নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
গল্পের নাম: ফাকা স্টেশন।
গল্পের চরিত্র ও ঘটনাপ্রবাহ কল্পনিক। ইহার সাথে বাস্তবে কোন ব্যাক্তির সাথে মিলে গেলে, সেটার জন্য আমি দায়ী না।
কমলাপুর রেল স্টেশনের সেই দিনের সকালটা ছিল অদ্ভুত রকমের সজীব। চারপাশে মানুষের ভিড়, ট্রেনের হুইসেল, আর স্টেশনের কোলাহলে ঢাকা পড়ছিলো জীবনের অগোছালো দুঃখগাথা। কিন্তু এই জনসমুদ্রের মাঝেও মাসুদ রানা একেবারে একা। স্টেশনের এক কোণে বেঞ্চে বসে মাথা নিচু করে যেন নিজের মধ্যে ডুবে আছে। তার হাতে একটি পুরনো চিঠি। চিঠিটা ধরা হাতে রক্তের টান অনুভব করছে সে। হয়তো এই চিঠির শব্দগুলোই তার বেঁচে থাকার শেষ অবলম্বন।
মাসুদের চোখের সামনে ভেসে ওঠে রংপুর এক্সপ্রেসের স্মৃতি। সেই ট্রেনেই তো সে তার বউকে নিয়ে প্রথমবার শ্বশুরবাড়ি গিয়েছিল। ট্রেনের জানালায় বসে বউয়ের এলোমেলো চুলে আঙুল ছুঁইয়ে বলেছিল, "তুমি ছাড়া আমার কিছুই নেই।" সে দিনগুলো কেমন যেন রূপকথার মতো ছিল। বউয়ের সেই উজ্জ্বল মুখ, হাসিমাখা চোখ আর কথাগুলো মনে হলে আজও তার বুকটা কেঁপে ওঠে।
কিন্তু সেই দিনগুলো চিরকাল ছিল না। সময়ের এক ভয়ানক মোড় তাকে সবকিছু থেকে ছিনিয়ে নিল। বউ চলে গেল, চিরতরে। সে জানে, বউ আর কখনোই ফিরবে না। তবু প্রতিদিন তার মুখের প্রতিচ্ছবি দেখে মনে হয়, সে যেন এখনো তার পাশে রয়েছে।
বউ চলে যাওয়ার পরও মাসুদ জীবনের খুঁটিগুলো ধরে রাখার চেষ্টা করেছিল। তখনই শ্যামলি এসেছিল তার জীবনে। পাশের বাড়ির সরল মেয়েটা, যার হাসিমাখা মুখ আর মায়াবী দৃষ্টিতে অদ্ভুত প্রশান্তি ছিল। শ্যামলির ছায়ায় দাঁড়িয়ে মাসুদ আবার নতুন করে ভাবতে শিখেছিল। কিন্তু শ্যামলির সেই ভালোবাসার ছোঁয়া একদিন তার হাত থেকে ফসকে যায়। শ্যামলির মুখ আজও তার মনে পড়ে। মেয়েটা বলেছিল, "আপনার মতো মানুষ তো একা থাকার জন্য জন্মায়নি।"
এত সব হারানোর পরেও এক সময় তার জীবনে ছিল নীলা। ছোটবেলার সেই বন্ধু, যার সঙ্গে তার কত স্মৃতি জড়িয়ে। নীলার সঙ্গে গল্প করতে করতে সে প্রায়ই ভাবত, জীবনটা যদি একটু অন্যরকম হতো। যদি নীলার হাতটা সে ধরতে পারত। কিন্তু তা আর হয়নি। সময়ের ঘূর্ণিপাকে নীলা দূরে সরে যায়।
কমলাপুরের বেঞ্চে বসে এইসব কথা ভাবতে ভাবতে মাসুদের বুকের ভেতর হঠাৎ একটা ব্যথা ওঠে। মনে হয়, তার জীবনের প্রতিটা ট্রেন, প্রতিটা যাত্রা শুধু দূরে সরে গেছে। তার কাছে আর কিছুই নেই। চারপাশে লোকের কোলাহল। ট্রেন এসে থামে, আবার ছেড়ে যায়। কিন্তু মাসুদের জীবনে সব যেন থেমে আছে, বন্ধ হয়ে আছে।
বউ নেই। নীলা নেই। শ্যামলি নেই। কুলসুম নেই। এই বিশাল পৃথিবীতে সে একেবারে একা। স্টেশনের বেঞ্চে বসে থাকা সেই মানুষটার চোখে আজ কেবল একটাই প্রশ্ন—জীবনটা এভাবে ফাঁকা হয়ে গেল কেন? ছেলেটি দুঃখ করে বললো "না পাইলাম বউ কে, না পাইলাম নীলা কে।"
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৫
নাহল তরকারি বলেছেন: আমি নওগাঁ জেলায়।
২| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:৩১
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
আপনাকে মাসে ৫ হাজার টাকা কে দিচ্ছে?
০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ১০:০৬
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনি ৫০০০ টাকার মধ্যে পড়ে আছেন? আমি বাসা ভাড়া থেকে ৫ হাজার টাকা নিয়ে আছি।
৩| ০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:২৮
রাজীব নুর বলেছেন: আমার বাসার কাছেই কমলাপুর রেলস্টেশন।
০২ রা ডিসেম্বর, ২০২৪ দুপুর ২:৪৬
নাহল তরকারি বলেছেন: আপনার ঠিকানা দিন।
©somewhere in net ltd.
১| ০১ লা ডিসেম্বর, ২০২৪ রাত ৮:২৯
জেনারেশন৭১ বলেছেন:
আপনি কি এখন ভবের চরে?