নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

হাছান উদ্দিন রোকন

মানবতার আদালতে আমরা সবাই বিবেকের ধর্ষক ।

এইচ ইউ রোকন

আমি এক নাগরিক , বস্তুনিষ্ট কথা বলি । তাইতো লোকে বলে আমি নাকি এখনো অবুঝ ।

এইচ ইউ রোকন › বিস্তারিত পোস্টঃ

মধ্যপদলোপি কর্ম ত্রুটি সমূহ ।

১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১২:৪১

মধ্যপদলোপি শব্দটি শুনলে প্রথমে মনে পড়ে বাংলা ব্যাকরণের মধ্যপদলোপি কর্মধারায় সমাসের কথা । বেচারা পুরা ব্যাসবাক্য জুড়ে নিজের অবস্থান ধরে রাখলেও শেষ অবধি এসে তাকে বিলুপ্তি হতে হয় । মধ্যপদ গুলো সাধারণত অন্যান্য পদের সাথে সম্পর্ক স্থাপনে কাজ করে থাকে । ঠিক এইরকম আমাদের ব্যক্তিগত , পরিবার , সমাজ এবং রাষ্ট্রে কিছু শব্দ বা পদবী ব্যবহৃত হয় যা পুরো একটা সমাজ ব্যবস্থাকে মসৃণ করে তুলে । যেমন ধরুন শিক্ষা একটি লক্ষ্যহীন দেহ এবং রসহীন প্রাণকে কেমন অর্থময় করে । আবার মনে করুন ভোট বা ক্ষমতা যা কোঠি মানুষের একই গঠনের সাড়ে তিন হাত দেহের উপর একটি মাত্র আঙ্গুলের খবরদারী ।যদি ধর্মের কথায় বলি যা স্রষ্টার সাথে সৃষ্টির মিলন বিন্দু । যদিও পোপ ফ্রান্সিস নাস্তিকদের স্বর্গে যাবে বলে স্বীকৃতি দিয়ে দিলেন । অবশ্যই উনি কোন দর্শনে এই স্বীকৃতি দিলেন সে বিষয়ে আমি বলতে যাব না তবে আমার কাছে মনে হয় এইযেন রসহীন দেহের সাথে রসায়ন । যাদের বিশ্বাসে স্রষ্টার ঠাই মিলেনা তাদের সাথে স্রষ্টার মাখামাখি । আমাদের পুরো সমাজ পরিমণ্ডলে এই রকম অনেক মধ্যপদের অতিমাত্রায় যোজন বিয়োজন হচ্ছে অহরহ। একটি রাষ্ট্র ব্যবস্থার অতীব গুরুত্বপূর্ণ স্তম্ব রাজনীতি যদি আর্সেনিকে আক্রান্ত হয় সেখানে আর কোন খুঁটিই রাষ্ট্রকে বেহাল থেকে হালে ফিরাতে পারেনা । কারণ রাজনীতি হল শাসন -প্রশাসন উন্নয়নের মূল চালিকা শক্তি । জাগতিক সব পেশার মধ্যে আমার মনে হয় সব চেয়ে উত্তম পেশা হল রাজনীতি যেখান থেকে আঁধারকে আলো হিসাবে সহজে স্বীকৃতি দেওয়া যায় আবার আলোকে আঁধারে ঠেনে নেওয়া যায় । অবহেলিত অধিকার , শ্রেণীহীন সমাজ ব্যবস্থা এবং আইনের সাম্যতা প্রতিষ্টার স্লোগান নিয়ে রাজনীতির প্রকাশ হলেও বাস্তবে তা সমাজে আরেকটা ফাটল তৈরিতে বেশী ভূমিকা রাখে । যেমন আমাদের দেশে যে দল ক্ষমতায় আসে সে দলের নেতা -কর্মীরা হয়ে উঠে রাতারাতি কলা গাছ অন্যদিকে প্রতিপক্ষরা হয় নন্দঘোশ । আবার যাবতীয় প্রশাসন (এমন কি থানা পর্যন্ত ) চলে ক্ষমতাসীন নেতাদের দাপঠে।আমার মনে হয় সব দেশে এই রকম হয় তবে আমি এর সাথে একমত নয় কেননা দল ক্ষমতায় আসার পর তারা একটা সরকার গঠন করে এবং তৃণমূল পর্যায় পর্যন্ত তাদের নির্বাচিত মেম্বার থাকে । নির্বাচিত মেম্বার এবং সরকার রাষ্ট্র পরিচালনা করবে কিন্তু যখন প্রশাসন তৃণমূল নেতাদের কর্মীদের হাতে চলে আসে সচরাচরই প্রতিপক্ষের উপর হত্যচারের মাত্রা বাড়তে থাকবে । আবার বিশ্ব রাজনীতিতে দেখা যায় ক্ষমতাসীন রাষ্ট্র গুলো তাদের রাজনৈতিক দর্শন এবং আদিপত্যকে প্রতিষ্ঠা করার জন্য সাম্রাজ্যবাদী আচরণকে হাতিয়ার হিসাবে বেঁচে নেয়। যেমন ১৯৯১ সালে আমেরিকা শক্তিশালী সোভিয়াত ইউনিয়নকে ভেঙ্গে তাঁর পথের কাঠা পরিষ্কার করে । আজকে সোভিয়াত ইউনিয়ন থাকলে হয়ত আমেরিকা এত দূর আসতে পারত না । কারো সম্পর্ক নষ্ট করে নিজের সম্পর্ক বেশী দিন ঠিকে রাখা যায় না এই কথা হয়ত আমেরিকানরা জানেনা ।







চলবে

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৩৪

ভিটামিন সি বলেছেন: "মধ্যপদলোপি কর্মধারায় সমাজের কথা" না রে ভাই।
এখানে হবে "মধ্যপদলোপি কর্মধারয় সমাসের কথা"।

২| ১৬ ই সেপ্টেম্বর, ২০১৩ দুপুর ১:৪৮

এইচ ইউ রোকন বলেছেন: ধন্যবাদ ভিটামিন সি ভাই ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.