![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আরটিভির এক অনুষ্ঠানে বিজেএমইএর কর্তাব্যক্তি পারভেজ কাঁদো কাঁদো গলায় বললেন, 'যারা মারা গেছে তারা তো আমাদেরই সন্তান।'
ওপাশে বসে থাকা শ্রমিক নেতা নাজমা আখতার সঙ্গে সঙ্গে মাইক নিয়ে বললেন, 'আমারে একটা জিনিস বোজান তো। দুর্ঘটনায় সব সময় সন্তানরাই মারা যাইতেছে ক্যান, এই পর্যন্ত একটাও বাপ-মা মারা গেল না ক্যান?'
শ্রমিকদের শোষণ করে সুরম্য অট্টালিকা বানানো হে পোশাক শিল্পের পিতাগণ---নাজমা আখতারের প্রশ্নের উত্তর চাই।
সহকর্মী সাবিহা আলম আজ তাজরিনে দগ্ধ এক নাম না-জানা শ্রমিকের কথা লিখেছেন: ‘আপা, শ্রমিকেরা ন্যায্য দাবি-দাওয়া নিয়ে আন্দোলনে নামলে গরম পানির গাড়ি আসতে এক মিনিটও সময় লাগে না। কারখানায় যখন শ্রমিক পুড়ে মরে তখন ঠান্ডা পানির কেন এত অভাব হয়?'
শ্রমিকদের অরক্ষিত, অনিরাপদ, ঝুঁকিপূর্ণ কর্মক্ষেত্রে ঠেলে দিয়ে; সন্তান-সম্ভবা মাকে সন্তান প্রসবের সম্ভাব্য দিনেও জোর করে কাজে টেনে এনে; নিজেরা এসির সুশীতল হাওয়ায় বসে ডলারের এক্সচেঞ্জ রেট হিসাবে ব্যস্ত পোশাক শিল্পের হে মহামান্য পিতাগণ; এই নাম না জানা শ্রমিকের প্রশ্নের উত্তর চাই!
প্রতিবারের দুর্ঘটনাতেই 'সম্ভাবনাময় পোশাক শিল্প, দেশের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ তরজাতা রাখা পোশাক শিল্প গেল গেল' রব তুলে সব ঘটনা ধামাচাপা পড়ে যায় কেন---নির্বোধ, বধির, অন্ধ সরকার---জবাব চাই!
©somewhere in net ltd.
১|
২৮ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৪:৫১
সাহাদাত উদরাজী বলেছেন: ওরা কি কাজ করে নাকি যে, ওরা মারা পড়বে!