শুধু বউয়ের একার নয়। শ্বাশুরীও হতে পারেন অপরাধী। হয়তো মনের অজান্তেই বৌয়ের সাথে আচরণগুলো
খুব রুক্ষ হয়ে যায় তাদের। যা তারা বুঝতেও পারেন না। এজন্য বলি প্রিয় মা!! আপনিও তো পারেন বাবা-মা, আত্মীয়-স্বজন ছেড়ে আসা এই মেয়েটাকে ভালোবাসা দিয়ে আপন করে নিতে। নিজের মেয়ে মনে করে কাছে টেনে নিতে।
আবারো বলি, “কামা তাদিনু তুদানু“ যেমন করবে তেমনি পাবে]
মূল: সুমাইয়া মাহজাবিন (আরিফা)
©somewhere in net ltd.