নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাছান উদ্দিন রোকন

মানবতার আদালতে আমরা সবাই বিবেকের ধর্ষক ।

এইচ ইউ রোকন

আমি এক নাগরিক , বস্তুনিষ্ট কথা বলি । তাইতো লোকে বলে আমি নাকি এখনো অবুঝ ।

এইচ ইউ রোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

তারা সন্ত্রাস কি ? তাহলে উপায় কি?

০৫ ই আগস্ট, ২০১৩ দুপুর ১২:১৮

''পৃথিবীর যত স্থাপনা সৃষ্টি করেছে মানুষ, তাহলে ধ্বংস করেছে কে ? তারা কারা ? মানুষরাই কি নই ? ''



পর্ব -১

বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে যে কথাটা আলোচিত তা হল সন্ত্রাসবাদ । তবে এ কথা বলার অপেক্ষা রাখে না যে আমরা এই সন্ত্রাস নিয়ে যতটা দৈহিক সমস্যায় আছি ততটা মানসিক সমস্যায়ও আছি । দৈহিক সমস্যার কথা আমরা সবাই জানি কিন্তু মানসিক সমস্যার ব্যাপারে আমরা সবাই একমত হতে পারছিনা তার কারণটা হল সত্যকে পাশ কাটিয়ে আমাদের মিথ্যা কে প্রতিষ্টা করার জন্য একধরনের রোগী বনে যাওয়া । সন্ত্রাস হচ্ছে একধরনের শারীরিক ও মানসিক ক্রিয়া যা কিছু পাওয়া এবং না পাওয়া থেকে সৃষ্টি হয়। সন্ত্রাসের মূল কৌশল হল ভয় এবং ধবংসের বিনিময়ে কিছু অর্জন করা। সন্ত্রাসের কোন ধর্ম নাই, এটা একটি স্তন্ত্র মহল । সব ধর্মেই শান্তির কথা বলে। তবে কেন অন্য ধর্মের অনুসারিরা সহিংসতা চালালে তাকে উগ্রবাদি আর কোন মুসলিম নামদারি (দাড়িয়ালা-টুপিওয়ালা) সহিংসতা চালালে তাকে একচেটিয়া মৌলবাদী বলে মিডিয়াপাড়ায় তুলপার শুরু হয়ে যায় ।আমরা সবাই জানি ১১১ হামলার পর আমেরিকা যে ভাবে লাদেন খোঁজার নামে মুসলিম রাষ্ট্র গুলোকে একের পর এক আক্রমণ করে অসংখ্য মানুষ কে বিনা বিচারে হত্যা করেছিলেন । যদিও তারা বলেছিলেন সন্ত্রাস নির্মূল কিন্তু আমার ভাষায় বলি লাদেন রূপি তেল গ্রহণ । লাদেন ছিল একটা ইস্যু মাত্র মূল লক্ষ্য ছিল তেল সমৃদ্ধ মুসলিম রাষ্ট্র গুলোকে সর্বহারা ও ধ্বংস করা । আর যখনি এই বুশ গং দের বিপক্ষে কথা বলা শুরু করা হল তখনি তাদেরকে মৌলবাদ ,জঙ্গি বলে বিশ্ব মিডিয়ার সামনে এক ভয়ংকর জাতি হিসাবে আবিস্কার করল । বিশ্ব মিডিয়া সন্ত্রাস চিনতে না পারলেও আমরা সবাই একমত হব সন্ত্রাসের মৌলিক চিহ্ন হল সন্ত্রাস সাধারন মানুষের মৌলিক অধিকারকে হরণ করবে , সে বিনাবিচারে এবং অনায়ভাবে মানুষ হত্যা করবে , সমাসে আতংক সৃষ্টি করবে । এই ধরনের কাজ যেই করবে সেই সন্ত্রাস হোক সে মুসলিম বা অন্য কোন ধর্মের বা গোত্রের । এই তত্বে যদি আমি বিচার করি বুশ একনাম্বার সন্ত্রাস সে অসংখ্য আদম সন্তানকে বিনা বিচারে হত্যা করেছে যেখানে বেসামরিক মানুষ থেকে শুরু করে শিশু পর্যন্ত কেউ রেহাই পাননি । আমরা সন্ত্রাস চিহ্নিত করতে গিয়ে বারবার যে জায়গায় ভুল করেছি তা হল যখন কোন অমুসলিম কোন রাষ্ট্র বা শাসক মহলের অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের চরম ও চূড়ান্ত ভাষা হিসাবে অস্ত্রকে ব্যবহার করা হয় তখন তাকে বলা হচ্ছে বিপ্লবী বা বিদ্রোহী যা শোষক শ্রেণীর দৃষ্টিতে সন্ত্রাসী ।আবার অন্যদিকে যখন একজন মুসলিম দারিওয়ালা - টুপিওয়ালা ঠিক একই কাজটি করে তখন তাকে দেওয়া হচ্ছে বিংশ শতাব্দীর আবিস্কৃত মৌলবাদী তকমা । এই ধরনের বৈষম্য মূলক দ্বৈত আচরণ মেনে নেওয়া খুব কঠিন।

সন্ত্রাস এবং মৌলবাদের মধ্যে তপাৎ টা কোথায় ? মৌলবাদ একটি সচ্ছ , সঠিক ও মূল রহস্যের অনুসন্ধান বিশেষ যা মূল তথ্যকে আবিষ্কার করে। মৌলবাদ এমন একটি আদর্শ যা কোন মানুষকে মৌলিক বিষয় গুলো অর্জনে সহয়াতা করে । কিন্তু দুর্ভাগা জাতি আর জ্ঞানপাপী বুদ্ধিজীবী মহল মুসলিমদেরকে মৌলবাদী বলে গালি দিয়ে নিজেদেরকে গর্বিত করে তুলল । এবার আসুন কারা সন্ত্রাস তা নিরূপণ করি।

১) যদি কোন ব্যক্তি বা গোষ্ঠী অন্যায় ভাবে কোন মানুষকে হত্যা করে তা হলে সে সন্ত্রাস । এখানে যদি কোন সরকার অন্যায়ভাবে তার জনগণের উপর নির্যাতন চালায় , বিনাবিচারে মানুষ হত্যা করে তাহলে সে সন্ত্রাস ।

২) পক্ষান্তরে যদি সরকারের গৃহিত কোন উন্নয়ন পদক্ষেপকে বাধাগ্রস্থ করে সহিংসতা সৃষ্টি করে তাহলে সে সব গোষ্ঠী সন্ত্রাস ।

৩) সঠিক তথ্য পরিবেশনে বাধা দেওয়ার জন্য কোন গোষ্ঠী যখন গণমাধ্যমকে জোর করে নিয়ন্ত্রণ করে তখন তা সন্ত্রাসী । যা তথ্য সন্ত্রাসী হিসাবে বিবেচিত ।

এবার আসি সন্ত্রাস নির্মূলের জন্য যে সব উপায় অবলম্বন করা যায় ।

১) আসল সন্ত্রাস কে তা খুজে বের করতে হবে। একজন সন্ত্রাসকে ধরতে গিয়ে গণহারে কয়েক হাজার লোককে হয়রানি করা যাবে না। এতে পরিস্থিতির শিকার বাকি মানুষ গুলো উগ্র হয়ে যেতে পারে ।

২) সন্ত্রাসকে দেখা মাত্র গুলি না করে তাকে বিচারের মুখোমুখি করা যেতে পারে । একজন সন্ত্রাস কে গুলি করতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ নিহত হওয়ার ঝুঁকি থাকে যেমনটা করে ছিল বুশ লাদেন কে মারতে গিয়ে অসংখ্য মানুষ হত্যা এবং অনেক রাষ্ট্রকে ধ্বংসের দিকে ঠেলে দিয়েছে ।

৩) কোন মুসলিম যখন অন্যায় অবিচার জুলুম করবে তখন থাকে নিচক মানুষ হিসাবে মূল্যায়ন করতে হবে এর দায়দায়িত্ব সমগ্র মুসলিম জাতির উপর চাপানো যাবে না ।

৪) একজন মাদ্রাসার ছাত্র বা আলেম মানুষ হিসাবে ভূলের উর্ধে নই । একজন মাদ্রাসার ছাত্রের হাতে অস্ত্র থাকলে তাকে বিচারের মুখমুখি করা উচিত । এই জন্য সমগ্র মাদ্রসার ছাত্র ও মাদ্রাসাকে জঙ্গিবাদের আস্থানা বলা যাবে না ।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.