নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাছান উদ্দিন রোকন

মানবতার আদালতে আমরা সবাই বিবেকের ধর্ষক ।

এইচ ইউ রোকন

আমি এক নাগরিক , বস্তুনিষ্ট কথা বলি । তাইতো লোকে বলে আমি নাকি এখনো অবুঝ ।

এইচ ইউ রোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটি রাষ্ট্রের জীবন চক্র ।

৩০ শে জুলাই, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫

ব্যক্তি বা বস্তুর পরিবর্তনের জন্য কয়েকটি সু - পরিকল্পিত ধাপ মেনে চলতে হয় যা চক্র নামে পরিচিত । উন্নতির জন্য যে সব ধাপ মেনে চলা হয় তা হল জীবন চক্র আর অবনতির জন্য যে সব ধাপ মেনে চলা হয় তা হল ধবংস চক্র । এর মধ্যে ধবংস চক্র হয় অনিয়ম বা অযত্নের জন্য যা একেবারে খুব দ্রত সম্ভব যেমন একটা বোমা মেরে দিলে কাজ শেষ । কিন্তু একটা জীবন চক্র বা উন্নত চক্র প্রায়োগিক ভাবে ব্যবহার করা খুব কঠিন এবং মসৃণ । মহাবিশ্বের অন্য সব ব্যক্তি বা বস্তুর জীবন চক্র বাদ দিয়ে যদি শুধু মাত্র একটি জৈব বস্তু রাষ্ট্রের জীবন চক্র নিয়ে চিন্তা করি তাহলে দেখা যায় সে কিছু স্তম্ভের উপর দাড়িয়ে থাকে যা পরিবর্তনশীল এবং প্রক্রিয়াধীন না হলে থেমে যাবে তার জীবনচক্র । হয়ত প্রত্যেক সৃষ্টির ধ্বংস অনিবার্য এই তত্ত্বে ধ্বংস না হলেও তাকে আজীবন জীবন - মৃত্যর গোধূলি রূপ ধারন করে থাকতে হবে । দেশ চক্রের গুরুত্বপূর্ণ তিনটি ধাপ হল ১। রাজনীতি ২। গণতন্ত্র ৩।শাসন তন্ত্র । পবিত্র সংবিধানের ১৫২ নং অনুচ্ছেদে উল্লেখিত রাজনীতির সংজ্ঞা অনুযায়ী রাজনৈতিক দল বলিতে এমন একটি অধিসংঘ বা ব্যক্তিসমষ্টির অন্তভুক্ত , যে অদিসঙ্ঘ বা ব্যক্তিসমষ্টি সংসদের অভ্যন্তরে বা বাহিরে স্বাতন্ত্র্যসূচক কোন নামে কার্য করেন এবং কোন রাজনৈতিক মত প্রচারের বা রাজনৈতিক তৎপরতা পরিচালনার উদ্দেশ্যে অন্যান্য অদিসঙ্ঘ হইতে পৃথক কোন অদিসঙ্ঘ হিসাবে নিজেদিগকে প্রকাশ করেন । যার ধারাবাহিকতায় অসংখ্য অদিসঙ্ঘ বা ব্যক্তিসমষ্টির বহিঃ প্রকাশ হলেও রাজনৈতিক মত হিসাবে ইসলামিকবাদ ,জাতীয়তাবাদ , ধর্ম নিরেপক্ষতাবাদ এবং সমাজতান্ত্রিক মতবাদ বেশ প্রচারিত । সব মতবাদের উর্দ্দে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রধান ও মুখ্য কাজ হল রাষ্ট্র বা অঞ্চলের নাগরিকদের দাবি পুরুন এবং নেতৃত্ব প্রধান । যার মধ্যে নির্বাচিত নেতৃত্ব হল শাসন ব্যবস্থা বা সরকার । যা গণতান্ত্রিক বা অগণতান্ত্রিক দুই উপায়ে সম্ভব । এর মধ্যে গণতান্ত্রিক হল এমন একটা ব্যবস্থা যেখানে প্রত্যেক নাগরিকের নীতিনির্ধারণ বা সরকারি প্রতিনিধি নির্বাচনের ক্ষেত্রে সমান ভোট বা অধিকার আছে। গণতন্ত্রে আইন প্রস্তাবনা, প্রণয়ন ও তৈরীর ক্ষেত্রে সকল নাগরিকের অংশগ্রহনের সমান সু্যোগ রয়েছে, যা সরাসরি বা নির্বাচিত প্রতিনিধির মাধ্যমে হয়ে থাকে। গণতান্ত্রিক পদ্ধতি যেমন রাষ্ট্রে বা অঞ্চলে দরকার তার চেয়ে বেশি দরকার হয় রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ নেতৃত্ব নির্বাচনের ক্ষেত্রে । কেননা রাজনৈতিক দল গুলো নির্বাচনের মধ্যে দিয়ে যখন সরকার গঠন করে তখন দলটি জননীতি পরিচালনা ও তার সদস্য বা প্রজাদের শাসন ও পরিচালনার ক্ষমতা রাখে । আবার দেখা যায় বাংলাদেশ , ভারতসহ বিভিন্ন দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র চালু আছে যেখানে সরকার প্রধানের দায়িত্ব পালন করেন প্রধান মন্ত্রী (বেশির ভাগ সময়ে দলীয় প্রধান)।যদি বাংলাদেশের প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের দুই মহান ও জনপ্রিয় নেত্রী দীর্ঘদিন ধরে নেতৃত্ব দিয়ে আচ্ছেন যেখানে শত ত্যাগ ও যোগ্যতা থাকার পরও দলীয় প্রধান এবং সরকার প্রধান হওয়া অসম্ভব । বেশিদূর মহাসচিব কিংবা ক্ষমতাহীন রাষ্ট্রপতি। যে রাজনৈতিক দলের মধ্যে নেতা কর্মীদের দলীয় প্রধানের দয়ায় চলতে হয় এবং দলীয় প্রধানের সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কথা বলতে পারে না দলীয় প্রধান যখন সরকার প্রধান হবে জনগণ কিভাবে ওনার সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে কথা বলতে পারবে তা আমার কাছে বোধগম্য নয় । কাজেই একটি রাষ্ট্রের উন্নয়ন চিত্র পরিবর্তনের জন্য প্রথমে রাজনৈতিক নেতৃত্বের পরিবর্তন হতে হবে তা হলেই কেবল শাসক ,প্রজা ও রাষ্ট্র পরিবর্তন সম্ভব ।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.