নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি মানুষ (!)। তাই মানবতার প্রাধান্য সবার আগে। তারপর না হয় জাতি-গোষ্ঠীর প্রাধান্য। -- [email protected]

হাবিব ইমরান

পড়তে, ভাবতে এবং স্বাধীনভাবে ঘুরে বেড়ানোয় দারুণ পছন্দ। ধার্মিকতা আর বকধার্মিকতার ক্ষেত্রে বাড়াবাড়ি বিলকুল অপছন্দ।

হাবিব ইমরান › বিস্তারিত পোস্টঃ

আহ নির্বাচন, হায় নির্বাচন : পরিস্থিতি কি আসলেই স্বাভাবিক?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১০:৫৫

দেশে নির্বাচন, নাকি জাহান্নামের আজাব বুঝা বড় দায়। আতঙ্কে-ভয়ে দিন কাটাতে সাধারণ জনগণের, ছাত্রদের। বলা নেই কওয়া নেই, যখন তখন পেটোয়া পুলিশ দরজায় কড়া নাড়ে। ডিএমপি তো বলেই দিলো ব্যাচলেরদের ঢাকায় থাকা যাবে না। বাড়ির মালিকও এতদিন ব্যাচেলরদের প্রতি অন্যদৃষ্টিতে তাকাতো। আর এখন রাষ্ট্রও অন্যভাবে তাকায়। ছিঃ..... ।
৪জি-৩জি বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। আঃ লীগ বলেই দিলো নৌকায় ভোট না দিলে যেন কেউ কেন্দ্রের আশেপাশে না যায়।
সেনাবাহিনী রাস্তাঘাট ঘুরেফিরে দেখছে। আনন্দ করছে। নিজেদের দীর্ঘদিনের ক্যান্টনমেন্টবাস থেকে বেরিয়ে গায়ে হাওয়া লাগিয়ে সরকারি গাড়ি চাপিয়ে জনগণের নির্যাতন উপভোগ করছে।

কিছু মানুষ বলে দেশ উন্নয়নের জোয়ারে ভেসে গেছে, রাস্তাঘাট অনেক কিছুই হয়েছে। কিন্তু কই চট্টগ্রামের হালিশহর, আগ্রাবাদের মূল সড়কটাতো গত ৪-৫ বছরেও ঠিক হতে দেখিনি। কবে ভাঙ্গা শুরু হইছে তা নাই বা বললাম। এরকম আশেপাশের অনেক কিছু আগের মতো বেহাল হয়ে পড়ে আছে। কয়েকটা ব্রিজ কালবার্ট দিয়ে উন্নয়নের রোল মডেল বলা যায় না। যেখানে হাজারটা ফ্লাইওভার হওয়ার কথা সেখানে দুই একটা দেখেই আমরা ঢেকুর তুলি। যেখানে জঙ্গী রাষ্ট্র পাকিস্তানেরও ৩ টি, সৌদি আরবের ১৩ টি, ভারতের ৮৮ টি, যুক্তরাষ্ট্রের ১৬১৬ টি স্যাটেলাইট রয়েছে সেখানে এ যুগে এসে আমরা একটা স্যাটেলাইট পাঠিয়ে সারাদেশে রাষ্ট্রিয় উৎসব পালন করে বসে আছি।
না পাইতে না পাইতে অবস্থা এমন হইছে, এখন অল্প কিছু পাইলে মনে হয় আমাদের ভাগ্য ভালো তাই পেয়েছি। কিন্তু আমরা বুঝিনা এটা আমাদের অধিকার। এটা আমাদেরই। যতদিন আমরা বুঝবো না এগুলো আমাদেরই, ততদিন এসব ঠোটকাটা রাজনীতিবিদেরা আমাদের উপর নির্যাতনের স্টিমরোলার চালিয়ে যাবে। জনগণের ট্যাক্সের টাকায় কেনা অস্র দিয়েই পুলিশ আজ জনগণকে অকালে কবরে পাঠিয়ে দিচ্ছে।
তখন আমরা ভাবি, তো কি হইছে! সে তো আমার কেঊ না। আমার কোন আত্মীয়ও না। সে আঃ লীগ, সে বিএনপি, মারছে ভালো হইছে। কিন্তু আমরা বুঝিনা, এ গুলির নলটা একদিন আমাদের দিকেও ঘুরে আসবে।

আমরা সাধারণ মানুষ। নির্বাচন আসলে কি জিনিস তা আমাদের উপলব্ধির বয়স হয়নি। কে ক্ষমতা নিবে, কার ক্ষমতা নেয়া উচিৎ সেটাও উপলব্ধির বয়স হয়নি। কিন্তু আমি বুঝি আমার অধিকার কি! একটা ব্যালট পেপারে সিল মারতে হবে, তারপর সেটা বক্সে রাখতে হবে। ঠিক এটাই বুঝি। বুঝিনা কিভাবে দুইটা সিল মারতে হবে।
কিন্তু সাধারণদের অধিকারের উপর হস্তক্ষেপ কেন? মানবতা বলতে কিছুই নেই? একটা কুকুরও রাস্তায় নিরাপদ বোধ করে দিব্যি আনন্দে ঘুরেবেড়ায়, কিন্তু একটা সাধারণ মানুষ? মানুষের জীবন কি কুকুর বিড়ালের চেয়ে খারাপ হয়ে গেছে?
যারা এতোকিছু দেখার পরেও বলেন দেশের পরিস্থিতি ভালো, স্বাভাবিক। তাদের মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন। তাদের সমাজে-রাষ্ট্রে বসবাসের যোগ্যতাই নেই। তাদের বাস হওয়া উচিৎ পাগলা গারদে, জঙ্গলে।

মনে হচ্ছে, ইতিহাসের অন্যতম লজ্জাজনক অধ্যায়ের সাক্ষী হচ্ছি। রইল কর্তাদের প্রতি একরাশ ঘৃণা, তাদের নাসিকা ধুলায় মলিন হোক।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ সকাল ১১:৫১

প্রশ্নের কারখানা বলেছেন: ব্যাচেলরদের বাসা ছাড়তে নির্দেশনা দেয়নি ডিএমপি
আবার চালু থ্রি-জি ও ফোর-জি সেবা

আপনার পোস্টটির আগেই ইন্টারনেট খুলে দেয়া হয়েছিল। আর ব্যাচেলরদের বাসা ছাড়তে নির্দেশ দেয়নি এটা তো গতকালের সংবাদ।

আমাদের দেশের স্যাটেলাইটের কথায় পরে আসি। ১৯৯১ সালে নির্বাচিত হওয়ার পর বিনামূল্যে দেশকে যখন সাবমেরিন কেবলের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার প্রস্তাব আসে তখন এই প্রস্তাব নাকচ করার মধ্যেই স্পষ্ট বোঝা গিয়েছিল এ সরকার (বিএনপি) কতটা তথ্য ও প্রযুক্তি বান্ধব। আর আমাদের দেশ স্যাটেলাইট পাঠিয়েছে এটা তো খুশির খবর। তুলনা করে কি বোঝাতে চাচ্ছেন? পাকিস্তানের তো পারমানবিক বোমাও রয়েছে, কিন্তু আমাদের নেই (এটা যে কেন বললেন না পোস্টে)।

আর ২০১৯ সালের নির্বাচনে কোন দলটি গণতন্ত্রের পক্ষে? আওয়ামী লীগ তো একেবারেই না ;) আর ঐক্যফ্রন্ট? |-) আবেগ অর্জনের চেষ্টায় রয়েছে। আমি তো শুনেছি ড. কামাল-কেই সরিয়ে দেওয়ার একটা ষড়যন্ত্র তৈরি হচ্ছে?

২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ বিকাল ৩:১৪

হাবিব ইমরান বলেছেন: প্রিয় প্রশ্নের কারখানাঃ
আপনি হয়তো জানেন আমি বর্তমান প্রেক্ষাপট নিয়ে বলেছি। আমি একজন জনগণ, আমি কি পেয়েছি কি আমার পাওনা ছিলো তাই বলেছি। কোন সরকার ভালো চালায়, কো সরকার খারাপ চালায় তা বলিনি। বলতেও চাই না। এতদিনে আমাদের কি পাওয়া দরকার ছিলো তাই বলেছি।

বাংলাদেশ সবসময়ই নির্যাতিত। আধুনিক সময়ে প্রথমে বৃটিশদের হাতে, তারপর পাকিস্তানিদের হাতে, তারপর শেখ মুজিবের হাতে (বাকশাল, ব্যাংক লুট, দুর্ভিক্ষ), তারপর যতটা উন্নত হয়েছে তা সেনাশাসনেই হয়েছে, তারপর নির্যাতন আবার শুরু হয়েছে- বিএনপি, তারপর আ: লীগ, আবার বিএনপি, আবার সেনাশাসন, আবার আঃ লীগ, আর এখন পর্যন্ত আঃ লীগই মারাটা দিচ্ছে। তাহলে জনগণ কি পেল আর কি হারাল?

কিন্তু এখন পর্যন্ত বাংলাদেশ সরকার আমাকে কি দিয়েছে সেটা নিয়ে বলছিলাম। এটা শুধু বাংলাদেশ সরকার। আঃ লীগও নয় আবার বিএনপিও নয় শুধুমাত্র বাংলাদেশ সরকার। এ জন্যে বলেছি কারণ, রাষ্ট্র পরিচালনা করে সরকার। আর সাহায্য করে জনগণ। জনগণ সাহায্য না করলে কোন সরকারই সঠিকভাবে দেশ চালাতে পারেনা। এক্ষত্রে সরকারকেও জনগণকে শুধুমাত্র জনগণ হিসেবে দেখা উচিৎ। আঃ লীগ আসলেও সবাই সহযোগিতা করবে, বিএনপি আসলেও সবাই। কিন্তু বাস্তবে দেখি উলটোটা। একবার এ সরকার আসলে এ সরকার খায়, তারপর আরেক সরকার খায়। আর জনগণ খায় বসে বসে হাওয়া খায়।

দলীয়ভাবে না। চোখবন্ধ করে দেশের কথা ভাবুন। কি হচ্ছে দেশে! যদি আপনার উপলব্ধি ক্ষমতা থাকে, তাহলে বাস্তবতা বুঝতে পারবেন। আর না হলে আপনি একজন দলকানা পাব্লিক।

২| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৮ দুপুর ১:০৫

কিশোর মাইনু বলেছেন: দেশের অবস্থা হয়তো ভাল না, কিন্তু সরকার চেইঞ্জ হলে আপনি ই বলবেন, না হওয়াই ভাল ছিল।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.