![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
ডা জাকির নায়েক সাহেবের মতামত হচ্ছে
“বিনা অযুতে কুরআন স্পর্শ করা জায়েয”
জাকির নায়েক বলেন, “অনেক মুসলমান আছে যারা মনে করেন পবিত্র কুরআন কোন অমুসলিমকে দেয়া যাবে না। এ ক্ষেত্রে সূরা ওয়াকিয়ার আয়াত নং ৭৭-৮০ কে দলীল হিসেবে পেশ করেন।
ইরশাদ হচ্ছে-
إِنَّهُ لَقُرْآنٌ كَرِيمٌ (৭৭) فِي كِتَابٍ مَكْنُونٍ (৭৮) لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ (৭৯)
“নিশ্চই পবিত্র কুরআন সবচে সম্মানিত, যা অত্যন্ত সুরক্ষিত এবং অপবিত্র অবস্থায় স্পর্শ নিষিদ্ধ।” (সূরা ওয়াকিয়া-৭৭-৭৯)
এর মর্মার্থ হিসেবে তারা ধরেই নেন যে, পবিত্র কুরআন পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ অননুমোদিত। এটা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত ধারণা। আরবি শব্দ كِتَابٍ مَكْنُونٍ দ্বারা এ পৃথিবীতে ও আমাদের সামনে যে কুরআন রয়েছে তা নির্দেশিত হয়নি, আবার ْمُطَهَّرُونَ দ্বারা কেবল পরিচ্ছন্নতাই বুঝানো হয়নি। প্রকৃত পক্ষে যদি তা-ই হতো তবে যে কোন অমুসলিম মার্কেটে যেত আর ৮০ থেকে ১০০ টাকায় একটি কুরআন খরিদ করতো এবং কুরআনকে মিথ্যা প্রমাণিত করার প্রয়াস পেত। কেননা অর্থ করা হয়ে থাকে যে, অপবিত্র ব্যক্তি এটা স্পর্শ করতে পারবে না। আসলে এখানে যা বলা হয়েছে তার মর্মার্থ হচ্ছে, পবিত্র কুরআন ‘লাওহে মাহফুজে’ সংরক্ষিত আছে আর ঐ সংরক্ষিত কুরআনটি ফেরেশতা ব্যতিত অন্য কোন অপবিত্র ও লৌকিক বস্তু কোনভাবেই স্পর্শ করতে পারবে না”। (লেকচার সমগ্র খ:২ পৃ:৬২৫-৬২৬, সংকলন মো: রফিকুল ইসলাম, পিস পাবলিকেশন ঢাকা)
সঠিক ফতোয়া.
অযু ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় ক্রুআন স্পর্শ করা জায়েয নেই
জাকির নায়েক সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা বৈধ। তা মূলত ইবনে হাজম জাহেরী ও মাও মওদুদী সাহেবের মতামতকেই তিনি নিজের গবেষণার নামেই চালিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চার মাযহাবের সকল ইমামদের ফতোয়া এবং সাহাবা ও তাবেয়ীনদের মত হচ্ছে, বিনা অযুতে কুরআন স্পর্শ করা অবৈধ। সূরায়ে ওয়াকিয়া এর উপরোক্ত আয়াতই এ ফতোয়ার মূল দলীল।
উক্ত আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-
لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ (৭৯)
অর্থাৎ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া এ পবিত্র কুরআনকে কেউ স্পর্শ করবে না।
এ আয়াত মূলত যদিও ফেরেশতা ও লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআনের ক্ষেত্রেই অবতীর্ণ বলে আয়াতের শানে নুযুল দ্বারা বুঝা যায়। কিন্তু উসূলে ফিকহের নীতিমালা হচ্ছে-
"العبرة لعمرم اللفظ لا بخصوص السبب"
অর্থাৎ আয়াতে শব্দের ব্যাপকতাই ধর্তব্য হয়, শানে নুযুলের উপর বিধান স্বীমিত থাকেনা। এ কারণে হুকুমটি দুনিয়ার জগতে মানুষের হাতের নাগালে যে কুরআন রয়েছে তার ব্যাপারেও প্রযোজ্য। কেননা এ আয়াতে দুটি শব্দ লক্ষণীয়।
এক. ( لَا يَمَسُّ ) স্পর্শ করা যাবে না। দুই. ( إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ ) একমাত্র পবিত্ররা ছাড়া। দুটি শব্দই ব্যাপক। শুধু ফেরেশতার ক্ষেত্রে হুকুমটি সীমাব্ধ থাকলে শব্দটি এভাবে বর্ণিত হতো না; বরং لا يصل اليه এবং الا الملائكة অর্থাৎ ফেরেশতা ছাড়া লাওহে মাহফুজে অন্য কেউ পৌছতে পারবে না, এভাবে বর্ণিত হতো। কিন্তু এভাবে শব্দ বিন্যাস না করে উক্ত আয়াতে ‘পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করবে না’ এমন বাক্য প্রয়োগ করে আল্লাহ তায়ালা যে কোন অপবিত্র মানুষের জন্য এ দুনিয়ার কুরআননের কপি যে স্পর্শ করা অবৈধ, তা বুঝিয়েছেন। এটাই সাহাবা, তাবেয়ীন ও চার মাযহাবের ইমামদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। ব্যতিক্রম শুধু ইবনে হাজম ও আবুল আলা মওদুদী সাহেব। তাদের যুক্তি হলো, কুরআন পড়া, যিকির করা নেক কাজ, তা যেমন বিনা অযুতে করা যায়। কুরআন স্পর্শ করাও ভাল কাজ তাই অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না কেন? (বিস্তারিত জানতে পড়–ন মুহাল্লা "محلى لابن حزم" মাসআলা নং১১৬)
কিন্তু এ যুক্তি যে একেবারেই ভুল তা স্পষ্ট। কারণ এ যুক্তি হিসাবে একথাও বলা যেতে পারে যে, নামায পড়াও তো ভাল কাজ, তাহলে অযু ছাড়া নামায পড়া অবৈধ হবে কেন?
মাও. মওদুদী সাহেবও স্ববিস্তারে তার তাফহীমুল কুরআনে পরিস্কারভাবে লিখেছেন যে, উক্ত আয়াত দ্বারা অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না একথা প্রমাণিত হয় না। অথচ চার মাযহাবের সকল ইমামগণের মতামত হলো, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। (তাফহীমুল কুরআন খ: ৫, পৃ:২৯২)
অধিকন্তু ডা. জাকির নায়েক একটি উদ্ভট উক্তি করেছেন। যার সারসংক্ষেপ হলো, অমুসলিমরা এমনিতেই অপবিত্র। যদি অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা না যায়, তাহলে কোন অমুসলিম ব্যক্তি ৮০-১০০ টাকা দিয়ে কুরআনের একটি কপি ক্রয় করে হাতে নিলে আয়াতের মর্ম ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে। তাই এ অর্থ করা যাবে না।
কতবড় অজ্ঞ লোকের পক্ষে এ কথাটি বলা সম্ভব তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আয়াতের প্রকৃত মর্ম হচ্ছে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে গেলে যে অক্ষম হয়ে যাবে বা তার হাত বিকল হয়ে পড়বে, কখনো সে স্পর্শ করতে সক্ষম হবে না, এমনটি নয়; বরং এটা ডা. জাকির নায়েকের এ আয়াত নিয়ে উপহাস বা ধৃষ্টতা। এ কথা সকলেই বুঝে যে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না। এর অর্থ হচ্ছে, স্পর্শ করা নিষেধ বা অবৈধ। এটা কি কোন দলীল দ্বারা বুঝানোর প্রয়োজন আছে? এমন হাস্যকর উক্তি ডা. সাহেবের মত একজন ডাক্তারী বিদ্যায় অভিজ্ঞ লোকও যে করতে পারে চিন্তাও করা যায় না।
সারকথা, জাকির নায়েকের উক্ত ফতোয়া সাহাবা ও তাবেয়ীন এবং মুজতাহিদ ইমামগণ যথা চার মাযহাবের ইমামদের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এবং তার ফতোয়া মূলত লা-মাযহাবীদের প্রবর্তক ইবনে হাজম জাহেরী ও জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী সাহেবের স্পষ্ট উকালতী।
এ ধরনের বহু ফিকহী বিষয়ে তিনি মওদুদী সাহেব ও লা-মাযহাবীদের উকালতী করেই যাচ্ছেন। (তুহফাতুল আল মাঈ শরহে তিরমিযী:১/৫১-৫২)
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৩৯
আল ইনসাফ বলেছেন: নিচের পোষ্টটি গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ুন, তারপর মন্তব্য করুন .....................
অযু ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা জায়েয নেই
ডা. জাকির নায়েক সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা বৈধ। তা মূলত ইবনে হাজম জাহেরী ও মাও. মওদুদী সাহেবের মতামতকেই তিনি নিজের গবেষণার নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চার মাযহাবের সকল ইমামদের ফতোয়া এবং সাহাবা ও তাবেয়ীদের মত হচ্ছে- বিনা অযুতে কুরআন স্পর্শ করা অবৈধ। সূরায়ে ওয়াকিয়া এর উপরোক্ত আয়াতই এ ফতোয়ার মূল দলীল।
উক্ত আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-
لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ (৭৯)
অর্থাৎ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া এ পবিত্র কুরআনকে কেউ স্পর্শ করবে না। (সূরা ওয়াকিয়া-৭৯)
এ আয়াত মূলত যদিও ফেরেশতা ও লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআনের ক্ষেত্রেই অবতীর্ণ বলে আয়াতের শানে নুযুল দ্বারা বুঝা যায়। কিন্তু উসূলে তাফসীরের নীতিমালা হচ্ছে-
"العبرة لعمرم اللفظ لا بخصوص السبب"
অর্থাৎ আয়াতে শব্দের ব্যাপকতাই ধর্তব্য হয়, শানে নুযুলের উপর বিধান সীমিত থাকে না। এ কারণে হুকুমটি দুনিয়ার জগতে মানুষের হাতের নাগালে যে কুরআন রয়েছে তার ব্যাপারেও প্রযোজ্য। কেননা এ আয়াতে দুটি শব্দ লক্ষণীয়।
এক. ( لَا يَمَسُّ ) স্পর্শ করা যাবে না। দুই. (إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ) একমাত্র পবিত্ররা ছাড়া। দুটি শব্দই ব্যাপক। শুধু ফেরেশতার ক্ষেত্রে হুকুমটি সীমাব্ধ থাকলে শব্দটি এভাবে বর্ণিত হতো না; বরং لا يصل اليه এবং الا الملائكة অর্থাৎ ‘ফেরেশতা ছাড়া লাওহে মাহফুজে অন্য কেউ পৌছতে পারবে না’ এভাবে বর্ণিত হতো। কিন্তু এভাবে শব্দ বিন্যাস না করে উক্ত আয়াতে ‘পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করবে না’ এমন বাক্য প্রয়োগ করে আল্লাহ তায়ালা যে কোন অপবিত্র মানুষের জন্য এ দুনিয়ার কুরআননের কপি যে স্পর্শ করা অবৈধ, তা বুঝিয়েছেন। এটাই সাহাবা, তাবেয়ীন ও চার মাযহাবের ইমামদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। ব্যতিক্রম শুধু ইবনে হাজম ও আবুল আলা মওদুদী সাহেব। তাদের যুক্তি হলো, কুরআন পড়া, যিকির করা নেক কাজ, তা যেমন বিনা অযুতে করা যায়। কুরআন স্পর্শ করাও ভাল কাজ তাই অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না কেন? (বিস্তারিত জানতে পড়–ন মুহাল্লা "محلى لابن حزم" মাসআলা নং১১৬)
কিন্তু এ যুক্তি যে একেবারেই ভুল তা স্পষ্ট। কারণ এ যুক্তি হিসাবে একথাও বলা যেতে পারে যে, নামায পড়াও তো ভাল কাজ, তাহলে অযু ছাড়া নামায পড়া অবৈধ হবে কেন?
মাও. মওদুদী সাহেবও স্ববিস্তারে তার তাফহীমুল কুরআনে পরিস্কারভাবে লিখেছেন যে, উক্ত আয়াত দ্বারা অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না একথা প্রমাণিত হয় না। অথচ চার মাযহাবের সকল ইমামগণের মতামত হলো, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। (তাফহীমুল কুরআন খ: ৫, পৃ:২৯২)
অধিকন্তু ডা. জাকির নায়েক একটি উদ্ভট উক্তি করেছেন। যার সারসংক্ষেপ হলো, অমুসলিমরা এমনিতেই অপবিত্র। যদি অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা না যায়, তাহলে কোন অমুসলিম ব্যক্তি ৮০-১০০ টাকা দিয়ে কুরআনের একটি কপি ক্রয় করে হাতে নিলে আয়াতের মর্ম ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে। তাই এ অর্থ করা যাবে না।
কেমন অজ্ঞ লোকের পক্ষে এ কথাটি বলা সম্ভব তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আয়াতের প্রকৃত মর্ম হচ্ছে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে গেলে যে অক্ষম হয়ে যাবে বা তার হাত বিকল হয়ে পড়বে, কখনো সে স্পর্শ করতে সক্ষম হবে না, এমনটি নয়; বরং এটা ডা. জাকির নায়েকের এ আয়াত নিয়ে উপহাস বা ধৃষ্টতা। এ কথা সকলেই বুঝে যে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না। এর অর্থ হচ্ছে, স্পর্শ করা নিষেধ বা অবৈধ। এটা কি কোন দলীল দ্বারা বুঝানোর প্রয়োজন আছে? এমন হাস্যকর উক্তি ডা. সাহেবের মত একজন ডাক্তারী বিদ্যায় অভিজ্ঞ লোকও যে করতে পারে চিন্তাও করা যায় না।
সারকথা, জাকির নায়েকের উক্ত ফতোয়া সাহাবা ও তাবেয়ীন এবং মুজতাহিদ ইমামগণ যথা চার মাযহাবের ইমামদের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এবং তার ফতোয়া মূলত লা-মাযহাবীদের প্রবর্তক ইবনে হাজম জাহেরী ও জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী সাহেবের স্পষ্ট ওকালতী।
এ ধরনের বহু ফিকহী বিষয়ে তিনি মওদুদী সাহেব ও লা-মাযহাবীদের ওকালতী করেই যাচ্ছেন। (তুহফাতুল আলমায়ী শরহে তিরমিযী:১/৫১-৫২)
২| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
কাবিল বলেছেন: ডিজিটাল কোরআনা কি পড়া যাবে অজু ছাড়া?
৩| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৮
আমি বন্দি বলেছেন:
৪| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৯
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: আমার মতে তিনি সঠিক বলেছেন। কোরানকে ভয় পাবার কিছু নাই। কোরান ভালো করে জানতে হলে পড়তে হবে। প্রতিবার অযু করে পড়তে পারলে ভালো তবে না পড়তে পারলেও ক্ষতি কিছু নাই। কারন যে কোন পবিত্র বইই মানুষ তুলনামুলকভাবে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন হয়ে পড়ে।
যুগে যুগে কোরানকে বুকসেলফের সবচেয়ে উঁচু তাকে রাখতে গিয়ে এমন সম্মান দিসে মুসলিমরা যে তা পড়ার জন্য হাত বাড়ালেও পাওয়া যায় না। আর অযত্নে অবহেলায় কোরানে পড়ে ধুলা।
ডাঃ জাকির ইসলামের অনেক কট্টর ভ্রান্ত ধারনাকে ধুর করে দিচ্ছেন, ফলে অনেক কট্টরবাদীই তাকে পছন্দ করছেন না। এটাই স্বাভাবিক।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৪৯
আল ইনসাফ বলেছেন: আরে ভাই ! আপনার বুঝ তো আপনার কাছে সঠিক, মানলাম। কিন্তু যিনি কুরআন নাযিল করেছেন তিনি তা পড়ার গাইড লাইনও বাতলে দিয়েছেন, তাহলো- আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে বলেছেন-
لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ (৭৯)
অর্থাৎ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া এ পবিত্র কুরআনকে কেউ স্পর্শ করবে না। (সূরা ওয়াকিয়া-৭৯)
এখন আমরা যদি আল্লাহর কুরআন আল্লাহর গাইড লাইনের ব্যতিক্রম ভাবে গ্রহণ করি তাহলে তো কুরআন মানতে কুরআনেরই বিরোধীতা হয়ে গেলো।
তাই ভাই আপনাকে হৃদয় থেকে বলছি বিষয়টা মন থেকে বুঝার চেষ্টা করুন।
৫| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:২৫
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: যাহ, অমুসলিমদের লাইগা কোরান পড়া বন্ধ কইরা দিলেন? যে বিলিভ করেনা কোরানের কথায় সে অজু কইরা কেন কোরান পড়তে যাবে? আবার যদি কোন অমুসলিম কোরান নাই পড়ে তাইলে বুঝবে ক্যামনে? আবার ডিজিটাল কোরানের ব্যাপারে আপনাগো ফতোয়া কি?
৬| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৫৮
মোয়ােজজম হোেসন বলেছেন: ভাই কোরান তো শুধু মুসলিমদের জন্য নয়।সমসত মানুষের জন্য। তাহলে অমুসলিমগন কিভাবে কোরান পড়বে।
৭| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১:৫৫
সামুরাই_কাতানা বলেছেন: জাকির নায়েকের ফতোয়া দেওয়ার অধিকার নাই। কারন তিনি সেই যোগ্যতা অর্জন করেন নাই। কিন্তু তিনি ফতোয়া দেওয়ার মতো সেই অনধিকার কাজটা করে থাকেন। অবশ্য এইসব বলে লাভ নেই কারন যারা জাকির নায়েক কে পছন্দ করেন তারা কখনো এটা মানবে না আপনি যতই বুঝান তাদেরকে বুঝান। এরা কিছুটা ভন্ড পীর ভক্তদের মতো। যতই বলেন আপনার পীর ঠিক না ততই তারা আপনার সাথে তর্কে লিপ্ত হবে। এরা কোন আলেমের কাছে যাবে না , নিজের যুক্তি দিয়ে ঠিক করে ফেলবে কে ঠিক আর কে বেঠিক।
৮| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:২৪
কাল্পনিক_ভালোবাসা বলেছেন: @সামুরাইঃ আপনি একজন পড়াশোনা জানা আলেমের নাম বলেন। শুনি যিনি কট্টর পন্থা বাদ দিয়ে ইসলামের সৌন্দর্য মানুষের সামনে তুলে ধরেছেন।
৯| ২৯ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৩৬
শতদ্রু একটি নদী... বলেছেন: সামুরাই মামু, কেউ কি জন্ম থাইকাই পীর হইয়া জন্মায়? খোদা মানুষরে নিজের বিচার বুদ্ধিও দিছে, সব পীরের ভরসায় রাখলে চলবে? চরমোনাই আর দেওয়ানবাগীর পিছে আর কতদিন?
১০| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:০৩
সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আমি জানি এইরকম অনেক আলেমের নাম মি: কাল্পনিক_ভালোবাসা । কিন্তু আমি কারও নাম বলবো না। আপনি নিজে খুজে নিন। কারন আপনার এই কষ্ট আপনাকে বুজতে শিখাবে কে সঠিক ।
শতদ্রু একটি নদী : আমি কোন পীরকে অনুসরন করতে বলেছি নাকি। আমি বলেছি ভন্ড পীরের ভক্তদের মতো হলো জাকির নায়েকের ভক্তরা যারা পীর যা বলেন তাই বিশ্বাস করেন যাচাই বাচাই করার পয়োজন অনুভব করনে না।
শেষ কথা বলি ড: জাকির নায়েক হলেন হাতুড়ী ডা: এর মতো হাতুড়ী আলেম । হাতুড়ী ডা: এর কাছে গেলে যে রকম ক্ষতির হওয়ার সম্ভাবনা থাকে তেমনি হাতুড়ী আলেমের কাছে গেলে রুহের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
১১| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ১২:৪৯
সাদিকনাফ বলেছেন: @ সামুরাই কাতান:
"এরা কিছুটা ভন্ড পীর ভক্তদের মতো। যতই বলেন আপনার পীর ঠিক না ততই তারা আপনার সাথে তর্কে লিপ্ত হবে। এরা কোন আলেমের কাছে যাবে না , নিজের যুক্তি দিয়ে ঠিক করে ফেলবে কে ঠিক আর কে বেঠিক"
এইকথাটা আপনার ক্ষেত্রে শতভাগ প্রযোজ্য....
১২| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:১৪
সরদার হারুন বলেছেন: আমাদের দেশে অগণীত হাফেজ আছেন কিন্তু তাদের মধ্যে খুব কম মানুষই অর্থ বোঝেন । এরা একটা কথা কেন বুঝতে চাননা যে কোর মুসআন নাজেল হয়েছে সব মানুষের জন্যই অথচ সব মানুষ মুসলমান নয় কাজে্ই যারা মুসলমান নয় তারা কেমন করে অজু করে তাও জানে না । কাজেই তারা কেমন করে কোরআন পড়বে ?
আমাদের দেশে অনেক মাওলানা সাহেবই মাতৃভাষা ভাল করে জানেন না । কেজেই বিজ্ঞান বিষয়েক আয়াত গুলি কেমন করে
বুঝবেন ?
আমি অনেক মাওলানা সাহেবকে " রব্বেল আলামিন" বা বহু সৃষ্টি জগতের প্রতি পালকের বলতে কি বোঝেন? তা বলতে তারা জীন জগৎ,ফেরেস্তা জগৎ ইত্যাদি বুঝে থাকেন ।
এই সব মাওলানারা জাকির নায়েকের সমালোচনা করে থাকেন । আসলে তিনি কি বলছেন তা বে্ঝার মত জ্ঞান তাদের নেই বিধায় এসব করেন ।
লেখায় দিলুম____________________
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:২১
আল ইনসাফ বলেছেন: জ্ঞানী হলে জ্ঞানের আলোকে বিচার করো, নচেৎ যুক্তি দিয়ে। নিচের লেখাটা গভীর মনোযোগ দিয়ে পড়ো.
অযু ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় ক্রুআন স্পর্শ করা জায়েয নেই
ডা. জাকির নায়েক সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা বৈধ। তা মূলত ইবনে হাজম জাহেরী ও মাও. মওদুদী সাহেবের মতামতকেই তিনি নিজের গবেষণার নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চার মাযহাবের সকল ইমামদের ফতোয়া এবং সাহাবা ও তাবেয়ীদের মত হচ্ছে- বিনা অযুতে কুরআন স্পর্শ করা অবৈধ। সূরায়ে ওয়াকিয়া এর উপরোক্ত আয়াতই এ ফতোয়ার মূল দলীল।
উক্ত আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-
لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ (৭৯)
অর্থাৎ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া এ পবিত্র কুরআনকে কেউ স্পর্শ করবে না। (সূরা ওয়াকিয়া-৭৯)
এ আয়াত মূলত যদিও ফেরেশতা ও লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআনের ক্ষেত্রেই অবতীর্ণ বলে আয়াতের শানে নুযুল দ্বারা বুঝা যায়। কিন্তু উসূলে তাফসীরের নীতিমালা হচ্ছে-
"العبرة لعمرم اللفظ لا بخصوص السبب"
অর্থাৎ আয়াতে শব্দের ব্যাপকতাই ধর্তব্য হয়, শানে নুযুলের উপর বিধান সীমিত থাকে না। এ কারণে হুকুমটি দুনিয়ার জগতে মানুষের হাতের নাগালে যে কুরআন রয়েছে তার ব্যাপারেও প্রযোজ্য। কেননা এ আয়াতে দুটি শব্দ লক্ষণীয়।
এক. ( لَا يَمَسُّ ) স্পর্শ করা যাবে না। দুই. (إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ) একমাত্র পবিত্ররা ছাড়া। দুটি শব্দই ব্যাপক। শুধু ফেরেশতার ক্ষেত্রে হুকুমটি সীমাব্ধ থাকলে শব্দটি এভাবে বর্ণিত হতো না; বরং لا يصل اليه এবং الا الملائكة অর্থাৎ ‘ফেরেশতা ছাড়া লাওহে মাহফুজে অন্য কেউ পৌছতে পারবে না’ এভাবে বর্ণিত হতো। কিন্তু এভাবে শব্দ বিন্যাস না করে উক্ত আয়াতে ‘পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করবে না’ এমন বাক্য প্রয়োগ করে আল্লাহ তায়ালা যে কোন অপবিত্র মানুষের জন্য এ দুনিয়ার কুরআননের কপি যে স্পর্শ করা অবৈধ, তা বুঝিয়েছেন। এটাই সাহাবা, তাবেয়ীন ও চার মাযহাবের ইমামদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। ব্যতিক্রম শুধু ইবনে হাজম ও আবুল আলা মওদুদী সাহেব। তাদের যুক্তি হলো, কুরআন পড়া, যিকির করা নেক কাজ, তা যেমন বিনা অযুতে করা যায়। কুরআন স্পর্শ করাও ভাল কাজ তাই অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না কেন? (বিস্তারিত জানতে পড়–ন মুহাল্লা "محلى لابن حزم" মাসআলা নং১১৬)
কিন্তু এ যুক্তি যে একেবারেই ভুল তা স্পষ্ট। কারণ এ যুক্তি হিসাবে একথাও বলা যেতে পারে যে, নামায পড়াও তো ভাল কাজ, তাহলে অযু ছাড়া নামায পড়া অবৈধ হবে কেন?
মাও. মওদুদী সাহেবও স্ববিস্তারে তার তাফহীমুল কুরআনে পরিস্কারভাবে লিখেছেন যে, উক্ত আয়াত দ্বারা অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না একথা প্রমাণিত হয় না। অথচ চার মাযহাবের সকল ইমামগণের মতামত হলো, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। (তাফহীমুল কুরআন খ: ৫, পৃ:২৯২)
অধিকন্তু ডা. জাকির নায়েক একটি উদ্ভট উক্তি করেছেন। যার সারসংক্ষেপ হলো, অমুসলিমরা এমনিতেই অপবিত্র। যদি অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা না যায়, তাহলে কোন অমুসলিম ব্যক্তি ৮০-১০০ টাকা দিয়ে কুরআনের একটি কপি ক্রয় করে হাতে নিলে আয়াতের মর্ম ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে। তাই এ অর্থ করা যাবে না।
কেমন অজ্ঞ লোকের পক্ষে এ কথাটি বলা সম্ভব তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আয়াতের প্রকৃত মর্ম হচ্ছে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে গেলে যে অক্ষম হয়ে যাবে বা তার হাত বিকল হয়ে পড়বে, কখনো সে স্পর্শ করতে সক্ষম হবে না, এমনটি নয়; বরং এটা ডা. জাকির নায়েকের এ আয়াত নিয়ে উপহাস বা ধৃষ্টতা। এ কথা সকলেই বুঝে যে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না। এর অর্থ হচ্ছে, স্পর্শ করা নিষেধ বা অবৈধ। এটা কি কোন দলীল দ্বারা বুঝানোর প্রয়োজন আছে? এমন হাস্যকর উক্তি ডা. সাহেবের মত একজন ডাক্তারী বিদ্যায় অভিজ্ঞ লোকও যে করতে পারে চিন্তাও করা যায় না।
সারকথা, জাকির নায়েকের উক্ত ফতোয়া সাহাবা ও তাবেয়ীন এবং মুজতাহিদ ইমামগণ যথা চার মাযহাবের ইমামদের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এবং তার ফতোয়া মূলত লা-মাযহাবীদের প্রবর্তক ইবনে হাজম জাহেরী ও জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী সাহেবের স্পষ্ট ওকালতী।
এ ধরনের বহু ফিকহী বিষয়ে তিনি মওদুদী সাহেব ও লা-মাযহাবীদের ওকালতী করেই যাচ্ছেন। (তুহফাতুল আলমায়ী শরহে তিরমিযী:১/৫১-৫২)
১৩| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৫
আরিফুর রহমান বাবুল বলেছেন: লেখক ভাইসাব কোনো কমেন্ট করছেননা কেন, বুঝলামনা। ভাই আমি আপনার মত এত বুঝিনা। আপনি কি বুঝাতে কি বুঝালেন তা আমি বুঝতেছিনা। ""অযু ছারা কোরআন ধরা নিষেধ"" ঐ মিয়া বাল........।! নিষেধ কি না তা প্রমান করেন। প্রমান না করে ডঃ জাকির নায়েকের সোনা ধরে টানছেন কেন?? ঐ বেটা ভুল বলেছে, আপনি প্রমান করেন। আপনি বড় ডঃ জাকির নায়েক হয়েযান, আপনাকে না করে কে?? তা না করে সোনা ধরে টানাটানি, ইসলামি ভাষায় গিবত কারিকে কি বলে জানেনতো???
১৪| ৩০ শে জুন, ২০১৫ দুপুর ২:৪৭
আহলান বলেছেন: ..... হঠাৎ হযরত উমর রাঃ তার বোনকে এতো জোরে চড় দিলেন যে, তার চেহারা রক্তাক্ত হয়ে গেল। ইবনে ইসহাকের বর্ণনায় এসেছে যে, তার মাথায় আঘাত লেগেছিল। তার বোন ক্রুদ্ধভাবে বললেন, উমর! যদি তোমাদের ধর্ম ছাড়া অন্য ধর্মে সত্য থাকে, তখন কি হবে? আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি যে, আল্লাহ ছাড়া কোন মাবুদ নেই এবং হযরত মুহাম্মদ সাঃ তাঁর রাসূল। একথা শুনে হযরত উমর রাঃ হতাশ হয়ে পড়লেন। বোনের চেহারায় রক্ত দেখে লজ্জাও পেলেন। তিনি বললেন, আচ্ছা, তোমরা যা পাঠ করছিলে, আমাকেও একটু পড়তে দাও। তার বোন বললেন, তুমি নাপাক। এ কিতাব শুধু পাক পবিত্র লোকই স্পর্শ করতে পারে। যাও গোসল করে আসো। হযরত উমর রাঃ গিয়ে গোসল করলেন। এরপর কিতাবের সেই অংশবিশেষ হাতে নিয়ে বসলেন এবং পড়লেন বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহীম। এরপর বললেন, এতো বড় পবিত্র নাম!
হযরত খাব্বাব রাঃ হযরত উমর রাঃ এর মুখে একথা শুনে ভেতর থেকে বাইরে এলেন এবং বললেন, উমর খুশি হও! রাসূল সাঃ বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে যে দুআ করেছিলেন, আমার মনে হয় এটা তারই ফল। এ সময়ে রাসূল সাঃ সাফা পাহাড়ের নিকটবর্তী এক ঘরে অবস্থান করছিলেন ........
এই ঘটনা থেকে কি বুঝায় .. .. !
১৫| ৩০ শে জুন, ২০১৫ বিকাল ৩:৫৩
সামুরাই_কাতানা বলেছেন: আমরা মনে হয় মূল পয়েন্ট থেকে সরে এসেছি। আমারা কোরআন শরীফ অযু ছাড়া ধরা যাবে কিনা সেটা নিয়া কথা বলছি। লেখক ভাই তো কিছূ ব্যাখ্যা দিয়েছেন। যারা জাকির নায়েক কে পছন্দ করেন তারা কিছুটা ব্যাখ্যা দিন কোরআন ও হাদীসের আলোকে যে কোরআন অযু ছাড়া ধরা যাবে কিনা। যুক্তি দিয়ে নয়।
০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:৫২
আল ইনসাফ বলেছেন: জাযাকাল্লাহ
১৬| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:২৭
ফেরদাউসুর রহমান বলেছেন: জাকির নায়েকের এই ফতোয়ার ভিডিও টা চাই। ধন্যবাদ
১৭| ৩০ শে জুন, ২০১৫ সন্ধ্যা ৬:৫৬
উদাসী স্বপ্ন বলেছেন: হায় খোদা! ইদানিংকার কাঠমোল্লারা সব ফাগল হই গেছে
১৮| ০৯ ই ডিসেম্বর, ২০১৫ দুপুর ১:১৯
আল ইনসাফ বলেছেন: অযু ছাড়া অপবিত্র অবস্থায় ক্রুআন স্পর্শ করা জায়েয নেই
ডা. জাকির নায়েক সাহেব ফতোয়া দিয়েছেন যে, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা বৈধ। তা মূলত ইবনে হাজম জাহেরী ও মাও. মওদুদী সাহেবের মতামতকেই তিনি নিজের গবেষণার নামে চালিয়ে দিয়েছেন। এ ব্যাপারে চার মাযহাবের সকল ইমামদের ফতোয়া এবং সাহাবা ও তাবেয়ীদের মত হচ্ছে- বিনা অযুতে কুরআন স্পর্শ করা অবৈধ। সূরায়ে ওয়াকিয়া এর উপরোক্ত আয়াতই এ ফতোয়ার মূল দলীল।
উক্ত আয়াতে ইরশাদ হচ্ছে-
لَا يَمَسُّهُ إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ (৭৯)
অর্থাৎ পবিত্র ব্যক্তি ছাড়া এ পবিত্র কুরআনকে কেউ স্পর্শ করবে না। (সূরা ওয়াকিয়া-৭৯)
এ আয়াত মূলত যদিও ফেরেশতা ও লাওহে মাহফুজে সংরক্ষিত কুরআনের ক্ষেত্রেই অবতীর্ণ বলে আয়াতের শানে নুযুল দ্বারা বুঝা যায়। কিন্তু উসূলে তাফসীরের নীতিমালা হচ্ছে-
"العبرة لعمرم اللفظ لا بخصوص السبب"
অর্থাৎ আয়াতে শব্দের ব্যাপকতাই ধর্তব্য হয়, শানে নুযুলের উপর বিধান সীমিত থাকে না। এ কারণে হুকুমটি দুনিয়ার জগতে মানুষের হাতের নাগালে যে কুরআন রয়েছে তার ব্যাপারেও প্রযোজ্য। কেননা এ আয়াতে দুটি শব্দ লক্ষণীয়।
এক. ( لَا يَمَسُّ ) স্পর্শ করা যাবে না। দুই. (إِلَّا الْمُطَهَّرُونَ) একমাত্র পবিত্ররা ছাড়া। দুটি শব্দই ব্যাপক। শুধু ফেরেশতার ক্ষেত্রে হুকুমটি সীমাব্ধ থাকলে শব্দটি এভাবে বর্ণিত হতো না; বরং لا يصل اليه এবং الا الملائكة অর্থাৎ ‘ফেরেশতা ছাড়া লাওহে মাহফুজে অন্য কেউ পৌছতে পারবে না’ এভাবে বর্ণিত হতো। কিন্তু এভাবে শব্দ বিন্যাস না করে উক্ত আয়াতে ‘পবিত্রতা ছাড়া স্পর্শ করবে না’ এমন বাক্য প্রয়োগ করে আল্লাহ তায়ালা যে কোন অপবিত্র মানুষের জন্য এ দুনিয়ার কুরআননের কপি যে স্পর্শ করা অবৈধ, তা বুঝিয়েছেন। এটাই সাহাবা, তাবেয়ীন ও চার মাযহাবের ইমামদের সর্বসম্মত সিদ্ধান্ত। ব্যতিক্রম শুধু ইবনে হাজম ও আবুল আলা মওদুদী সাহেব। তাদের যুক্তি হলো, কুরআন পড়া, যিকির করা নেক কাজ, তা যেমন বিনা অযুতে করা যায়। কুরআন স্পর্শ করাও ভাল কাজ তাই অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না কেন? (বিস্তারিত জানতে পড়–ন মুহাল্লা "محلى لابن حزم" মাসআলা নং১১৬)
কিন্তু এ যুক্তি যে একেবারেই ভুল তা স্পষ্ট। কারণ এ যুক্তি হিসাবে একথাও বলা যেতে পারে যে, নামায পড়াও তো ভাল কাজ, তাহলে অযু ছাড়া নামায পড়া অবৈধ হবে কেন?
মাও. মওদুদী সাহেবও স্ববিস্তারে তার তাফহীমুল কুরআনে পরিস্কারভাবে লিখেছেন যে, উক্ত আয়াত দ্বারা অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না একথা প্রমাণিত হয় না। অথচ চার মাযহাবের সকল ইমামগণের মতামত হলো, অযু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা যাবে না। (তাফহীমুল কুরআন খ: ৫, পৃ:২৯২)
অধিকন্তু ডা. জাকির নায়েক একটি উদ্ভট উক্তি করেছেন। যার সারসংক্ষেপ হলো, অমুসলিমরা এমনিতেই অপবিত্র। যদি অপবিত্র অবস্থায় কুরআন স্পর্শ করা না যায়, তাহলে কোন অমুসলিম ব্যক্তি ৮০-১০০ টাকা দিয়ে কুরআনের একটি কপি ক্রয় করে হাতে নিলে আয়াতের মর্ম ভুল প্রমাণ হয়ে যাবে। তাই এ অর্থ করা যাবে না।
কেমন অজ্ঞ লোকের পক্ষে এ কথাটি বলা সম্ভব তা আমি ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না। আয়াতের প্রকৃত মর্ম হচ্ছে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে গেলে যে অক্ষম হয়ে যাবে বা তার হাত বিকল হয়ে পড়বে, কখনো সে স্পর্শ করতে সক্ষম হবে না, এমনটি নয়; বরং এটা ডা. জাকির নায়েকের এ আয়াত নিয়ে উপহাস বা ধৃষ্টতা। এ কথা সকলেই বুঝে যে, অপবিত্র লোক কুরআন স্পর্শ করতে পারবে না। এর অর্থ হচ্ছে, স্পর্শ করা নিষেধ বা অবৈধ। এটা কি কোন দলীল দ্বারা বুঝানোর প্রয়োজন আছে? এমন হাস্যকর উক্তি ডা. সাহেবের মত একজন ডাক্তারী বিদ্যায় অভিজ্ঞ লোকও যে করতে পারে চিন্তাও করা যায় না।
সারকথা, জাকির নায়েকের উক্ত ফতোয়া সাহাবা ও তাবেয়ীন এবং মুজতাহিদ ইমামগণ যথা চার মাযহাবের ইমামদের সিদ্ধান্তের পরিপন্থি এবং তার ফতোয়া মূলত লা-মাযহাবীদের প্রবর্তক ইবনে হাজম জাহেরী ও জামাতে ইসলামীর প্রতিষ্ঠাতা মওদুদী সাহেবের স্পষ্ট ওকালতী।
এ ধরনের বহু ফিকহী বিষয়ে তিনি মওদুদী সাহেব ও লা-মাযহাবীদের ওকালতী করেই যাচ্ছেন। (তুহফাতুল আলমায়ী শরহে তিরমিযী:১/৫১-৫২)
১৯| ২৮ শে অক্টোবর, ২০১৬ রাত ১১:০৪
মুহাম্মাদ শায়েস্তা খান বলেছেন: প্রচলিত ধারণা হলো ‘ওজু ছাড়া কুরআন পড়া যাবে কিন্তু স্পর্শ করা যাবে না’। অর্থাৎ ওজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা গুনাহ কিন্তু পড়া গুনাহ নয়। আর ‘ওজু ছাড়া কুরআন স্পর্শ করা গুনাহ’ এ ধারণার মূল উৎস হলো সূরা ওয়াকীয়ার ৭৯ নং আয়াতের অসতর্ক ব্যাখ্যা।
কিন্তু সূরা ওয়াকীয়া/৫৬ : ৭৭-৮১, নাহল/১৬ : ৯৮ ইত্যাদি, অনেক সহীহ হাদীস এবং Common sense-এর আলোকে নিশ্চিতভাবে জানা যায় যে- ওজু ছাড়া কুরআন পড়া বা স্পর্শ করা নিষেধ বা গুনাহ নয়। কিন্তু গোসল ফরজ অবস্থায় কুরআন পড়া ও স্পর্শ করা উভয়টি নিষেধ
©somewhere in net ltd.
১|
২৯ শে জুন, ২০১৫ সকাল ১১:৪৯
রাগীনি বলেছেন: আপনি কোথা থেকে মাওলানা ডিগ্রি লাভ করেছেন তা কি একটু বলবেন? আপনি কি নিজে ডাঃ জাকির নায়েক এর লেকচার শুনেছেন? তিনি কি বলেছেন তা আপনার ক্ষুদ্র জ্ঞান এ ধরবে না।