নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

মাদ্রাসার চাকরির বাজার।

১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ রাত ৩:১৭



একদেশে ছিলো এক ছেলে। তার নাম ছিলো রাকিব। তার বাবা নিয়্যত করেছিলো যে “তার ছেলে হলে, সেই ছেলে কে মাদ্রাসাতে পড়াবে।” যেই ভাবা সেই কাজ। রাকিব এখন মাদ্রাসার ছাত্র। খুব মেধাবী। সব কিছু দক্ষতার সাথে হেন্ডেল করে। সে ধর্মের সব কিছু খুটি নাটি বিশ্রেষণ করে পড়ে। সে জ্ঞান অর্জন তাকে ধর্মান্ধ বানায় নি।

মাদ্রাসার লাইনে পড়ার শেষে সে কর্মমুখী শিক্ষার দিকে যেতে চাইলো। তার বাবা তাকে বাধা দেয় নি। “তুমাকে এখন ইমাম সাহেব হতেই হবে।” এই ধরনের কোন প্রেসার দেয় নি। রাকিব “A গ্রেড” এর ফার্মাসিস্ট ডিগ্রী অর্জন করলো। এবং বাংলাদেশের একটি দোকানে কাজ করলো। পরে সে ইমরো ফার্মা কম্পনি তে ফার্মাসিস্ট পদে যোগদান করে।

রাকিবের কাজের দক্ষতা, নিয়মবর্তিতা ও সৎ চরিত্রের জন্য কম্পনি তাকে দুবাই পোস্টিং করে। এই পযর্ন্ত কাল্পনিক।

আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামের প্রথম হুজুর এর নাম ছিলো রফিকুল ইসলাম। সে মসজিদের প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ২০১৯ সাল পযর্ন্ত আমাদের সাতকাহনিয়া গ্রামে ইমামতি করতেন। সে ইমামতির পাশাপাশি টেইলার কাজ জানতো। এবং বাজারে টেইলারি কাজ করতেন। এই টেইলারি কাজ তাকে বাড়তি ইনকাম দিতো। এখন এই ইমাম সাহেব বাড়িতে কৃষিকাজ করে।

মাদ্রসার ছাত্রদের বলিবো যে শুধু ইমামতি এর উপর নির্ভর না করে বিভিন্ন কাজে পারদর্শী হতে হবে। যাতে শুধু ইমামতি চাকরির উপর নির্ভর হয়ে থাকতে না হয়।

মন্তব্য ৬ টি রেটিং +১/-০

মন্তব্য (৬) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ ভোর ৬:৪৩

ইফতেখার ভূইয়া বলেছেন: সত্য হলো ইমামতি কোন পেশা নয়, হওয়ার কথাও নয়, আমরা সেটাকে পেশা বানিয়েছি আর এটাকে আমি ভুল বলেই ব্যক্তিগতভাবে মনে করি। সমাজের প্রতিটি মানুষকেই তার তার নিজ নিজ অর্জিত জ্ঞান কাজে লাগিয়ে জীবিকার চেষ্টা করা উচিত। সফলতা বা ব্যর্থতা মূলত নিজের চেষ্টার উপরই নির্ভর করে তবে চেষ্টায় সততা এবং নিষ্ঠা থাকা জরুরী। ধন্যবাদ।

২| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪০

বিটপি বলেছেন: ইমামতি কোন চাকরি নয় - কোন পেশাও নয়। রাসূল (স) এবং খোলাফায়ে রাশেদার যুগে এমনকি তাবেঈদের যুগেও কখনও কোন মসজিদে বেতনভূক ইমাম ছিলনা। এই সিস্টেম কারা কবে চালু করল কে জানে? চালু করে ইমামদের মাথা সমাজপতিদের কাছে নত করে দিয়েছে। এখন জুমার খুতবায় উল্টোপালটা কিছু বললেই চাকরি খেয়ে দেবার হুমকি আসে।

কেমন হত যদি ওয়ার্ড কাউন্সিলররা মসজিদের ইমামতির দায়িত্ব পেত? এখন যেরকম অন্যায় দূর্নীতি হচ্ছে, তখনো কি তেমন হবার সুযোগ থাকত?

৩| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ৮:৪৯

স্বপ্নাতুর পূরব বলেছেন: এটাইতো হবার কথা ছিলো। ইমামতি কোনো পেশা নয়, জীবিকা নির্বাহের উপায় নয়। বরং কোরআন-হাদিস দ্বারা অকাট্যভাবে প্রমাণিত ধর্মের কাজের পার্থিব সামান্য বিনিময় বা পারিশ্রমিক নিলেও জাহান্নামের আগুনে পুড়তে হবে। একজন ধর্মপন্ডিত যখন বেতনভুক্ত হন, তখন তিনি তখন কর্মচারীর বাইরে কিছুই নন।

৪| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ সকাল ১১:৪৫

ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: শুনেছি মাদ্রাসার ছাত্ররা নাকি এখন বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বেশ ভালো অবস্থান করে নিয়েছে। ভর্তি পরিক্ষায় বেশ ভালো সংখ্যায় চান্স পায় দেখে কিছু মানুষকে কান্নাকাটি করতে দেখেছি এটা নিয়ে।

দিন পরিবর্তন হচ্ছে। আশাকরা যায় ভবিষ্যতে মাদ্রাসার ছাত্রদের কর্মক্ষেত্র অনেক অনেক বাড়বে।

৫| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ দুপুর ১:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: মাদ্রাসা লাইনে লেখা পড়া করলে মানবেতর জীবনযাপন করতে হবে।

৬| ১০ ই এপ্রিল, ২০২৩ বিকাল ৪:০০

অপু তানভীর বলেছেন: ঋণাত্মক শূণ্য বলেছেন: শুনেছি মাদ্রাসার ছাত্ররা নাকি এখন বিশ্ববিদ্যালয় গুলিতে বেশ ভালো অবস্থান করে নিয়েছে। ভর্তি পরিক্ষায় বেশ ভালো সংখ্যায় চান্স পায় দেখে কিছু মানুষকে কান্নাকাটি করতে দেখেছি এটা নিয়ে।

এই মাদ্রাসা গুলো হচ্ছে আলিয়া মাদ্রাসা । এই আলিয়া মাদ্রাসা আর সাধারণ স্কুল কলেজের পড়াশোনার ভেতরে কিন্তু খুব একটা পার্থক্য নেই । সাধারণ শিক্ষায় যা যা পড়ানো হয় ওখানেও তাই পড়ানো হয়, এক্সট্রা হিসাবে তাদের আরবি কয়েকটা সাবজেক্ট থাকে । সাধারণ শিক্ষার সাথে আরও কিছু ধর্মীয় বিষয় যুক্ত হয়। এরা ভালই করে পরবর্তিতে ।

আর কাউমি কিংবা হাফেজিয়া যে মাদ্রাসা আছে, এই মাদ্রাসা গুলোতে অধিকাংশ ছেলেমেয়েরা পড়ে, এদের জীবন আসলে অন্ধকার । নামাজ পড়ানো মিলাদ মাদ্রাসা ছাড়া এদের আর কোন কাজ পাওয়া মুসকিল । এদের জীবনের কোন পরিবর্তন আসবে না ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.