নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ইল্লু

ইল্লু › বিস্তারিত পোস্টঃ

বিলিতিসের গান Songs of Bilitis(ধারাবাহিক)

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ রাত ২:০৯









প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৯৪ সালে,গ্রীসের নামকরা কবি,সাপ্পোর সমসাময়িক,বিলিতিস নামের কোন এক কবির অনুবাদ হিসাবে,ফরাসী লেখক পিয়ের লুইসের অনুবাদ।বিরাট এক চাঞ্চল্য সৃষ্টি করে লেখাটা অনুরাগীদের মনে-খ্রীষ্টপূর্ব ৬০০ সালের এ ধরনের সর্ম্পূন লেখা খুঁজে পাওয়া ছিল অনেকটা অবিশ্বাস্য।আর প্রকাশ্য ভাবে সমকামিতা নিয়ে প্রকাশনা সেটা তো আরও অভাবনীয়।পরে অবশ্য জানা যায়-বিলিতিস বলে কোন কবির অস্তিত্বই ছিল না,ঐ সময়।ওটা আর কিছু না পিয়ের লুইসের তৈরী করা একটা অভাবনীয় ফেরেপবাজী।সাজানো হলেও, তবুওএক পুরুষের লেখা মেয়েদের নিয়ে বেশ সাহসী এক প্রকাশনা,লেখার মর্যাদাটা আজও কমে যায়নি। প্রার্থনা

কি চাও তুমি?বলো,তুমি যা চাও কিনে দিব তোমাকে,দরকার হলে আমার সমস্ত গহনা বিক্রি করে,আমি তো তোমার ক্রীতদাস অপেক্ষা করবো তোমার আদেশের জন্যে,মেটাবো যে তৃষ্ণায় থাকুক না ঐ ঠোঁটে তোমার।

ছাগলের দুধ যদি ভাল না লাগে,তবে আনবো দাইমাকে,তার বিশাল বিশাল দুটো স্তনে,আনন্দে হারাবে নিজেকে তুমি প্রতিদিন সকালে।

বিছানা যদি বেশী শক্ত মনে হয়,নরম বালিশ আনবো শুধু তোমার জন্যে,
সিল্কের চাদর থাকবে বিছানায়,থাকবে তোমার জন্যে আমাথুসিয়ান ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা নরম পোশাক সাজানো দামী বন্য পশুর লোমে।

যাই চাও তুমি,এনে দিতে কোন দ্বিধা হবে না আমার,তোমার যে কোন আকাঙ্খা পূর্ন করতে,শুয়ে থাকি যদি মাটিতে আমরা,মাটিও হয়তো নরম হয়ে হেসে উঠবে তোমার শরীর ছোঁয়ার আনন্দে।



চোখ দুটো

ভেসে যাই আমি আনন্দে,মনাসিডিকার হরিনী চোখের গভীরে,আকাঙ্খার স্রোতের আগুন ভাসায় তোমাকেও হয়তো চোখের জলে।

যখন দেখি তোমাকে,অবাক হয়ে তাকিয়ে আছ হেঁটে যাওয়া সুন্দরী কিশোরীর দিকে,উন্মাদ হয়ে যাই আমি কামনায়,উন্মাদ হই আমি স্মৃতির কথায়-যদিও আমি নেই কোথাও সেই স্মৃতির পাতায়।

আমার গালটা ভেঙ্গে পড়ে চোখের জলের স্রোতে,হাত কেপে উঠে
যন্ত্রনায়…জীবনটা ভেসে যায় অন্য কোথাও আমার অজান্তেই।

মনাসিডিকার হরিনী চোখ,থেম না তোমরা,দেখে যাও আনব্দের সুরে,দেখে যাও শুধু আমাকে!না হলে শুচ দিয়ে অন্ধ করে দেব তোমাদের,সব কিছু অন্ধকার হবে ঐ আলোর দেশে।


প্রসাধন

যা কিছু আছে,আমার-জীবন,পৃথিবী,পচ্ছন্দের পুরুষ,শুধু পচ্ছন্দের ঐ মেয়েটা ছাড়া সবকিছুই তুলে দিব তোমার হাতে,পথিক বন্ধু আমার।

ও কি জানে আমার যুদ্ধ-শুধু তার চোখে সুন্দরী হওয়ার জন্যে,গালের রং,ঠোটের বাহার,সুবাস,পোষাক কি করিনা আমি,শুধু তার জন্যে,শুধু তার জন্যে এই সংগ্রাম আমার?

কোন কিছতেই আপত্তি নেই আমার,এমন কি হোক না পাহাড়ী মাটিতে চাষ,গাড়ী টেনে নিয়ে যাওয়া,আর কিছু চাই না,শুধু এটুকু,শুধু তাকে একটু জড়িয়ে ধরার সূযোগ।

কোন দিন এ কথাগুলো বলো না তাকে,ভেনাস-ভালবাসার অভিভাবক,দেবী আমার!কোন দিন যদি সে জানতে পারে কি রকম পাগল আমি তার জন্যে,খুঁজে নিবে হয়তো সে অন্য কোন আর এক মেয়েকে।


মনাসিডিকার নিশ্তব্ধতা

সারাটা দিন হাসি ছিল তার মুখে,কৌতুকও ছিল কথায়,মাঝে মাঝে।তবে অচেনা লোকজনের মাঝে,আমার কোন কথাই শোনার ইচ্ছেটা ছিল না তার।

রাগে কথা বলিনি বাড়ীতে এসে,হাত দুটো গলায় জড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো সে, ‘রাগ করলে নাকি’?

উত্তর দিলাম, ‘অনেক বদলে গেছ তুমি,মনে পড়ে আমাদের প্রথম দেখার স্মৃতি,
সেই তুমি হারিয়ে গেছ কোথাও কোন এক অজানায়,অনেক বদলে গেছ-তুমি এখন অচেনা কোন এক মনাসিডিকা’।

কোন উত্তর দেয়নি সে।গায়ে অনেক গহনা,এ গুলো অনেকদিন পরে নি,এমন কি হলুদ সুতা দিয়ে নকসা করা চাদরটাও ছিল গায়ে,যা কোনদিন পরেনি আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার পরে।


একটা দৃশ্য

কোথায় ছিলে তুমি?
-ফুলের দোকানে,সুন্দর একটা ফুলের তোড়া কিনলাম।ধর,তোমার জন্যে এটা।
–সারাটা দিন কেটে গেল,শুধু এই কটা ফুল কিনতে।
–ফুলের দোকানদার কেন জানি বেশ দেরী করে ফেললো।
-তোমার গাল,ঠোঁট সব কেমন জানি ফ্যাকাসে হয়ে আছে,চোখটাও বেশ জ্বলজ্বল করছে।
–হয়তো হাঁটার ক্লান্তিতে।
–চুলগুলোও কেমন জানি ভেজা আর জটা বাঁধা।
–বড্ড গরম আর বাতাসের দৌরাত্মে আমার চুলগুলো সবসময়ই কেমন জানি এলেমেলো হয়ে যায়।
-তোমার বুকের বাঁধনটাও খোলা,ওটা তো আমি নিজের হাতে গিঁট দিয়ে বেঁধে দিলাম।
–তবুও বেশ ঢিলে হয়ে ছিল,আর একজন ক্রীতদাস যদিও বেঁধে দিল আবার,
তবু মনে হয়,পারেনি ঠিকমত বেঁধে দিতে।
-তোমার পোশাকে দাগটা এলো কোথা থেকে?
–ফুলের রস পড়ে গেছে ওখানে।
–মনাসিডিকা,ছোট্ট পাখী আমার,ফুলগুলো খুবই সুন্দর দেখা যায় না,মাইটিলিনের সারা শহর খুঁজেও।
–তোমার কোন কিছুই অজানা না আমার,তুমি চেনা আমার-অচেনা গলিতেও।


অপেক্ষার প্রহরগুলো

সারাটা রাত্রি সূর্য কাটালো মরলোকে,শুয়ে বসে অপেক্ষায় ছিলাম তার- বিছানায়,ক্লান্ত শরীরে।জ্বলতে জ্বলতে বাতির ফিতাটা ফুরিয়ে গেছে কোন একসময়।

ও হয়তো আসবে না অপেক্ষা করতে করতে হারিয়ে গেছে রাতের শেষ তারাটাও।জানি,নিঃসন্দেহে জানা,ফিরে আসবে না ও আর।আমি ঘৃনা করি তার নামটাও,তবুও বসে আছি আমি অপেক্ষায়,তার।

আসতে দাও তাকে এখনই!হ্যা,আসতে দাও তাকে,এলেমেলো চুল,ধস্তাধস্তিতে ঝুলে পড়া পোশাক গায়ে,এখানে ওখানে দাগ,গড়াগড়িতে শুকিয়ে গেছে গলা,কালো দাগ চোখের নীচে।

দরজা খুলে ঢোকার সময় তাকে বলবো…ঐ তো সে আসছে…ছুঁয়ে যাচ্ছি তার পোশাকটা,তার হাত,তার চুল,তার গালের কোমল সুর!উন্মাদের মত তাকে চুমু খেতে খেতে কাঁদছিলাম আমি।

একাকীত্ব

কার জন্যে ঠোঁটে রং দিব আর?কার জন্যে সাজাবো নখগুলো সুন্দর রং দিয়ে?
কার জন্যে চুলে মাখাবো সুবাসের তেল?

কেন থাকবে স্তনের বোঁটায় লাল রং এর ছোঁয়াচ?না থাকে যদি তার কোন আর্কষন স্তনে আমার?কেন দুধে পরিষ্কার করবো হাত,যদি না জড়িয়ে ধরতে পারি তাকে আর?

সাহস করে ঢুকবো না বাড়ীতে,এই ঘরে,নগ্ন শরীরে।সাহসও হবে না আমার দরজাটা খোলার।সাহস হবে না আমার চোখদুটো মেলে দেখার।জানি না…।


একটা চিঠি

অসম্ভব এটা!এটা একেবারেই অসম্ভব!হাঁটু গেড়ে চোখের জলে বলছি,শুধু তোমার জন্যে চোখের জল বয়ে যাচ্ছে গাল দিয়ে,ছেড়ে যেও না তুমি আমাকে।

ভেবে দেখ-কি হবে আমার তোমাকে হারালে,হারাবে জীবনের সব আনন্দ,কি হবে আর বেঁচে থেকে।হায়!প্রেমিকা আমার,হয়তো জান না তুমি,কত যে ভালবাসি তোমাকে?

দোহাই তোমার,আরেকবার না হয় দেখা করো আমার সাথে।এসো না হয় আগামীকাল সন্ধ্যায়-অপেক্ষা করবো আমি দরজায়।যদি বলো,না হয় আমিই আসবো কাল বা পরশু,না না করো না তুমি,আর।

না হয় শেষবারের মত,এই একবার যেন দেখা পাই তোমার।দোহাই তোমার,এই অনুরোধটা রেখ,জীবন তুলে দিলাম আমি তোমার হাতে।


উদ্যোগ

ঈর্ষায় ভঁরে আছে তোমার মন,জাইরিন্নোও,যদিও বোঝা যায় না তোমার ঈর্ষার মাত্রাটা।বেশ কটা ফুলের মালা ঝোলানো ঘরের দরজায়,অপেক্ষা করে ছিলে হয়তো আমাদের জন্যে,তাই ছুটে আসলে আমাদের দেখে।

তোমার ইচ্ছাই পূর্ন হলো শেষমেষ,খুঁজে পেলে নিজেকে তোমার পচ্ছন্দের জায়গায়,বালিশের মাথা যেখানে সুবাস ছড়ানো অন্য কোন মেয়ের।তুমি তো অনেক লম্বা তার চেয়ে,তবু তোমার এই শরীর অবাক করে আমাকে।

সংবরন করতে পারিনি নিজেকে,আত্মসর্মপন করলাম তোমার কাছে।
‘হ্যা,আমিই হার মানলাম।ইচ্ছা যদি হয় খেলা করতে পার আমার স্তন নিয়ে,আদর করতে পার ইচ্ছামত,যদি চাও সরিয়ে দিতে দ্বিধা করো না আমার আগ্রহী উরুকে।আমার সারাটা শরীর অপেক্ষা করে আছে শুধু তোমার অশান্ত চুমুর আশায়।

ও জাইরিন্নো,আমার জাইরিন্নো!আমার চোখগুলোও যে ভঁরে আছে ভালবাসার আনন্দে।মুছে দিও না ভুলে কাপড় দিয়ে,চুমু খেও না ওখানে প্রিয় আমার,
জড়িয়ে ধর আমার এই কেঁপে ওঠা শরীরটা।


আরেকটু চেষ্টা

অনেক হলো,অনেক হলো,এবার থামাও হাতের ছোঁয়ার খেলা,ও ভাবে তাকিয়ে থেক না আর।এটা যেন আমাদের নতুন দেখা আবার।তুমি কি মনে কর ভালবাসা শুধু আনন্দের স্রোত?’জাইরিন্নো ভালবাসা একটা যাত্রা,ওখানে আছে অনেক ওটা নামা’।

জেগে উঠো!অনেক ঘুমোলে তুমি,কত ঘুমোবে আর?স্থবির করে দেয় আমাকে, তোমার কালো চোখের চাহনি,পাগল করে তোমার যন্ত্রনা ছড়ানো উত্তাল উরু দুটো।ভোলা কি যায় তোমার জঙ্গা যুদ্ধের কাহিনী?

শুয়ে ছিলাম গোধুলির ছোঁয়ার আগে।শয়তান সকালের আলোটা যে কখন থেকে জ্বালিয়ে যাচ্ছে আমাদের।না হয় ঘুমাবো না আরও কটা রাত,তোমার সঙ্গ তার চেয়ে আর বড় বেশী পাওয়া কি আছে আর।

ঘুমাবো না আমি,ঘুমিও না তুমিও।বড্ড অপচ্ছন্দ আমার,তিক্ততায় ভঁরা সকালের আলোটা।জাইরিন্নো সুর্যের বিচারটা তুমিই করো,না হয়।চুমু সে তো আরও যন্ত্রনার,তবু আনন্দের দীর্ঘ ছোঁয়াটা,সে কি আর ভোলার…।


জাইরিন্নো,এটা তোমার জন্যে

ভেব না তোমার প্রেমে মাতাল আমি,তুমি সুস্বাদু পাকা একটা ডুমুর ফল,
শরীরের মাতাল ডাকে আহরণ করছিলাম লুকিয়ে থাকা যৌবনের স্বাদ,যেন জ্বালানো আগুনটা নিভিয়ে দিতে পারি আমার শরীরের।

এত আনন্দ অনুভব করিনি কোনদিন,তোমার ছোট ছোট চুল আর পর্বত শিখরের মত তীক্ষ্ণ স্তন,আর বোঁটাগুলোও মিষ্টি খেজুর,আর কোন আনন্দ নেই কোথাও আর।

ফল আর জল যেমন দরকার সবার জীবনে,মেয়েরাও তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে জীবন্ত আলিঙ্গনের স্বপ্নে।জানি না তোমার নাম,কে তুমি শুয়ে ছিলে পাশে,স্বপ্নের ঠোঁটটা তোমার,আমার ঠোঁটে।

তোমার শরীর আর আমার শরীর শুধু,আর কিছু নেই সেখানে,আছে শুধু আকাঙ্খার জ্বলন্ত আগুন।ধরে ছিলাম তোমাকে যেন সদ্য আঘাতের ক্ষত একটা,আর চীৎকার করছিলাম, ‘মনাসিডিকা!মনাসিডিকা!মনাসিডিকা!



শেষ চেষ্টা

-কি চাও তুমি,বুড়ী মেয়ে?
-তোমাকে সান্তনা দিতে।
–কোন দরকার নেই তার।
–শুনলাম ঝগড়াঝাটি করে খুঁজে বেড়াচ্ছ ভালবাসার দেশের স্বাদ,
জানি আজও খুঁজে পাওনি মনের সান্তনা,একটা প্রস্তাব আছে,শুনবে?
-বল।
–সারডি থেকে আসা একটা যুবতী কাজের মেয়ে।তার সমকক্ষ কেউ নেই এ পৃথিবীতে,কেননা সে যে,মেয়ে আর ছেলে একই শরীরে।যদিও আছে তার স্তন আর তীক্ষ্ণ স্বর,হয়তো নিঃসন্দেহে ভুল ধারণা তৈরী সেটা কারও কারও মন।
-কত বয়স?
-ষোল।
–কত লম্বা?
-লম্বা!
–সে কাউকে চেনে না এখানে,তার চেনা লোকজন সব সাফায়,আর তুমি যদি চাও রুপার কুড়ি মিনায়ে কিনতে পার তাকে।ইচ্ছা করলে ভাড়ায়ও আনতে পার তুমি।
–কি করবো তাকে নিয়ে?
বাইশ দিন ধরে অযথাই চেষ্টা করে যাচ্ছি মুছে যেতে স্মৃতি তার…ঠিক আছে এটা না হয় হবে একটা নতুন ধরণের চেষ্টা আমার,মেয়েটা যেন ভঁয় না পায়, অযথাই যদি কাঁদি তার হাত ধরে।


স্মৃতির ছেঁড়া পাতা

মনে পড়ে আমার…(দিনের এমন কোন সময় নেই সে থাকে না আমার মনের চোখে!)।মনে পড়ে তার আঙ্গুলগুলোর আদর করে ছুটে বেড়ানো নাচের ছন্দে চুলে বিলি কাটার দৃশ্যে।

মনে পড়ে সেই রাত্রিটা তার গালটা ছিল আমার স্তনে,সেই মধুর ছোঁয়া যা সারাটা রাত্রি জাগিয়ে রাখলো আমাকে,ঘুম ভেঙ্গে দেখি তার গালের ছাপটা আমার স্তনের বোঁটায়।

তার হাতে ধরা আমার স্তন দুটো,অদ্ভুত একটা মুচকি হাসি মুখে।পাউডার মাখানো মুখ,চুলগুলোও সাজানো নতুন ছন্দে,চোখগুলো বড় করে সে রং দিচ্ছিল ঠোঁটে তার।

যতই যা বলি না কেন,হতাশা আর চিরযন্ত্রনার দেশটাই এখন আমার ঘর,
ভাবতেও কষ্ট হয়,না জানি অন্যের হাতের ছোয়ায় কি ভাবে কেঁপে উঠছে সে বারে বারে,যা তার বলার যা তার দেয়ার,তা আমার মত আর কেই বা জানে।




(৯) প্রার্থনা

কি চাও তুমি?বলো,তুমি যা চাও কিনে দিব তোমাকে,দরকার হলে আমার সমস্ত গহনা বিক্রি করে,আমি তো তোমার ক্রীতদাস অপেক্ষা করবো তোমার আদেশের জন্যে,মেটাবো যে তৃষ্ণায় থাকুক না ঐ ঠোঁটে তোমার।

ছাগলের দুধ যদি ভাল না লাগে,তবে আনবো দাইমাকে,তার বিশাল বিশাল দুটো স্তনে,আনন্দে হারাবে নিজেকে তুমি প্রতিদিন সকালে।

বিছানা যদি বেশী শক্ত মনে হয়,নরম বালিশ আনবো শুধু তোমার জন্যে,
সিল্কের চাদর থাকবে বিছানায়,থাকবে তোমার জন্যে আমাথুসিয়ান ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে কেনা নরম পোশাক সাজানো দামী বন্য পশুর লোমে।

যাই চাও তুমি,এনে দিতে কোন দ্বিধা হবে না আমার,তোমার যে কোন আকাঙ্খা পূর্ন করতে,শুয়ে থাকি যদি মাটিতে আমরা,মাটিও হয়তো নরম হয়ে হেসে উঠবে তোমার শরীর ছোঁয়ার আনন্দে।



চোখ দুটো

ভেসে যাই আমি আনন্দে,মনাসিডিকার হরিনী চোখের গভীরে,আকাঙ্খার স্রোতের আগুন ভাসায় তোমাকেও হয়তো চোখের জলে।

যখন দেখি তোমাকে,অবাক হয়ে তাকিয়ে আছ হেঁটে যাওয়া সুন্দরী কিশোরীর দিকে,উন্মাদ হয়ে যাই আমি কামনায়,উন্মাদ হই আমি স্মৃতির কথায়-যদিও আমি নেই কোথাও সেই স্মৃতির পাতায়।

আমার গালটা ভেঙ্গে পড়ে চোখের জলের স্রোতে,হাত কেপে উঠে
যন্ত্রনায়…জীবনটা ভেসে যায় অন্য কোথাও আমার অজান্তেই।

মনাসিডিকার হরিনী চোখ,থেম না তোমরা,দেখে যাও আনব্দের সুরে,দেখে যাও শুধু আমাকে!না হলে শুচ দিয়ে অন্ধ করে দেব তোমাদের,সব কিছু অন্ধকার হবে ঐ আলোর দেশে।


প্রসাধন

যা কিছু আছে,আমার-জীবন,পৃথিবী,পচ্ছন্দের পুরুষ,শুধু পচ্ছন্দের ঐ মেয়েটা ছাড়া সবকিছুই তুলে দিব তোমার হাতে,পথিক বন্ধু আমার।

ও কি জানে আমার যুদ্ধ-শুধু তার চোখে সুন্দরী হওয়ার জন্যে,গালের রং,ঠোটের বাহার,সুবাস,পোষাক কি করিনা আমি,শুধু তার জন্যে,শুধু তার জন্যে এই সংগ্রাম আমার?

কোন কিছতেই আপত্তি নেই আমার,এমন কি হোক না পাহাড়ী মাটিতে চাষ,গাড়ী টেনে নিয়ে যাওয়া,আর কিছু চাই না,শুধু এটুকু,শুধু তাকে একটু জড়িয়ে ধরার সূযোগ।

কোন দিন এ কথাগুলো বলো না তাকে,ভেনাস-ভালবাসার অভিভাবক,দেবী আমার!কোন দিন যদি সে জানতে পারে কি রকম পাগল আমি তার জন্যে,খুঁজে নিবে হয়তো সে অন্য কোন আর এক মেয়েকে।


মনাসিডিকার নিশ্তব্ধতা

সারাটা দিন হাসি ছিল তার মুখে,কৌতুকও ছিল কথায়,মাঝে মাঝে।তবে অচেনা লোকজনের মাঝে,আমার কোন কথাই শোনার ইচ্ছেটা ছিল না তার।

রাগে কথা বলিনি বাড়ীতে এসে,হাত দুটো গলায় জড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলো সে, ‘রাগ করলে নাকি’?

উত্তর দিলাম, ‘অনেক বদলে গেছ তুমি,মনে পড়ে আমাদের প্রথম দেখার স্মৃতি,
সেই তুমি হারিয়ে গেছ কোথাও কোন এক অজানায়,অনেক বদলে গেছ-তুমি এখন অচেনা কোন এক মনাসিডিকা’।

কোন উত্তর দেয়নি সে।গায়ে অনেক গহনা,এ গুলো অনেকদিন পরে নি,এমন কি হলুদ সুতা দিয়ে নকসা করা চাদরটাও ছিল গায়ে,যা কোনদিন পরেনি আমাদের প্রথম দেখা হওয়ার পরে।


একটা দৃশ্য

কোথায় ছিলে তুমি?
-ফুলের দোকানে,সুন্দর একটা ফুলের তোড়া কিনলাম।ধর,তোমার জন্যে এটা।
–সারাটা দিন কেটে গেল,শুধু এই কটা ফুল কিনতে।
–ফুলের দোকানদার কেন জানি বেশ দেরী করে ফেললো।
-তোমার গাল,ঠোঁট সব কেমন জানি ফ্যাকাসে হয়ে আছে,চোখটাও বেশ জ্বলজ্বল করছে।
–হয়তো হাঁটার ক্লান্তিতে।
–চুলগুলোও কেমন জানি ভেজা আর জটা বাঁধা।
–বড্ড গরম আর বাতাসের দৌরাত্মে আমার চুলগুলো সবসময়ই কেমন জানি এলেমেলো হয়ে যায়।
-তোমার বুকের বাঁধনটাও খোলা,ওটা তো আমি নিজের হাতে গিঁট দিয়ে বেঁধে দিলাম।
–তবুও বেশ ঢিলে হয়ে ছিল,আর একজন ক্রীতদাস যদিও বেঁধে দিল আবার,
তবু মনে হয়,পারেনি ঠিকমত বেঁধে দিতে।
-তোমার পোশাকে দাগটা এলো কোথা থেকে?
–ফুলের রস পড়ে গেছে ওখানে।
–মনাসিডিকা,ছোট্ট পাখী আমার,ফুলগুলো খুবই সুন্দর দেখা যায় না,মাইটিলিনের সারা শহর খুঁজেও।
–তোমার কোন কিছুই অজানা না আমার,তুমি চেনা আমার-অচেনা গলিতেও।


অপেক্ষার প্রহরগুলো

সারাটা রাত্রি সূর্য কাটালো মরলোকে,শুয়ে বসে অপেক্ষায় ছিলাম তার- বিছানায়,ক্লান্ত শরীরে।জ্বলতে জ্বলতে বাতির ফিতাটা ফুরিয়ে গেছে কোন একসময়।

ও হয়তো আসবে না অপেক্ষা করতে করতে হারিয়ে গেছে রাতের শেষ তারাটাও।জানি,নিঃসন্দেহে জানা,ফিরে আসবে না ও আর।আমি ঘৃনা করি তার নামটাও,তবুও বসে আছি আমি অপেক্ষায়,তার।

আসতে দাও তাকে এখনই!হ্যা,আসতে দাও তাকে,এলেমেলো চুল,ধস্তাধস্তিতে ঝুলে পড়া পোশাক গায়ে,এখানে ওখানে দাগ,গড়াগড়িতে শুকিয়ে গেছে গলা,কালো দাগ চোখের নীচে।

দরজা খুলে ঢোকার সময় তাকে বলবো…ঐ তো সে আসছে…ছুঁয়ে যাচ্ছি তার পোশাকটা,তার হাত,তার চুল,তার গালের কোমল সুর!উন্মাদের মত তাকে চুমু খেতে খেতে কাঁদছিলাম আমি।

একাকীত্ব

কার জন্যে ঠোঁটে রং দিব আর?কার জন্যে সাজাবো নখগুলো সুন্দর রং দিয়ে?
কার জন্যে চুলে মাখাবো সুবাসের তেল?

কেন থাকবে স্তনের বোঁটায় লাল রং এর ছোঁয়াচ?না থাকে যদি তার কোন আর্কষন স্তনে আমার?কেন দুধে পরিষ্কার করবো হাত,যদি না জড়িয়ে ধরতে পারি তাকে আর?

সাহস করে ঢুকবো না বাড়ীতে,এই ঘরে,নগ্ন শরীরে।সাহসও হবে না আমার দরজাটা খোলার।সাহস হবে না আমার চোখদুটো মেলে দেখার।জানি না…।


একটা চিঠি

অসম্ভব এটা!এটা একেবারেই অসম্ভব!হাঁটু গেড়ে চোখের জলে বলছি,শুধু তোমার জন্যে চোখের জল বয়ে যাচ্ছে গাল দিয়ে,ছেড়ে যেও না তুমি আমাকে।

ভেবে দেখ-কি হবে আমার তোমাকে হারালে,হারাবে জীবনের সব আনন্দ,কি হবে আর বেঁচে থেকে।হায়!প্রেমিকা আমার,হয়তো জান না তুমি,কত যে ভালবাসি তোমাকে?

দোহাই তোমার,আরেকবার না হয় দেখা করো আমার সাথে।এসো না হয় আগামীকাল সন্ধ্যায়-অপেক্ষা করবো আমি দরজায়।যদি বলো,না হয় আমিই আসবো কাল বা পরশু,না না করো না তুমি,আর।

না হয় শেষবারের মত,এই একবার যেন দেখা পাই তোমার।দোহাই তোমার,এই অনুরোধটা রেখ,জীবন তুলে দিলাম আমি তোমার হাতে।


উদ্যোগ

ঈর্ষায় ভঁরে আছে তোমার মন,জাইরিন্নোও,যদিও বোঝা যায় না তোমার ঈর্ষার মাত্রাটা।বেশ কটা ফুলের মালা ঝোলানো ঘরের দরজায়,অপেক্ষা করে ছিলে হয়তো আমাদের জন্যে,তাই ছুটে আসলে আমাদের দেখে।

তোমার ইচ্ছাই পূর্ন হলো শেষমেষ,খুঁজে পেলে নিজেকে তোমার পচ্ছন্দের জায়গায়,বালিশের মাথা যেখানে সুবাস ছড়ানো অন্য কোন মেয়ের।তুমি তো অনেক লম্বা তার চেয়ে,তবু তোমার এই শরীর অবাক করে আমাকে।

সংবরন করতে পারিনি নিজেকে,আত্মসর্মপন করলাম তোমার কাছে।
‘হ্যা,আমিই হার মানলাম।ইচ্ছা যদি হয় খেলা করতে পার আমার স্তন নিয়ে,আদর করতে পার ইচ্ছামত,যদি চাও সরিয়ে দিতে দ্বিধা করো না আমার আগ্রহী উরুকে।আমার সারাটা শরীর অপেক্ষা করে আছে শুধু তোমার অশান্ত চুমুর আশায়।

ও জাইরিন্নো,আমার জাইরিন্নো!আমার চোখগুলোও যে ভঁরে আছে ভালবাসার আনন্দে।মুছে দিও না ভুলে কাপড় দিয়ে,চুমু খেও না ওখানে প্রিয় আমার,
জড়িয়ে ধর আমার এই কেঁপে ওঠা শরীরটা।


আরেকটু চেষ্টা

অনেক হলো,অনেক হলো,এবার থামাও হাতের ছোঁয়ার খেলা,ও ভাবে তাকিয়ে থেক না আর।এটা যেন আমাদের নতুন দেখা আবার।তুমি কি মনে কর ভালবাসা শুধু আনন্দের স্রোত?’জাইরিন্নো ভালবাসা একটা যাত্রা,ওখানে আছে অনেক ওটা নামা’।

জেগে উঠো!অনেক ঘুমোলে তুমি,কত ঘুমোবে আর?স্থবির করে দেয় আমাকে, তোমার কালো চোখের চাহনি,পাগল করে তোমার যন্ত্রনা ছড়ানো উত্তাল উরু দুটো।ভোলা কি যায় তোমার জঙ্গা যুদ্ধের কাহিনী?

শুয়ে ছিলাম গোধুলির ছোঁয়ার আগে।শয়তান সকালের আলোটা যে কখন থেকে জ্বালিয়ে যাচ্ছে আমাদের।না হয় ঘুমাবো না আরও কটা রাত,তোমার সঙ্গ তার চেয়ে আর বড় বেশী পাওয়া কি আছে আর।

ঘুমাবো না আমি,ঘুমিও না তুমিও।বড্ড অপচ্ছন্দ আমার,তিক্ততায় ভঁরা সকালের আলোটা।জাইরিন্নো সুর্যের বিচারটা তুমিই করো,না হয়।চুমু সে তো আরও যন্ত্রনার,তবু আনন্দের দীর্ঘ ছোঁয়াটা,সে কি আর ভোলার…।


জাইরিন্নো,এটা তোমার জন্যে

ভেব না তোমার প্রেমে মাতাল আমি,তুমি সুস্বাদু পাকা একটা ডুমুর ফল,
শরীরের মাতাল ডাকে আহরণ করছিলাম লুকিয়ে থাকা যৌবনের স্বাদ,যেন জ্বালানো আগুনটা নিভিয়ে দিতে পারি আমার শরীরের।

এত আনন্দ অনুভব করিনি কোনদিন,তোমার ছোট ছোট চুল আর পর্বত শিখরের মত তীক্ষ্ণ স্তন,আর বোঁটাগুলোও মিষ্টি খেজুর,আর কোন আনন্দ নেই কোথাও আর।

ফল আর জল যেমন দরকার সবার জীবনে,মেয়েরাও তৃষ্ণার্ত হয়ে থাকে জীবন্ত আলিঙ্গনের স্বপ্নে।জানি না তোমার নাম,কে তুমি শুয়ে ছিলে পাশে,স্বপ্নের ঠোঁটটা তোমার,আমার ঠোঁটে।

তোমার শরীর আর আমার শরীর শুধু,আর কিছু নেই সেখানে,আছে শুধু আকাঙ্খার জ্বলন্ত আগুন।ধরে ছিলাম তোমাকে যেন সদ্য আঘাতের ক্ষত একটা,আর চীৎকার করছিলাম, ‘মনাসিডিকা!মনাসিডিকা!মনাসিডিকা!



শেষ চেষ্টা

-কি চাও তুমি,বুড়ী মেয়ে?
-তোমাকে সান্তনা দিতে।
–কোন দরকার নেই তার।
–শুনলাম ঝগড়াঝাটি করে খুঁজে বেড়াচ্ছ ভালবাসার দেশের স্বাদ,
জানি আজও খুঁজে পাওনি মনের সান্তনা,একটা প্রস্তাব আছে,শুনবে?
-বল।
–সারডি থেকে আসা একটা যুবতী কাজের মেয়ে।তার সমকক্ষ কেউ নেই এ পৃথিবীতে,কেননা সে যে,মেয়ে আর ছেলে একই শরীরে।যদিও আছে তার স্তন আর তীক্ষ্ণ স্বর,হয়তো নিঃসন্দেহে ভুল ধারণা তৈরী সেটা কারও কারও মন।
-কত বয়স?
-ষোল।
–কত লম্বা?
-লম্বা!
–সে কাউকে চেনে না এখানে,তার চেনা লোকজন সব সাফায়,আর তুমি যদি চাও রুপার কুড়ি মিনায়ে কিনতে পার তাকে।ইচ্ছা করলে ভাড়ায়ও আনতে পার তুমি।
–কি করবো তাকে নিয়ে?
বাইশ দিন ধরে অযথাই চেষ্টা করে যাচ্ছি মুছে যেতে স্মৃতি তার…ঠিক আছে এটা না হয় হবে একটা নতুন ধরণের চেষ্টা আমার,মেয়েটা যেন ভঁয় না পায়, অযথাই যদি কাঁদি তার হাত ধরে।


স্মৃতির ছেঁড়া পাতা

মনে পড়ে আমার…(দিনের এমন কোন সময় নেই সে থাকে না আমার মনের চোখে!)।মনে পড়ে তার আঙ্গুলগুলোর আদর করে ছুটে বেড়ানো নাচের ছন্দে চুলে বিলি কাটার দৃশ্যে।

মনে পড়ে সেই রাত্রিটা তার গালটা ছিল আমার স্তনে,সেই মধুর ছোঁয়া যা সারাটা রাত্রি জাগিয়ে রাখলো আমাকে,ঘুম ভেঙ্গে দেখি তার গালের ছাপটা আমার স্তনের বোঁটায়।

তার হাতে ধরা আমার স্তন দুটো,অদ্ভুত একটা মুচকি হাসি মুখে।পাউডার মাখানো মুখ,চুলগুলোও সাজানো নতুন ছন্দে,চোখগুলো বড় করে সে রং দিচ্ছিল ঠোঁটে তার।

যতই যা বলি না কেন,হতাশা আর চিরযন্ত্রনার দেশটাই এখন আমার ঘর,
ভাবতেও কষ্ট হয়,না জানি অন্যের হাতের ছোয়ায় কি ভাবে কেঁপে উঠছে সে বারে বারে,যা তার বলার যা তার দেয়ার,তা আমার মত আর কেই বা জানে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২১ বিকাল ৩:০৯

রাজীব নুর বলেছেন: গান গুলো ভালো।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.