"লিমিট শেষ তো লাইন কাট।"

২০ শে এপ্রিল, ২০১৩ বিকাল ৫:৫০

আমার কাছে উস্কানিদাতা হিসেবে এখন হিন্দুদের খুব বেশি দায়ী বলে মনে হয়।

অনেকেই ভিন্নমত পোষণ করতে পারেন। বা আমার ধারনা যে পুরো ঠিক তাও মানবেন না। কারন সবাই তাদের মত করে চিন্তার অধিকার আছে।

কথা হচ্ছে, জামাত বা অন্য কেউ এই হিন্দু সম্প্রদায়ের উপর খেপল কেন? নিশ্চয়ই কিছু না কিছু আছে।

গত ৪-৫ মাস আগে থেকেই আমার বিশ্ববিদ্যালয়ের অনেক বন্ধুকে (অন্য ধর্মের) দেখছি খুব জ্ঞানী হয়ে যেতে। জামায়াত বা ইসলামী দলগুলোকে নিয়ে লিখতে গিয়ে অনেক বেশি সাংঘর্ষিক অবস্থান নিয়েছে ইসলামের বিরুদ্ধে। সেক্ষেত্রে আমার যদি তাদের গালে ২-১ টা থাপ্পড় দেয়ার ইচ্ছে জাগে সেটাকে কি সাম্প্রদায়িকতা উস্কে দেয়া বলা হবে?

আমার কথা বাদ দিলাম, যারা মাঠের রাজনীতি করে তাদের চান্দি তো সবসময় গরম। তারা যদি এমন কাজের জন্য ঐ রকমের কাউকে পিটায় তাহলে কি তাদের সাম্প্রদায়িক মনোভাবের পরিচয় বহন করবে?

উল্লেখ্য, আমার এক বন্ধু (হিন্দু) গতকাল ফেবুতে লিখেছে – “রাজৈরে মন্দিরে আগুন, কারন ওটা নাস্তিকদের মন্দির”। কি কথারে বাপ! মন্দিরের সাথে নাস্তিকতার কি সম্পর্ক? কেনইবা তার এমন আবাল মার্কা স্ট্যাটাস!

শুধু এটা না। আরো অনেক ধরনের মন্তব্য উনি করে থাকেন। আমার অনেক বন্ধু তাকে সতর্ক করেও নিবৃত হয়েছে। এখন কেউ যদি ঐ বন্ধুকে ধোলাই দেই আমি তো খুশি হব। আশ্চর্য হলেন? আমাকে সাম্প্রদায়িক মনোভাবের কেউ মনে করছেন?

এই ক্ষেত্রে হতে রাজী আছি। মাহমুদুর রহমান যদি স্কাইপি সংলাপ প্রকাশের কারনে গ্রেফতার বা দায়ি হতে পারেন, সেক্ষত্রে আমি ঐ হিন্দুদেরও দায়ি করতে পারি। তারা নিজেরাই নিজেদের পায়ে কুড়াল মারছেন। উস্কানিদাতা হিসেবে তাদের ভুমিকা কি একেবারেই নগন্য?

শেষ কথা, “লিমিট শেষ তো লাইন কাট।“

২ টি +১/-০