নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

সাধারণ একজন ব্লগার।

Blogger Zubair

আপাতত তেমন কিছুই নই, অনেককিছু হতে চাই

Blogger Zubair › বিস্তারিত পোস্টঃ

আমেরিকা সম্পর্কে হুমায়ুন আহমেদ যা লিখে গিয়েছেন (পর্ব ২)

০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৭:৫০

আমার সাথে রুথ কোয়ান্ডাল বলে এক আমেরিকান ছাত্রী পিএইচডি করত। এই মেয়েটি কোনো স্বামী জোগাড় করতে পারে নি। ভবিষ্যতেও যে পারবে এমন সম্ভাবনাও নেই। মেয়েটি মৈনাকপর্বতের মতো। সে আমাকে দুঃখ করে বলেছিল, আমার যখন সতের-আঠার বছর বয়স ছিল তখন আমি এত মোটা ছিলাম না। চেহারাও ভালোই ছিল। তখন থেকে চেষ্টা করেছি একজন ভালো ছেলে জোগাড় করতে। পারি নি। কতজনের সাথে যে মিশেছি। ওদের ভুলিয়ে ভালিয়ে রাখার জন্য কত কিছু করতে হয়েছে। আগেকার অবস্থা তো নেই, এখন ছেলেরা ডেটিংয়ের প্রথম রাতেই বিছানায় নিয়ে যেতে চায়। না করি না। না করলে যদি বিরক্ত হয়। আমাকে ছেড়ে অন্য কোনো মেয়ের কাছে চলে যায়। এত কিছু করেও কোনো ছেলে জুটাতে পারলাম না।
কেন পারলে না?
পারলাম না, কারণ আমি অতিরিক্ত স্মার্ট। সারা জীবন ‘অ’ পেয়ে এসেছি। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের সেরা ছাত্রীদের একজন। ছেলেরা এরকম স্মার্ট মেয়ে পছন্দ করে না। তারা চায় পুতুপুতু ধরনের ভ্যাদা টাইপের মেয়ে। তুমি বিদেশি, আমাদের জটিল সমস্যা বুঝতে পারবে না।
আমি আসলেই বুঝতে পারি না। আমার মনে হয় এদের কোথায় যেন কী-একটা হয়েছে। সবার মাথায় স্ক্রু-র একটা প্যাঁচ কেটে গেছে। উদাহরণ দেই। এটি আমার নিজের চোখে দেখা।
পুরোদমে ক্লাস হচ্ছে। দেখা গেল ক্লাস থেকে দুটি ছেলে এবং একটি মেয়ে বের হয়ে গেল। সবার চোখের সামনে এরা সমস্ত কাপড় খুলে ফেলল। এইভাবেই সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় একটা চক্কর দিয়ে ফেলল। এর নাম হচ্ছে স্ট্রিকিং। এরকম করল কেন? এরকম করল কারণ এরা পৃথিবী জুড়ে যে আণবিক বোমা তৈরী হচ্ছে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাল।
*
হোটেলের যে ঘরে আমি আছি তা আহামরি কিছু নয়। দুটি বিছানা। একটিতে আমি অন্যটিতে থাকবে আমাদের ইউনিভার্সিটিরই এক ছাত্র, জিম। সে এখনো ফেরে নি। সম্ভবত রাতে আর ফিরবে না।
আমার ধারণা ভুল প্রমাণ করে কিছুক্ষণের মধ্যেই সে ফিরল। চোখের সামনে পুরো দিগম্বর হয়ে সটান পাশের বিছানায় শুয়ে পড়ল। আমেরিকানদের এই ব্যাপারটা আমাকে পীড়া দেয়। একজন পুরুষের সামনে অন্য একজন পুরুষ কাপড় খুলতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করে না।
ডরমিটরি গোসলখানায় একসঙ্গে অনেকে নগ্ন গয়ে স্নানপর্ব সারে। ব্যবস্থাই এরকম। হয়তো এটাকেই এরা অগ্রসর সভ্যতার একটা ধাপ ভাবছে। এই প্রসঙ্গে ওদের সঙ্গে আমি কোনো কথা বলি নি। বলতে ইচ্ছা করে নি।

ভ্রমণসমগ্র
হুমায়ুন আহমেদ

পর্ব ১ Click This Link

মন্তব্য ৫ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৫) মন্তব্য লিখুন

১| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:১৯

শাহাদাৎ হোসাইন (সত্যের ছায়া) বলেছেন: :| এর নাম আধুনিকতা! যেটা সামান্য হুমায়ুন আহমেদ বুঝে ছিলেন। তা শুধু বই লিখে বাড়তি টাকা ইনকাম ছাড়া আমাদের দেশে তার প্রভাব নিয়ে তিনি উচ্চ বাচ্চ করেনি। কিন্তু আমাদের দেশের সু-চীল'রা তার আধুনিক নাম দিয়েছে "প্রগতিশীলতা"। তারা নাম দিয়েই তাদের দায়িত্ব শেষ করতে চায় না, তারা চায় এর বাস্তব প্রতিফলন। সু-চীল রা স্বপ্ন দেখে বাংলার জমিনে বাপ-পুত একই সময়ে একই পাত্রে একই সাথে পেসাব করবে।। সে হিসেবে এখন তারা কিছুটা অগ্রগামী হয়েছে।

২| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ৮:৫৭

আবুহেনা মোঃ আশরাফুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকানরা যে স্ক্রু ঢিলা জাত, সেটা তাদের নতুন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন দেখেই বুঝা যায়।

৩| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:০৩

বুক ওয়ার্ম বলেছেন:
ট্রাম্পের মতন আমেরিকার সবগুলা পাগলা চিজ

৪| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ সকাল ১১:১৩

কলাবাগান১ বলেছেন: অতিমাত্রায় সরলীকরন হল...উনি যাদের কথা লেখেছেন, তা হয়ত ০.০০০০০০০০০১% ছাত্র/ছাত্রী ও করে না কিন্তু সেটা কেই উনি জেনেরালাইজড করে ফেললেন....রগরগে কিছু লিখলে পাঠককে আকৃস্ট করা যায়....

৫| ০৭ ই জানুয়ারি, ২০১৭ রাত ৯:২৬

কালীদাস বলেছেন: ডরমিটরিতে গোসলের ব্যাপারটা সত্যি। কিন্তু বাকিটুকু আমার কাছেও অতিরন্জিত মনে হয়েছে, কখনও দেখিনি বা শুনিনি এরকম। আবার এটাও মাথায় রাখতে হবে ড. আহমেদ আমেরিকায় গেছেন সত্তরেরে দশকে, তখনকার হিপ্পি কালচারে কোন কোন জায়গায় হতেও পারে। তবে নর্থ ডাকোটায় বসে সারা আমেরিকাকে বেশি জেনারালাইজ করে ফেলেছেন উনি।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.