নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলিতিসের গান Songs of Bilitis(ধারাবাহিক)

১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ রাত ১:২২

প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ সালে,গ্রীসের নামকরা কবি,সাপ্পোর সমসাময়িক,বিলিতিস নামের কোন এক কবির অনুবাদ হিসাবে,ফরাসী লেখক পিয়ের লুইসের অনুবাদ।বিরাট এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে লেখাটা অনুরাগীদের মনে-খ্রীষ্টপূর্ব ৬০০ সালের এ ধরনের সর্ম্পূন লেখা খুঁজে পাওয়া ছিল অনেকটা অবিশ্বাস্য।আর প্রকাশ্য ভাবে সমকামিতা নিয়ে প্রকাশনা সেটা তো আরও অভাবনীয়।পরে অবশ্য জানা যায়-বিলিতিস বলে কোন কবির অস্তিত্বই ছিল না,ঐ সময়।ওটা আর কিছু না পিয়ের লুইসের তৈরী করা একটা অভাবনীয় ফেরেপবাজী।সাজানো হলেও, তবুওএক পুরুষের লেখা মেয়েদের নিয়ে বেশ সাহসী এক প্রকাশনা,লেখার মর্যাদাটা আজও কমে যায়নি।




(৭) আকাঙ্খার আকাশ

ঘরে ঢুকলো সে,আধো বন্ধ চোখটা আমার,ঠোঁটটা তার ছুঁয়ে গেল আমার ঠোঁট,দুজনের জিভ যেন চেনা দুজনকে…এ জীবনে ও ধরনের চুমুর স্বাদ কোনদিন হয়নি আমার।

দাঁড়িয়ে ছিল সে তার আকাশ জোড়া আকাঙ্খা নিয়ে।আমার হাঁটু ধীরে ধীরে ছুয়ে গেল তার গরম উরু্র মাঝে,সরে গেল তারা,অপেক্ষায় ছিল শুধু আমার ছোঁয়ার।

আমার হারানো হাতটা খুঁজে নিল কাপড়ের মাঝে তার গোপন রহস্য,নড়াচড়া করছিল সে আনন্দের সুরে,কাঁপতে কাঁপতে থেমে গেল সে একসময়।

উন্মাদনার চোখ দুটো ছুটে গেল বিছানার দিকে,কিন্ত বিয়ের আগে যৌনসঙ্গম সেটা তো ঠিক না,এক সময় তাড়াতাড়ি আমরা সরে গেলাম দুপাশে।


বিয়ের অনুষ্ঠান

বিয়ের খাওয়া দাওয়াটা হলো সকাল সকাল,আকালানথিসের বাড়ীতেই,মা বলে ডাকে যাকে সে।মনাসিডিকা গায়ে ছিল দুধের মত সাদা একটা পোষাক,আমি পরে ছিলাম,গ্রামের মেয়েদের মত ছোট্ট একটা নেংটীর মত পোষাক।

প্রায় জন বিশেক মেয়েদের মাঝে আনুষ্ঠানিক পোষাক গায়ে বসে ছিল সে,ভেসে আসছিল বাক্কারিসের সুবাস আর সোনার অলঙ্কারে ছিটানো জৌলুষের আলো,
তার সুন্দর ঝকঝকে শরীরটা যেন ডাক দিচ্ছিল ভালবাসার মাতাল ছোঁয়ার সুরটাকে।

ফুলে সাজানো কনের ঘরটায় অপেক্ষা করে ছিল সে,দুই চাকার গাড়ীতে তাকে নিয়ে চললাম বাড়ীর দিকে,আমাদের মাঝখানে বসে ছিল অদৃশ্য বনদেবতা,তার একটা স্তনের উত্তাপে আমার হাতটা যেন পুড়েই যাচ্ছিল।

বিয়ের গান ছিল সকলের মুখেঃবাশীর সুরটা ভেসে আসছিল পাগলের মত,
মনাসিডিকার হাঁটুতে হাত দিয়ে কোলে তুলে নিলাম,তাকে।


জীবন্ত অতীত

বিছানাটা বদলাইনি আমি,রেখে দিলাম ঠিক যে ভাবে রেখে গেছে সে।কুচকে গেছে বিছানার চাদরটা জায়গায় জায়গায়,শরীরের ছাপে গরম হয়ে আছে আমার একপাশটা তখনও।

দিন দুয়েক গোসলও করিনি আমরা,কাপড় ছিল না কোন গায়ে,এমন কি চুলটাও আঁচড়াইনি,কোনভাবে যেন হা্রিয়ে না যায় তার হাতের মধুর ছোঁয়াটা।

কিছু খাওয়া হয়নি সকালে,এমন কি সন্ধ্যা বেলায়ও,মুখে কোন প্রসাধন করিনি,
ঠোটে রংও দেইনি,যাতে তার চুমুটা লেগে থাকে ঠোঁটে ক্ষনকিছু আরও,কোন কিছু বদলাতে চাইনি যে,আমি।

জানালার পর্দাগুলোও বন্ধ ছিল,দরজাটাও খুলিনি,কোনভাবে যাতে বের হারিয়ে না যায় রাতের স্মৃতিটা,আমার।


রুপান্তর

একটা সময় ছিল আমি সুন্দর চেহারার ছেলেদের দেখলেই হারিয়ে যেতাম কামনায়,কথাগুলো তাদের,স্মৃতির ঝড়ো হাওয়াটা,জাগিয়ে রাখতো আমাকে রাতের পর রাত।

আমার নামটা লেখা আছে বটগাছে,কিছু কাপড়চোপড়ও হয়তো পড়ে আছে রাস্তার ধারে,জানি কেউ যাবে না কখনও সেখানে।

মনে পড়ে ভালবাসার গল্পটা…হায়!পানিচিস,কার হাতে ছেড়ে দিলাম তোমাকে?
কি ভাবে?কত বোকা,অসুখী আমি,ছুটে গেলাম ফেলে তোমাকে?

এখন মনাসিডিকাই আমার সব,আর কিছু নাই এ জীবনে আর।সে যেন পায় সুখগুলো-যা ছেড়ে গেছে আমাকে।

অজানা একটা সমাধি

মনাসিডিকা হাতটা ধরলো আমার,শহরের মাঝ দিয়ে ঘুরে ঘুরে নিয়ে গেল আমাকে একটা খালি মাঠে, মার্বেল পাথরের একটা স্তম্ভ ছিল সেখানে।‘এটা আমার মায়ের প্রেমিকার সমাধি’,সে বললো।

আমার শরীরটা কেঁপে উঠলো,তার কাঁধে ভঁর করে আমি নাগ সাপ আর ভাঙ্গা বাটির মাঝের কবিতার চারটা পদ আবৃত্তি করলামঃ

‘মৃত্যু নিয়ে যাইনি আমাকে,হারিয়ে গেলাম আমি জলপরীদের হাতে।পায়ের মাঝে মাথা দিয়ে,বিশ্রামের সময় এটা আমার।কাঁদুক সে,তবু বলবো না আমি,আমার নাম’।

বসে ছিলাম আমরা বেশ কিছু সময় হাতে হাতে,কোন মদও ছিল না মাতাল হওয়ার।কেউ কি ডেকে আনতে পারে অজানা আত্মাকে দেবতা হাডেসের ওপারের রাজ্য থেকে।


মনাসিডিকার তিন সুন্দরী

সুন্দরী মনাসিডিকাকে ঐ দেবতারা যেন রক্ষা করে।দুটো ঘুঘু পাখী আর দুটো ঘোড়া বলি দিব আমি,আনন্দের দেবী আফ্রোদাইতির উদ্দেশ্যে।

দেবতা আরেসকেও দেব দুটো মোরগ আর দেবী হেকাতের জন্য দুটো কুকুর বলি।

অযথাই আমি প্রার্থনা করিনি ঐ তিন স্বর্গীয় ক্ষমতাদের কাছে,কেন না ঐ দেবতাদের স্বর্গীয় চেহারাগুলো ফুটে উঠে মনাসডিকার মুখে বার বার।

ঠোঁট দুটো তার লাল হয়ে আছে তামার রং এ,নীল হয়ে আছে চুলগুলো ইস্পাতের রংএ,চোখ দুটো কাল রুপার মত।


জলপরীদের বাগান


তোমার ছোট্ট ছোট্ট পা দুটো আঁকাবাঁকা রুপার থেটিসের মুর্তির চেয়েও,হাত দুটো ভাঁজ করে তুমি চেপে ধর স্তনদুটো,আর ছন্দে ছন্দে খেলা করো তাদের নিয়ে,যেন দুটো ঘুঘু পাখী বসে আছে সেখানে।

চুলের আড়ালে লুকানো তোমার ভেজা চোখদুটো,কাঁপছে ঠোঁট আর কানের লতি,শূন্যতায় ভঁরা দৃষ্টি তোমার,চুমুতে আমার।

লুকানো গোপনে ঐ শরীরে তুমি,আমার প্রিয় মনাসিডিকা,লুকিয়ে আছে ওখানে কোথায় জলপরীদের বাগান,বুড়ো হোমারের কবিতায় লেখা কথা যার,আর যেখানে জলপরী নাইয়াদ বুনছে বেগুনী পোশাক।

ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে যেখানে পিপাসা মেটানো ঝর্নার জল,যার উত্তর গেট দিয়ে মানুষের দল,আর দক্ষিন গেট দিয়ে ঢোকে দেবতারা।


মনাসিডিকার স্তন

একহাতেই সে ধীরে ধীরে খুলে ফেললো কাপড়,আর আলতো করে ধরলো তার স্তনের বোঁটাটা আমার মুখে,মিষ্টি আর উষ্ণতায় ভঁরা নতুন একটা স্বাদ,অনেকটা যেন দেবীর অর্ঘে দেয়া জীবন্ত ঘুঘু দুটো।

‘ভালবাসা দিয়ে ধরে রেখ ওদের’,ও বললো, ‘আমার বড় ভালবাসার জিনিষ ওরা!আমার ছোট্ট দুই বন্ধু,ওরা আমার সন্তান।ওদের নিয়ে আমি খেলা করি যখন একা থাকি,আনন্দে মাতাল করি দেই ওদের’।

‘আমি ওদের স্নান করাই দুধে,ফুলের সুবাস ছড়িয়ে দিতেও দ্বিধা করিনা কখনও,মুছে দেই তাদের শরীরটা আমার বেনী দিয়ে,এমন কি ঐ নরম বোঁটাগুলোও।আদর করি তাদের আর কেঁপে উঠি আমি আনন্দে।তারা শুয়ে থাকে আমার সাথে সবসময়,সাজানো নরম উলে।

‘কোনদিন সন্তান হবে না আমার,আর কষ্ট করতে হবে না আমাকে ওদের বড় করার জন্যে।ওরা আমার মুখের ধরা ছোঁয়ার বাইরে,আমার বদলে তুমিই ওদের চুমু খাও,আদর কর,আমার জন্যে’।

পুতুলটা

একটা পুতুল দিলাম আমি-তার হাতে,মোমের পুতুল একটা,টুকটুকে লাল গালটা,তার।হাতদুটো আটকানো ছোট্ট একটা পিন দিয়ে,তার পা গুলোও ভাজ করা যায়।

আমরা যখন একসাথে থাকি,পুতুলটাও থাকে বিছানায় আমাদের মাঝে,
আমাদের সন্তান যেন।আর সন্ধ্যায় কোলে দোলা দিয়ে,স্তনের বোঁটায় মুখটা ধরে ঘুম পাড়াই তাকে।

তিনটা পোশাক বুনছে সে,কামনার উৎসবে গহনা দিয়ে সাজাই তাকে,গহনা আর
ফুলের নতুন এক মুখ।

সে জানে পুতুলটার গুন,কোন সময় একা ছেঁড়ে দেয় না তাকে,বিশেষ করে ছায়ায় না রেখে,রোদে হলে গলেই শেষ হয়ে যাবে সে।


কোমল ছোঁয়ার আবেগ

আলতো করে ছুঁয়ে যাও আমাকে কোমল হাতে তোমার,ও কি যে মধুরতা হাতে,থেম না বারে বারে ছুঁয়ে যাও আমাকে ঐ সুরের ছোঁয়ায়।হাঁটু ভাঙ্গা নদীর স্রোত,হলো না হয় গরম দুপুরের ঠান্ডা বাতাস কোনটাতেই নাই আনন্দ,যা আছে হাতের ছোঁয়ায় তোমার।

আজ আদর করবে আমাকে ছোট্ট সখী আমার,‘এখন তোমার পালা,
মনে আছে গতরাতে আমার শেখানো প্রেমের খেলাটা,হাঁটু গেড়ে বস পাশে,এখন ক্লান্ত আমি কোন কথা বলো না,আর।

তোমার ঠোঁট হারাবে আমার ঠোঁটে,চুলগুলো ছড়াবে চুমুর খেলায়।হয়তো ছড়াবে আমার বাম স্তনে,ঢাকা পড়বে চোখদুটোও।হাতটা দাও,উষ্ণতায় ভঁরা ঐ ছোঁয়াচে পাগল করে আমাক বারবার!চেপে ধর হাতটা ছেড়ে যেও না কোথাও।হাতে হাত,]ঠোঁটে ঠোঁট,তুলনা নেই এই অনুভূতির কোথাও।



খেলার দিনগুলো

কথার উচ্ছাস,পচ্ছন্দের পুতুলটা হাতে,আমি কি খেলা করছি মনাসিডিকার সাথে!ঘন্টার পর ঘন্টা কথা নেই কোন,ছোট্ট একটা শিশুর মত সে খেলা করছে আমার শরীর নিয়ে।

চুলগুলো খুলে দিয়ে,খেলার ছলে টেনে বেঁধে দিচ্ছিল সে এখানে ওখানে,কোন সময় থুতনির নীচে,কোন সময় গলায়,ফিতায় বাঁধা,বেনী বাঁধা,অদ্ভুত এক খেলার বেলা।

অবাক হয়ে দেখছিল সে,আমার চোখের পাতা,কনুই এর খেলায়।কোন এক সময় সে হাত রাখলো আমার হাঁটুতেঃ

আরেকটা খেলা আরম্ভ হলো,তার হাতটা ধীরে ধীরে হেঁটে গেল আমার কাপড়ের নীচে আর খেলা আরম্ভ হলো ভঁয় পাওয়া আমার ছোট্ট শিশুটাকে নিয়ে।




(৭) আকাঙ্খার আকাশ

ঘরে ঢুকলো সে,আধো বন্ধ চোখটা আমার,ঠোঁটটা তার ছুঁয়ে গেল আমার ঠোঁট,দুজনের জিভ যেন চেনা দুজনকে…এ জীবনে ও ধরনের চুমুর স্বাদ কোনদিন হয়নি আমার।

দাঁড়িয়ে ছিল সে তার আকাশ জোড়া আকাঙ্খা নিয়ে।আমার হাঁটু ধীরে ধীরে ছুয়ে গেল তার গরম উরু্র মাঝে,সরে গেল তারা,অপেক্ষায় ছিল শুধু আমার ছোঁয়ার।

আমার হারানো হাতটা খুঁজে নিল কাপড়ের মাঝে তার গোপন রহস্য,নড়াচড়া করছিল সে আনন্দের সুরে,কাঁপতে কাঁপতে থেমে গেল সে একসময়।

উন্মাদনার চোখ দুটো ছুটে গেল বিছানার দিকে,কিন্ত বিয়ের আগে যৌনসঙ্গম সেটা তো ঠিক না,এক সময় তাড়াতাড়ি আমরা সরে গেলাম দুপাশে।


বিয়ের অনুষ্ঠান

বিয়ের খাওয়া দাওয়াটা হলো সকাল সকাল,আকালানথিসের বাড়ীতেই,মা বলে ডাকে যাকে সে।মনাসিডিকা গায়ে ছিল দুধের মত সাদা একটা পোষাক,আমি পরে ছিলাম,গ্রামের মেয়েদের মত ছোট্ট একটা নেংটীর মত পোষাক।

প্রায় জন বিশেক মেয়েদের মাঝে আনুষ্ঠানিক পোষাক গায়ে বসে ছিল সে,ভেসে আসছিল বাক্কারিসের সুবাস আর সোনার অলঙ্কারে ছিটানো জৌলুষের আলো,
তার সুন্দর ঝকঝকে শরীরটা যেন ডাক দিচ্ছিল ভালবাসার মাতাল ছোঁয়ার সুরটাকে।

ফুলে সাজানো কনের ঘরটায় অপেক্ষা করে ছিল সে,দুই চাকার গাড়ীতে তাকে নিয়ে চললাম বাড়ীর দিকে,আমাদের মাঝখানে বসে ছিল অদৃশ্য বনদেবতা,তার একটা স্তনের উত্তাপে আমার হাতটা যেন পুড়েই যাচ্ছিল।

বিয়ের গান ছিল সকলের মুখেঃবাশীর সুরটা ভেসে আসছিল পাগলের মত,
মনাসিডিকার হাঁটুতে হাত দিয়ে কোলে তুলে নিলাম,তাকে।


জীবন্ত অতীত

বিছানাটা বদলাইনি আমি,রেখে দিলাম ঠিক যে ভাবে রেখে গেছে সে।কুচকে গেছে বিছানার চাদরটা জায়গায় জায়গায়,শরীরের ছাপে গরম হয়ে আছে আমার একপাশটা তখনও।

দিন দুয়েক গোসলও করিনি আমরা,কাপড় ছিল না কোন গায়ে,এমন কি চুলটাও আঁচড়াইনি,কোনভাবে যেন হা্রিয়ে না যায় তার হাতের মধুর ছোঁয়াটা।

কিছু খাওয়া হয়নি সকালে,এমন কি সন্ধ্যা বেলায়ও,মুখে কোন প্রসাধন করিনি,
ঠোটে রংও দেইনি,যাতে তার চুমুটা লেগে থাকে ঠোঁটে ক্ষনকিছু আরও,কোন কিছু বদলাতে চাইনি যে,আমি।

জানালার পর্দাগুলোও বন্ধ ছিল,দরজাটাও খুলিনি,কোনভাবে যাতে বের হারিয়ে না যায় রাতের স্মৃতিটা,আমার।


রুপান্তর

একটা সময় ছিল আমি সুন্দর চেহারার ছেলেদের দেখলেই হারিয়ে যেতাম কামনায়,কথাগুলো তাদের,স্মৃতির ঝড়ো হাওয়াটা,জাগিয়ে রাখতো আমাকে রাতের পর রাত।

আমার নামটা লেখা আছে বটগাছে,কিছু কাপড়চোপড়ও হয়তো পড়ে আছে রাস্তার ধারে,জানি কেউ যাবে না কখনও সেখানে।

মনে পড়ে ভালবাসার গল্পটা…হায়!পানিচিস,কার হাতে ছেড়ে দিলাম তোমাকে?
কি ভাবে?কত বোকা,অসুখী আমি,ছুটে গেলাম ফেলে তোমাকে?

এখন মনাসিডিকাই আমার সব,আর কিছু নাই এ জীবনে আর।সে যেন পায় সুখগুলো-যা ছেড়ে গেছে আমাকে।

অজানা একটা সমাধি

মনাসিডিকা হাতটা ধরলো আমার,শহরের মাঝ দিয়ে ঘুরে ঘুরে নিয়ে গেল আমাকে একটা খালি মাঠে, মার্বেল পাথরের একটা স্তম্ভ ছিল সেখানে।‘এটা আমার মায়ের প্রেমিকার সমাধি’,সে বললো।

আমার শরীরটা কেঁপে উঠলো,তার কাঁধে ভঁর করে আমি নাগ সাপ আর ভাঙ্গা বাটির মাঝের কবিতার চারটা পদ আবৃত্তি করলামঃ

‘মৃত্যু নিয়ে যাইনি আমাকে,হারিয়ে গেলাম আমি জলপরীদের হাতে।পায়ের মাঝে মাথা দিয়ে,বিশ্রামের সময় এটা আমার।কাঁদুক সে,তবু বলবো না আমি,আমার নাম’।

বসে ছিলাম আমরা বেশ কিছু সময় হাতে হাতে,কোন মদও ছিল না মাতাল হওয়ার।কেউ কি ডেকে আনতে পারে অজানা আত্মাকে দেবতা হাডেসের ওপারের রাজ্য থেকে।


মনাসিডিকার তিন সুন্দরী

সুন্দরী মনাসিডিকাকে ঐ দেবতারা যেন রক্ষা করে।দুটো ঘুঘু পাখী আর দুটো ঘোড়া বলি দিব আমি,আনন্দের দেবী আফ্রোদাইতির উদ্দেশ্যে।

দেবতা আরেসকেও দেব দুটো মোরগ আর দেবী হেকাতের জন্য দুটো কুকুর বলি।

অযথাই আমি প্রার্থনা করিনি ঐ তিন স্বর্গীয় ক্ষমতাদের কাছে,কেন না ঐ দেবতাদের স্বর্গীয় চেহারাগুলো ফুটে উঠে মনাসডিকার মুখে বার বার।

ঠোঁট দুটো তার লাল হয়ে আছে তামার রং এ,নীল হয়ে আছে চুলগুলো ইস্পাতের রংএ,চোখ দুটো কাল রুপার মত।


জলপরীদের বাগান


তোমার ছোট্ট ছোট্ট পা দুটো আঁকাবাঁকা রুপার থেটিসের মুর্তির চেয়েও,হাত দুটো ভাঁজ করে তুমি চেপে ধর স্তনদুটো,আর ছন্দে ছন্দে খেলা করো তাদের নিয়ে,যেন দুটো ঘুঘু পাখী বসে আছে সেখানে।

চুলের আড়ালে লুকানো তোমার ভেজা চোখদুটো,কাঁপছে ঠোঁট আর কানের লতি,শূন্যতায় ভঁরা দৃষ্টি তোমার,চুমুতে আমার।

লুকানো গোপনে ঐ শরীরে তুমি,আমার প্রিয় মনাসিডিকা,লুকিয়ে আছে ওখানে কোথায় জলপরীদের বাগান,বুড়ো হোমারের কবিতায় লেখা কথা যার,আর যেখানে জলপরী নাইয়াদ বুনছে বেগুনী পোশাক।

ফোঁটায় ফোঁটায় ঝরে যেখানে পিপাসা মেটানো ঝর্নার জল,যার উত্তর গেট দিয়ে মানুষের দল,আর দক্ষিন গেট দিয়ে ঢোকে দেবতারা।


মনাসিডিকার স্তন

একহাতেই সে ধীরে ধীরে খুলে ফেললো কাপড়,আর আলতো করে ধরলো তার স্তনের বোঁটাটা আমার মুখে,মিষ্টি আর উষ্ণতায় ভঁরা নতুন একটা স্বাদ,অনেকটা যেন দেবীর অর্ঘে দেয়া জীবন্ত ঘুঘু দুটো।

‘ভালবাসা দিয়ে ধরে রেখ ওদের’,ও বললো, ‘আমার বড় ভালবাসার জিনিষ ওরা!আমার ছোট্ট দুই বন্ধু,ওরা আমার সন্তান।ওদের নিয়ে আমি খেলা করি যখন একা থাকি,আনন্দে মাতাল করি দেই ওদের’।

‘আমি ওদের স্নান করাই দুধে,ফুলের সুবাস ছড়িয়ে দিতেও দ্বিধা করিনা কখনও,মুছে দেই তাদের শরীরটা আমার বেনী দিয়ে,এমন কি ঐ নরম বোঁটাগুলোও।আদর করি তাদের আর কেঁপে উঠি আমি আনন্দে।তারা শুয়ে থাকে আমার সাথে সবসময়,সাজানো নরম উলে।

‘কোনদিন সন্তান হবে না আমার,আর কষ্ট করতে হবে না আমাকে ওদের বড় করার জন্যে।ওরা আমার মুখের ধরা ছোঁয়ার বাইরে,আমার বদলে তুমিই ওদের চুমু খাও,আদর কর,আমার জন্যে’।

পুতুলটা

একটা পুতুল দিলাম আমি-তার হাতে,মোমের পুতুল একটা,টুকটুকে লাল গালটা,তার।হাতদুটো আটকানো ছোট্ট একটা পিন দিয়ে,তার পা গুলোও ভাজ করা যায়।

আমরা যখন একসাথে থাকি,পুতুলটাও থাকে বিছানায় আমাদের মাঝে,
আমাদের সন্তান যেন।আর সন্ধ্যায় কোলে দোলা দিয়ে,স্তনের বোঁটায় মুখটা ধরে ঘুম পাড়াই তাকে।

তিনটা পোশাক বুনছে সে,কামনার উৎসবে গহনা দিয়ে সাজাই তাকে,গহনা আর
ফুলের নতুন এক মুখ।

সে জানে পুতুলটার গুন,কোন সময় একা ছেঁড়ে দেয় না তাকে,বিশেষ করে ছায়ায় না রেখে,রোদে হলে গলেই শেষ হয়ে যাবে সে।


কোমল ছোঁয়ার আবেগ

আলতো করে ছুঁয়ে যাও আমাকে কোমল হাতে তোমার,ও কি যে মধুরতা হাতে,থেম না বারে বারে ছুঁয়ে যাও আমাকে ঐ সুরের ছোঁয়ায়।হাঁটু ভাঙ্গা নদীর স্রোত,হলো না হয় গরম দুপুরের ঠান্ডা বাতাস কোনটাতেই নাই আনন্দ,যা আছে হাতের ছোঁয়ায় তোমার।

আজ আদর করবে আমাকে ছোট্ট সখী আমার,‘এখন তোমার পালা,
মনে আছে গতরাতে আমার শেখানো প্রেমের খেলাটা,হাঁটু গেড়ে বস পাশে,এখন ক্লান্ত আমি কোন কথা বলো না,আর।

তোমার ঠোঁট হারাবে আমার ঠোঁটে,চুলগুলো ছড়াবে চুমুর খেলায়।হয়তো ছড়াবে আমার বাম স্তনে,ঢাকা পড়বে চোখদুটোও।হাতটা দাও,উষ্ণতায় ভঁরা ঐ ছোঁয়াচে পাগল করে আমাক বারবার!চেপে ধর হাতটা ছেড়ে যেও না কোথাও।হাতে হাত,]ঠোঁটে ঠোঁট,তুলনা নেই এই অনুভূতির কোথাও।



খেলার দিনগুলো

কথার উচ্ছাস,পচ্ছন্দের পুতুলটা হাতে,আমি কি খেলা করছি মনাসিডিকার সাথে!ঘন্টার পর ঘন্টা কথা নেই কোন,ছোট্ট একটা শিশুর মত সে খেলা করছে আমার শরীর নিয়ে।

চুলগুলো খুলে দিয়ে,খেলার ছলে টেনে বেঁধে দিচ্ছিল সে এখানে ওখানে,কোন সময় থুতনির নীচে,কোন সময় গলায়,ফিতায় বাঁধা,বেনী বাঁধা,অদ্ভুত এক খেলার বেলা।

অবাক হয়ে দেখছিল সে,আমার চোখের পাতা,কনুই এর খেলায়।কোন এক সময় সে হাত রাখলো আমার হাঁটুতেঃ

আরেকটা খেলা আরম্ভ হলো,তার হাতটা ধীরে ধীরে হেঁটে গেল আমার কাপড়ের নীচে আর খেলা আরম্ভ হলো ভঁয় পাওয়া আমার ছোট্ট শিশুটাকে নিয়ে।


মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১৪ ই নভেম্বর, ২০২১ দুপুর ১:৩৯

রাজীব নুর বলেছেন: বড্ড অগোছালো।

০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ১২:২৬

ইল্লু বলেছেন: সাঁতার না জানা মানুষটা অনেক সময় হাঁটু পানিতেও ডুবে মরে,দৌরাত্মের মন অবুঝ মনকে তবুও টেনে নিয়ে যায়-অক্ষমতাকে ক্ষমা করবেন

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.