![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি তুষার। পড়ছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে,পরিসংখ্যান বিভাগে।অত্যন্ত অলস একজন,পড়াশোনা ছাড়া সব কিছুতেই আগ্রহ। ধর্মবিশ্বাস নিরপেক্ষ ; জামাতকে এবং এর সাথে সংশ্লিষ্ট সব কিছুকেই ঘৃণা করি। হাটতে খুব পছন্দ করি। স্বপ্ন দেখি, গ্রাজুয়েশনের পর পুরা শহরটাই হেটে হেটে দেখব।তাতে যতদিন লাগে লাগুক। সামুতে প্রায় ৪ বছর। ব্লগ পড়ি, লিখি কম ।। ।। ।।
সময় চ্যানেলে সম্পাদকীয় অনুষ্ঠান দেখতেসিলাম । উপস্থাপক হেফাজত নেতা মাওলানা রুহি টেলিকনফারেন্সে আন্সে। উপস্থাপক আর মাওলানা রুহির কথোপকথন ঃ
উপ ঃ রুহি সাহেব, আপ্নারা তো কাদিয়ানিদের নিষিদ্ধ করার দাবি করেছেন। জামাত সম্পর্কে আপনাদের মনোভাব কি ?
মাওলানা রুহিঃ আমি বলি। কাদিয়ানিরা আমাদের নবী মুহম্মদ (সঃ) কে নবি হিসেবে মানে না। তাদের মুসলিম হিসেবে এদেশের ধর্মপ্রান মুস্লিমগন গন্য করেন না। তাই তাদের নিষিদ্ধ করা হোক.... হ্যান ত্যান হ্যান ত্যান।
উপঃ তা তো বুঝলাম, কিন্তু জামাত...
মাওলানা রুহিঃ প্রতিটা মুসলিম আল্লাহর নবির উপর বিশ্বাস রাখে। শুধু লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ বিশ্বাস করলেই হবে না, মুহাম্মাদ রাসুল্লুল্লাহ ও বিশ্বাস করতে হবে। কাদিয়ানিরা কাফের।তাই তাদের চলাফেরা বন্ধ করতে হবে।... হ্যান ত্যান হ্যান ত্যান।
উপঃ দেখুন,রুমি সাহেব; জামাত ও মউদুদিবাদিরা কিন্তু বিশ্বাস করে নবী (সঃ) সমালোচনার উর্ধে নন। তাদের এই মনোভাব সম্পর্কে কি বলবেন?
মাওলানা রুহিঃ কাদিয়ানিরা যেহেতু নবী (সঃ) এর উপর পুর্ন বিশ্বাস করে না অতএব তাদের নিষিদ্ধ করা হোক। পাকিস্তানেও কিন্তু তারা নিষিদ্ধ। আমাদের দাবি তারা তাদের অনৈসলামিক কাজ বন্ধ করুক। তারা দেশে থাকতে পারবে, কিন্তু মুসল্মান হিসেবে নিজেদের পরিচয় দিতে পারবে না।কারন তারা পুর্ন মুসলিম নয়। হ্যান ত্যান হ্যান ত্যান।
উপঃ মাওলানা সাহেব, আমাদের সময় সংক্ষিপ্ত । আপনি শুধু এটুকু বলুন আপনারা জামাত নিষিদ্ধ করা সমর্থন করেন নাকি করেন না?
মাওলানা রুহিঃ (এবার লাইনে আসছে) দেখুন জামাত একটা রাজনৈতিক দল। তাদের রাজনীতি নিষিদ্ধ হবে নাকি হবে না- সেইটা সম্পুর্ন রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের বিষয়। এখানে আমাদের বলার কিছু নাই।
উপঃ জি,আমরা বুঝতে পারছি আপনি কি বলতে চান। আপনাকে ধন্যবাদ।
তব্দা খায়া গেলাম। কাদিয়ানিরা মুসলিম না, তারা কাফের - এইটা বলার উনি কে? ছোটবেলায় একজন শ্রদ্ধেয় শিক্ষকের থেকে শুনেছিলাম, কাদিয়ানিরা নাকি মুসলিম নয়। তারা নাকি রাসুল (সঃ) এর বদলে গোলাম আহমদ কাদিয়ানিকে রাসুল হিসেবে মানে(নাউজুবিল্লাহ)। যাই হোক, এইটা নিয়ে তখন আগ্রহ জন্মেছিল। এর পরে একটি ইসলামি মাসিকে বাংলাদেশের কাদিয়ানি জামাতের প্রধান খলিফার একটা সাক্ষাৎকার পড়েছিলাম। ওখানে তিনি বলেছিলেন, তাদের বিরুদ্ধে অনেক অপপ্রচার, কারণ তারা অনেক বেশি মুক্তমনা। তিনি আরও বলেছিলেন, তারা রাসুল(সঃ) কে নবী মানেন। আর তারা গোলাম আহমেদ কাদিয়ানিকে মানেন একজন সংস্কারক হিসেবে। যিনি নতুন কোন কিছু চাপিয়ে দেন নাই, বরং পুর্বের ধারাগুলোকেই যুগোপযোগী হিসেবে তুলে ধরেছেন। যেমনঃ ১৫০০ বছর আগের মসজিদে মাইক,ফ্যান,লাইট ছিল না।এখন বিজ্ঞানের যুগে আমরা সহজেই মাইকের মাধ্যমে আজানের ধ্বনি বহুদুর ছরিয়ে দিতে পারি(যদিও কিছু কিছু মসজিদে এখনো মাইক ব্যবহার করা হয় না 'হারাম' বলে! আমার স্কুলের এক বন্ধু ঈদের নামাজ বাদ দিয়েছিল কারণ বাড়ির মসজিদে মাইক আছে। সে প্রতি জুম্মা আধা ঘণ্টা হেটে মাইকবিহিন মসজিদে গিয়ে পড়তো।)
যাই হোক, উনি বলেছিলেন যে, কাদিয়ানি সাহেব নাকি নিজেকে নবী হিসেবে দাবি করেন নাই।
কাদিয়ানিরা মুসলিম না কাফের সেইটা নিয়া আমার মাথাব্যথা নাই। আমার প্রশ্ন হইলো, ওনাদের কাফের বলার জন্য রুমি সাহেব কেডা? কেউ যদি বলি নিজেকে মুসলিম বলে দাবি করে তবে তাকে কি এভাবে সরাসরি কাফের বলা যায়? আর মুস্লিমদের ৭৩ টা ধারার মধ্যে শুধু কাদিয়ানি ধারার বিরুদ্ধে এতো উঠেপড়ে লাগা ক্যান? ১৯৪৭-৫০ সময়ে যে ৩০০০০ কাদিয়ানি আবু আলা মউদুদির জন্য জীবন দিসে,সেটা তো অজানা নয়। সেই মউদুদির প্রেতাত্মা এখন হেফাজতের উপর ভর করসে
(লেখাটা গতকাল রাতের। নেটের ঝামেলার কারণে তখন দিতে পারি নাই,এখন দিলাম। )
©somewhere in net ltd.
১|
১১ ই এপ্রিল, ২০১৩ দুপুর ১২:৩২
প্রভাষ প্রদৌত বলেছেন: ভাই কাদিয়ানিরা ব্রিটিশদের সৃষ্টি । এরা জামায়াত শিবিরদের মত ক্ষণে ক্ষণে মত বদলায় । কবেশ কিছুদিন আগে প্রথম আলো তে তারা একটি ক্রোড়পত্র প্রচার করেছিলো যেখানে তারা দাবি করেছে যে গোলাম কাদিয়ানি নাকি ইমাম মাহদী হিসেবে পৃথিবীতে প্রদার্পন করেছে ( নাউজুবিল্লাহ ) । এর আগে ব্রিটিশদের সময় থেকে তারা গোলাম কাদিয়ানি কে শেষ নবী হিসেবে প্রচার করত । মানুষ সচেতন হওয়ায় তারা এখন এই ধান্দা বাদ দিয়েছে । ওদের মধ্যে প্রচুর শিরক বিদ্যমান ।
আপনি একটু কষ্ট করে প্রথম আলো'র ক্রোড়পত্র পড়ুনন । ওদের ব্যপারে ধারণা পাবেন
আর হেফাজতে ইসলামী থুক্ক জামায়াত এই দাবি সব সময় নিয়ে আসে মানুষের আবেগ নিয়ে খেলা করে তাদের ভন্ডামি উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য । তাই ওদের প্রতিহত করতে হবে । কারণ মহানবী ( স . ) কে নিয়ে অবমাননা ওরাই সবচেয়ে বেশী করে ।