![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
শুভ সন্ধ্যা, করোনা ভাইরাস নিয়ে আমরা যখন ভীত আতঙ্কগ্রস্থ ঠিক তখন একটি বিশ্লেষণধর্মী -পজেটিভ লেখা পড়লাম,যে লেখাটি পড়ার পর আমার দুশ্চিন্তা, ভীতি অনেকটা কমেছে আশা করি আপনারও কমবে।
“সাবধান হোন!
আতংকিত হবেননা!!
আতংক ছড়াবেননা!!”
করোনা ভাইরাসে মৃত্যু, গ্লোবাল ইকোনমি ধ্বস, ত্রাস, ভয় ও আতংকের উপর খুব অল্প কথায় ডাটা সহ জটিল বিশ্লেষণ করেছে হংকং বেইসড একটা অনলাইন পত্রিকা। পড়ে দেখুন, কাজে লাগবে-
২০০৩ সালে সার্স ভাইরাসে এ্যাটাক করেছিলো প্রায় ২৬ টি দেশ। মৃত্যুহার ছিলো ১০%!
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুতে ৫৭ মিলিয়ন মানুষ আক্রান্ত হয়। মৃত্যুহার ৪.৫%!!
২০১৪ সালে ইবোলায় মৃত্যুহার ২৫% । মারা যায় ১১,৩১০ জন!!!
আর ২০২০ সালে করোনা ভাইরাসে মৃত্যুহার মাত্র ২%!!! মারা গেছে এ পর্যন্ত ৩০৫২ জন!!!
এই যখন ঘটনা- তখন করোনা ভাইরাসে দুনিয়া ব্যাপি এতো আতঙ্ক ছড়ালো কেন? কেন ইতালি, চায়না, হংকং এর এয়ারপোর্ট একেবারে জনশূন্য হয়ে গেলো!!! গ্রোসারি মার্কেট, হোলসেলের দোকান একেবারে স্টক শূণ্য হয়ে গেলো। কেন প্রায় তিন ট্রিলিয়ন ডলার শেয়ার মার্কেটে রাতারাতি ক্রাস হয়ে গেলো। কেন ওয়ার্ল্ড ইকোনোমিতে ব্যাপক ধ্বস নামলো?
কারণ হলো সংবাদ কনজিউমের পুরো ন্যাচারটিই দুনিয়াব্যাপি খুব দ্রত বদলে গেছে!!!
২০০৩ সালে ফেসবুক , হোয়াটসঅ্যাপ ছিলোনা। যখন সার্স ভাইরাসে ২৬ টি দেশ আক্রান্ত হয়।
২০০৯ সালে সোয়াইন ফ্লুর সময় দুনিয়াব্যাপি ফেসবুক ব্যবহারকারী ছিলো মাত্র ১৫০ মিলিয়ন।
২০১৪ সালে ইবোলার সময় হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার কারী মাত্র ২৫০ মিলিয়ন।
আর ২০২০ সালে অন্যান্য মিডিয়া বাদ-শুধু ফেসবুক আর হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করছে প্রায় চার বিলিয়ন মানুষ!!!
স্যোসালমিডিয়ার এই শক্তি ব্যাপক। প্রতি সেকেণ্ডেই খবর ছড়াচ্ছে। কথায় বলে দুঃসংবাদ ঘোড়ার আগে ছুটে। একটা ভাইরাসে একজন মানুষের মৃত্যু সংবাদ এখন মুহুর্তেই বিলিয়ন মানুষের কাছে পৌঁছে যাচ্ছে। সুতরাং মানুষতো আতংকিত হবেই। দূর বলতে এখন আর কিছুই নেই। চায়নার উহানের দূর্ঘটনাকে মনে হবে আপনার পাশের বেডরুমেই ঘটছে। হাজার হাজার গ্রুপে, হাজার হাজার পেজে একই সংবাদ ছড়াচ্ছে। বিশেষ করে সংবাদ যদি হয় দুঃসংবাদ!! আর এই বিশাল মিডিয়া পাওয়ারই দুনিয়াব্যাপি মানুষকে আতংকিত করেছে এবং গ্লোবাল ইকোনিমিতে ধ্বস নামিয়েছে!!!
WHO এর মতে-সাবধান হোন! আতংকিত হবেন না!!!
আপনার বয়স যদি ৫০ এর নীচে হয় তবে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ০.০২%!!!
৫০ এর ওপরে মারা যাওয়ার সম্ভাবনা ১.৫% তাও যদি শ্বাসকষ্ট থাকে। যত লোক মারা গেছে তাদের ৯৮% এর বয়স ৮০ এর ওপরে!!!
আর আমরাতো পৃথিবীর সবচেয়ে দূষিত নগরের বাতাস প্রতি সেকেণ্ডে গ্রহণ করে, ফরমালিন যুক্ত খাবার দিনে তিনবেলা পেটে চালান করে, ব্যাকটেরিয়া ভাইরাসের গোডাউনে বাস করে-মশা মাছির উপদ্রবকে নিত্য সাথী করে আমাদের ইমিউন সিস্টেমকে ইস্পাতের মতো শক্ত করে নিয়েছি!!! আমাদের সাথে পাল্লা দিতে হলে বরং করোনা ভাইরাসকেই মাস্ক পরে আগাতে হবে। সুতরাং এত পেনিক হওয়ার কিছু নেই!!!
ভাইরাস যদি বাতাসে উড়তো আর যে ভাবে পেনিক ছড়িয়েছে- সেভাবে সংক্রমিত হতো, আর সংক্রমনের সাথে সাথে মানুষ মারা যেতো, তবে দেশে দেশে এতোক্ষণে লাশের পাহাড় হয়ে যেতো!!! তাই পেনিক হওয়া যেমন ঠিকনা- আবার একেবারে এটি খুব সিম্পল একটা ব্যাপাার, এরকম ভেবে অবহেলা করে মৌজ মাস্তি করাও ঠিক না!!! কথায় বলে- সাবধানের মার নেই!!! তাই সাবধান হোন! কিন্তু পেনিক হবেন না!! পেনিক ছড়াবেন না!!! শীত চলে গিয়ে তাপমাত্রা বাড়ার সাথে সাথেই করোনার প্রকোপ কমে যাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে!!! ইনশাল্লাহ বিপদ কেটে যাবে!!!
আল্লাহ রাব্বুল আলামীন সবাইকে, সব জাতিকে, সব মানুষকে হেফাজত করুন!!!
আমিন!!!
#collected#
০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:১৯
ইলি বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ আমার আগেই এই বিষয়ে বলার জন্য।
২| ০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪৪
রাজীব নুর বলেছেন: না আমি এখনও আতংকিত হই নি।
০৭ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১:২০
ইলি বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ।
৩| ০৭ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ১০:২৫
নেওয়াজ আলি বলেছেন: যিনি সৃষ্টি করেছেন তিনিই রক্ষা করবেন। এতো ভাবতে পারবো না।
©somewhere in net ltd.
১|
০৬ ই মার্চ, ২০২০ রাত ১০:৪১
শের শায়রী বলেছেন:
ঠিক আপনার আগের লেখায় এটাই আমি বলছি 