নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

মোহাম্মদ এস জামান

মোহাম্মদ এস জামান

মুক্তমনা ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভার এক সত্তা। স্বপ্ন দেখি এই দেশ একদিন হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। যে বাংলার স্বপ্ন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও লক্ষ কোটি মুক্তিযোদ্ধা দেখেছিলো।

মোহাম্মদ এস জামান › বিস্তারিত পোস্টঃ

কি হচ্ছে শাহবাগে

১২ ই জুলাই, ২০১৩ রাত ১২:৫৪

যুদ্ধাপরাধীদের সর্বোচ্চ শাস্তির দাবিতে শুরু হওয়া তরুন সমাজের আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ সরকারের হাতে গেল কেমনে?



বিসিএস ক্যাডার নিয়োগের ক্ষেত্রে কোঠা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি নিয়ে শুরু হওয়া আন্দোলনের নিয়ন্ত্রণ ছাগুদের হাতে গেল কেমনে?



চলুন একটু মিল খুঁজি,

যুদ্ধাপরাধীদের বিচারের দাবিতে শুরু হওয়া আন্দোলনের ফলে সবচেয়ে লাভবান হয় সরকার। এই ইস্যুটি সামনে চলে আসায় সরকারের নানা ব্যর্থতা অনেকটা আড়ালে চলে যায়, তাই সরকার এটিকে পূর্ন সমর্থন দেয়। কিন্তু যখন শাপলা চত্বরে জামাত শিবিরের উস্কানিতে হেফাজতে ইসলামের আগমন ঘটে (আজও বুঝলাম না এই হেফাজতে ইসলাম কার হেফাজত করতে এসেছিল, আর কোথায় চলে গেল) তখন সরকার হেফাজতকে উচ্ছেদের জন্য বলির পাঠা বানায় শাহবাগ কে। শাহবাগের পুরোধা ব্যক্তিরাও বাধ্য ছেলের মত ঘরে ফিরে গেলেন, যেন সরকারের ডাকেই তারা এসেছিলেন। হতাশ হল পুরো যুব সমাজ কারণ তারা নিঃস্বার্থ ভাবেই এই আন্দোলনটি কে সমর্থন দিয়েছিল।



এখন বিসিএস নিয়ে আন্দোলনের কথায় আসি, বিসিএস এ অবিশ্বাস্য হারে কোঠা পদ্ধতি থাকায় মেধার যথাযথ মূল্যায়ন হয় না। তাই এই কোঠা পদ্ধতি সংস্কারের দাবি ছিল অত্যন্ত যৌক্তিক। তাই যুব সমাজ আবারো এই আন্দোলনে সাড়া দিল। জড়ো হল তাদের সেই ঐতিহাসিক আন্দোলনের স্থান শাহবাগে। কিন্তু, এই আন্দোলনটিকে খুবই সুক্ষভাবে কাজে লাগাল জামায়াত শিবির। প্রধান কারণ, সরকারের বিরুদ্ধে যুব সমাজকে দাঁড় করানো, আর মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানে তাদের ছেলে মেয়েদের জন্য কোঠা চালু থাকায় রাজাকারদের সন্তানদের মনে একটা ক্ষোভ বা প্রতিহিংসা ছিল। তাই তারা এতে পূর্ণ সমর্থন দিয়ে মাঠে নামল। প্রথমেই প্রজন্ম চত্বর নাম পরিবর্তন করে মেধা চত্বর নাম দিল (প্রজন্ম চত্বর নামটার সাথে ওদের বাপদের শাস্তির দাবি জড়িয়েছিল বলে তাদের মনে এক ধরণের চুলকানি ছিল)। ধীরে ধীরে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উস্কানি দিয়ে তোড়ফোড় করল এবং সুযোগ বুঝে আমাদের সবচেয়ে সম্মান আর অহংকারের জায়গায় হাত দিল। আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এই স্বাধীন বাংলার মাটিতে স্লোগান দিল। ছাত্রলীগ ওদের পিঠিয়েছে শুনে প্রথমে খারাপ লেগেছিল। কিন্তু পরে যখন শুনলাম ওরা মুক্তিযোদ্ধাদের গালে গালে জুতা মারার স্লোগান দিচ্ছে তখন মনে মনে বলছিলাম ওদের হাত পা ভেঙ্গে জিব ছিড়ে দিল না কেন? স্বাধীন বাংলাদেশে বাস করে আমাদের পিতৃতূল্য মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে স্লোগান কোন বাংলা মায়ের ছেলে সহ্য করতে পারে না।



কেন বলছি এটি ছাগুদের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত আন্দোলন এর পক্ষে যুক্তিঃ



(১) ছাগু ছাড়া অন্য কারোর প্রজন্ম চত্বর নামের সাথে চুলকানি নেই। একমাত্র ছাগুদেরই এই নামে চুলকানি তাই তারা নাম চেন্জ করেছে।



(২) মুক্তিযোদ্ধা কোঠা সহ সকল কোঠা সিস্টেম সংস্কার অর্থাৎ যুগোপযোগী করার আন্দোলন ছিল, মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করার জন্য নয়। একমাত্র ছাগুদেরই চুলকানি হয় যখন এই দেশে মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মান দিয়ে কিছু করা হয়।



এই যুক্তিগুলো যদি এটা আপনাকে বুঝাতে অসমর্থ হয় যে এটি ছাগু কর্তৃক একটি পরিকল্পিত আন্দোলন তবে কোন তর্ক নয় এটা পরিষ্কার আপনি একজন ছাগু।

মন্তব্য ০ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (০) মন্তব্য লিখুন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.