নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাছান উদ্দিন রোকন

মানবতার আদালতে আমরা সবাই বিবেকের ধর্ষক ।

এইচ ইউ রোকন

আমি এক নাগরিক , বস্তুনিষ্ট কথা বলি । তাইতো লোকে বলে আমি নাকি এখনো অবুঝ ।

এইচ ইউ রোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিপরীত শব্দ

১২ ই আগস্ট, ২০১৩ বিকাল ৪:০৪

বিজ্ঞানের একটা সু- পরিচিত থিওরি হল প্রত্যেক ক্রিয়ার একটা বিপরীত প্রতিক্রিয়া আছে। বিজ্ঞানের মত ব্যাকরণেও প্রতিটা শব্দের একটা বিপরীত শব্দ আছে । এই বিপরীত শব্দ গুলো বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ইতিবাচকের চেয়ে নেতিবাচক হিসাবে বেশি ব্যাবহার হয়। এই নেতিবাচক শব্দ গুলো যদি আমরা আলাদা করি তাহলে পাই যেমন অপরাজনীতি , অপসংস্কৃতি, হলুদ সাংবাদিকতা(প্রচলিত অর্থে),কু-শিক্ষা। প্রথমে যদি বলি অপরাজনীতিটা কেমন? রাজনীতি শব্দটা শুনলে আমাদের সমাজের এক শ্রেনীর মানুষ মনে করে খুব খারাপ একটা পেশা এবং যারা রাজনীতি করে তাদেরকে খুব খারাপ মানুষ হিসাবে মনে করা হয়।আমি যদি রাজনীতি এবং রাজনীতিকদের সংজ্ঞায়িত করি তাহলে হয় একটা রাষ্ট্রকে তার স্তন্ত্র কাঠামোর মধ্যে অবস্থিত জনগণ ও প্রতিষ্ঠান সমূহ কে সঠিক ও গণতান্ত্রিক ভাবে পরিচালনের জন্য যে সব নীতি মেনে চলা হয় তাই হল রাজনীতি আর যে বা যারা সংঘবদ্ধ ভাবে এই নীতি গুলো মেনে চলে এবং নিতিগুলো প্রয়োগের জন্য সরকারকে বাধ্য করে তারা হল রাজনীতিক। তাহলে বুঝা যায় একটা রাষ্ট্রের জন্য রাজনীতি ও রাজনীতিকদের প্রয়োজন কতখানি। কিন্তু রাজনীতিকরা যখন তাদের মূলনীতি থেকে দূরে সরে গিয়ে অন্য কোন নীতিতে চলে তখন হয় অপরাজনীতি যেখানে একটা রাষ্ট্রের মূল কাঠামো ভেঙ্গে যাওয়ার উপক্রম থাকে। এবার অপসংস্কৃতি বিষয়ে বলার আগে সংস্কৃতি কি তা জানা দরকার ।

সংস্কৃতি কি? উইকিপিডিয়ার সাহায্যে জানতে পারি ইংরেজি Culture-এর প্রতিশব্দ হিসেবে সংস্কৃতি শব্দটি ১৯২২ সালে বাংলায় প্রথম ব্যবহার করা শুরু হয়। কোন স্থানের মানুষের আচার-ব্যবহার, জীবিকার উপায়, সঙ্গীত, নৃত্য, সাহিত্য, নাট্যশালা, সামাজিক সম্পর্ক, ধর্মীয় রীতি-নীতি, শিক্ষা-দীক্ষা ইত্যাদির মাধ্যমে যে অভিব্যক্তি প্রকাশ করা হয়, তাই সংস্কৃতি।

সংজ্ঞার আলোকে বললে বাংলাদেশের মানুষের ব্যবহার হল মধুর, আপ্যায়ন মুখর, এখানের ৮০ভাগ মানুষ কৃষি কাজের উপর নির্ভর , মুসলিম ,হিন্দু ,বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান সবাই একই ছাদের নিচে থাকলেও কোন ধরনের সহিংসতা ঘটে না। এরপরও এক শ্রেণীর হলুদ গণমাধ্যম ধর্মীয় সহিংসতার উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশের ভাবমূর্তিকে নষ্ট করা হচ্ছে। গণমাধ্যম একটি দেশের অবিচ্ছেদ অংশ ।এদের উচিত কোন ধরনের রাজনীতির আশ্রয় না নিয়ে জনগণকে সঠিক তথ্যটি পরিবেশন করা। কিন্তু তারা তা না করে অপরাজনীতির আশ্রয় নিয়ে বিভ্রান্তিকর তথ্য দেয় যা মোঠেও কাম্য নয়। রাজনীতিকের উচিত নয় গণমাধ্যমকে নিয়ন্ত্রণ করা, গণমাধ্যমের উচিত নয় রাজনীতির আশ্রয় নেওয়া। নিজ পেশাদারিত্বের বাইরে গিয়ে যখন বিপরীত নীতি গুলো পালন করায় আমাদের সমাজে এখন বিপরীত শব্দগুলার ব্যবহার বেশি বেড়ে যাচ্ছে।



মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.