নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগে স্বাগতম

গতকাল আর আজকের মুড এক নয় এবং আগামিকালও ভিন্নতর হবে।

হোসাইনের ছেলে

এক কথায় অলসের হাড্ডি, টাইমের কোন মুল্য নাই।

হোসাইনের ছেলে › বিস্তারিত পোস্টঃ

সুইমের প্রশ্ন! ওর বাবার আছে; তার বাবার কেন থাকবেনা?

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০০

রাজধানীর ক্যামব্রিয়ান স্কুলের পঞ্চম শ্রেনীতে পড়ে সুইম। ক্যামব্রিয়ানে ভিত্তবানদের সন্তানরা ছাড়া পড়ার সুযোগ আর কারো নাই। খরচপাতি অনেক এক্সট্রিম হওয়াই এর কারন। স্কুলে নিজেদের গাড়ীতেই আসা যাওয়া করে সুইম। বাহিরের জগত সম্পর্কে তার তেমন একটা ধারনা নেই বললেই চলে। তার ধারনা তার বয়সি ছেলে মোয়েদের রাস্তাঘাট কিংবা বাহিরে বের হওয়াটা খুবই বিপদজনক। ছেলে ধরার খপ্পরে পড়ার আশঙ্কা থাকে। 



স্কুলে যাওয়ার পথে একদিন একটা ঘটনা ঘটেছিলো। রাস্তায় প্রচন্ড জ্যামের মধ্যে তার বয়সি একটা ছেলে তাদের গাড়ীর গ্লাসগুলো হটাৎ মুচতে শুরু করলো, এবং মুখে কি জানি সব বলছিলো। গ্লাস লাগানো ছিলো বিধায় সুইম কিছু শুনতে পাচ্ছিলোনা। সুইম ড্রাইভার আংকেলকে জিগ্যেস করলো আঙ্কেল ছেলেটা কি করতে চাইছে একং কি বলছে। আংকেল বলল "আরে এগুলো সব নর্দমার কীট! ধান্দাবাজী কইরা খায়"। সুইম আংকেলের কথার কিছুই বুঝলোনা। মনে মনে ভাবে ছেলেটির কত সাহস। বাহিরে গুরোগুরি করছে, তাও আবার রাস্তার মাঝখানে, শরীরে কেমন ময়লা জমিয়েছে, পাঁয়ের জুতোটাও কোথাও ফেলে এসেছে । আজকে নিশ্চিত বাসায় গেলে আচ্ছামত বকা খাবে। 



সুইমদের মত জীবন যাত্রার মান যাদের সুপার ক্লাসের, তারা আসলে বুঝতেই পারেনা এদেশে নর্দমার কীটদের সংখ্যাই বেশী। যাদের তিন বেলার কোননা কোনটিতে অন্নহীন থাকতে হয় প্রায় সময়। পেটের ক্ষুদা যাদের নিত্তদিনের উপহাস। তাদের আবার শরীরে ময়লা কি? অথবা ছেলেধরার ভয় কি? কিংবা বাসায় গেলে বাবা মায়ের বকা খাওয়া কি?



সুইমের ড্রাইভার বিষয়টি নিয়ে সুইমের কৌতুহল উদ্দিপক দৃষ্টি দেখে মনে মনে একটু হাঁসলো। হাঁসতে হাঁসতে সুইমকে বলল, "বাবা ঐ ছেলেটা হচ্ছে একটা টোকাই। ৫-৬ বছর বয়সের ঐ টোকাই ছেলেটার কাজই হচ্ছে এগুলো। গাড়ী মুচে দিয়ে টাকা চাওয়া। দুইটাকার জন্য এজন ওজন গুরে বেড়ানো, মলিন চেহারায় কান্নাজড়িত কন্ঠে আকুতি জানানো, এর মধ্যে বড়লোকদের দুই একটা লাথি-উষ্ঠা খাওয়াতো আছেই।। পড়ালেখা কি জিনিস তারা তা বুজেনা কখনো। তোমার বাবার মত ওর বাবার অতকিছু নেই, মাথার উপরের ছালতো দুরের কথা- তিনবেলা ক্ষুদা নিবারনের ভাতটুকুও নাই। তাই খালি পায়ে- খালি গায়ে দুপুরের কর্কষ রোদের মধ্যে নেমে পড়েছে দুমুঠো ভাতের জন্য।" সুইম ড্রাইভার আংকেলের কথায় অনেকটা আকাশ থেকে পড়ার মত হতবম্ব হয়েগেছে(!)। তাঁর শিশুসুলভ চেহারায় অনেকটা কষ্টের চায়া ঝেঁকে ধরেছে। মনে মনে ভাবছে, আমার বাবার এত কিছু থাকলে তার বাবার কিছু নাই কেন? আমার বাবার অর্থ-সম্পদ, বাড়ী-গাড়ী, টাকা পয়সার একটুওতো অভাব নেই। ছেলেটার বাবার কিছুই নেই কেন? কোন উত্তর খুজে পায়না সুইম। ড্রাইভার আংকেল বললেন, "বৈষম্য বাবা বৈষম্য"।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:০৮

ভাবের পোলা বলেছেন: বিবেক নাড়া দিলো

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:২৮

হোসাইনের ছেলে বলেছেন: ধন্যবাধ ভাই

২| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ দুপুর ২:১৩

ডার্ক ম্যান বলেছেন: এই বৈষম্য ধীরে ধীরে আরো বৃদ্ধি পাচ্ছে।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৩১

হোসাইনের ছেলে বলেছেন: বৈষম্য দুর করার কোন পথ নেই?

ধন্যবাদ ভাইয়া

৩| ২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৪২

ডার্ক ম্যান বলেছেন: যে সমাজে সুশাসন থাকে না, সেই খানে বৈষম্য দূর করার চিন্তা হারাম।

২৬ শে এপ্রিল, ২০১৪ বিকাল ৩:৫৩

হোসাইনের ছেলে বলেছেন: ঠিক বলেছেন ভাইয়া:@

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.