নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

ছন্নছাড়ার আবোল-তাবোল

ইমরান নিলয়

পকেটে কিছু খুচরো স্বপ্ন নিয়ে নিজেকে জানার চেষ্টায় আছি। মাঝে মাঝে শব্দ দিয়ে দাগাদাগি করি। অসামাজিক।

ইমরান নিলয় › বিস্তারিত পোস্টঃ

নিরাশ্রয়তার আশ্রয়

০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ৯:৪৪

**

সেদিনও তার সাথে দেখা হল। সেই চেনা হাসিমুখ। আয়ত দুই চোখে এক পৃথিবী মায়া। কিছুটা গাঢ় শ্যামলাবরণ চেহারা সেই মায়া কমাতে পারে নি, বরং বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুনে। কারন মায়ার রঙ শ্যামলা। তার কালো চুলের মাঝে হঠাৎ হঠাৎ লালচে রেখা দেখা যায়। সবুজ মেহেদীর গুন। গোলগাল মুখটায় অন্যরকম এক স্নিগ্ধতা। হয়ত বেলী ফুলের,বা ঝুম বৃষ্টির আগের স্নিগ্ধতা। কিছু কিছু মুখ থাকে, চোখ থাকে, তাকালে চোখের আরাম হয়। অনেকটা শরতের বিকেলে নদীর পাড়ে হেলান দিয়ে রোদহীন আকাশ দেখার মত। অদ্ভুত একটা ভালোলাগা কাজ করে।



বাইরে তখন শান্ত বিকেল ছিল। রোদগুলো ছায়া হয়ে আসছে। একসময় ছায়ারা রাত হবে। তিনি বসে বসে খবরের কাগজ পড়ছিলেন। হয়ত কোন খুনের খবর, বা এসিড দিয়ে ঝলসানো তরতাজা তরুনী। এদেশের পেপার পড়লে মনে হয় না খবরের কাগজ পড়ছি, মনে হয় হাতে একটি দুর্দান্ত ক্রাইম থ্রিলার উপন্যাস। এত অল্প পয়সায় প্রতিদিন হাতে আস্ত একটা থ্রিলার উপন্যাস পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। এর পুরো কৃতিত্ব সাংবাদিক আর উপন্যাসের নায়কদের। তাদের পরিশ্রম অস্বীকারের কোন উপায় নেই।



তার চোখের চশমাটা একটু নিচু হয়ে নাক ধরে ঝুলছিল। দেখে মনে হয় যেকোন সময় পড়ে যেতে পারে। খুব মনযোগ দিয়ে কিছু পড়ছিলেন হয়ত। আমার পায়ের শব্দ পেয়ে মুখ তুলে তাকালেন। প্রায় সাথে সাথেই ঠোঁটের কোনে হাসিটুকু ফুটে উঠল। আমি কখনো তাজা গোলাপ ফুটতে দেখি নি। একদিন দেখতে হবে। কারো মুখে হাসি না বাগানের গোলাপ- কোনটার ফোটাটা বেশি সুন্দর, কে জানে।



'কি খবর রাহাত? কেমন আছ?'

'জ্বী আন্টি ভালো। আপনি কেমন আছেন?'

'ভালই আছি' তার গলা কাচের চুড়ির মত কানে বাজে। 'দুপুরে খেয়েছ?'

'বাসা থেকে খেয়ে আসছি।'

'খাবা আবার?' তার মুখে অমলিন হাসি।



মানুষ কখনো দুইবার ভাত খায় নাকি? সাকিবের আম্মার কথায় আমার হাসি পেয়ে যায়। মুচকি হেসে দুদিকে মাথা নেড়ে দ্রুতপায়ে সাকিবের রুমে ঢুকে যাই। কেউ এত যত্ন করে খাওয়ার কথা বললে ভীষন অস্বস্তি হয়, লজ্জা লজ্জা লাগে।



নানা কারনে প্রায়ই সাকিবের বাসায় যেতাম। মনে মনে সন্ধ্যার জন্য অপেক্ষা। কারন বিকেল পেরুতেই ওর মায়ের হাতের মজার মজার সব খাবার চলে আসত এ ঘরে। কখনো নুডুলস, নানারকম পিঠা, ফিরনি, হাতে বানানো সিঙ্গাড়া-চপ, কখনো হয়ত কাবাব, তেঁতুলের টকের বাটির সাথে ঝাল ঝাল চটপটি, একমগ ধোঁয়াওঠা চা। মাঝে-সাঝে বাইরে থেকে গরম গরম মোগলাই পরোটা আসত। একজন ভোজনরসিক হিসেবে এই খাদ্যবৈচিত্র্যের প্রতি একরকম টান অনুভব করতাম প্রায়ই। সেই টানেও মাঝে মাঝে ওর বাসায় গিয়ে উপস্থিত হতাম। ছোটকাল থেকেই ভালোমন্দ খাওয়া-খাদ্যের সাথে আমার একটা অন্যরকম সম্পর্ক। কখনো কখনো রাত হয়ে গেলে আন্টি না খেয়ে আসতে দিতেন না। তাতেও অবশ্য তেমন কষ্ট পেতাম না।



আকাশ জুড়ে কালো মেঘের আনাগোনা। তাদের ছায়ায় রাস্তাঘাট ফ্যাকাসে হয়ে আছে। চারিদিকে একটা থমথমে অবস্থা, মন খারাপের ভাব। আকাশের গুমোট ভাব মানুষজনের মনের ভেতরও জায়গা করে নিয়েছে। তারা গম্ভীর মুখে দ্রুতপায়ে চলছে। যেকোন মূহুর্তে আকাশ ফুটো হয়ে যেতে পারে। সেটা ঘটলে সমূহ বিপদ।



আমার অবশ্য তেমন তাড়া নেই। একসময় বাসায় পৌঁছুলেই চলে। শরীরটা অবশ্য ক্লান্ত লাগছে খানিক। ক্লান্তির কারনটা ঠিক স্পষ্ট না। পরিশ্রমের কাজ বলতে যা বোঝায় তেমন কিছুই করি নি। সব অন্যরাই করেছে। শেষমুহূর্তে শুধু হাত দেওয়া- সাকিবের আম্মাকে ধরে কবরে নামিয়েছিলাম। সেটাও যে খুব পরিশ্রমের কাজ ছিল তা বলা যায় না। তার শরীরটা বেশ ঠান্ডা ছিল। সাদা, মোটা কাপড়টার উপর থেকেও টের পাওয়া যাচ্ছিল তা। অথচ এখন শরীর ঠান্ডা লাগার কোন কারন নেই। শীতকাল পেরিয়েছে অনেক আগেই। চারিদিকে এখন ভ্যাপসা গরম।



কিছুদিন আগেও তিনি আমার বন্ধুর মা ছিলেন। বাসায় গেলে হেসে কথা বলতেন। এটা সেটা জিজ্ঞেস করতেন। তার হাতের কাবাব খেয়ে কতবার তৃপ্তির ঢেকুর তুলছি। অথচ আজ তিনি শুধুই একটা শরীর। প্রানহীন। মৃতদেহ। ইংরেজীতে ডেডবডি। ইচ্ছে হলেই কোন ছুতায় সাকিবের বাসায় গিয়ে খাবারের জন্য অপেক্ষা করা হবে না হয়ত আর। কেউ মমতামাখানো গলায় জিজ্ঞেস করবেনা, 'রাহাত ভাত খাবা?'



জলজ্যান্ত একটা মানুষ নাই হয়ে গেল। দুঃখ লাগার চেয়ে অবাক লাগে বেশি। সবাই কি এভাবে হারিয়ে যায়?



ধিরাজকাকু আমাদের সাথেই থাকতেন। আব্বুর অফিসের পিয়নটাইপ একটা কাজ করেন। ঠিক বুঝতাম না তখন। শুধু আমার চাঁদ-তারা কার্টুন আঁকা ব্যাগটা কাঁধে নিয়ে রোজ সকালে স্কুলে দিয়ে আসতেন আমাকে। ছোট ছোট আঙ্গুল দিয়ে তার খসখসে হাত ধরে থাকতাম। চারিদিকে কত রঙ, কত গল্প। ধিরাজকাকুকে সবসময় প্রশ্ন করতাম। এটা কি, ওটা কেন। কাকু হাসতে হাসতে শুদ্ধ আর আঞ্চলিক ভাষা মিলিয়ে জবাব দিতেন। তার কিছু কিছু কথা যে বড় অদ্ভুত ছিল তা বড় হয়ে বুঝেছি। কাকুকে জিজ্ঞেস করতে যাই নি সেগুলো। কাকু হয়ত লজ্জা পেতেন। তবে কাকুকে একটা কথা জিজ্ঞেস করার ছিল। পারি নি। একবার ছুটিতে বাড়ি গিয়ে শুনলাম ধিরাজকাকু মারা গেছেন। খুব একটা কষ্ট পেলাম না, তবে ভেতরটা হু হু করে উঠল কেমন জানি। মনে হল জীবনের অনেকটা সকালের জন্য একা হয়ে গেলাম।



এর অনেকদিনপর একদিন কাকুর সাথে দেখা। আমি তার হাত ধরে স্কুলে যাচ্ছি। তার কাঁধে সেই ব্যাগটা। চাঁদ-তারা, কার্টুন আঁকা। ধিরাজকাকু মাথা নিচু করে হাঁটছেন। আমি তার হাত ধরে আছি। খসখসে একটা হাত। অথচ আমার ধরে থাকতে খুব ভালো লাগছে। এই খসখসে ভাবটার মধ্যে কেমন যেন একটা নির্ভরতা আছে। আমরা হাঁটছিলাম। বড় বাজার পেরিয়ে মসজিদটাকে ডানে রেখে এগিয়ে চলি। চলতে চলতেই স্বপ্নটা ভেঙ্গে গেল। তখন ভোরের আলো ফুটতে শুরু করেছে। সেই ভোরে একা একা বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলাম অনেকক্ষন। ভোরের শিশির শুধু ঘাসেই জমে না, চোখেও জমে।



অতনুর সাথে আমার খুব ভাব ছিল। আমরা একসাথে বিকেলে পাখির বাসা খুঁজতে বেরুতাম। অতনুর এটা নেশার মত ছিল। আমাদের ছোট মফস্বল শহরটার পাশের নদীটা, যেটা কিনা এঁকেবেঁকে নীলগঞ্জের দিকে এগিয়ে গেছে, তার পাড় ধরে অনেকদূর চলে যেতাম। পকেটভর্তি মার্বেল হাঁটার তালে তালে ঝুম ঝুম করত। যেন পকেটভর্তি শব্দ। কখনো কখনো নদীর ধারের গাছের নিচে বসে পড়তাম। নদীর দিকে চেয়ে চোখ আর শরীর দু'টোরই বেশ আরাম হত। আমরা নদীর ওপারে, নীলগঞ্জেরও পরে কি আছে জানতে চাইতাম। কখনো কখনো অচেনা মলিন মুখের মানুষদের সামনে পড়তাম।

জিজ্ঞেস করত, তোমরা কোন এলাকার খোকা?

দু'জনে একসাথে আমাদের ছোট গ্রাম কিংবা মফস্বলের নাম বলতাম।

- কই যাও?

- নদীর সাথে হাঁটি

তারা কখনো-সখনো হাসত। 'যাও বাড়ি যাও খোকা' বলে হয়ত হাতে তুলে দিত একটুকরা জাম্বুরা কিংবা একফালি তরমুজ।

আমরা ফিরে আসতাম। হেলে পড়া দুর্বল সূর্য মাথায় নিয়ে ফিরতাম দু'জন।



একবার আমাদের অতনু মারা গেল। মামাবাড়িতে গিয়েছিল বেড়াতে। জঙ্গলের মাঝে পড়ে ছিল। সাপের কামড়। মামারা যখন তার দেহটা খুঁজে পেল, ততক্ষনে সাপটা অতনুর জীবন মুখে নিয়ে দূরে সরে গেছে। শুধু অতনুর ঘাড়ের কাছে দু'টো ছিদ্র রেখে গেছে। রক্তের ফোঁটা জমে কালচে হয়ে ছিল।



এই সবই শোনা কথা। আমি আর কখনো অতনুকে দেখি নি। ওকে নাকি ওর নানাবাড়ির পাশে কবর দিয়েছিল, অন্ধকারে। আমি ওর মাকে অনেকবার বলতে চেয়েছিলাম- অতনু অন্ধকার ভয় পায়। তিনি কেন জানি অর্ধেক কথা শুনেই উঠে যেতেন সবসময়, পুরোটা শুনতেন না। আর মাঝে মাঝে আমাকে বুকে চেপে কাঁদতেন। আমি কি করব বুঝতে পারতাম না। অসহায়ের মত চুপ করে থাকতাম। আর অতনুটা যে কেন এখনো আসছে না তা ভেবে ভেবে বিরক্ত হতাম। অতনু আর আসে নি। ওর হয়ত অন্ধকারের সাথে ভাব হয়ে গিয়েছিল।



ঘাড়ের ওপর জলের ফোঁটাটা আচমকা হুল ফোটায়। শহরের ওপরের আকাশে কালো রঙ জাকিয়ে বসেছে। রাস্তাটা প্রায় খালি। সবাই যার যার নিরাপদ আস্তানার দিকে পা বাড়িয়েছে হয়ত। একটা এক পা ভাঙ্গা হলদে নেড়ী কুকুর শুধু রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে লেজ নাড়াচ্ছে। কি করবে বুঝতে পারছেনা যেন।



চারিদিক কালো হয়ে গেছে। আকাশের ছায়া। এই কালো অশুভ কালো না, এটা অসহায়ত্বের কালো। গম্ভীরমুখো থমথমে বাতাস কঠিন ঝড়ের আভাস দিয়ে যায়। মৃদু হুঙ্কার লাফিয়ে লাফিয়ে পড়ে বুকের উপর। এরমধ্যে বৃষ্টি বেশ বড় বড় ফোটায় পড়তে শুরু করল। তাদের কিছু কিছু আমার কালো চুলের মধ্যে নিরাপদ আশ্রয় খোঁজে হয়ত। একসময় বাসার কাছাকাছি পৌঁছে গেলাম। সবুজ রঙের গেইট। একসময়ের উজ্জ্বল সবুজ কালক্রমে কালচে হয়ে গেছে। আধখোলা কপাট। বাতাসের অজুহাতে অস্থিরভাবে জায়গা বদল করছে। একবার ডানে, একবার বাঁয়ে। তারপর আবার ডানে, আবার বাঁয়ে।





**

মনে হচ্ছে অনন্তকাল ধরে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছি। পুরো শরীরের ভার বহনের জন্য দু'টি পা ঠিক যেন যথেষ্ঠ না। দাঁড়িয়ে থাকতে দুর্বল লাগে।



একসময় দরজা খুলে গেল। দরজা যিনি খুললেন, সেই ভদ্রমহিলাকে আমি চিনি। অনেকদিন ধরেই চিনি, জন্মের পর থেকেই চিনি, মা। সেই চেনা মুখটা। আয়ত দুই চোখে এক পৃথিবী মায়া। কিছুটা গাঢ় শ্যামলাবরণ চেহারা সেই মায়া কমাতে পারে নি, বরং বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুনে। কারন মায়ার রঙ শ্যামলা। দুপুররোদের ছায়ার মত একঝলক স্নিগ্ধতা।



ছোটবেলার নিয়ম ছিল- বিকেলবেলা মায়ের সাথে ঘুমাতে হবে। মহাবিরক্তিকর কাজ। নড়া যায় না, চড়া যায় না, আবার ঘুমও আসে না। আমার তখন মন পড়ে থাকে বালুর মাঠের ছেলেদের মাঝে। তবে মা তখন কখনো কখনো গল্প বলতেন, আর আমাদের মাথার ওপরের সিলিংটা আকাশ হয়ে যেত। সেই আকাশে নানারঙের ছবি ফুটে উঠত।



'মা ঐ গল্পটা বল না।'

'কোনটা?'

'রাজপুত্র আর রাক্ষসেরটা'

'এক গল্প আর কতবার শুনবি?' মায়ের কন্ঠে কপট বিরক্তির প্রলেপ।

একজোড়া নাছোড়বান্দা চোখের দিকে একবার চেয়ে নিয়ে মা গল্প শুরু করত। শুনতে শুনতে চোখজুড়ে ঘুম নামত। ঘুমাতে চাইতাম না। প্রানপনে জেগে থাকার চেষ্টা করতাম। তবু অবাধ্য চোখের পাতা লেগে আসত। যখন চোখ খুলতাম ততক্ষনে সন্ধ্যা হয়ে গেছে। দূরের মসজিদের আযানের শব্দ। ছোট বুকটা ভয় পেত হয়ত। মাকে খুঁজতাম।



'কিরে দরজায়ই দাঁড়িয়ে থাকবি? ভেতরে আসবি না? সকালে না বলে চলে গেলি। ফোনটাও নিলি না।'

সকালে সাকিবের মায়ের মৃত্যুর খবরটা শুনেই বেরিয়ে গিয়েছিলাম। কাউকে কিছু বলা হয় নি।

আমি অনেক অনেকদিনপর মায়ের চেহারার দিকে ভালো করে তাকালাম। মা-টা বেশ বুড়িয়ে গেছে আগের চেয়ে। বয়স হয়ে যাচ্ছে। মুখের চামড়া শিথিল হয়েছে। চুলগুলো হারাচ্ছে প্রান, আগের সেই চকচকে ভাবটা আর নেই। নজর করে দেখলে মাথার এখানে-সেখানে সাদা চুলের চেহারা নজরে পড়ে। তারা যেন অসীম সাহসের সাথে বয়সের প্রাচীনতার ঘোষনা দেয়। শুধু হাসিটা আছে। আগের মতই। অমলিন। কতদিন থাকবে জানি না। মাও একদিন হারিয়ে যাবে। ধিরাজ কাকু, অতনুদের মত। অন্ধকারের সাথে ভাব হবে। খুব ভাব। জীবনের ভাব।



আমি কিছু বললাম না। যদিও আমার বলতে ইচ্ছা হল। মাকে খুব করে জড়িয়ে ধরে বলতে ইচ্ছা করল মা যেন আমার আগে চলে না যায়। আমি এখানে একলা থাকতে পারব না। এখনো সন্ধ্যার আযানে আমার অস্থির লাগে। মাকে দেখলে শান্ত লাগে। হাজার সমস্যাতেও তার চেহারা সাহস যোগায়। আরো কথা। অনেক কথা। বলতে ইচ্ছা করে- তোমার হাতের রান্নাছাড়া আমার একদিনও মুখে রুচি হবে না। খেতে পারব না। প্লিজ মা...



সামনে দাঁড়ানো মা ঝাপসা হতে থাকে। চোখভর্তি হয়ে আসতে চায় সমুদ্রকনায়।

কিন্তু কিছুই করা হয় না। বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত ছেলেগুলি এই এক বিপদ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। এদের বুকভর্তি মায়া থাকে। কিন্তু কেউ হয়ত কখনো জানতেই পারে না। আমি চোখের সমুদ্র আড়াল করে মায়ের পাশ দিয়ে ঘরে ঢুকে পড়লাম। চোখসমুদ্রে জোয়ার আসে। চারিদিক ঝাপসা থেকে আরো ঝাপসাতর হয়। খুব তুফানের ইঙ্গিত হয়ত।



মন্তব্য ১০ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (১০) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই জুন, ২০১৪ রাত ১০:২০

প্রবাসী পাঠক বলেছেন: খুব ভালো লাগল। শুভ কামনা।

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ

২| ০৯ ই জুন, ২০১৪ সকাল ৮:১৬

জাহাঙ্গীর.আলম বলেছেন:
চমৎকার বর্ণনা ৷

অনেক সুন্দর ভাবে সাজিয়েছেন বিষন্ন ও ভালবাসার গল্পকথন ৷

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫০

ইমরান নিলয় বলেছেন: অনেক ধন্যবাদ জানবেন।

৩| ০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:২৩

হাসান মাহবুব বলেছেন: মন খারাপ করা লেখা। বিষাদী সুন্দর।

০৯ ই জুন, ২০১৪ বিকাল ৫:৫১

ইমরান নিলয় বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই

৪| ২৪ শে জুলাই, ২০১৪ বিকাল ৩:৪৫

রবিন মিলফোর্ড বলেছেন:
অনেকদিন পর আপনার লেখা গল্প পড়লাম ।


খুবই ভাল লাগল । :)

২৫ শে জুলাই, ২০১৪ দুপুর ২:০৪

ইমরান নিলয় বলেছেন: কি খবর রবিন? কেমন আছ?

৫| ০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ বিকাল ৪:৩০

Rahat Islam বলেছেন: বাঙ্গালী মধ্যবিত্ত ছেলেগুলি এই এক বিপদ নিয়ে পৃথিবীতে এসেছে। এদের বুকভর্তি মায়া থাকে। কিন্তু কেউ হয়ত কখনো জানতেই পারে না।

০২ রা এপ্রিল, ২০১৬ রাত ১১:৫৮

ইমরান নিলয় বলেছেন: খুব বিপদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.