![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
বিশ্ব ডাক দিবস: চিঠির গন্ধ হারানো দিনগুলো
মানুষের যোগাযোগের ইতিহাসে ডাক ব্যবস্থার গুরুত্ব অপরিসীম। একসময় চিঠি ছিল আবেগ প্রকাশের একমাত্র ভরসা। প্রিয়জনকে জানাতে আনন্দ–বেদনা, প্রেম–ভালোবাসা কিংবা দূরে থাকা সন্তানের খবর পৌঁছে দিতে মানুষ কলম হাতে বসত। সেই চিঠি আসতো ডাক পিয়নের হাত ধরে, আর চিঠির অপেক্ষায় দিন কাটতো অধীর আগ্রহে।
বন্ধু কিংবা কাঙ্ক্ষিত মানুষের চিঠি হাতে পাওয়া মানেই ছিলো এক অন্যরকম অনুভূতি। ডাকপিয়নের সাইকেলের ঘণ্টার শব্দ যেন হয়ে উঠত আশার আলো। পোস্ট অফিস তখন কেবল চিঠি পাঠানোর জায়গা ছিল না, ছিল মানুষের সম্পর্ক জোড়ার এক সেতুবন্ধন।
শুধু চিঠিই নয়, পোস্ট অফিসের মাধ্যমে টাকা পাঠানোর মানি অর্ডার ছিলো বহু পরিবারের ভরসা। দূর শহরে থাকা বাবা সন্তানের পড়ার খরচ পাঠাতেন, কিংবা প্রবাসী ভাই বাড়ির জন্য টাকা দিতেন পোস্ট অফিসের মাধ্যমে। আবার পার্সেল সার্ভিসের মাধ্যমে পাঠানো হতো প্রয়োজনীয় জিনিস বা প্রিয় বন্ধুর জন্য কোনো উপহার।
কিন্তু সময় বদলেছে। প্রযুক্তির উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে মানুষের যোগাযোগের মাধ্যমেও এসেছে বিপ্লব। এখন 4G ইন্টারনেটের যুগে মানুষ চিঠি লিখে না—একটি মোবাইল বার্তা বা ভিডিও কলেই পৌঁছে যায় ভালোবাসা কিংবা খবর। একইভাবে কুরিয়ার সার্ভিস জনপ্রিয় হওয়ায় পোস্ট অফিসের পার্সেল ও মানি অর্ডারের ব্যবহারও প্রায় বিলীন।
আজকের তরুণ প্রজন্মের অনেকেই জানে না পোস্ট অফিস কোথায়, এমনকি "দুই টাকার হলুদ খাম" নামক এক সময়ের প্রতীকী জিনিসটিও তাদের কাছে অপরিচিত। অথচ এই খামের ভেতরে লেখা থাকত অগণিত গল্প, অনুভূতি আর স্মৃতির চিহ্ন।
বিশ্ব ডাক দিবসে আমরা যখন পোস্ট অফিসের কথা ভাবি, তখন ফিরে যেতে হয় সেই হারিয়ে যাওয়া দিনগুলোর কাছে। চিঠির হাতের লেখা, ডাক টিকিটের গন্ধ আর চিঠি খোলার মুহূর্তের যে আবেগ—তা আর কোনো ডিজিটাল বার্তায় পাওয়া যায় না।
হয়তো যুগের পরিবর্তনে ডাক ব্যবস্থার প্রাসঙ্গিকতা কমেছে, কিন্তু এর ইতিহাস, গুরুত্ব ও মানবিক আবেগকে অস্বীকার করার কোনো সুযোগ নেই। ডাক শুধু বার্তা পৌঁছায়নি—মানুষের হৃদয়ের স্পন্দন বহন করেছে।
২| ০২ রা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:০০
রাজীব নুর বলেছেন: একসময় আমি প্রচুর চিঠি লিখতাম।
৩| ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৬:১৬
বিজন রয় বলেছেন: বিশ্ব ডাক দিবসের শুভেচ্ছা।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:৪১
আহমেদ রুহুল আমিন বলেছেন: কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ‘পোস্ট মাষ্টার’ গল্পটিও এক্ষেত্রে এক নস্টালজিক অনুভুতি এনে দেয় । সেই অজ পাড়াগাঁয়ে অবস্থিত ডাকঘরে শহর থেকে পোস্টিং পাওয়া পোস্ট মাষ্টারের একাকিত্বের একমাত্র অবলম্বন গ্রাম্য বালিকার সাথে তার মৌন আলাপ কিংবা অল্পদিনে সেই বালিকার তার দাদাবাবুর স্নেহধন্যে হৃদয়ে স্থান পাওয়া,প্রবল জ্বরে আক্রান্ত পোস্ট মাষ্টারের চাকুরী ইস্তফা দিয়ে নদীপথে নৌকায় ব্যথিত হৃদয়ে ফিরে আসার বিরহ বেদনার কাহিনী পাঠকমনেও একধরনের নস্টালজিক বেদনানুভুতি এনে দেয় ।
আজ আর ডাকবিভাগের সেই জৌলুশ গ্রামবাংলায় দেখা যায়না । সেই জায়গায় আজ ভর করেছে মোবাইল নেটওয়ার্কের উচু টাওয়ারের শোভা সাথে এন্ড্রয়েট ফোনে সস্তা বিনোদনের টিকটক কিংবা নানাবর্ণের অনলাইনে জুয়ার আসর যা এই প্রজন্মকে ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যেতে বাধ্য করছে । হয়তো এটা যুগের হাওয়া বলে আমরা নিজেদের গড্ডালিকা প্রবাহে গা ভাসাচ্ছি ।