নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

এমন মানব জনম আর কি হবে !

ৎঁৎঁৎঁ

আমি যুক্তিশূন্য ঈশ্বর মানতে রাজী আছি, কিন্তু কোন হৃদয়হীন ঈশ্বর না।

ৎঁৎঁৎঁ › বিস্তারিত পোস্টঃ

পি-সায়েন্টিস্ট

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:২৮

রাতুলের বয়স ২৭ বছর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্সে মাস্টার্স দিল মাত্র, আপাতত রেজাল্টের অপেক্ষায়! কিন্তু অবসর নেই মোটেই, রাতুলসহ ওর সব বন্ধুরা চাকুরীর জন্য ইঁদুর দৌড়ের নাম লিখিয়েছে। রাতুল থাকে শহীদুল্লাহ হলে, ক্যারিয়ার নিয়ে ওর তেমন একটা সিরিয়াস চিন্তা ভাবনা কখনই ছিল না, সহপাঠি নীলার প্রেমে পড়ে যাওয়ার কারণে ওকে এখন এই বিষয়টা নিয়ে খুব সিরিয়াস হতে হচ্ছে! ও সারাজীবন বই-পত্র আর আকাশ কুসুম স্বপ্ন দেখেই পার করেছে, এখন চাকুরীর জগতে পা রাখতে গিয়ে আর সবার মত বেচারা খুব বেশী সুবিধা করতে পারছে না। এ এক আজব রেস, কে কোন বিষয়ে পড়লো বিষয় না, বিষয় হচ্ছে মোটা বেতনের একটা চাকুরী, বাংলায় পড়ে ব্যাঙ্কে, অঙ্কে পড়ে আমলা, জিওগ্রাফি পড়ে জার্নালিজম-একবারে হযবরল! ছিলে রুমাল তাতে কী, হয়ে যাও বিড়াল- সময়ের প্রয়োজনে! একটা চাকুরী চাই-ই চাই, সমাজে একটা পরিচয় চাই, আরো কত কী চাই!



একদিন পার্কে সন্ধ্যায় রাতুল আর নীলা বসে গল্প করছিল। যেহেতু আমাদের শহরগুলোর কোথাও পাবলিক টয়লেটের তেমন কোনো বিষয় নেই, প্রকৃতির যে কোনো রকমের ডাক মানেই এক বিড়ম্বনা, তাই আমাদের রাস্তাঘাট ভেসে যায় ঝাঁঝালো তরল বর্জ্যে! রাতুলের জলত্যাগের প্রয়োজন বাড়াবাড়ি সীমানায় গেলে সে নীলা কে বসিয়ে পাশের একটা গাছের গোড়ায় দাঁড়িয়ে যেই শুরু করেছে, অন্ধকারে যেইটা ঝোপ ভেবেছিল সেইটা নড়ে উঠলো! সে তো একদম লাফিয়ে উঠে সরে আসে, ওখানে ওদেরই মত দুইজন বসে ছিল, আরেকটু হলেই মহা কেলেঙ্কারী! এবার দেখেশুনে পাশে একটা নিরালা জায়গায় শান্তির সাথে রাতুল জল বিয়োগ করতে থাকে।



ঠিক এই সময়, তার মাথায় একটা ছেলেমানুষী মজার চিন্তা খেলে গেল। আচ্ছা, এই যে এত ঝামেলার মূত্র, এই ইউরিনের কোনো রিসাইকেল ভ্যালু নাই? ইউরিনে আছে প্রচুর পানি, আমোনিয়া, থেকে শুরু করে নানা কিছু। ইউরিনকে রিসাইকেল করে যদি কোনো কাজে লাগানো যায়? যত ছোটই হোক, সেইটা কী একটা বিশাল ব্যাপার হবে না? একদম বৈপ্লবিক আবিস্কার, যুগান্তকারী এক প্রকল্প! ভাবতে ভাবতে বেশ উত্তেজিত অবস্থায় রাতুল ফিরে আসে নীলার কাছে, এসে তার নতুন চিন্তার কথা বলতে থাকে!

-দেখ, ঢাকার কথায় ধর, রাস্তা দিয় হাঁটা যায়? মুতে ভাইসা যায় মানুষের! মানুষের দোষ কী? ব্লাডার কি বাসায় রেখে আসবে? তা আসবে না, তাইলে নেচার কল করলে সাড়া তো দিতেই হবে, ফলাফল- ফুটপাথগুলো দিয়ে মূত্রধারা বয়ে যায়। এখন চিন্তা কর- একটা কোম্পানী খোলা হল, যারা এই ইউরিন সংগ্রহ করে রিসাইকেল করবে, জৈব সার হতে পারে, পানি হতে পারে! যে কোনো কিছু, বা অনেক কিছু! কাঁচামাল পুরো ফ্রি! চিন্তা কর কী অবস্থা দাঁড়াবে?

নীলা- কোম্পানী তো পুরা লাল হয়ে যাবে রে, টাকাই টাকা! তুই তখন রতন টাটা ওর বউকে যে ইয়ট কিনে দিসে, যেখানে ফুটবল খেলা যায়, তুই আমাকে ওরকম একটা ছোট জাহাজ কিনে দিস, যাতে একটা ক্রিকেট মাঠ থাকবে! দেখছিস না বাংলাদেশের টাইগারদের থেকে বাঘিনীরা কত ভাল ক্রিকেট খেলে?

- আরে রাখ তোর জাহাজ, আমি তোরে একটা মহাদেশ কিনে দেব!

- মহাদেশ তো সব আবিস্কার হয়ে গেছে, আমার জন্য নতুন কই পাবি?

- সমুদ্রে টাকার বস্তা ফেলে তোর জন্য আমি একটা নতুন মহাদেশ গড়ে দেব। তুই শুধু চিন্তা কর- ঢাকার রাস্তায় মোড়ে মোড়ে এসি বুথ, না না, টাকা তোলার জন্য না- হিসু করার জন্য! মানুষ হিসু করবে ফ্রি, বের হওয়ার সময় এক গ্লাস ঠান্ডা পানি! সামনের মোড়ে গিয়ে আবার হিসু কর, ,আবার পানি খাও! রাস্তা ঘাট পরিস্কার রাখার জন্য পৌরসভা লাগে নাকি! ১৬ কোটি মানুষের বাংলাদেশ, আমরা মূত্র রপ্তানী করলেও তো বাংলাদেশ ব্যাঙ্কে ডলার রাখার জায়গা হবে না! প্রতি বছর আমরা একটা করে পদ্মা-মেঘনা সেতু বানাবো! ইলেক্ট্রিক-ম্যাগনেটিক ট্রেন তো কত দেশ দেখালো, আমরা সুপারসোনিক ট্রেন দেখাবো! তুই শুধু চিন্তা কর!



নীলা আর রাতুল এই আইডিয়া নিয়ে বেশ মজা করে নানা রকম আলাপ করে, রাতে নীলাকে বাসায় নামিয়ে দিয়ে রাতুল ফিরে আসে হলে, কয়েকটা জায়গায় সিভি ড্রপ করতে হবে, একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানী আছে, ওর মামা ওখানে চাকুরী করেন, রাতুলকে সিভি দিতে বলেছেন হয়ে যাবে নাকি! রাতুল জিজ্ঞেস করেছিল- মামা, কোম্পানীতে আমার কাজ কী হবে?

- কাজ জেনে তোর লাভ কী? শুরুতেই বেতন পঞ্চাশের উপরে পাবি, দুই বছর পর সিক্স ডিজিট! তোর আর কী জানার দরকার?

- মামা, তারপরেও, আমার কাজটা তো জানতে হবে?

- কী আর, একজিকিউটিভ!

- ও!

রাতুল পরে ভাবছিল- এক্সিকিউটিভ মানে তো কেরানী, নাকি? কিন্তু মামাকে এই কথা বললে খবর আছে!



আর একটা সার্কুলার আছে, ওর নিজের শহরে একটা স্কুলে বিজ্ঞান শিক্ষকের পদ, এইটা ওর নিজের পছন্দ, সারাজীবন নিজে যা পড়েছে, সেইটা নিয়েই থাকা যাবে। কিন্তু বাসায় বলে প্রতিক্রিয়া ভালো হয় নি, স্কুল মাস্টারদের বেল নাই, এত পড়ালেখা করে কেউ এখন স্কুলে মাস্টারী করে নাকি!



রাতে চিন্তা করতে করতে রাতুল দেখে যে চিন্তাটা শুধুই মজার না, এর মধ্যে সার বস্তু আছে! মূত্রের রিসাইকেল ভ্যলু নিয়ে কাজ কোনো রসিকতা না, এইটা একটা সিরিয়াস কাজ! এর প্রয়োজনীয়তা আছে, এখন যতটা, সামনের দিনে আরো বেশি! সামনের বিশ্বযুদ্ধটাই নাকি হবে পানি নিয়ে! বাংলাদেশ কৃষিপ্রধান দেশ, জৈব সার বানিয়ে সাপ্লাই দিলে সারের অভাব থাকে? কিন্তু কাজটা সহজ না, খুবই কঠিন, না হলে তো করাই হত! কিন্তু অসম্ভব বলে তো কিছু নাই বলেই তো পড়ানো হয়। রাতুল চিরকাল বোকা টাইপের, মূত্র নিয়ে চিন্তা করা যে এখনো খুব বোকামী এইটা ও বুঝতে পারে না শুরুতেই!



রাতুল বিষয়টা নিয়ে সিরিয়াস হয়ে যায় প্রথমে সরকারী গবেষনা প্রতিষ্ঠানে, সেখানে গিয়ে জানতে চায় যা বাংলাদেশের মূত্র গবেষনার অগ্রগতি নিয়ে। ওখানকার টেবিল চেয়ারের বিজ্ঞানীরা ওকে হেসেই উড়িয়ে দেয়, যেন খুব মজার কথা বলতে এসেছে বাতিক গ্রস্থ এক খেয়ালী যুবক! রাতুল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিস্ট্রি ল্যাবে যায়, ওখানকার স্যারদের সাথে কথা বলে, যারা এই বিষয়ে কাজ করতে পারে, সবার কাছে এক এক করে ও যায়, এবং প্রচন্ড বিস্ময় নিয়ে আবিস্কার করে যে ইউরিন নিয়ে কোনো কাজ তো হচ্ছেই না, বরং সবাই ওর এই আইডিয়া নিয়ে হাসাহাসি করে মজা নিচ্ছে, এইটা যে একটা খুব কাজের কাজ হতে পারে, এই সহজ জিনিসটা কাউকে সে বোঝাতে পারে না।



ডাক শুনে কেউ না আসলে একলা চলতে হয়, রাতুল একটা সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলে যে সে নিজেই এই কাজটা শুর করবে, সে সরাসরি কেমিস্ট্রির ছাত্র না, কিন্তু বিজ্ঞানের মূলগত পদ্ধতি সম্পর্কে তার ভালো ধারনা আছে, সেই কাজটা শুরু করবে, শেষ করতে না পারুক, কিছুটা এগিয়ে রাখবে। সে প্রথমে চিন্তাটা জানায় নীলাকে, এবং বুঝতে পারে উপড়ে ফেলা ধাক্কা কাকে বলে-



-তুমি কি সিরিয়াস? অ্যা! পাগল হয়ে গেছ নাকি? মজা এক জিনিস আর সেইটা নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়া এক জিনিস! গতরাতেও বড়আপা ফোন দিয়েছিল আমেরিকা থেকে, সে নাকি ওখানে আমার জন্য একটা ছেলে পছন্দ করে বসে আছে। আমি সারাদিন আল্লাহ আল্লাহ করছি তোমার চাকুরিটা যেন হয়ে যায়, এর মধ্যে তুমি এই সব কী বলতেস? সমাজে তোমার পরিচয় কী হবে? মূত্র গবেষক? তুমি আমারে না, তোমার নিজের বাসায় রাজী করায়ে আসো, তারপরে তোমার সাথে কথা! আমি বিশ্বাসই করতে পারছিনা একজন এইটাকে পেশা হিসেবে চিন্তা করতে পারে!............



বাসার প্রতিক্রিয়া-



কী বলছিস বাপ তুই? এত পড়াশোনা করে কী তোর মাথা নষ্ট হয়ে গেল? তোকে নিয়ে আমাদের কত আশা! তুই কত বড় হবি, আমাদের খাওয়াতে হবে না তোর, কিন্তু এমন কিছু করবি যেন আমরা তোকে নিয়ে গর্ব করতে পারি, তুই যা বলছিস তাতে আমরা মুখ দেখাবো কী করে? এত পাস দিয়ে আমাদের ছেলে প্রসাব-বিজ্ঞানী হতে চায়! তুই কারো কথা ভাবছিস না? এখনো তোর এইসব পাগলামো করার বয়স আছে? ...............



বন্ধুদের প্রতিক্রিয়া-



তুই শালা পুরাই আবুল, তোর মামা তোর জন্য এত ভালো একটা চাকুরীর ব্যবস্থা করতাসে, আর তুই পেশাব বাবা হইতে চাস! মানুষ হ ব্যাটা মফিজ, আর কত লোক হাসাবি? ওই রোমান শুইনা যা, আমাগো রাতুল কী কয়, হালায় মূত্র নিয়ে রিসার্চ কইরা কোম্পানী খুলবো, বিল গেটসরে টক্কর তো দিবোই- লগে নোবেল ফ্রি! হা হা হা হা, ওই কেউ আমারে ধর, আমি আজকে হাসতে হাসতে শহীদ হইয়া যামু............



এর মধ্যে মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানীর আপয়েন্টমেন্ট লেটার হাজির, মামা সেইটা বাসায় আগেই জানিয়েছেন, জয়েন করার শেষ তারিখ ২৫, এর মধ্যে মফস্বলের সেই স্কুলের বিজ্ঞান শিক্ষকের পদে যোগদানের আমন্ত্রনপত্র এসে হাজির! কয়েক দিনের মধ্যের রাতুলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, জীবন তার সামনে দুটো পথ খুলে রেখেছে- চাকুরী কর, টাকা কামাও, বিয়ে কর সুখী হও, টাকা কামিয়ে দেশ ও দশের মুখ উজ্জ্বল কর। আরেক পথে- গ্রামে গিয়ে মাস্টারী শুরু কর, নিজে পড়, অন্যদের পড়াও, অনেক পড়, ভাব, গবেষনা কর, করতেই থাক, হয়তো একদিন তুমি পেতেও পার কিছু একটা মহা অমূল্য! এখানে তোমার পাশে কেউ নেই, তুমি একা, পূর্নিমা নয়, আমাবস্যার চাঁদের মত একা!





২৪ তারিখ রাত, হলের রুমে রাতুল ওর টেবিলে বসে আছে চুপচাপ, একটা মোমবাতি জ্বালানো, নীলা জানিয়ে দিয়েছে খুব দ্রুত রাতুলকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে, ওর বাবা অসুস্থ, ও বুঝতে পারছে যে নীলার হাতে একদমই সময় নেই। ওর হাতেও নেই, কাজ করলে অনেক কাজ পড়ে আছে। রাতুলের সামনে দুইটা খাম রাখা, একটা ঝলমলে, একটা হলুদ, রোদে ঘামে পোড়া! একটায় দাসখত, একটায় স্বপ্ন! একটাতে সুখ- একটাতে যুদ্ধ! একদিকে প্রিয় মানুষদের হাসি মুখ, অন্যদিকে তাদের হতাশায় মরা চোখ! রাতুল দুটো খাম সামনে নিয়ে বসে থাকে- ওকে যে কোনো একটা বেছে নিতে হবে! আজকে রাতের মধ্যে!

রাতুল কী করবে? কোন খামটা বেছে নেবে? পাঠক, আপনি হলে কোনটা নিতেন?





















*** শেষমেশ একটা গল্প লিখেই ফেললাম! গল্পখানা সুপ্রিয় শ্রদ্ধেয় ব্লগার মামুন রশিদ ভাই সমীপে নিবেদিত হইলো! গল্প সঙ্কলনে তাঁর যে ক্লান্তিহীন নিবেদন- সেইটা আমাকে সবসময় মুগ্ধ ও বিস্মিত করে!

মন্তব্য ৩৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৩৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৪০

সাধারন এক মেয়ে বলেছেন: মুত্র নিয়ে এমন চমৎকার গল্প হতে পারে তা ধারনায় ছিল না।



মুত্র নিয়ে কিন্তু সিরিয়াসলি গবেষণা হচ্ছে :D

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১২:৫৩

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সাধারন এক মেয়ে!

গল্প লেখার সময় গুগল করে দেখলাম, আসলেই অনেক দেশে জোরেসোরে কাজ হচ্ছে, মূত্রের নানাবিধ ব্যবহার ও ব্যবহারের প্রচেষ্টার ইতিহাস বেশ পুরনো! আমাদের দেশে কেমন কাজ হচ্ছে জানি না, তবে হওয়াটা জরুরী! তার থেকেও কম জরুরী না রাতুলদের ক্যারিয়ার এর কাছে বিক্রি হওয়ার থেকে নিজের পথটা খুঁজে নেওয়া, যদিও তা সব সময় বন্ধুর!

শুভকামনা রইলো!

২| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০০

হাসান মাহবুব বলেছেন: গল্পে সারকাজম জনিত রসিকতার প্রভাব এত বেশি যে লাস্টের দ্বন্দ্বটাও মন টলাতে পারলো না! আমি চাই সে মুত্র বিজ্ঞানীই হোক! :-B

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৪

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ব্যংগ করার চেষ্টা করেছিলাম! ঠিক লাইনে যাই নি তাহলে! এইটা মাথায় রাখবো! গল্পটা আমি অবশ্যই আবার লিখবো, তখন রসিকতার মাত্রা রেখে ব্যংগটা ঠিকঠাক করার চেষ্টা করবো! গল্প নিয়ে আপনার অভিমত অবশ্যই গুরুতবপূর্ণ!

ভালোবাসার মানুষ, পরিবারের প্রত্যাশা- সব মাড়িয়ে নিজের পথে হাঁটা তো খুব মুশকিল ভাই! খুব মানুষ পারে এইটা করতে, খুব কম!

যেমন রাতুল এইটা ভাবতে পারে যে মোটা বেতনের চাকুরি করে টাকা জমিয়ে গুছিয়ে মূত্র গবেষনা অ কোম্পানী খুলবে! আপাতত কোম্পানীতে যোগদান করে দূর্গ রক্ষা করি! - এই ভাবনার ফাঁদে আমি অনেককে হারিয়ে যেতে দেখেছি যে!

৩| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:৫৫

নাহিদ ইসলাম ৩৫০ বলেছেন: চমতকার+++



প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ব্লগঃ আইডিয়া বাজ

২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ নাহিদ ভাই!

প্রযুক্তি বিষয়ে বড়ই আনাড়ি! কেন জানি সাইয করতে পারি না!

শুভকামনা রইলো!

৪| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:২৬

ক্লান্ত তীর্থ বলেছেন: কেমনে পারলেন ভাই??


আমি আপনার গদ্যের মুগ্ধ ভক্ত হয়ে গেলাম :)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৮

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ তীর্থ! মেলা খুশী লাগছে কিন্তু শুনে! গল্প তো তাইলে লেখা যায় মাঝে মাঝে!

শুভকামনা রইলো!

৫| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:২৮

মুদ্‌দাকির বলেছেন: পড়ব

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ওকে ভাই! পড়ে জানায়েন!

৬| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:৪৯

আমিজমিদার বলেছেন: পঞ্চাশ হাজারের চাকরি নিয়া নীলাকে বিয়া করিবে, তারপর তিন মাস পরে হানিমুনের কথা বইলা তাকে মফঃস্বলে লইয়া যাবে। সেইখানে তদবির কৈরা স্কুল টিচার হিসেবে জয়েন করিবে, বউ লয়ে আনন্দে বসবাস। মুত্র নিয়া তার এই আইডিয়া শুইনা তার এক ছাত্র ইন্সপায়ারড হইবে, সে বিশ বছর পর এইটা বাস্তবায়ন করবে- তারপর বাংলা সিনেমার মত দৌড়াইতে দৌড়াইতে আইসা সারের পায়ের উপ্রে পইড়া কইব- সার সার, আপনার স্বপ্ন সফল হয়েছে সার।

তারপর রাতুল পি-বুথে সর্বপ্রথম পি কৈরা মহৎ উদ্যোগের সূচনা করবে। এই কাহিনি নিয়া একটা মুভি বানান হইব। মুভির লাস্টটুকু এরকম হইব- রাতুলের প্রস্রাবের স্লো-মোশন শট, ছরছর শব্দ, অর চোখেমুখে একইসাথে ত্যাগের আর প্রাপ্তির আনন্দ। ছাত্র আর নীলা চোখ মুছতাসে, আশেপাশের পাব্লিক হাততালি দিতাসে।

ছরছর, ছরছর

নাক টানার কান্নাভেজা শব্দ

ক্ল্যাপ ক্ল্যাপ ক্ল্যাপ ক্ল্যাপ

তারপর হঠাত কৈরা সব স্তব্ধ। দি এন্ড।

লন, হ্যাপি এন্ডিং :#) B-)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: বাপ্রে! কী আইডিয়া! সিনেমার সুদিন আসতেই হবে, আপনার গল্প শুনে এইটা নিশ্চিত হইলাম!

পী-সায়েন্টিস্ট পার্ট-২ আপনার, যেহেতু আপনি এরকম একটা দূর্ধর্ষ স্টোরী লাইন ডেলিভারি দিলেন! আমি যেন অস্কারের লাল গালিচায় আপনাকে দেখতে পাচ্ছি! 8-|

৭| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৮:৪৭

মুনতাসির নাসিফ (দ্যা অ্যানোনিমাস) বলেছেন: বেশ!
পুরোটা পড়িনি আপাতত, রাতে পড়বো!
আর যাকে উৎসর্গ করলেন তাঁর ক্লান্তিহীন নিবেদন আমাকেও মুগ্ধ ও বিস্মিত করে :)
ভালোলাগা আবারো আপনাকে

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১০:৪৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ নাসিফ ভাই!

আসলেই, মামুন ভাই একটা পুরাই জিনিস! :P

শুভকামনা রইলো!

৮| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৫

মামুন রশিদ বলেছেন: কেউ কোন লেখা উৎসর্গ করলে সম্মানিত বোধ করি, ডুবে থাকি সলাজ কৃতজ্ঞতায় ।

কিন্তু একজন কবি যখন তার দুর্দান্ত একটা লেখা আমার মত অভাজনকে উৎসর্গ করে তখন কি বলা যায় ??


কবিরও হৃদয়ও এমনি পেয়েছি উপহার..


ডিয়ার ইফতি, রিয়েলি ফিল অনার্ড :) :)

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৫৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: কী যে কন মামুন ভাই, এইটা তো অতি সামান্য নিবেদন, গল্পের প্রতি আপনার ভালোবাসা আমাকে মনে করিয়ে দেয় যে আমার তো আসলে গল্প লেখার কথা ছিল!

আপনার ভালো লেগেছে জেনে গল্প লেখার আনন্দ সার্থক হইলো!

৯| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ৯:১৯

মামুন রশিদ বলেছেন: গল্পের ব্যাপারে বললে হামা ভাইয়ের মন্তব্যে আমার ভাবনা চলে এসেছে । আপনি গল্পে মৌলের সাথে আছেন । আর কে না জানে পাগলাটে বিজ্ঞানী-উদ্ভাবক-আবিষ্কারকেরাই পৃথিবীতে মৌল পরিবর্তনগুলো করে দিয়েছে ।

ভালোলাগা++

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ১:১৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: গল্প আমার ভাবতে খুব ভালো লাগে, কিন্তু লেখার বিষয়ে এখনো খুব ঝামেলায় থাকি, মানে কীভাবে, কীভাষায় গল্পটা সাজাবো! লিখতে লিখতে মনে হয় সহজ হয়ে যাবে!

শুভকামনা রইলো ভাই!

১০| ২৩ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:১১

এহসান সাবির বলেছেন: শেষমেশ একটা গল্প লিখেই ফেললেন!!!

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হ্যা ভাই! শেষমেশ একটা গল্প লিখেই ফেললাম! :-0

১১| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:১৮

প্রোফেসর শঙ্কু বলেছেন: বিদ্রূপ আর স্বপ্নচারিতার মিশেলে চমৎকার একটা গল্প। শতকরা ৯৯ জন ঝলমলে কাগজটাই বেছে নেবে। রাতুল সেই বাকি একজন- এই আশা করি।

আপনার উচিত আরও গল্প লেখা। কবিরা গল্প লিখলে একটা নতুন মাত্রা পেয়ে যায় লেখাগুলো। মুগ্ধ হয়েছি পড়ে।

শুভরাত্রি।

২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: লিখবো বলছেন? স্বয়ং প্রোফেসর সাহেব ভালো লাগা জানালে আর পায় কে? ব্যাপক মাত্রায় উৎসাহিত হওয়ার মত বিষয়! দেখি তাহলে আরো কিছু গল্প প্রচেষ্টা চালিয়ে!

শুভকামনা!


১২| ২৪ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:১৩

স্বপ্নচারী গ্রানমা বলেছেন:
তাই আমাদের রাস্তাঘাট ভেসে যায় ঝাঁঝালো তরল বর্জ্যে!

@ প্রোফেসর শঙ্কু আপনার উচিত আরও গল্প লেখা। কবিরা গল্প লিখলে একটা নতুন মাত্রা পেয়ে যায় লেখাগুলো। মুগ্ধ হয়েছি পড়ে।

অনেক ভালোলাগা...!

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:১১

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ সুপ্রিয় স্বপ্নচারী গ্রানমা!

গল্প প্রচেষ্টা বলতে পারেন, আপনাদের ভালো লেগেছে দেখে ভালো লাগছে!

শুভকামনা!

১৩| ২৫ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১২:৩৬

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:



গল্প লিখলেন তো লিখলেন তাও সেইরাম একটা গল্প। :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫২

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই কান্ডারী! লিখেই ফেললাম গল্প!

শুভকামনা!

১৪| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:১৬

আদনান শাহ্‌িরয়ার বলেছেন: গল্প চমৎকার লেগেছে । দারুন ব্যঙ্গ , শ্লেষ । কিন্তু শেষটা খুবই দুর্বল । বিশেষ করে লাস্ট লাইনটা , এটা নিয়ে ভেবে দেখবেন ।

গল্পের ভুবনে স্বাগতম । শুভেচ্ছা আর শুভকামনা :)

২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৫

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: শেষ লাইনে ধরা খাইসি না? শেষটা নিয়ে ভাবতে হবে, শেষ ওইটাই যে রাতুল ভাবছে, আজকে রাতেই সিদ্ধান্ত নিতে হবে, শেষের লাইনটা তাহলে বদলে অন্যকিছু দিয়ে দেখা যাক, কী দাঁড়ায়!

মতামতের জন্য ধন্যবাদ সুপ্রিয় আদনান ভাই!

ভালো থাকুন!

১৫| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৪:৩০

অন্ধবিন্দু বলেছেন:
পাঠক কে যখন প্রশ্ন করেছেন। পাঠক মুগ্ধ হয়েছেন। তবে উত্তর দেন নি কেউই। তাই উত্তরটা দিয়ে যাচ্ছি। অনেক আগেই যুদ্ধ খামটায় নিজের নাম লিখেয়েছি। ...

শুভ কামনা। লেখায় থাকুন।

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ সকাল ১১:৩৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: অনেক আগেই যুদ্ধ খামটায় নিজের নাম লিখেয়েছি। ... - সাবাস ভাই! জয় হোক! ক্যারিয়ার নামের এক আজাইরা পেইন থেকে মুক্ত হোক আমাদের ভালোবাসারা!


আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইলো!

১৬| ২৭ শে এপ্রিল, ২০১৪ রাত ১১:২৯

অপর্ণা মম্ময় বলেছেন: আরে পিচ্চি , তুই দেখি গল্প লিখছিস আচমকা ! এর আগে বনসাইয়ের একটা প্লট বলছিলি লিখবি, সেটা না লিখেই এটা !!! ( এই গল্প না পড়েই কমেন্ট দিলাম যা কখনো করি না ) যাই হোক, তোর ব্লগে উঁকি দিয়া গেলাম।

শুভ রাত্রি ! গল্পের অনুভূতি পরে পড়ে জানাবো

২৮ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৫:০৬

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হাড়-গোস সব কালা হৈ গেল, এখনো পিচ্চি! :||

আপনার আগমনে আমি উচ্ছসিত হে সম্মানিতা শ্রদ্ধেয়া ঔপন্যাসিকা মহদয়া! বনসাই অনেক বড় গল্প, ছোট ছোট গুলো আগে লিখে ফেলি!

গল্প পড়ে অনুভুতি জানাতে ভুলবেন না হে সম্পাদিকা, যদিও জানা আছে আপনি সুতীব্র ব্যস্ত!

শুভকামনা!

১৭| ২০ শে মে, ২০১৪ বিকাল ৫:৪৪

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: নাম দেখে একটা ফাটাফাটি সাইফাই পড়ার আশায় এসেছিলাম। যা পড়লাম তাতে ব্যপক মাত্রায় শিহরিত। ভাবছি ইউরিয়া ঘটিত গণশৌচাগারের তীব্র কটু গন্ধখানা জাদুঘরে রাখবার সময় বুঝি চলেই এলো B-) B-) B-)


আমিজমিদারের কমেন্টে উত্তম জাঝা :D :D :D

২১ শে মে, ২০১৪ দুপুর ১:৩৭

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: হা হা হা! ফাটাফাটি সাইফাই? আপনার আশাটাই ফেটে গেল নাকি?!

পি সায়েন্টিস্ট পার্ট ২ এর ব্যাপারে ব্যাপক আশাবাদী হচ্ছি! কিছু একটা হতেই হবে এবার! আর কত? ইউরিয়া ঘটিত গণশৌচাগারের তীব্র কটু গন্ধখানা জাদুঘরে রাখবার সময় বুঝি চলেই এলো B-) B-) B-)


শুচেচ্ছা নিন হে মহামহোপাধ্যায়!



১৮| ০৭ ই জুন, ২০১৪ রাত ৩:৪৯

মহামহোপাধ্যায় বলেছেন: শুচেচ্ছা ?? ইহা কি সন্ধি না সমাস সাধিত ?? ব্যাস বাক্য কি হইবে B:-) :-B B-) ;) :P =p~

০৮ ই জুন, ২০১৪ সকাল ১০:৩৯

ৎঁৎঁৎঁ বলেছেন: B:-) :-B B-) ;) :P =p~

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.