নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

চিঠি লিখো। চিঠির সৌন্দর্য ও স্মৃতিচারণ: এবারের ঈদে ২৬টি শুভেচ্ছাবার্তা

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ ভোর ৫:৩৩


ছবি: আমার মোবাইল থেকে ক্যাপচার করা


ডিজিটাল যুগের উৎকর্ষতায় আমরা প্রায়ই ভুলে যাই সেই দিনগুলির কথা, যখন মনের কথা বলতে বা শুভেচ্ছা জানাতে হাতে লেখা চিঠির ব্যবহার ছিল অপরিহার্য। এই যুগে এসেও চিঠির আবেদন কমে যায়নি; বরং তা আরও মূল্যবান হয়ে উঠেছে। এবারের ঈদে, আমি ২৬ জনকে চিঠি লিখে শুভেচ্ছা জানাতে উদ্যোগী হয়েছি, যা শুধুমাত্র তাদের সাথে সংযোগ স্থাপন নয়, বরং এক সুন্দর স্মৃতিচারণের মাধ্যমও।

চিঠি লেখার মধ্যে এক ধরনের অন্তরঙ্গতা আছে, যা অন্য কোনো মাধ্যম দিয়ে প্রকাশ করা যায় না। প্রতিটি অক্ষরে অনুভব করা যায় পাঠকের প্রতি লেখকের আন্তরিকতা। চিঠির কাগজে কলমের ছোঁয়া, হাতের লেখার বৈচিত্র্য, আর চিঠির মধ্যে লুকানো মনের কথা, সবকিছু মিলে এক অনন্য অভিজ্ঞতা তৈরি করে। এই ঈদে যখন আমি চিঠি লিখছিলাম, তখন প্রতিটি চিঠির মধ্যে আমি যেন তাদের প্রতি আমার ভালোবাসা ও শ্রদ্ধা প্রকাশ করার চেষ্টা করেছি।

একটি চিঠি কেবল একটি বার্তা নয়, এটি একটি স্মৃতি, যা ভবিষ্যতে ফিরে দেখতে পারা যায়। ডিজিটাল মেসেজ বা ইমেইল যতই সুবিধাজনক হোক না কেন, চিঠির সেই মাধুর্য কখনোই পাওয়া যায় না। চিঠির খামে মোড়া সেই কাগজ, যার প্রতিটি ভাঁজে লুকিয়ে থাকে হাজারো অনুভূতি, আজও আমাদের হৃদয়ে আলাদা জায়গা করে নেয়।

আমার চিঠির প্রতিটি বাক্যে আমি চেষ্টা করেছি প্রাপকের প্রতি আমার অনুভূতি ও শুভেচ্ছা প্রকাশ করতে। হাতে লেখা সেই চিঠিগুলি পাঠাতে গিয়ে অনুভব করেছি এক অদ্ভুত ভালোলাগা। মনে হয়েছে, আমার লেখা চিঠিগুলি তাদের হাতে পৌঁছানোর পর, তাদের মনেও যেন সেই আনন্দের ছোঁয়া লাগে।

এই চিঠি লেখার অভ্যাস আমার মধ্যে নতুন করে এক ধরনের আত্মপ্রত্যয় সৃষ্টি করেছে। আমার বিশ্বাস, আমার মতো আরও অনেকে যদি এই ডিজিটাল যুগে চিঠি লেখার অভ্যাস ধরে রাখতে পারেন, তবে আমাদের সম্পর্কগুলি আরও মজবুত হবে। চিঠি লেখার মাধ্যমে আমরা আমাদের ভালোবাসা, শ্রদ্ধা, ও আন্তরিকতা আরও সুন্দরভাবে প্রকাশ করতে পারব।

অতএব, এই ঈদে আমার ছোট্ট উদ্যোগ হয়তো অনেকের জন্য এক বড়ো উপহার হয়ে দাঁড়াবে। ২৬ জনকে চিঠি লিখে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আমি শুধু তাদের সঙ্গে আমার সম্পর্কের বাঁধন মজবুত করেছি না, বরং চিঠি লেখার সৌন্দর্যকেও পুনরুজ্জীবিত করেছি। চিঠি লেখার এই অভ্যাস আমাদের সকলের মধ্যে বজায় থাকুক, এই কামনা করি।

মন্তব্য ২ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৪ ঠা জুন, ২০২৪ দুপুর ১:০৩

লাইলী আরজুমান খানম লায়লা বলেছেন: যখন হলে থাকতাম তখকার কথা: অনেকে কিন্তু চিঠি এসেছে এই সপ্তাহে আমার চিঠি আসে নাই। ওহ্ মনটাই খারাপ হয়ে যেত। সবাই চিঠি নিয়ে আনন্দে লাফাতে লাফাতে চলে যেত। সে কি বাঁধ ভাঙ্গা আনন্দ! একটা চিঠি মানে অনেক কিছু।
আপনার লেখা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

০৪ ঠা জুন, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:০০

নাহল তরকারি বলেছেন: ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.