![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভার এক সত্তা। স্বপ্ন দেখি এই দেশ একদিন হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। যে বাংলার স্বপ্ন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও লক্ষ কোটি মুক্তিযোদ্ধা দেখেছিলো।
পবিত্র মাহে রামাদ্বানে শয়তানকে আল্লাহ রাব্বুল আলামীন বন্দী করে রাখেন, এটা আমরা সবাই জানি। কিন্তু অনেকের মনেই প্রশ্ন থেকে যায় যে, রমজান মাসে যদি শয়তান সত্যি সত্যি বন্দী থাকে তবে মানুষ এত শয়তানি, বিশৃঙ্খলা, চুরি, ডাকাতি করে কীভাবে??
এর উত্তরে বলা যায়, আমরা যদি একটা ইলেক্ট্রিক ফ্যানকে কিছুক্ষন চালিয়ে তারপর তার সুইচ অফ করে দেই তবে ফ্যানটি সাথে সাথে বন্ধ না হয়ে আরও কিছুক্ষন ঘুরতে থাকে। কোন বৈদ্যুতিক শক্তি না থাকা সত্ত্বেও ফ্যানটি চলতে থাকে কারণ সুইচ অন অবস্থায় ফ্যানটি যে বেগ অর্জন করেছিল তা সে সাথে সাথে ত্যাগ করতে পারে না; ঐ বেগের রেশ থাকে আরও কিছুক্ষন ঘুরতে বাধ্য করে।
ঠিক তেমনি, বছরের পুরো এগারো মাস শয়তান আমাদের অন্তরে রাজত্ব করে তার অসওয়াস (কুপ্ররোচনা) আমাদের অন্তরে গেঁথে দেয়। তাই রমজান মাসে শয়তান বন্দী থাকলেও তার কুপ্ররোচনা আমাদের অন্তরে কিছুটা সক্রিয় থাকে। আর এজন্যই আমরা রমজান মাসে পুরোপুরি শয়তানের কুপ্ররোচনা হতে মুক্ত থাকি না।
তবে, রমজান মাস শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে বাচার জন্য সবচেয়ে উত্তম কেননা এই মাসে শয়তান নতুন করে কোন কুপ্ররোচনা দিতে পারে না (যেহেতু বন্দী থাকে)।
তাই, আসুন এই মাসে আমরা শয়তানের কুপ্ররোচনা থেকে মুক্ত হয়ে এই প্রতিজ্ঞা করি যে, আমরা আমাদের কাজের জন্য আমাদের মহান ধর্ম, শান্তির ধর্ম ইসলামকে কলঙ্কিত করব না। নিজস্ব স্বার্থসিদ্বির জন্য ইসলামের নাম ব্যবহার করব না। ইসলাম কে নিয়ে বাড়াবাড়ি করে মানুষকে ইসলাম বিদ্বেষী করব না। আমরা এমনভাবে চলব, এমন ব্যবহার করব যাতে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী ভাইয়েরাও আমাদেরকে শত্রু না ভাবে। সর্বোপরি, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি বন্ধ করতে হবে। রাসূল (সাঃ) বিদায় হজ্জ্বের ভাষনে বলেছেন, তোমরা ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি কর না, ধর্ম নিয়ে বাড়াবাড়ি করার কারণে তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক জাতি ধ্বংস হয়ে গেছে।
হায় আল্লাহ, ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে আমাদেরকে মানুষের কল্যানের কথা চিন্তা করার শক্তি দান করো। আর যারা তোমার নাম নিয়ে, ইসলাম ধর্ম কে কলঙ্কিত করছে ওদের হেদায়েত দান করো।
আমীন।
©somewhere in net ltd.