১| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩২

রিফাত হোসেন বলেছেন: গোয়েথে ইন্সটিটিউট ৬ মাস বা ১ বছরেরই বুঝতে পারবেন তবে তাদের ভাষা আর অস্ট্রিয়ানদের লেখায় বা উচ্চারনে ছোট্ট কেরফা আছে, তারা জার্মানীর জার্মান শেখায় ।

শুনেছি গ্রিন কার্ড চালু করেছে...

তবে অস্ট্রিয়ান সরকারের মতি গতি বুঝি না... বিজ্ঞাপনে বেকারত্ব বৃদ্ধি নিয়ে হম্বি তম্বি করে... মানুষকে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করার চেষ্টা করে ...

আবার কাজের অনুমতিও দেয়... কিন্তু যারা সক্ষম এইখানে তাদের আবার কাজের অনুমতির পত্র ঝুলিয়ে বা ব্লক করে রাখছে !
---------------------

২| ১৫ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ১২:৩৬

রিফাত হোসেন বলেছেন: একবার বনানীর বাংলাদেশের অস্ট্রিয়ান প্রতিনিধির দপ্তরে দেখা করেন (Consulate)

সরকারের ই পোর্টাল http://www.wien.gv.at/english/ দেখুন

৩| ১৭ ই এপ্রিল, ২০১৩ রাত ৩:৩৩

রিফাত হোসেন বলেছেন: কত টাকা লাগে তো জানি না , অনলাইনে খোজ নিতে পারেন ।
তবে ভালই খরচ লাগে, যারা কখনো জার্মান করেও নাই , ডাক্তার বা অন্য হাই প্রোফাইল এর পেশাজীবীরাও এখানে কোর্স করে কাজের ভাষা দক্ষতা অর্জন করে ! তাহলে ধরে নিতে পারেন ভালই করায়

অরিজিন্যাল অস্ট্রিয়ান ভাষা এখানে না আসা পর্যন্ত শেখার কোন চান্স নাই। তবে এটা দরকার নাই । শুদ্ধ উচ্চারন যে কোন জার্মান, অস্ট্রিয়ান,শোভাইতসার ঠিকই বুঝবে কিন্তু কয়েকটা শব্দ ও উচ্চারন বা ডিয়ালাগ বা ফ্রেস ক্যাচাল দিবে । একজন আগুন্তুক বিদেশীর জন্য এটা বড় কোন বাধাঁ না ।
সমস্যা হবে তখন যখন আপনি শুনবেন তাদের অশুদ্ধ বা মাতৃভাষায় কথোপকথন । যেমন আমি জার্মানীর শহরের দিকে মফস্বল ও গ্রামের মানুষের কথার ৫০ ভাগই বুঝি না । এমনকি অস্ট্রিয়ারও আঞ্চলিক ভাষা আছে, অঞ্চল ভেদে । এটা সব দেশের ভাষাতেই গিল্ট করে ।

গ্রিন কার্ড সম্বন্ধে আমারও বেশী ধারনা নাই, তবে চালু করেছে ।Consulate এ যান , তরুন তরুনীদের লম্বা লাইন আছে কাগজ পত্র এর ঝামেলা মিটাতে ।

সমস্যা বড় একটা হল অস্ট্রিয়ান কোন দূতাবাস বিডিতে নাই । ভারত হয়ে কাজ কারবার করতে হয় । আর উল্টা হল বিডিরও দূতাবাস তো দূরের কথা Consulate ও অস্ট্রিয়াতে নাই ! জার্মান হয়ে ঝামেলা শেষ করতে হয় ।

প্রসেসিং কে ঝামেলা বললাম এই কারনে যে আমাদের দেশে কাগজপত্র কখনোই সহজে করতে পারবেন না ।

আর শেষের কথার অর্থ হল ভাষাগত দক্ষতা,কাজের দক্ষতা, পরিচিতি থাকা মানে দীর্ঘদিন অবস্থান এর পরেও অনেকের কাগজ পত্র পরিষ্কার পজেটিভ অস্ট্রিয়ান সরকার দিচ্ছে না ! কারন সরকারের হিসাবে প্রচুর মানুষ নাকি বেকার ভাতায় আছে !
আমি বলি সরকার যে ব্যবস্থা করছে ৩টা মৌলিক চাহিদা এমনিতেই ফ্রি পায় ! বাকি ২টাও ক্যাপচার হয়ে যায় ! তাহলে মানুষ কাজ করব কেন ?
তবে বিদেশীদের ক্যাটাগরীর উপর জবের চুক্তি ভিন্ন হতে পারে তবে সবার না, যেমন আপনি জব এপ্লাই করলেন , আরেক করল কিন্তু সে স্থানীয় সুতরাং কেরফা একটা থেকে যাবে ! এমনকি যদি বুলগেরিয়ানও জব করে তাহলে তার বেতন বুলগেরিয়ান স্কেলে বা চুক্তিতে ধরবে যদিও সে ইইউ সিটিজেন ! বেতন সুবিধার পার্থক্য ইত্যাদি । তবে সব ফার্ম এক না ।
আপনি যে ক্যাটাগড়ির জন্য আবেদন করবেন সেটা হবে অন্য রকম । আমি বলছিলাম এখনে অলরেডী যারা ভিন্নভাবে এসেছে। শুধু ছাত্র হয়ে আসলে আরে ক্যাচাল আর কি । গ্রিন কার্ড থেকে রেড হোয়াইট রেড এ পরিবর্তন করা যাবে , এগুলোর পুরো ক্যাটাগরী জানা নাই । একটু খোজ নেন ।

আর রয়েছে কিছু রাজনৈতিক রেসিস্ট দল । সাক্ষাত হিটলার এর সাগরেদ । তাদের নির্বাচনী ইসিতেহার দেখলে .... হাহাহা

একহল কেউ বিদেশী তারউপর কেউ যদি মুসলিম হয় ! মরার উপর খাড়ার ঘা ! তার কোন সময় নির্বাচনে সংসদে দল গঠন করতে পারলে খবরই আছে সবার তারা বিদেশীদের ব্যাপারে সব কিছু নতুন করে পরিবর্তন করতে পারে , তারা জনমত ২৫% ক্যাপচার করতে সক্ষম হয়েছে কিন্তু মজার আর খুশির খবর হল্, তারা ইউরো বিরোধী তাই ৭০% বাকি দল তাদের সাথে কখনোই যৌথ দল গঠনে যাবে না । এটা একটা মানসিক চাপ আর কি, তাই বললাম ।

তাই বলে সবাই খারাপ না, খারাপ হলে তারা বিদেশীদের থাকার, কাজের সুবিধা দিত না ।


খুব ট্যালেন্ট হলে মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানীতে কাজ করলে জার্মান দরকার পরবে না । টুকটাক হলেই হল ।

আর আইন বছর বছর পরিবর্তন হয় ! তাই সুবিধা থাকতে লুফে নেন, পড়ে বুঝে শুনে আসে পাশের দেশে চলে যাবেন । খালি ঢুকেন কোন মতে তবে অবশ্যই লিগ্যাল প্রসেসে এ ।

আর বাংলাদেশে আইন প্রতি ৫ বছরে দলের সাথে সাথে পরিবর্তন হয় ।

যেখানেই যান, একজন জন্মগত বাংলাদেশী হিসেবে একজন বাঙালী হিসেবে অন্তর থেকে দোয়া করি যাতে এগিয়ে যেতে পারেন ।