![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি এক নাগরিক , বস্তুনিষ্ট কথা বলি । তাইতো লোকে বলে আমি নাকি এখনো অবুঝ ।
মুক্তিকামী জীবের প্রতিপক্ষের শক্তিশালী দুর্গ ভেঙ্গে নিজেকে প্রতিষ্ঠা করার ঘটনাকে যদি যুদ্ধ হিসাবে সংজ্ঞায়িত করা হয় তবে একটা প্রশ্নের আবর্তন অনিবার্য ।আর তা হল সেই সব মুক্তিকামী জীব , গোষ্ঠী অথবা মহল বিশেষ কেন অপরকে প্রতিপক্ষ ভাবতে গেল ? একজন বাস্তবমুখী চিন্তক যেমন শান্তির জন্য যুদ্ধ এই তত্ত্বে বিশ্বাসী আবার যুদ্ধ লাগিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করার জন্য সেই সব মুক্তিকামী মানুষদের কে দায়ী করতে ভুল করেননা । বর্তমান সময়টাতে বিশ্ববাসী খুব আতংকের মধ্যে দিয়ে পার করছে কেননা হয়ত তারা একটা বিশ্বযুদ্ধের মুখামুখি হতে যাচ্ছে । এর আগেও আরো দুইটা যুদ্ধ বিশ্ববাসী উপলব্ধি করেছেন । তবে সেগুলার বিষয়বস্তু এবং পেক্ষাপট আর আসন্ন তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের বিষয়বস্তু এক নয় । প্রথমেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধ আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের লাভ ক্ষতি গুলো খতিয়ে দেখা যাক । প্রথম বিশবযুদ্ধ শুরু হয়েছিল ১৯১৪ সালে স্থায়ী হয়েছিল ১৯১৮ সাল পর্যন্ত যার কারণ ছিল অস্ট্রিয়ার Archduke Francis Ferdinand কে হত্য এবং সামরিকতন্ত্র , জাতীয়তাবাদ এবং সাম্রাজ্যবাদের বিরুদ্ধে । যার অক্ষ শক্তি ছিল জার্মানি, অস্ট্রিয়া-হাঙ্গেরি, এবং তুরস্ক আর মিত্র শক্তি ছিল ফ্রান্স, ব্রিটেন, রাশিয়া, ইতালি, জাপান, এবং (১৯১৭থেকে) মার্কিন । এতে সামরিক - বেসামরিক মিলে প্রায় ১৭ মিলিয়ন লোক নিহত হয়েছিল । তুরস্কের অটোম্যান সাম্রাজ্যের সমাপ্তি ঘটল এবং মিত্র শক্তি জয় হল । পরাজিত জার্মানির সাথে Versailles চুক্তির চাপিয়ে দেওয়া শর্ত থেকে হিটলার এবং তার নাৎসি পার্টির সৃষ্টি হল যা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণ হিসাবে বিবেচিত । হিটলারের উত্থান এবং সোভিয়াত ইউনিয়নের জাপান আর ইতালির কঠিন মৈত্রী চুক্তির বিরোধিতা থেকে ১৯৩৯ সালে শুরু হল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যা ১৯৪৫ সাল পর্যন্ত স্থায়ী হয়ে ছিল । যার অক্ষ শক্তি ছিল জার্মান , জাপান ,এবং ইতালি আর মিত্র শক্তি ছিল ফ্রান্স, ব্রিটেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সোভিয়েত ইউনিয়ন, এবং চীন । যেখানে আনুমানিক ৬০ মিলিয়নের অধিক সামরিক- বেসামরিক লোক নিহিত হন । ১৯৪৫ সালে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ শেষ হলেও ১৯৪৭-১৯৯১ সাল পর্যন্ত এক ধরনের স্নায়ু যুদ্ধ চলছিল USSR পতন না হওয়া পর্যন্ত আমেরিকা এবং সোভিয়াত ইউনিয়নের মধ্যে । এখানে একটা ব্যাপার লক্ষ্য করা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ছিল ঔপনিবেশিক বা অঞ্চল গুলো ভেঙ্গে স্থানীয় সম্পদ গুলো অর্জন করা আর অন্যদিকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সংঘঠিত হয়েছিল আদর্শগত বিরোধ থেকে । সোভিয়াত ইউনিয়ন ভেঙ্গে যাওয়ার পর আজ পর্যন্ত আমেরিকার সাথে সব যুদ্ধই হয়েছে মুসলিম রাষ্ট্র গুলোর সাথে কারণ কমিউনিজম শক্তি পতনের পর মুসলিম রাষ্ট্রগুলোই ছিল সম্ভাবনাময় আদর্শিক ভাবধারা। বিশেষ করে ইরান এবং আফগানে ইসলামী বিপ্লব যা আমেরিকা কখনই মেনে নিতে পারেনি । এবার আসি সম্ভাব্য তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে এই যুদ্ধে অক্ষ শক্তি হিসাবে সম্ভাব্য তালিকায় আছে সিরিয়া , রাশিয়া , চীন এবং ইরান আর মিত্র শক্তি হিসাবে সম্ভাব্য তালিকায় থাকতে পারে আমেরিকা , বৃটেন এবং ইসরাইল । প্রাপ্তি অপ্রাপ্তির খসড়া হিসাব করলে দেখা যায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ উপহার দিয়েছিল দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ এবং হিটলারকে আর দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ উপহার দিয়েছিল সোভিয়াত ইউনিয়নকে ভেঙ্গে ছারখার করে দেওয়া যার ধারাবাহিকতা হিসাবে একের পর এক মুসলিম রাষ্ট্রগুলোকে আক্রমণ করা । এই যুদ্ধে যদি অক্ষ শক্তি পরাজয় লাভ করে তাহলে একদিকে পতন হবে আসাদের আবার অন্যদিকে হারিয়ে যাবে মুসলিম বিশ্বের হুংকার । আবার যদি মিত্র শক্তি পরাজিত হয় তাহলে নতুন করে আবার মুসলিম বিশ্বের জয়যাত্রা শুরু হবে ।
©somewhere in net ltd.