![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভার এক সত্তা। স্বপ্ন দেখি এই দেশ একদিন হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। যে বাংলার স্বপ্ন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও লক্ষ কোটি মুক্তিযোদ্ধা দেখেছিলো।
পৃথিবীতে দুই ধরণের ভাইরাস বা জীবাণু আছে।
এক, ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু।
দুই, সমাজের পাপ ও দূর্নীতি থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু।
ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু মানুষকে অসুস্থ করে, আর পাপ ও দূর্নীতি থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু পুরো সমাজকে রুগ্ন বানিয়ে দেয়।
ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু ধ্বংসের জন্য বিভিন্ন মেডিসিন বাজারে পাওয়া গেলেও; সমাজের পাপ ও অসৎ কাজ থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণু ধ্বংসের জন্য কোন মেডিসিন আজও তৈরী হয় নি।
উপরের কথাগুলো লিজেন্ড অমিতাভ বচ্চন 'হাম' মুভিতে বলেছিলেন। তিনি হয়তো জানতেনও না, এই কথাগুলো বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে কতটুকু সত্য। আরেকটা কথা যেট উনি বলেন নি তা হলঃ
ময়লা আবর্জনা থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণুদের কোন আবাসস্থল বা বৈঠকখানা নেই; কিন্তু পাপ ও দূর্নীতি থেকে সৃষ্টি হওয়া জীবাণুদের একটি সুসজ্জিত, এয়ার কন্ডিশন্ড বৈঠকখানা আছে (সংসদ ভবন) যেখানে তারা তাদের ভাষায় আলাপ আলোচনা করে। আর এখান থেকেই পুরো সমাজকে রুগ্ন করে।
আর আমরা বাঙ্গালীরা এইসব জীবাণুদের দ্বারা আক্রান্ত হবার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত। কেননা, আমাদের রক্তে মিশে আছে গোলামী, আমরা কখনোই কোন বিকল্প বা এইসব জীবাণুদের থেকে মুক্তি পাওয়ার উপায় খুঁজবো না। আমরা জীবাণু গুলোকে বিভিন্ন আদর্শে কয়েকভাগে বিভক্ত করে দিয়েছি। তারা আবার তাদের আদর্শ ভুলে জোট বেধে দুইভাগ হয়েছে। আর, আমরা পাঁচ বছরের জন্য এক জোটের জীবাণুগুলোকে ক্ষমতা দেই যাতে তারা সমাজকে অসুস্থ করে; কিন্তু যখন দেখি তারা অসুস্থ করেই ক্ষান্ত হচ্ছে না বরং আমাদের মেরে ফেলতে চাচ্ছে তখন আমরা আরেকজোট কে ক্ষমতা দেই আমাদের মরণের হাত থেকে বাচানোর জন্য। তারা প্রথম এক/দুই বছর আমাদেরকে মরণের হাত থেকে বাচায় এবং পরের দুই বছর তাদের জীবাণু দ্বারা সমাজকে অসুস্থ করে তোলে। শেষ বছরে এসে তারাও আমাদেরকে মেরে ফেলতে চায়; তখন আমরা বাধ্য হয়ে আগের রক্তচোষা জীবাণুগুলোকে ক্ষমতা দেই। কোন ভালোর আশায় ক্ষমতা দেই না, সর্বোচ্চ ক্ষতি থেকে বাচতে এ ক্ষমতা ট্রান্সফার।
আমরা আবার জীবাণু ছাড়া থাকতে পারি না। কারণ এত বছর থেকে শোষিত হতে হতে আমাদের স্বভাব গোলামের মত হয়ে গেছে। আমাদের মাঝে কিছু উচ্চ শ্রেণীর গোলাম আছে; এরা তাদের প্রভু জীবাণুদের জন্য জীবনও দিতে পারে। আর প্রভুদের গুণকীর্তন করতে সর্বদা ব্যস্ত।
গতকালকে ফেসবুকে একটা পেইজ দেখলাম, 'তারেক জিয়া বাংলাদেশের নেলসন ম্যান্ডেলা'। এই শিরোনাম দিয়ে আপনি তো আপনার প্রভু জীবাণুকে অনেক সম্মান দিলেন। কিন্তু একবার চিন্তা করে দেখুন, সর্বজন শ্রদ্ধেয় বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ নেতা নেলসন ম্যান্ডেলা ওরফে আফ্রিকানদের প্রিয় মাদিবা'কে কতটুকু অসম্মান করলেন?
তারেক জিয়া চোর বাটপার সবাই জানে, এটা হয়তো বাংলাদেশের জন্য কোন ব্যাপার না। তাই বলে ম্যান্ডেলার সাথে তুলনা :o
নিজেরা গোলামীই করছ ঠিক আছে, তাই বলে এইসব ময়লা নালীর জীবাণুদের সাথে মাদিবার তুলনা করে এ মহান নেতার অসম্মান করো না।
©somewhere in net ltd.