নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
ভূমিকা:
একটা সময় ছিলো সরকারি চাকরিতে এপ্লাই করার সুবাধে প্রচুর চেয়ারম্যান সার্টিফিকেট (নাগরিকত্ব সনদ) নেওয়া লগতো। সেই সুবাদে ঘন ঘন চেয়ারম্যান অফিস/ইউনিয়ন পরিষদ অফিসে যাওয়া লাগতো। মাজে মাজে এমনও হতো যে চেয়ারম্যান অফিসে গেলে গ্রাম পুলিশ, উদ্যোক্তা, আর সচিবের সাথে গল্প করতাম। ইউনিয়ন পরিষদ সচিব একজন সরকারি স্টাফ যিনি ইউনিয়ন পরিষদ এ যাবতীয় অফিসিয়াল কাজ দেখাশুনা করেন। আর উদ্যোক্তা হচ্ছে কম্পিউটার ম্যান যিনি জন্ম নিবন্ধন করেন। ও চেয়ারম্যান এর প্যাডে যাবতীয় জিনিস লিখে দেন।
২০১৬ বা ২০১৭ সাল এর ঘটনা। আমি আর আমাদের ইউনিয়ন পরিষদ এর সচিব (মোকারম ভাই) এর সাথে কথা বলছি। উদ্দেশ্য হোল্ডিং ট্যাক্স দেওয়া। বাহিরে এমন বৃষ্টি পড়ছিলো। অক্টোবর নভেম্বর এর সময়। আমি হোল্ডিং ট্যাক্স দিলাম। এমন সময় এক মুরব্বি আসলেন। উনি ওয়ারিশ সনদ পত্র নিবেন। তখন হাতে লেখা ওয়ারিশ সনদ পত্র দেওয়া হতো। মোকারম ভাই বললেন “এই ফরম পূরন করে, মেম্বরের স্বাক্ষর নিয়ে আসেন।” মেম্বারের স্বক্ষরের কথা শুনে মুরব্বি ব্যামাচেকা খেয়ে গেলেন। সামান্য ওয়ারিশ সনদ পত্রের জন্য মেম্বরের পিছু পিছু ঘুরমু। তখন মুরব্বি রাগন্বিত কন্ঠে বলেন “আগে তো চেয়ারম্যানরা ওয়ারিশ সনদ পত্রে স্বাক্ষর দিয়ে যেতেন। এখন কেন ওয়ারিশ সনদে স্বাক্ষর করেন না?” উত্তরে আমাদের মোকারম ভাই বলেন “আগের দিনের মানুষ একজনের জমি আরেক জন মেরে খেতো না। এখন একজনের জমি আরেক জন মেরে খায়।”
২য় ভাগ: সরকার এখন জন্ম নিবন্ধন কে খুব শক্তিশালী করেছে। আগে জন্মনিবন্ধন হতে লেখা ছিলো। ২০১৪ সালে সকল জন্ম নিবন্ধন, অনলাইনে ঢুকায়। অনলাইনে জন্মনিবন্ধন এন্ট্রি করার সময় অনেক ভুল হয়। সরকার সেই ভুল স্বীকার করে সংশোধন এর সুযোগ দেয়। ২০১৬ সালে জোর করে সরকারি কর্মচারী ও বিদেশগামীদের জন্মনিবন্ধন সংশোধন করায়। এই জিনিসটি আমাদের ভালোর জন্যই করা। ২০২০ সালের পর জন্মনিবন্ধন কে খুব মোডিফাই করে। দেখে মনে হলো যে জন্মনিবন্ধনই হবে ভবিষৎ এর জাতীয় পরিচয় পত্র যেখানে একজন নাগরিক এর সকল তথ্য থাকবো।
সরকার ২০২১ সালের দিকে একটি সিস্টেম করে। ২০০১ সালের পর যাদের জন্ম তাদের জন্ম নিবন্ধনে বাপ মা এর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করা বাধ্যতামূলক। এটা দেখে আমি কিছুক্ষন চিন্তা করলাম। সরকার এটা কেন করলো? আমার জন্ম ১৯৯৫। তারপরেও আমি আমার জন্ম নিবন্ধন নাম্বারে আমার আব্বু আম্মুর জন্মনিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করেছি। শুধু তাই না, আমি আমার আম্মুর জন্ম নিবন্ধন নাম্বারে নানা নানীর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করেছি।
নানা ও নানীর জন্ম সনদ করা ছিলো। ২০০৭ সালে তত্ত্বাবাধায়ক সরকার এই কাম কইরা থুইয়্যা গেছে। ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে নানার মৃত্যু সনদ করি। হাতে লিখা মৃত্যু নিবন্ধন, না কিন্তু। নানার জন্ম নিবন্ধন কে মৃত্যু নিবন্ধন তে কনভার্ট করা ডিজিটাল মৃত্যু সনদ। যা অনলাইনে যাচাইযোগ্য। পরে আমার মাথায় আসলো যে এই সিস্টেম করলে ভবিষৎ এ ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র করা যাবে। সরকার এটাই ভবিষৎ এ করবে।
তাই আপনারা আপনাদের জন্মনিবন্ধন এ আপনাদের আব্বু আম্মুর জন্ম নিবন্ধন নাম্বার এন্ট্রি করেন। আর আপনার সন্তানদের জন্মনিবন্ধন এ আপনার আর আপনার স্ত্রীর জন্ম নিবন্ধন নম্বর এন্ট্রি করেন।
জন্ম নিবন্ধন যাচাই করার সরকারি ওয়েব সাইড
[ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র উত্তলন এর ওয়েব সাইড।
আপনাদের পৌরসভা বা ইউনিয়ন পরিষদ যদি ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ পত্র উত্তলন এর সুযোগ থাকলে, আপনারা ডিজিটাল ওয়ারিশ সনদ তুলেন। এটাকে ফটোকপি করে চালাতে পারবেন।
আমার এই ব্লগ পিন করলে রাখলে অনেকের উপকার হতো। কতই তো ব্লগ পিন করা থাকে। আমার এই ব্লগ পিন করা থাকবে কি?
২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
নাহল তরকারি বলেছেন: আমার ই-মেইল এড্রেস [email protected] আমাকে ই-মেইল করুন।
২| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৫৭
এম ডি মুসা বলেছেন: হাতে লেখার সনদের ভিতরেও অন্যরকম একটা আনন্দ ছিল। ডিজিটাল সনদ। হাতে লেখা সনদ ডুবলিকেট করে অন্যজনের নাম বসিয়ে দেওয়া সম্ভব হতো। ডিজিটাল নাই আপনার লেখাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
নাহল তরকারি বলেছেন: কমেন্ট করার জন্য ধন্যবাদ।
৩| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১০
জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আগের যুগেও একজনের জমি অন্যজন মেরে খেতো, কিন্তু এখন এতটা সহজ নয়।
২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ৯:৪৫
নাহল তরকারি বলেছেন: ঠিক বলেছেন।
৪| ২১ শে মার্চ, ২০২৪ সকাল ১১:৫৫
রাজীব নুর বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে মেইল করেছি।
©somewhere in net ltd.
১| ২০ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার কন্যার জন্ম নিবন্ধর করতে হবে।
কিভাবে কি করবো বুঝতে পারছি না। কন্যাকে স্কুলে ভরতি করাতে হলে জন্ম নিবন্ধন লাগবে। পাসপোর্ট করাতে গেলে জন্মনিবন্ধন লাগবে।