নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

কেএসআর

be united, no alternative to move forward.

েকএসআর

be united, no alternative to move forward.

েকএসআর › বিস্তারিত পোস্টঃ

একটু সহনশীলতা প্রয়োজন

২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৩৫

পৃথিবী সৃষ্টির শুরু করে প্রত্যেকটি জিনিস মানুষের প্রয়োজনমাফিক প্রকৃতির মাঝে নিহিত। আলো, বাতাস, মাটি, পানি সহ আরও আনুসাঙ্গিক উপকরনের কোনটি মাত্রার তুলনায় অধিক হলেই প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা মানব সৃষ্ট ক্ষতিসাধন হয়। যাই হোক মূল বিষয়বস্তুতে আশা যাক।

ধরি,

দেশের সব মানুষ হটাৎ করে বড়োলোক হয়ে গেছে, কারও কোন অভাব নেই। সবাই টাকার প্রাচুর্যে গা ভাসিয়ে কাজ কর্ম বন্ধ করে যে যার মত দিন যাপন করছে। কায়িক শ্রম করার মত কোন লোকই নেই। ফলশ্রুতিতে দেশে খাদ্য শস্যের ঘাটতি দেখা দিবে, নতুন কোন স্থাপনা করার জন্য, প্রাকৃতিক দুর্যোগ সামাল দেয়ার জন্য, চিকিৎসার জন্য অতিরিক্ত অর্থ ব্যয় করে বাহিরের সাহায্য নিতে হবে। এক সময় জমানো অর্থ শেষ, আমরা আবার ফকির।

কিংবা,

দেশের সবাই হত দরিদ্র। দুবেলা দুমুঠো খাবার সামর্থ্য নেই। দেশে দুর্ভিক্ষ দেখা গেল। অপ্রতুল বিদেশি সাহায্যে চাহিদা পূরণ না হওয়ায় দেশের আইন শৃঙ্খলা ভেঙ্গে পড়ল, বাচার তাগিদে মানুষ একে অপরের ওপর পশুর মত আচরণ শুরু করে দিল। দেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিনত হল।



উপরোক্ত দুই ক্ষেত্রেই প্রয়োজনের তুলনায় বেশি প্রভাব পড়ায় ফলাফল শুভ হয়নি। বর্তমানের বাংলাদেশের অবস্থা প্রায় একই রকম। নাস্তিক, রাজাকার, যুদ্ধাপরাধী, মুক্তিযোদ্ধা, ধর্ম, দল নিয়ে আমরা বিভক্ত। কেউ এই সামান্য কথাটা বঝেনা যে “দেশ ছাড়া, দিশেহারা মোরা” তার উপর নতুন এক ভাইরাসের প্রকোপ মানুষের মধ্যে দেখা গেছে তা হোল, নিজেকে জ্ঞ্যানী ভাবা। আমরা কেউ কারও কথা শোনার জন্য প্রস্তুত না। টক শো, সভা, অফিস, আদালত যেখানেই হোক – শুধু আমি ঠিক, বাকি সব ভুল, এটা ঠিক না। কারন বেশি ভালো ভালো না সাথে মনে রাখতে হবে যদি বলার অধিকার থাকে সাথে শোনার যোগ্যতাও রাখতে হবে তবেই সে মানুষ। আর জ্ঞ্যান জাহির করার জিনিস না। মানুষের কাজ, কর্ম, ব্যবহারেই প্রকাশ পায়। যাই হোক, মানুষে মানুষে ভিন্নতা থাকতেই পারে কিন্তু বর্তমানের এর বেশি প্রভাব দেশের মানুষের জীবন বিষিয়ে তুলেছে। যুদ্ধাপরাধীদের বিচার সময়ের দাবি, করতেই হবে কোন সন্দেহ ছাড়া। যারা এর বিরোধী তাদেরকে বলছি, যদি একাত্তরে আপনাদের মা বোনদের সাথে একই কাজ করা হত বা পরিবারের কেউ শহিদ হত পারতেন চুপ করে থাকতে। আর একজন ধর্মপ্রাণ মুসলমান হিসেবে বলছি, বিশ্বাস করা একান্তই মনের ব্যাপার। মাটির কবর আমার আপনার সবার ঠিকানা। সবাইকে তার কৃত কর্মের হিসাব দিতে হবে আলাদা আলাদা ভাবে। সে দিন কেউ কারও কোন সাহায্যে আসবেনা। আপনাদের কারও যদি মনে হয় নাস্তিকতার নামে কেউ আল্লাহ্‌ আর রসূলের নামের অবমাননা করছে তাহলে তার উপরই বিচারের দায়িত্ব ছেড়ে দেন। আল্লাহ্‌ পাক কারও সাথে বিন্দুমাত্র অবিচার করেন না। একটু সহনশীল হন। দেশটা আমাদের সবার। একটু ভুল পদক্ষেপে আমাদের সবাইকে অনেক মাশুল দিতে হতে পারে।



পরিশেষে শুধু এটুকুই বলতে চাই –

তোমার আমার মাঝের ফারাক,

জোগাবে অন্যের খুশির খোরাক।



(একজন সাধারন নাগরিক হিসেবে এটা সম্পূর্ণ আমার ব্যাক্তিগত মতামত, ভুল ত্রুটি ক্ষমা সুন্দর দৃষ্টিতে দেখবেন)

মন্তব্য ২ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪১

মাটিরমানুষ বলেছেন: ভালো বলেছেন।

২| ২৪ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৩ রাত ১১:৪২

েকএসআর বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.