নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমি ঘুরতে ভালোবাসি। আমি খুব নেট পাগল। আমি নবম শ্রেণী থেকে অনার্স পযর্ন্ত নানী বাড়িতে ছিলাম।

নাহল তরকারি

আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।

নাহল তরকারি › বিস্তারিত পোস্টঃ

সোনালী ব্যাংক পিএলসি: বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচিতি

২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:১৫



সোনালী ব্যাংক পিএলসি: বাংলাদেশের বৃহত্তম রাষ্ট্রীয় বাণিজ্যিক ব্যাংকের পরিচিতি
সোনালী ব্যাংক পিএলসি (Sonali Bank PLC) বাংলাদেশের রাষ্ট্র মালিকানাধীন সর্ববৃহৎ বাণিজ্যিক ব্যাংক। দেশের অর্থনৈতিক গতিশীলতা বৃদ্ধি, সাধারণ জনগণকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করা এবং আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে আত্মনিবেদিত এই ব্যাংকটি তার দীর্ঘ পথচলায় দেশের ব্যাংকিং খাতে এক অনন্য স্থান অধিকার করে আছে।

সোনালী ব্যাংকের প্রতিষ্ঠা ও বিবর্তন
প্রতিষ্ঠা: ১৯৭২ সালে বাংলাদেশ ব্যাংক (ন্যাশনালাইজেশন) অর্ডার, ১৯৭২ (রাষ্ট্রপতির অধ্যাদেশ নম্বর ২৬) অনুসারে ন্যাশনাল ব্যাংক অব পাকিস্তান, ব্যাংক অব বাহ্ওয়ালপুর, এবং প্রিমিয়ার ব্যাংককে একত্রিত করে 'সোনালী ব্যাংক' প্রতিষ্ঠা লাভ করে।

কোম্পানি হিসেবে যাত্রা: ব্যবস্থাপনা দক্ষতা ও সেবার মান বাড়াতে ২০০৭ সালের ১৫ নভেম্বর থেকে "সোনালী ব্যাংক লিমিটেড" নামে একটি কোম্পানি হিসেবে এটি তার ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করে।

ব্যাংকিং কার্যক্রমের প্রসার ও বিশেষায়িত সেবা
সোনালী ব্যাংক তার ঐতিহ্যবাহী ব্যাংকিং ব্যবসার পাশাপাশি বিভিন্ন বিশেষায়িত সেবার মাধ্যমে দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছে:

১. শাখা ও নেটওয়ার্কের বিস্তৃতি
সোনালী ব্যাংক পিএলসি একটি বিশাল নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সেবা প্রদান করে:

মোট শাখা: বর্তমানে ১২৩৪টি।

দেশের অভ্যন্তরে: ১২৩২টি শাখা (শহরাঞ্চলে ৫৩৬টি, গ্রামাঞ্চলে ৬৯৬টি)।

বিদেশে শাখা: ২টি (ভারতের পশ্চিমবঙ্গের কলকাতা ও শিলিগুড়ি)।

বৈদেশিক বাণিজ্য (AD শাখা): ৪৮টি অনুমোদিত ডিলার শাখার মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য পরিচালিত হয়।

প্রশাসনিক কাঠামো: ১৮টি জেনারেল ম্যানেজার’স অফিস এবং ৬৯টি প্রিন্সিপাল অফিস।

২. মার্চেন্ট ব্যাংকিং ও বিনিয়োগ
দেশের আপামর জনসাধারণকে বিনিয়োগে উৎসাহিত করতে "সোনালী ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড" নামে একটি সাবসিডিয়ারি কোম্পানি গঠন করা হয়েছে, যা ২০০৯ সালের সেপ্টেম্বর থেকে মার্চেন্ট ব্যাংকিং কার্যক্রম পরিচালনা করছে।

৩. ইসলামী ব্যাংকিং
২০১০ সালের ২৯ জুন থেকে ঢাকা, চট্টগ্রাম, সিলেট, খুলনা ও বগুড়াসহ বিভিন্ন স্থানে ইসলামী ব্যাংকিং উইন্ডোর মাধ্যমে শরীয়াহ্ ভিত্তিক ব্যাংকিং কার্যক্রম শুরু করেছে।

৪. আন্তর্জাতিক রেমিট্যান্স
আন্তর্জাতিক ব্যাংকিং অঙ্গনে সোনালী ব্যাংকের শক্তিশালী উপস্থিতি রয়েছে:

যুক্তরাষ্ট্র: ১৯৯৪ সালে সোনালী এক্সচেঞ্জ কোম্পানী ইনকর্পোরেটেড (সেকি) নামে একটি পূর্ণাঙ্গ সাবসিডিয়ারি কোম্পানি স্থাপন করা হয়, যার ৯টি শাখা রয়েছে।

যুক্তরাজ্য: ২০০১ সাল থেকে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সাথে যৌথ মালিকানায় সোনালী ব্যাংক (ইউকে) লিঃ কার্যক্রম শুরু করে, যার বর্তমানে ৬টি শাখা রয়েছে।

প্রতিনিধি অফিস: সৌদি আরবের রিয়াদ, জেদ্দা এবং কুয়েতে ব্যাংকের নিজস্ব প্রতিনিধি অফিস রয়েছে।

রেমিট্যান্স পার্টনারশিপ: মধ্য প্রাচ্যসহ বিশ্বের ৮০টি ব্যাংক/এক্সচেঞ্জ হাউজের সাথে রেমিট্যান্স ব্যবসা রয়েছে। WESTERN UNION, IME, TRANSFAST, EXPRESS MONEY-এর মতো প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে দ্রুত রেমিট্যান্স পরিশোধ করা হয়।

বৈদেশিক করেসপন্ডেন্টস: ৬১৭টি বৈদেশিক করেসপন্ডেন্টস-এর মাধ্যমে বৈদেশিক বাণিজ্য কার্যক্রম পরিচালিত হয়।

প্রশিক্ষণ ও জনবল
কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের দক্ষতা বাড়ানোর জন্য প্রশিক্ষণের ওপর জোর দেওয়া হয়। ঢাকায় “সোনালী ব্যাংক স্টাফ কলেজ” সহ চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বগুড়া ও ময়মনসিংহে একটি করে প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট রয়েছে। বর্তমানে সোনালী ব্যাংক পিএলসি-তে মোট ১৮,১১৫ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারী কর্মরত আছেন।

অর্থনৈতিক ও সামাজিক দায়বদ্ধতা
দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়নে সোনালী ব্যাংক বহুমুখী ভূমিকা পালন করে:

আমানত ও সঞ্চয়: জনসাধারণকে সঞ্চয়ে উদ্বুদ্ধ করতে বিভিন্ন ধরনের আমানত প্রোডাক্ট প্রবর্তন করা হয়েছে।

ঋণ সুবিধা: অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জনে কৃষি ও শিল্প প্রকল্প ঋণ, আমদানী-রফতানী ঋণ, ক্ষুদ্র ব্যবসা ঋণ, এসএমই ঋণ, এবং ভোগ্যপণ্য ঋণসহ বিভিন্ন স্কীমের মাধ্যমে শহর ও গ্রামাঞ্চলে সহায়তা প্রদান করে।

সরকারি ট্রেজারী ও সামাজিক কার্যক্রম:

বাংলাদেশ ব্যাংকের শাখা নেই এমন স্থানে সরকারের পক্ষে সরকারি ট্রেজারী কার্যক্রম পরিচালনা।

সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পেনশন ও অবসরভাতা প্রদান।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেতনভাতা প্রদান।

ছাত্র-ছাত্রীদের বৃত্তি, সামাজিক নিরাপত্তাজনিত বিভিন্ন ভাতা প্রদান।

সরকারি সঞ্চয়পত্র ক্রয়-বিক্রয়, সরকারি রাজস্ব আদায় ও খাদ্যশস্য ক্রয় বিল পরিশোধ।

হজ্জ্ব ও জাকাত ফান্ডের অর্থ গ্রহণসহ বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম।

কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটি (CSR): “সোনালী ফাউন্ডেশন” গঠনের মাধ্যমে ব্যাংক কর্পোরেট সোশ্যাল রেসপন্সিবিলিটির দায়িত্ব পালন করে।

সোনালী ব্যাংক পিএলসি তার প্রায় ২.৪৭ কোটি গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে দেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মান উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে।

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:০৬

আরইউ বলেছেন:



নাহল,
এভাবে এই আই দিয়ে লিখে নিজকে নতুক নকিবের পর্যায়ে নামিয়ে আনবেন না দয়াকরে। নিজের মত করে, নিজের ভাষায় লিখুন।
ভালো থাকুন।

২| ২৫ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ রাত ১০:২৭

সৈয়দ কুতুব বলেছেন: এটা কি নতুন করে পরিচয় করে দেয়ার দরকার আছে ? আশা করি পিকেবি নিয়ে লিখবেন । পিকেবি চিনে বলে এখানে কেউ মনে হয় না ।

৩| ২৬ শে সেপ্টেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:০২

রাজীব নুর বলেছেন: ওকে।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.