![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমি ধার্মিক। আমি সব কিছু ধর্মগ্রন্থ অনুযায়ী বিচার বিশ্রেশণ করি। আমি সামাজিক রীতিনীতি, সমাজিক কু সংস্কার, আবেগ দিয়ে কোন কিছু বিচার করি না।
“রাস্তার দারেই সরকারি জায়গায় একটি কলাগাছ ছিল। কিছুদিন আগেই গাছে কলা ধরেছে। বিষয়টা ঘোর আলাপন-আলোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। লোকজন বলে, ‘এটা যে সরকারি জায়গা, তাই এর মালিক কোনো এক ব্যক্তি নয়—পুরো জাতির। সুতরাং যে কলাগুলো লেগে আছে, তাদের দাবিদার তো ১৮ কোটি মানুষ।’
এই রকম হাস্যকর কল্পনা শুনলে প্রথমে হেসে উঠতেই ইচ্ছে করে—কিন্তু বেশি দূরে যাওয়ার দরকার নেই; এখানে এক গভীর বার্তাও লুকিয়ে আছে। রাস্তার ধারে লেটে থাকা একটি গাছের ফল যদি ‘সবার’ বলা হয়, তাহলে বাস্তবে আমরা কেমনভাবে ‘সার্বভৌম সম্পদ’ এবং সাধারণ স্বার্থকে দেখি তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়।
প্রথমত—সরকারি জমি বা জনগণের সম্পদের অনৈতিক ব্যবহার প্রতিকূল: সরকারি জায়গা মানে ব্যক্তিগত অধিকার নয়; এটি সবার। তাই কেউ যদি ব্যক্তিগত স্বার্থে সেখান থেকে কিছু নিয়ে নেন, সেটি আইনগত ও নৈতিকভাবে ঠিক নয়। কিন্তু সেটা সামলানোর উপায়ও আছে—শৃঙ্খলা, পরিচর্যা এবং ঠিকঠাক ব্যবস্থাপনাই সমাধান।
দ্বিতীয়ত—সবার জন্য যা সবার, সেটাকে ‘সবার’ বলা আর বাস্তবে সবার জন্য কাজে লাগানো—এগুলি আলাদা। ১৮ কোটি মানুষের হাতে কলা ভাগ করে দেওয়া হাস্যরসাত্মক কল্পনা হলেও অর্থনীতি ও বাস্তবতায় কাজ করতে গেলে যথাযথভাবে সিদ্ধান্ত নিতে হয়—কারা সেটা দেবে, কিভাবে বণ্টন হবে, আইনি বাধা কী কী। যদি সত্যিই এমন কোনো ফলমূল বিচিত্রভাবে 'সামাজিক সম্পদ' ধরেই রাখা হয়, তবে স্থানীয় প্রশাসন বা বিশিষ্ট কমিটি গঠন করে নির্ধারিত নিয়মে বিতরণ করা উচিত।
তৃতীয়ত—এই কাহিনী আমাদের আত্মসমালোচনার আমন্ত্রণ জানায়। আমরা কি প্রতিটি ‘সাধারণ’ বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে দেখভাল করি? রাস্তা, গাছ, শৌচাগার, ল্যাম্পপোস্ট — এগুলো সবার হলেও সবার দেখভালের মধ্যে প্রায়ই অবহেলা দেখা যায়। এক সময় এমন অবহেলা বড় সমস্যায় পরিণত হয়। তাই নিজেদের চারপাশের সরকারি সম্পদ রক্ষায় এগিয়ে আসাই সবথেকে প্রবল সমাধান।
শেষে—a little humor goes a long way। ‘১৮ কোটি মানুষকে কলা ভাগ করে দিন’—এটাকে আমরা হাসি-ঠাট্টায় দিয়ে ফেলতে পারি, কিন্তু কথাটার যে শিক্ষণীয় দিক আছে তা উপেক্ষা করা ঠিক হবে না। আইন মেনে, ন্যায় মেনে, নিয়ম করে এবং একে অপরকে সম্পদ রক্ষায় সহযোগী করে আমরা ছোট ছোট সমস্যাগুলোই সোজা করে দিতে পারি।
তাই পরামর্শ—যদি রাস্তার ধারের কোনো গাছে ফল ধরে এবং সেটা সরকারি জমি হয়, তাহলে স্থানীয় কর্তৃপক্ষকে জানান, সবাই মিলে সেই সম্পদের যত্ন নিন, এবং আইন সম্মতভাবে সিদ্ধান্ত নিন—নাহলে ‘কলাটা ১৮ কোটি মানুষের’ এই কথা শুধু মজার কৌতুকেই শেষ হয়ে যাবে।”
২| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:৫৯
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: পড়লাম ।
৩| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ বিকাল ৪:৩৭
জেনারেশন একাত্তর বলেছেন:
ভবের চরের মানুষজন আপনার মতোই বুদ্ধিমান।
ব্লগার সত্যপথিক রবোটিক ডিজাইনের লোকজনকে চাকুরী দিচ্ছ, মাসিক বেতব ৫ লাখ টাকা।
৪| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ সন্ধ্যা ৭:১৩
বিজন রয় বলেছেন: আঠারো কোটি জনগণকে সবাই কলা দেখায়।
৫| ০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ রাত ৮:৩৯
আলামিন১০৪ বলেছেন: নতুন ট্রেনের সীট ব্লেড দিয়ে এফোর-ওফোর করে দিয়ে যায় যে বাঙালী সে বাঙালীকে দিয়ে সরকারী সম্পদ রক্ষা হবে? ইংরাজরা গবেষণা করে বিভিন্ন এলাকার মানুষদের চরিত্র ব্যবচ্ছেদ করেছে। সেখানে মন্দ বই ভালো কিছু নেই। আচ্ছা আমরা কি বরাবর এরকমটা ছিলাম? পুরনো ইতিহাস কী বলে? ইবনে বতুতা নাকি বাংলাকে দোযখ-ই-পুর নিয়ামত আখ্যা দিয়েছিলেন। এ দেশের নৃতত্ত্ব নিয়ে কি কেউ লিখেছেন? এখানকার প্রায় সবাই নাকি নিচু শ্রেণীর হিন্দু ছিল, সেটার রেশ কি এখনো রয়ে গেছে?
৬| ০২ রা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১:২৯
রাজীব নুর বলেছেন: পোষ্টে আবার এলাম। কে কি মন্তব্য করেছেন সেটা জানতে।
©somewhere in net ltd.
১|
০১ লা অক্টোবর, ২০২৫ দুপুর ১২:৫৪
রাজীব নুর বলেছেন: মেট্রোরেলের মালিক কি জনগন না সরকার?