![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
মুক্তমনা ও স্বাধীনতার চেতনায় উদ্ভার এক সত্তা। স্বপ্ন দেখি এই দেশ একদিন হবে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা। যে বাংলার স্বপ্ন ত্রিশ লক্ষ শহীদ ও লক্ষ কোটি মুক্তিযোদ্ধা দেখেছিলো।
নির্বাচিত সরকারের মেয়াদ শেষ পর্যায়ে। নতুন আরেকটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন আসন্ন। প্রতিটা নির্বাচন যখন আসে তখন কিছু নির্বাচনকালীন সংকট তৈরি হয়। এটি মূলত কীভাবে নির্বাচন হবে অর্থাৎ কার অধীনে নির্বাচন হবে, এটা নিয়ে মতবিরোধ সৃষ্টি হয়।
যদিও নির্বাচন দেয়ার একমাত্র এখতিয়ার নির্বাচন কমিশনের তবুও বাংলাদেশের পরিস্থিতিতে এটা বলতেই হবে যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার সময় যে সরকার ক্ষমতায় থাকে তাদের গুরুত্ব সর্বাত্মক। এবং একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সেই সরকারের ৯০ ভাগ নিরপেক্ষ হওয়া বাঞ্চনীয় (শতভাগ নিরপেক্ষ বললাম না, কেননা সত্যিকার অর্থে শতভাগ নিরপেক্ষ হওয়া সম্ভব না। প্রত্যেক মানুষের একটি রাজনৈতিক চেতনা থাকে তবে কার্যক্ষেত্রে যদি সেই চেতনার প্রতি পক্ষপাতিত্ব না থাকে তবেই ৯০ ভাগ নিরপেক্ষ বলা যায়)।
এখন কথা হচ্ছে, বর্তমানে যে নির্বাচনকালীন সংকট তৈরী হয়েছে এবং সেই সংকট নিরসনে প্রধান দুই রাজনৈতিক দলের নেত্রী যে প্রস্তাবগুলো দিয়েছেন তা একটার সাথে আরেকটা মোটেই মিলছে না।
প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, সংবিধান অনুসারে তত্ত্বাবধায়ক সরকার নিয়ে আলোচনার কোন পথ নেই। আলোচনা হতে পারে তবে তা অন্তর্বতীকালীন সরকার নিয়ে।
বিরোধীদলীয় নেত্রী তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি থেকে এক চুল ও নড়বেন না ঘোষণা দিয়ে বিগত দুই তত্ত্বাবধায়ক সরকারের (১৯৯৬ ও ২০০১) বিশ উপদেষ্টা থেকে দশজনকে নিয়ে তত্ত্বাবধায়ক সরকার গঠনের প্রস্তাব দিয়েছেন।
দুই নেত্রীর প্রস্তাব বিবেচনা করলে বেগম খালেদা জিয়ার প্রস্তাবটাই বেটার মনে হচ্ছে। বেগম জিয়ার প্রস্তাব নিয়ে আরও আলোচনার সুযোগও রয়েছে। দুই দল বসে এটা নিয়ে আলোচনা করতে পারে।
শেখ হাসিনার প্রস্তাব বড়ই একরোখা। যেদেশে নিরপেক্ষতা নিয়ে বাপ-ছেলে কিংবা ভাই-ভাইয়ের সাথে বাগ-বিতন্ডায় জড়ায় সেখানে শেখ হাসিনাকে অন্তর্বতীকালীন সরকারের প্রধান রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের আশা বিরোধীদল কেন আমিও করতে পারি না। এটা কোনমতেই সম্ভব নয়। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁর অবস্থান থেকে দেশের স্বার্থেই সরে আসা উচিত। একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ সৃষ্টি করা উচিত।
বিরোধীদলের মানসিকতা যথেষ্ট ইতিবাচক। যদিও কিছু বিরোধীদলীয় নেতা আন্দোলনের হুমকি ধামকি দিচ্ছেন তারপরেও বিএনপি আসলেই নির্বাচন চায় এটা বেগম জিয়ার প্রস্তাব প্রমাণ করে।
এই সংকট নিরসনে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হোক কিংবা অন্তর্বতীকালীন সরকার ই হোক আলোচনার মাধ্যমে একটি কে বেছে নিতে হবে। শেখ হাসিনার নিজেকে সরকার প্রধান রেখে নির্বাচন করার জিদ কোনমতেই গ্রহণযোগ্য নয়।
রাষ্ট্রপতিকে সকল নির্বাহী ক্ষমতা দিয়ে একটি অন্তর্বতীকালীন রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার নিয়েও আলোচনা হতে পারে। এক্ষেত্রে বর্তমান সরকার প্রধানকে পদত্যাগ করে সেই সুযোগ করে দিতে হবে এবং রাষ্ট্রপতি দুই দলের সাথে আলোচনা করে কিছু নিরপেক্ষ প্রতিনিধি নিয়ে নির্বাচন দিতে পারেন। তবে সেক্ষেত্রে দুই দলের সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন।
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৭
মোহাম্মদ এস জামান বলেছেন: হুম আমিও সেটাই বলছি
২| ২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৪
তথই বলেছেন: শেখ হাসিনা সেই ঝুঁকি নিবেনা কারণ সে ভাল করেই জানে নির্বাচন অবাধ হলে বাল হারবে তাই বাকিটা বুইঝা নেন
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১১:০৯
মোহাম্মদ এস জামান বলেছেন: সেই ঝুঁকি না নিলে দেশের জন্য খারাপ কিছু আছে সামনের দিনগুলোতে
৩| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
বিজন শররমা বলেছেন: প্রধান মন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা হলো আওয়ামী লীগকে আবার নির্বাচিত করে আনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই । আর বেগম খালেদা জিয়া যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবার সম্ভাবনা আছে ।
৪| ২২ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪১
বিজন শররমা বলেছেন: প্রধান মন্ত্রী যে প্রস্তাব দিয়েছেন তা হলো আওয়ামী লীগকে আবার নির্বাচিত করে আনার অন্তর্বর্তীকালীন সরকার, যেখানে নিরপেক্ষ নির্বাচনের কোন সম্ভাবনা নেই । আর বেগম খালেদা জিয়া যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রস্তাব দিয়েছেন তাতে নিরপেক্ষ নির্বাচন হবার সম্ভাবনা আছে ।
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে অক্টোবর, ২০১৩ রাত ১০:৪৯
পরিবেশ বন্ধু বলেছেন: তবে সেক্ষেত্রে দুই দলের সদিচ্ছা থাকা প্রয়োজন।
দেশের মঙ্গলে উভয় দলকে এক্কক সিদ্ধান্তে পৌঁছতে হবে ।।