নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

তাফসীর নিয়ে গবেষনামূলক লিখা লিখতে ভালবাসি, যুক্তি সহজে হজম হয় না, বিশুদ্ধ কিতাবের উদ্ধৃতি ছাড়া ধর্মীয় কোন বিষয় গ্রহণ করি না, আক্রমনাত্বক সমালোচনা পড়তে ও লিখতে সাচ্ছন্দ বোধ করি।

ডিগবাজি বিশারদ

খাটি কাঠমূল্লা যাকে বলে সেটাই আমি

ডিগবাজি বিশারদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

আল্লাহ মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা নন (?)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:১৩



এই যে মহাবিশ্ব! নিখুত শিল্প নৈপূন্য ও মনোহারী কারুকার্য সহাকারে দাঁড়িয়ে আছে। যার ব্যাবস্থাপনা হচ্ছে ভূতপূর্ব-সুদৃঢ় নিয়মে সুন্দর ও সুশৃঙখলরুপে। তার গঠন যেসব অভিনব পদ্ধতি ও রহস্যের উপর নির্ভরশীল। একজন ন্যায়পরায়ণ লোক সেগুল অবলোকন করলে স্বতঃসিদ্ধ নিশ্চিত জ্ঞানে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে, এর একজন স্রষ্টা রয়েছে। যিনি সর্বদিক দিয়ে পূর্ণাঙ্গ গুণে গুণান্বিত।
.
কিন্তু বর্তমানে কিছু 'স্রষ্টা বিদ্বেষি' লোকের উৎপাট ঘটেছে যারা নিজেদের 'বিদ্যানুরাগী' (?) বলে দাবি করে। এর প্রমাণ হিসেবে কথায় কথায় 'ময়মনসিংহের ময়লাকান্দা' থেকে উৎপাদিত রেফারেন্সের 'ভূতা তির' নিক্ষেপ করে।
এই 'মহা-অজ্ঞানী'দের কাজ-ই হল নিজের দাবি প্রমাণে যুক্তির জিলাপি ভাজা। এদের যুক্তি দেখলে মনে হবে 'আরব দেশের ছাগল'। স্বচ্ছ ও পরিস্কার লজিক থেকে 'শত হস্তেন দুরেত্ব'।
মাঝে মাঝে বড়ই হাস্যকর ব্যাপার ঘটে যখন এই 'বুদ্ধি ব্যাপারী'রা কুরআন-হাদিসের উদ্ধৃতি টেনে নিজেদের মতের স্বপক্ষে দলিল দেয়। অথচ দাবি ও দলিলের মাঝে কোন সামঞ্জস্য নেই।
যিনি বলেছেন সমুচিৎ বলেছেন- আসলে এদের জ্ঞানির স্তরে গণ্য করাই উচিৎ না। বরং এরা হল ইসলাম বিদ্বেষিদের অন্ধানুসারি। থুথু চাটার স্তরের লোক। এই 'বিশেষ-অজ্ঞ'রা নিজেদের বিদ্বেষের দুর্গন্ধ ছড়াতে ইসলাম বিদ্বেষিদের লেখার ট্রান্সলেট করে মাত্র।
.
এই লেখাটিতেও একজন নাস্তিকের 'ল্যাংড়া যুক্তির' উত্তর দেব। এই লিখাটি লিখতে আমার লজ্জাবোধ হচ্ছে। এত সহজ সাবলীল একটা বিষয়ে মানুষ কিভাবে অবুঝ হয়? শুরু করা যাক তাহলে।
এক অসুর (নাস্তিক) দাবি করে বসল, আল্লাহ পাক মহাবিশ্বের স্রষ্ঠা নন। প্রমানঃ আল্লাহ নিজেই সুরা ইখলাসে বলেছেন- لم يلد ولم يولد তিনি আয়াতের অর্থ লিখলেন 'তিনি আল্লাহ কাউকে সৃষ্টি করেন নি এবং তিনিও কারও থেকে সৃজিত হন নি।
সুতরাং বুঝা গেল আল্লাহ এই মহাবিশ্বের স্রষ্টা নন।

হাসবো? না কাদব?
চলেন কান্দি... হে হে হে হুয়া হুয়া হুয়া....
জ্ঞানের দৈন্যতা দেখে রোদন করা ছাড়া উপায় নেই।
.
এবার খন্ডন ও উত্তর প্রদানে প্রবিত্ত হচ্ছি-
আমার বুঝে আসছে না يلد এর অর্থ 'সৃষ্টি করা' হল কেমনে? যাই হোক তারা যেহুতু নিজেদের 'বিদ্যানুরাগী' (?) বলে দাবি করে তাই ভাবলাম হতে পারে কোথাও হয়ত يلد এর অর্থ 'সৃষ্টি করা' লিখেছে। এক গ্লাস দুধ খেয়ে অনুসন্ধানে নামলাম। দুধের 'ক্রিয়া' শেষ হয়ে মাথা ধরে গেল কিন্তু ফলাফল শুন্য। পাঠক! একটি কথা স্মরণে রাখবেন। কুরআন আরবি ভাষায় অবতীর্ণ হয়েছে তাই একে বুঝতে হলেও আরবি জ্ঞানের প্রয়োজন। আরব ভাষাবিদগণ যে শব্দ যেভাবে প্রয়োগ করেছেন আমাদেরও ঠিক সেভাবেই অর্থ করতে হবে। অযথা পন্ডিৎগিরী দেখাতে গেলে লজ্জার গেরাকলে আটকা পরতে হবে।
.
পাঠক! কি আর লেখব? শরম লাগছে। তারপরও কিছু লিখি। তিনি যে লিখেছেন يلد এর অর্থ সৃষ্টি করা। এটা কি এই শব্দের প্রকৃত অর্থ না রুপক অর্থ?
অবশ্যই প্রকৃত অর্থ না। কারণ এর অর্থ হল 'সন্তান প্রসব করা, জন্ম দেয়া, ভুমিষ্ঠ হওয়া'। এই শব্দের অর্থ আপনি যেভাবেই করেন না কেন! সাথে অবশ্যই সদ্যভূমিষ্ট একটি বাচ্চার ঘ্রাণ লাগাতে হবে। তবেই এর প্রকৃত অর্থ পূর্ণতা পাবে।
তাহলে কি يلد এর রুপকার্থ সৃষ্টি করা?
না কশ্চিনকালেও না।
কারণ 'সৃষ্টি করা' এই অর্থ বুঝানোর জন্য خلق শব্দ নির্ধারিত আছে। সুতরাং يلد এর অর্থ যদি সৃষ্টি করাই হত তাহলে অবশ্যই يلد শব্দটি خلق এর প্রতিশব্দ হত। অথচ আমরা আরবি অভিধানের গোষ্ঠি উদ্ধার করেও এমনটি দেখতে পাই নি। يلد দ্বারা রুপকার্থ 'সৃষ্টি করা' বুঝাতে হলে আরো একটি পন্থা অবলম্বন করা যেতে পারে-
[ক] يلد এবং خلق এর মাঝে শাব্দিক অর্থের মিল থাকা
[খ] উভয়টির মাঝে পারিভাষিক অর্থের মিল থাকা।
কিন্তু আমরা উভয় ক্ষেত্রেই হতাশ।
কারণ يلد এর অর্থ হল 'জন্ম গ্রহণ করা, ভুমিষ্ট হয়া ইত্যাদী' আর خلق এর অর্থ হল সৃষ্টি করা।
আর يلد এর পারিভাষিক অর্থ হল- কোন সত্ত্বা হতে যৌগিক কিছু উপকরণ বেরিয়ে যাওয়া। خلق এর অর্থ হল- পুর্ব ডিজাইন ও উপকরণ ছাড়া কিছু বানানো।
স্পষ্টই দেখা যাচ্ছে দুই শব্দের মাঝে কোন ভাবেই মিল নেই।
(দেখুনঃ ১. মুফরাদাতুল কুরআন - হুসাইন রাগিব ইস্ফাহানী, [আরবি] পৃ ২৯৬ ও ৮৮৩ [উর্দু] খন্ড ১, পৃ ৩৩৯ ও খন্ড ২, পৃ ৫৭৫
২. উমদাতুল হুফফাজ - আহমাদ বিন ইউসুফ হালাবী, খন্ড ১ পৃ ৫২৬ ও খন্ড ৪ পৃ ৩৩৯
৩. রুহুল মাআনী - মাহমুদ আলূসী বাগদাদী, খন্ড ৩০, পৃ ২৭৫)
.
আচ্ছা আমরা যদি সেই 'মেধা বিকলঙ্গের' কথা মেনেও নেই যে, يلد শব্দটি এখানে প্রকৃত অর্থে না হলেও রুপকার্থে ব্যাবহৃত হয়েছে (!) তাহলে দেখা যাক কি হয়।
পাঠক! কথার কথা يلد এর রুপকার্থ সৃষ্টি করা (!) তবুও কি তার কথাটি সঠিক হবে?
নিশ্চয় না। কারণ কোন শব্দের প্রকৃত অর্থ ছেড়ে রুপক অর্থ নিতে হলে 'শব্দ সংশ্লিষ্ট বিশেষ ইঙ্গিত' থাকতে হয়।
(দেখুনঃ নুরুল আনওয়ার শরহে কাশফুল আসরার - মূল্লা জিওয়ান সিদ্দিকী, খন্ড ১, পৃ ২৬৬ [মাকতাবা বুশরা])
সে যখন বাক্যটি উচ্চারণ করছে, কোন প্রেক্ষিতে সে বাক্যটি বলছে। এই প্রেক্ষাপটই হল সব চেয়ে বড় ইঙ্গিত। এবার দেখি আয়াতটির প্রেক্ষাপট কি বলে!
"একবার মুশরিকরা এসে বলল, হে মুহাম্মদ! আপনি যে খোদার অনুসারি দাবি করছেন তার বংশ পারম্পরা বর্নণা করুন"
(দেখুনঃ তাফসীরু কুরআনিল আজীম - ইবনে কাসীর, খন্ড ৪, পৃ ৫১৮)
এবার পাঠকই বলুন আয়াতের প্রেক্ষাপট 'সৃষ্টির প্রতি ইঙ্গিত দেয় নাকি জন্ম দানের প্রতি ইঙ্গিত দেয়?'
.
যাই হোক কোন ভাবেই আমরা 'অসুরের' সাথে একমত হতে পারছি না। তিনি এধরণের উদ্ভট অর্থ করার দুঃসাহস কোথায় পেলেন তা আমার জানা নেই।
এই 'হাবলুরা' ইসলামকে কটাক্ষ করার জন্য যে সমস্ত উদ্ধৃতিকে প্রমাণ হিসেবে উপস্থাপন করে এগুলো কি দলিল হওয়ার যোগ্যতা রাখে? আমি বলব অধিকাংশই যোগ্য নয়। ইসলামের কোন বিধান উৎখাত ও সাব্যস্ত করতে হলে অবশ্যই মৌলিক কোন গ্রন্থের উদ্ধৃতির মাধ্যমে চেষ্টা করতে হবে। এটা তাদের বুঝাবে কে? তাদের মুর্খামিতে স্বয়ং মুর্খেরও হাসি পায়।
.
তাদের একটা কুঅভ্যাস হল 'দাবিকে দলিল হিসেবে পেশ করা' অর্থাৎ তারা যে বিষয়টি দলিল হিসেবে পেশ করছে এটা আসলেই সে বিষয়ের দলিল কি না এটা প্রমাণিত হওয়ার জন্য আরেকটি দলিলের প্রয়োজন। যেমন উপরের 'অসুরের' হাস্যকর দাবির মাধ্যমে বিষয়টি বুঝা যাচ্ছে। অথচ এটা তর্ক শাস্ত্রের মূলনীতি অনুযায়ী এটা বাতিল।
(দেখুনঃ কিতাবুত তা'রিফাত - সায়্যিদ জুরজানী, পৃ ২৭৭)
এবিষয়ে বিস্তর আলোচনা করা দরকার। সামনে আরেকটি লেখায় বিষয়টি দৃষ্টান্ত সহ উপস্থাপন করব ইংশাআল্লাহ।
.
এবার আমি দুইটা যুক্তি দিচ্ছি। একদম পরিষ্কার।
আল্লাহ পাকের জন্ম দেয়া ও জন্ম গ্রহণ করা অসম্ভব কেন?
যুক্তি- যা জন্মে তা অবশ্যই মরে।
আর আল্লাহ যেহুতু 'হাই' চিরঞ্জীব তাই তার জন্ম নেয়া অসম্ভব।
যুক্তি- যে জন্ম দেয় তার উত্তরাধিকারি সৃষ্টি হয়।
আর আল্লাহ যেহুতু স্বীয় ক্ষমতায় একক। তার কোন উত্তরাধিকারী নেই তাই তিনি জন্ম দেন না। কারণ জন্ম দিলেই তার ক্ষমতার উত্তরাধিকারী সৃষ্টি হবে অথচ এটা অসম্ভব।
.
আমি উপরে যে দুইটি লজিক দিয়েছি তা ভ্রান্ত প্রমাণ করুন। তারপর তর্কে আসুন। বিষয়বস্তু পাল্টাবেন না।
আল্লাহ পাক আমাদের বুঝার তৌফিক দান করুন।
আরেকটা কথা! ব্লগ কর্তপক্ষকে ধন্যবাদ আমাকে ফ্রন্ট পেইজ এক্সেস দেয়ার জন্য।

মন্তব্য ২০ টি রেটিং +৩/-০

মন্তব্য (২০) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:২৩

সনেট কবি বলেছেন: যারা পথভ্রষ্ট হয় তাদের মাথায় বিভিন্ন উদ্ভট চিন্তার উদয় হয়।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৪

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: জ্বী জনাব। প্রথম মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ।

২| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৪৬

রাজীব নুর বলেছেন: আমার ইচ্ছা করে সারা বাংলাদেশটা গাছ লাগিয়ে ভরে ফেলি।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৬

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: ছাগল যেটা বেশি খায় সেটা লাগালে জাতীর আর্থিক উন্নতি হত।
ধন্যবাদ।

৩| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সন্ধ্যা ৭:৫৪

নূর মোহাম্মদ নূরু বলেছেন:
চির সত্য কথাকে নিয়ে তর্ক করা মূর্খতা।
এতে তাদের তর্ক করার সুযোগ বাড়ে।
তাদের ফাঁদে পা দেওয়া বোকামী।

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:০৭

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: জ্বনাব আপনার মন্তব্য গুরুত্বপূর্ণ। নিজেকে ঠিক রাখতে পারি না যখন দেখি অনেকে এসব উদ্ভট লেখা সমর্থন করছে।
ধন্যবাদ।

৪| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:১৭

নতুন বলেছেন: এই যে মহাবিশ্ব! নিখুত শিল্প নৈপূন্য ও মনোহারী কারুকার্য সহাকারে দাঁড়িয়ে আছে। যার ব্যাবস্থাপনা হচ্ছে ভূতপূর্ব-সুদৃঢ় নিয়মে সুন্দর ও সুশৃঙখলরুপে। তার গঠন যেসব অভিনব পদ্ধতি ও রহস্যের উপর নির্ভরশীল। একজন ন্যায়পরায়ণ লোক সেগুল অবলোকন করলে স্বতঃসিদ্ধ নিশ্চিত জ্ঞানে বিশ্বাস করতে বাধ্য হবে যে, এর একজন স্রষ্টা রয়েছে। যিনি সর্বদিক দিয়ে পূর্ণাঙ্গ গুণে গুণান্বিত।

মহাবিশ্ব নিখুত শিল্প না... এতে অনেক ইনটেলিজেন্ট ডিজাইন না।

মহাবিশ্ব অনবরত ফাইনটুইন হচ্ছে.... সৃস্টিকতা কেন ফাইনটুইন করবেন? তিনি কেন প্রানীকুল বানাতে ইভুলুসনের সাহাজ্য নিলেন? আর কোটি কোটি সমস্যা??

আপনার আশে পাশে কি বিকলাঙ্গ মানুষ দেখতে পান না? :)

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৭

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: এটাও আরেকটা সমস্যা। মূখ্য বিষয় ছেড়ে চুলকানি আলাপ পাড়া আমার একদম পছন্দ। আমি পোষ্টে যে বিষয়টা খন্ডন করেছি সেটা নিয়ে আলাপ করেন। তর্কে আসার পূর্বে যে কাজটি করতে বলা হয়েছিল সেটি করুন।

৫| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:২২

নতুন বলেছেন: Click This Link

deformed humans বলে গুগুলে সাচ` দিন দেখুন ... সৃস্টির সেরা জীবের কত রকমের বিকলাঙ্গতা আছে...

১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৯:২৯

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: আপনার জন্যই লিখাটি উপোযোগি। বিষয়বস্তু পালটানো তর্ক শাস্ত্রে হার মেনে নেয়ার নামান্তর। যা বলেছি তা করুন। অযথা জ্ঞান ছড়াবেন না।

৬| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১০:৩৬

নতুন বলেছেন: ঠিক আছে তাল গাছ আপনার সেটা নিয়ে আমি আলোচনায় যাবো না ;)

( আপনার আলোচনায় শব্দ চয়নে মুদ্ধ হয়ে তালগাছ নিয়ে আলোচনা করবোনা বলে ঠিক করেছি )

আপনি আলোচনায় প্রথমেই বলেছেন যে মহাবিশ্ব নিখুত্ আর এর কারন সৃস্টিকতা.... সেটাতেই যেহেতু খটকা আছে তাই প্রথমের বিষয়নিয়েই আপনাকে জিঙ্গাসা করেছিলাম।

সৃস্টিকতার কন্সেপ্টা ঠিকই আছে... অবশ্যই সবকিছুর সৃস্টিকতা তার সৃস্টির কন্সেপ্টের বাইরে কিছু একটা হতেই পারে...।

কিন্তু বত`মানে যত গুলি ধম` আছে সেইগুলির সৃস্টিকতার জন্য তারা যতটুকু ক্রেডিট দাবিকরে সেটা সত্যিকারের নেই....

যাই হোউক... ভালো থাকবেন...

৭| ১১ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১১:৪০

জাহিদ হাসান বলেছেন: সৃষ্টিকর্তা কি দেশ ও কালের ভেতরে না বাইরে?

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৯

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: সব কিছুর বাইরে

৮| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১২:৪৩

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ, আপনার কথামতো উপরের লাইনগুলো সম্পর্কে অনেক কথা বলতে ইচ্ছা হলেও বাদ রাখলাম।

(১) উদাহারণ স্বরুপ বলা যায়-আমাদের চোখের সমনে কত মশা ১ থেকে ৩ দিনের মধ্যে মারা যায়। তাদের যদি মানুষের মত অধিক জ্ঞান থাকত-তবে তারা কি ভাবত যে মানুষেরা অমর।
আপনি মানুষ হয়ে যেগুলো আবিস্কার করতে ও ভাবতে পারেন যেমন-চেয়ার,সর্ফটওয়্যার,প্রযুক্তি ইত্যাদী। কিন্তু সৃষ্টিকর্তার সৃষ্টি মানুষ,মহাবিশ্ব ইত্যাদী। আবার সৃষ্টিকর্তার সাথে মানুষদের কোন দেখা ও কথা হয়নি-যার কোন রকম সুস্পষ্ট প্রমান দুরের কথা-স্পষ্ট কোন রকমেরই প্রমান আজো মেলেনি। আদীম ইগু ও পূরানো সেটিং এর আপডেট নেওয়ার মত মস্তিস্কের ক্ষমতা না থাকলেও এমন চোর চোর করে কারো কানে কানে বলে যাওয়া ১৪০০ বছর পূর্বের কথাগুলোর দলিল বিশ্বাস করা সম্ভব হয়।
কিছু মনে নিবেননা। যেহেতু সবই জগতে আপেক্ষিক ব্যপার,সকলেই পরিস্থিতির শীকার। যে যেরকম ধাতুতে জ্বন্মে গেছে-সে সেরকম ধাতুর কার্যক্রম চিন্তা চেতনা অনুভূতি ও চাহিদার শীকার মানুষেরা। এখানে আমাদের কোন হাত নেই।
তাছাড়া আমাদের তৈরী সর্ফটওয়্যারের যেমন ধরনের ধারাভাষ্য দেওয়া হয় ঠিক তেমন ধরনেরই কাজ সেটা করবে। তারপ্রতি ব্যতিক্রম কাজের আশা করাটা যেমন বোকামি হবে তেমনি রাগ করে সেই যন্ত্রটাকে দোষ দেওয়ার আশা করা এবং সেটাকে শাস্তি দেওয়ার কথা ভাবাটাও অহেতুক বা অনর্থ হবে।
তবে হাস্যকর হয় একারনে যে দুচার হাজার বছর আগের ধর্মগুরুদের সৃষ্টিকর্তা বিষয়ক কথাগুলো ও সৃষ্টিকর্তা কতৃক মানুষগুলোর যেসব আদেশ উপদেশের কথাগুলো বা লেখাগুলো আছে সেগুলো স্পষ্টই যেন কোন পূর্বদিনের সৎজ্ঞানী,পজেটিভ মানসিকতার মানুষদের কথা। মানুষের কল্যানের উপর যাদের মস্তিস্কি চলে বা চালু হলে গেছে পরিষ্থিতিতে। সেরকম ধরনের মানুষের কথাগুলোই যেন সৃষ্টিকর্তার কথা-সেটা একটু নিরপেক্ষভাবে ভাবলেই যেন সকলে বুঝতে পারে।

(২) মানুষদের তৈরী সর্ফটওয়্যার যেমন বা যে ধরনের আকার ইঙ্গিত অনুভূতি দেওয়া হয় সেরকমই সেটা করে,বোঝে ও বলে ইত্যাদী। এখানে সর্ফটওয়্যার বা যন্ত্র কি কখনও মানুষের অনুভূতি বুঝতে পারবে? যেগুলো সর্ফটওয়্যারে সিলেক্ট করা নেই!
ঠিক সেরকমই আমরা যেমন আমাদের ছোট জ্ঞানে নিচু গোড়ামী ও অবুঝের মত জ্ঞানে-সৃষ্টিকর্তার উত্তরাধিকারী হওয়ার কোননাকোন ভয়ের বা বাধার কথা ভাবব সেটা নিশ্চই আমাদের জ্ঞানের মতই হবে। একটু ভবুনতো সৃষ্টিকর্তার জ্ঞান বা হিসাব এই মহাবিশ্বের ব্যপকতা আদীম যুগের মানুষ তো দুরের কথা বর্তমান মানুষগুলোও সেসবের হাতা মাথা পাচ্ছেনা এবং ভবিশ্যতেও পাবেনা-এরকম একটা ব্যপার। প্রত্যেক থিম থিউরী যেন দ্রুত ভূল হয়ে যাচ্ছে। যত দিন যায় ততই সবকিছুর পরিবর্তন.সংষোধন ও বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়।
তবে হ্যা ধর্মগুরুদের সকল লেখনির মধ্যে সুস্পষ্টই ফুটে ওঠে যে, তোমরা সৎ পথে চলো,অন্যায় ও দুর্নিতি করোনা এবং নিজের মঙ্গলের পাশাপাশি অন্যের মঙ্গল কর। কিন্তু পৃথিবীর সকল ধর্মের মানুষ সেই সঠিক কথাগুলো ভূলে পাগলামী করে ধর্মগুরুদের ডোবাতে চায় অথচ ধর্মের কোন পথেই যেন তারা নয়। বা পেছনদিকে মানুষ চলতে পারেনা ও মানলেও সেসব পালন করতে পারেনা-কেননা সময়ের পেছনে মানুষ যেতে পারেনা। বা সঠিকভাবে ধর্মগুলোর অর্থ ও কার্যক্রম কি হওয়া উচিত সেগুলো বুঝতে পারেনা। কেননা মানুষগুলো অপরাধ,হিংসা ও ঘৃণা করে,প্রতিশোধের আগুনে জ্বলে এবং পৃথিবীর ভূগর্ভস্ত পদার্থ ও শক্তির বিবর্তন ঘটিয়ে যুদ্ধ ও ধংশ করে নিজেরাই রোগগ্রস্ত ও বিলুপ্তপ্রায় হয়ে দ্রুত মারা যাওয়ার পথে চলেছে। হয়ত সৃষ্টিকর্তার এমনই সিস্টেম বা ইঙ্গিত আছে। তবে পূর্বদিনের মানুষের ন্যায় মিথ্যা বা বিভিন্ন অলৌকিক কোন শক্তির কাল্পনিক কোন সৃষ্টিকর্তাকে কে দাড় না করিয়ে। সর্গ নরক নেই,এ জীবন একটাই,এখানে একই আত্না ও শুত্র ধরে আমরা কপি কপি হচ্ছি এবং আমরা মানুষেরা এখানে কিভাবে মিলেমিসে সুন্দর জিবন যাপন করব সেগুলো নতুন করে যুক্তি জ্ঞানদিয়ে ভাবা উচিত ও নতুন কোন নিয়ম বা ধর্ম তৈরী করা উচিত।
তবে সৃষ্টিকর্তার সিস্টেম অনুযায়ী আমরা চললেও-কিছু অপশন আমাদের হাতে থেকেই যায়। কেননা আদীতে মানুষগুলো যেভাবে চলেছে এখন অন্য রকম আবার ভবিশ্যতেও আরেক রকম চলবে। সেটা সময়ের চেয়ে দ্রুত ভাবনায় ও জ্ঞানে এগিয়ে গেলে আমরা বুঝতে পারব।
(সকলেই ভূলত্রটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন। নতুন কোন যুক্তির কথা শুনে ভাববেন না আমি অপরাধী। বরং কিছুটা ভূল শোধনকারী মানুষই ভাবতে পারেন।)

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:২৮

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: ভাই ব্যাকরণের বই অন্য জায়গাতে লিখলে ভাল হয়। আমি পাঠোধ্যার করতে পারছি না। হয়ত আমার মেধার দুর্বলতা।

৯| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ১:২৩

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: আপনার উপরোক্ত লাইনের দুএকটি উত্তর না দিয়ে পারছিনা যেমন- পৃথিবীতে ভুমিকম্প,আগ্নেয়গিরি,বজ্রপাত,কোথাও অধিক বৃষ্টি বন্যায় জলোচ্ছাসে মানুষ ডুবে মরে,কোথাও বৃষ্টির অভাবে খরা পড়ে মানুষ দুর্বিসহ জীবন যাপন করে কষ্ট পেয়ে মারা যায়,কোথাও বরফের মধ্যে কঠিন জীবন যাপন করছে,কোথাও প্রচন্ড তাপে দগ্ধ জীবন যাপন করে। একে অন্যকে ভূলবোঝা ঠকানো,হিংসা,ঘৃণা,প্রতিশোধের আগুন,ধংশ,যুদ্ধ চারিদিকে লেগেই আছে অতীত থেকে। এছাড়া রোগ শোক যন্ত্রনা দুশ্চিন্তা মসিবত,নির্যাতিত,নিপিড়িত,অত্যাচার,অসহনীয় যন্ত্রনা,অর্থহীন ইত্যাদী বিপদ ও দুঃখের শেষ নেই-আবার সুখগুলো ও ভাললাগা তারমধ্যে মিক্স হয়ে যেন সবকিছু যাদুর মত কাজ করে চলেছে।
তারমধ্যে যদি কেউ বলে যে- আসমান সুন্দর জমিন সুন্দর নাজানি কত সুন্দর তুমি আল্লা। আসমানে তারা নক্ষত্র সুন্দর লাগতে পারে জমিনের ঘাষ গাছ ফুল পাখি সুন্দর হতে পারে কিন্তু আমরা যে মাকড়শার জালে জড়িয়ে আজাব পাচ্ছি সেখান থেকে বেরিয়ে আসতে না পারলে বা সেসব প্রাকৃত্বিক দুর্যোগ,রোগশোক ও যুদ্ধ ধংশ থেকে মুক্তি না পেয়েও যদি আমাদের এসব ভাললাগতে পারে তবুও সৃষ্টিকর্তা কেন আমাদেরকে এসব বিপদ থেকে মুক্তি দেয়না!

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ৭:১৬

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: আমার আসল কথা গুলো ছেড়ে নকল কথাগুলো নিয়ে উঠে পড়ে লাগলেন। আমি উপরে যে ভূমিকা দিয়েছি এটা শুধু পোষ্ট শুরু করার মাধ্যম। সেখানে কোন দলিলও উপস্থাপন নেই।
যেখানে দলিল আছে তার বিপরীত দলিল দিয়ে বিষয়গুলো খন্ডন করুন। ধন্যবাদ।

১০| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:৫৪

শৈবাল আহম্মেদ বলেছেন: ধন্যবাদ,আপনি যেমন আমার কথা ও যুক্তি বুঝতে পারছেন না-তেমনি আমিও আপনার পুরাতন দলিলের অর্থ ও জ্ঞান অন্যরকম বুঝতেছি।
আপনি আজো খেয়াল করে দেখুন আমাদের সমাজে-আপনি একটা কথা ৫ জনকে বোঝালে,৫জনই ৫ রকমভাবে সেগুলো বুঝতেছে। আবার ঐ ৫ জন যখন অন্যদের বোঝাচ্ছে তখন তারাও তাদের মনমতো বুঝে নিচ্ছে।
অতএব এখানে প্রত্যেকের শারিরিক ধাতুর তারতম্য ও গঠণ আলাদা,কোর্ড নং আলাদা,বুড়া আঙ্গুলের ছাপ আলাদা,চিন্তা চেতনা আলাদা ও চাহিদাগুলোও আলাদা। এসব এজগতের সিস্টেম। কিন্তু সেই সিস্টেম সৃষ্টিকারীর সাথে মানুষগুলোর যোগাযোগ হচ্ছেনা। সেটা হলে এইযে, যারথুত্রি ও প্যাগান থেকে শুরু করে পৃথিবীতে যতগুলো ধর্ম সৃষ্টি হয়েছে এবং যে যেধর্মের মানুষের গর্ভে জ্বন্ম গ্রহন করছে সে সেটাকেই যে সঠিক মনে করছে,এইসব বিষয় ও আমাদের অন্য সকল অভিযোগ তার কাছে ব্যক্ত করা যেত! এবং নিয়ন্ত্রকরাও নিশ্চই মানুষদের বুঝিয়ে একটাই ধর্ম বা নিয়ম পালন করার কথা বলতেন। তাছাড়া অনেক রকম ধর্ম দিয়ে যে পৃথিবীতে গোলযোগ ও ধংশ যুদ্ধ আদী থেকে লেগেই আছে সেটার একটা সমাধান নিশ্চই বহু আগে থেকেই তিনি বা তারা করতেন।

১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৮ রাত ৮:৩৩

ডিগবাজি বিশারদ বলেছেন: আমি ইচ্ছা করেই আপনার কোন অভিযোগের উত্তর প্রদান করছি না। কারণ এতে কোন লাভ হবে না। আমি আপনার কথা মানব না আর আপনিও আমার কথা মানবেন না। অচথা ফ্যাকড়ায় পরে লাভ কি?
তাছাড়া মন্তব্য আমার সাব্জেকটে পরে না। কাজেই এ নিয়ে আমার মাথা ব্যাথা নেই। আমি দীর্ঘ কোন জিনিষ খুব বেশি পছন্দ করি না। যা বলার মৌলিক কিছু অল্পতেই বলে ফেলি। আপনার মন্তব্যগুলো অধিক দীর্ঘ তাই শুরু থেকে শেষে আসতেই আমি বিষয়বস্তু হারিয়ে ফেলি। এটা আমার মেধার দুর্বলতা।
ধন্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্যের জন্য।

১১| ১৯ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৫:১৫

জাহিদ হাসান বলেছেন: লেখক বলেছেন: সব কিছুর বাইরে
স্পেস বাইরে থাকতে হলেও তো স্পেস সৃষ্টি করতে হবে। স্পেস বা দেশ এর বাইরে স্রষ্টাকে থাকতে হলে স্পেস বা দেশ থাকতে হবে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.