নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

যাযাবর মন: একজন সাদাসিধা মানুষ

বাংলা ভাষায় ঈ, ঊ, ূ, ী, ণ, ষ এর মত নিয়ম সর্বস্ব বর্ণগুলোর পৃথক কোন ব্যবহারিক ধ্বনি নাই

মন যাযাবর

খুবই সাধারণ, একটু আবেগপ্রবন, স্সানবিশেষে খানিকটা গোয়ারর্তুমিও আছে

মন যাযাবর › বিস্তারিত পোস্টঃ

তসলিমা নাসরিন যার সম্পুর্ণ নিজস্ব দর্শন হচ্ছে "জরায়ু'র স্বাধিনতা" এবং . . .

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:০৩



এক বন্ধুর ফেসবুকে "নারীর দেশ" নামে একজনের প্রোফাইল পেলাম। অনেক আগে দেখা তসলিমা নাসরিনের ছবির সাথে মিল চোখে পড়ল। আমার প্রোফাইল লিস্ট'এ তাকে যোগ করে নিলাম। প্রোফাইল-ইনফো-স্ট্যাটাস দেখে মনে হল না যে তসলিমা নিজে এটা অপারেট করেন। তবুও সেটা তাকে রিপ্রেজেন্ট করছে এবং এ ব্যাপারে কোন অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি। তাই ধরে নেয়া যায় ওটা তাঁরই প্রোফাইল।



তার জন্য এই লেখা - আমি তাকেই উৎসর্গ করলাম।

যতদুর জানি, তসলিমা আপনি চল্লিশ অতিক্রম করেছেন। চেহারার এই লাবণ্য কিভাবে ধরে রেখেছেন?! একটু জানাবেন আপা? আপনি চিকিৎসক - কোন গোপন চিকিৎসা পদ্ধতি নয় তো। আর কার জন্যইবা নয়নাভিরাম এই মুখশ্রী??!! রুদ্র গেল, নাইমুর গেল, মিনার গেল, কোন এক বিদেশীও ছিল বলে শুনেছি ..... এগুলো তো অফিসিয়াল, আনঅফিসিয়ালটা না হয় আনঅফিসিয়ালই থাক।

এগুলো নিয়ে আপনি সরাসরি কথা বলেন, তাই এভাবে বলা। তবে যাই বলেন বা নিন্দুকেরা যতই নিন্দা করুক বিয়ের বাজারে আপনার এখনো দারুন চাহিদা রয়েছে - এটা আমি হলপ করেই বলতে পারি।



আমি বউরে ডরাই, নইলে আপনি রাজি থাকুন আর নাই থাকুন আপনারে একটা প্রস্তাব আমি দিতামই - এই ঘুনে ধরা সমাজের নিয়মের ভিতর বা বাহির যাই থাকুক। আর নিয়মের বেড়াজালের আপনি থোরাই কেয়ার করেন। আপনার একটা দর্শন খুব চমকপ্রদ - জরায়ুর স্বাধিনতা। আপনার জরায়ুতে আপনি যাকে খুশি তার বীজই বহন করবেন এতে কার কি?



বউরে ডরাই বলে, নইলে "জরায়ুর স্বাধিনতার" কথা আপনি যেভাবে প্রচার করেছিলেন; আপনি রাজি থাকলে আমি একবার সুযোগ নেয়ার চেষ্টা করতামই। আহা আপনার মত অনিন্দ্য সুন্দরীরা সবাই যদি এই দর্শনের অনুসারী হোত তো সমাজ থেকে ধর্ষণ অনেক কমে যেত।



আপনার আন্দোলন কিন্তু কিছুটা হলেও সফল হয়েছে; দেখলেন না বউ আমারে ডরায় না; আমিই বউরে ডরাই। তবে সে যদি আপনার দর্শনের অনুসারী হোত তো আমিও দু-একটা সুযোগ নিতে পারতাম। দুঃখ সে আপনার অনুসারী না। দুনিয়ার তাবৎ সব সুন্দরীরা আপনারা বউ বা বান্ধবী যাই হোন, তসলিমা নাসরিনের "জরায়ু'র স্বাধিনতা" দর্শনের অনুসারী হোন। আর সমাজকে ধর্ষণ-মুক্ত করুন।

ভাল থাকুন, আপা।

মন্তব্য ৪২ টি রেটিং +১১/-৯

মন্তব্য (৪২) মন্তব্য লিখুন

১| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:২১

ট্যামটেমি বলেছেন: ভাই, উনার জরায়ুর স্বাধীনতা ভোগ করনের জন্য খালি ঝাপাইয়া পড়লে হইবো না, চার কন্যায় পইড়া দেখেন একজনের অর্গাজমের জন্য ১ ঘন্টা টাইমিং লাগবে, আছে তো সেই হিম্মত? না হইলে তো আবার আপনিও তার রোষানলে পতিত হইবেক। উনার সবচেয়ে বড় যে আকাঙ্খা সেটা হইল উনার যতক্ষণ টাইমিং দরকার অরথাত টিল অর্গাজম আপনাকে টিকে থাকতে হবে এবং যতবার দরকার ততবার তাকে টিল অর্গাজম নিতে হইবে, তাতে আপনার অংগে যদি বাশের বাতা বাধার দরকার হয় তাতেও সমস্যা নেই। বুঝলাইন......অতএব সাধু সাবধান....এইসব ভুইলা যান....যা কইসেন কইসেন আর কইএন না।

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৩

মন যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ।
এইজন্যই কি আপনি এরকম বাঁকা [আপনার অংগ বাঁশের বাতা সোজা করে রাখার ফল] হয়ে আছেন।
গিয়েছিলেন নাকি ভাই তার কাছে।
জী, আমি ধরেছি সোজা হয়ে দাড়ান।

২| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:২৬

জেবাল বলেছেন: তাসলিমা নাসরিন যা বলেছে তার বেশিরভাগ ই মেয়েরা ঘৃনা করে। আমি আমার সহপাঠিদের সাথে আলাপ করেছি, তারা নিজেরাই বলে নিজের শরীর বিলিয়ে দেবার মধ্যে কোনো সার্থকতা নেই।

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৫

মন যাযাবর বলেছেন: জী জেবাল, এটাই হয় - বিশ্বাসে কারো ফাঁক থাকলে সেটা এক সময় না একসময় ধরা পড়ে।

৩| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

অরণ্যচারী বলেছেন: পুরুষাঙ্গের স্বাধীনতা তো অনেক ভোগ করা হইল।

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৬

মন যাযাবর বলেছেন: তাই বুঝি?

৪| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩১

দেবজিত বলেছেন: ভাইজান আর একটু শালীন হইলে ভালা লাগত

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৭

মন যাযাবর বলেছেন: একজন একটা দর্শনে বিশ্বাস করে; আমি কেবল তা বর্ননা করলাম মাত্র।

৫| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৩৯

আখতার ০১৭৪৫ বলেছেন: আপনি কাকে শালীন হতে বলছেন। শালীন কি বুঝে। এরা কি মানুষ। একজন লেখকে কিভাবে লিখতে হয় বা বলতে হয় তা তারা-------। আমরা বলে সভ্য জাতি কোথায় আমাদের সভ্যতা------?

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:১০

মন যাযাবর বলেছেন: একজন একটা দর্শনে বিশ্বাস করেন; আর সেটা অপরজন বর্ননা করলেই অশালীন হয়ে যায়। তাই কি?!

৬| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৪৬

দ্যা ডেডলক বলেছেন: আসুন আমরা সবাই ভদ্র হই

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:১৪

মন যাযাবর বলেছেন: এই ভদ্রতা কি কেবলমাত্র আমাদের মত সাধারনদের জন্য? প্রতিষ্ঠিতরা কি তার আওতায় পড়েন না।
বিখ্যাত মানুষ তসলিমা বা হুমায়ুন আজাদ যা প্রচার বা লিখে গেছেন সেটা সেই ভাষায় আমি সাধারন মানুষ জবাব দিতে গেলেই অভদ্র হয়ে যাব। তাই না?

৭| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৫০

শিক কাবাব বলেছেন:
রবীন্দ্রনাথ, নজরুল, ফুটবলার সালাহউদ্দিন, অমিতাব বচ্চন, রুনা লায়লা, সাবিনা ইয়াসমিন, মাইকেল জ্যাকসন ....

আমার বা আপনার - বোন-মেয়ে-ছেলে-ভাই - যে হোকনা কেন, তারা উপরের বিখ্যাত একজনকে ফলো করে তাদের একজনের মত হতে চায়। মানে আমার মেয়ে চায় রুনা লায়লা হতে (রুনার মত গান গেয়ে নাম কামাতে)। অথবা আমার ছেলে চায় মাইকেলের মত পপ গান গেয়ে নাম করবে ....। আপনি কি তাদের বাধা দিবেন?

একবার ভাবুন। যারা যারা তসলিমার পাংখা (Fan) আমরা প্রয়োজনে নিজের জান দিয়েও তসলিমার ফাসি রুখবো। তসলিমা যেহেতু এত ইম্পর্টেন্ট কথা বলেছে, তারা কি কখনো চায় যে তাদেরই মা বোন কন্যা জীবনে তসলিমার মত হোক ? আমরা গানের মাষ্টার রাখি যাতে আমার ছোট ছেলেটা একদিন আইয়ুব বাচ্চু হয়। কিন্তু আমরা কি কখনো আমাদের মা বোন কন্যাকে তসলিমার একটা বই কিনে দিয়েছি? এবং কি বলেছি যে তসলিমার এই মূল্যবান কথাগুলি তোমার পড় মুখস্থ কর এবং ভবিষ্যতে তসলিমা হও?

যারা যারা মনে করে তসলিমা তার বইগুলিতে ভালো কিছু লিখেছে তাদের উচিৎ সে বইগুলি কিনে পরিবারের Female মেম্বারদের উপহার দেয়া। এবং ভবিষ্যতে তসলিমা হওয়ার জন্য উৎসায় প্রদান করা। তাহলেই তসলিমাভক্ত সার্থক হবে।

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:১৫

মন যাযাবর বলেছেন: আমার তো মনে হয় তসলিমার যে একটি মেয়ে আছে তাকেও তসলিমা তার মত হতে দিবেন না; এইসব বৈপরিত্বই সমস্যা।

৮| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৫২

রাঙ্গাকলম বলেছেন: দিলেন তো মিয়া চাঞ্চে আপনার বউরে লাইনে তুইলা..........

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২০

মন যাযাবর বলেছেন: কি জানি, আপনি কি বুঝলেন?!
সবসময় রাঙা হয়ে থাকলে অনেক সময় সহজ ব্যাপার বুঝতে কষ্ট হয়।
স্বাভাবিক থাকেন; সুস্থ থাকেন।

৯| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৫৪

তেলাপোকা বলেছেন:
/*
ট্যামটেমি বলেছেন: ভাই, উনার জরায়ুর স্বাধীনতা ভোগ করনের জন্য খালি ঝাপাইয়া পড়লে হইবো না, চার কন্যায় পইড়া দেখেন একজনের অর্গাজমের জন্য ১ ঘন্টা টাইমিং লাগবে, আছে তো সেই হিম্মত? না হইলে তো আবার আপনিও তার রোষানলে পতিত হইবেক। উনার সবচেয়ে বড় যে আকাঙ্খা সেটা হইল উনার যতক্ষণ টাইমিং দরকার অরথাত টিল অর্গাজম আপনাকে টিকে থাকতে হবে এবং যতবার দরকার ততবার তাকে টিল অর্গাজম নিতে হইবে, তাতে আপনার অংগে যদি বাশের বাতা বাধার দরকার হয় তাতেও সমস্যা নেই। বুঝলাইন......অতএব সাধু সাবধান....এইসব ভুইলা যান....যা কইসেন কইসেন আর কইএন না।
*/

কমেন্টে প্লাস।

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪২

মন যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১০| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১২:৫৬

নীল মুদ্রা বলেছেন: হা হা সবার মন্তব্য পরে হাসি পেলো। সবাই শুধু ভালো থাকতে চাই, কারো কষ্ট কেউ বোঝে না, কেনো তসলিমা নাসরিন এতো খোলামেলা লিখেছেন তা কেউ তলিয়ে দেখেনি। সবার মনেই অনেক কথা অাছে যা কেউ বলে না, বললে হয়তো খারাপ লাগলো শুনতে। সবাই কিছু হারাবার ভয়ে কিছু বলে না তসলিমা বলতে পেরেছলেন তার কিছু হারাবার ভায় নেই বলে..সে স্বাধিনতায় বিশ্বাসী বলে...।প্রতিটা মানুষের মন যা চায় তা শুনতে অনেকেরই খারাপ লাগবে..............।

ধন্যবাদ মনে যা এসেছে লিখেছেন

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২১

মন যাযাবর বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।
ভাল থাকুন।

১১| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০১

এন্তার এত্তেলা বলেছেন: পৌরুষত্বে (পুরুষ+স্বত্ব) আঘাত লাগছে বুঝি!!!

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২৩

মন যাযাবর বলেছেন: তাই বুঝেছেন বুঝি!!!
ধন্যবাদ।

১২| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০২

আকাশের তারাগুলি বলেছেন: জরা্যু স্বাধীনতার মানে তিনি কি বুঝাতে চে্যেছেন?
যদি জরা্যু স্বাধিনতা বলতে বুঝায় তার শারিরিক ও মানসিক সুস্থতা/ইচ্ছার উপর তিনি কখন প্রয়োগ করবেন বা না করবেন বুঝায় তবে আমি সাপোর্ট করি।
আর যদি হয় জরা্যু যাকে খুশি তাকে দিবো তাহলে নিকৃষ্টতম দর্শন।

আসলে আমি এলেখাটা পড়িনি কখনও।

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২৪

মন যাযাবর বলেছেন: না পড়াই ভাল।

১৩| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:০৯

শেরজা তপন বলেছেন: লেখার সাথে কমেন্টস গুলো মন দিয়ে পড়লাম-বিতর্ক না জড়িয়ে বলি -ভাল লেগেছে!

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২৪

মন যাযাবর বলেছেন: ধন্যবাদ।

১৪| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:১৩

অলস ছেলে বলেছেন: আফসুস। একঘন্টা মাত্র!! /:)

০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:২৫

মন যাযাবর বলেছেন: চাঁটগাইয়া ফোয়া, কেন আছো?
হ্যাঁ, একঘন্টা মাত্র।

১৫| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

রঙ পেন্সিল বলেছেন: যে যেভাবে ভাবে ভাবুক.....আমরা যারা ভালো থাকতে চাই তারা বলি.......বলুক না...আসুক না......থাকুক না.......আপত্তি আমার কোনটাতেই নাই। এটা তার দেশ সে আসুক..থাকুক!
তবে যা শ্রোতের বিরুদ্ধে, তাতে ভাল কিছু যে হবে এমন যারা ভাবেন তাদের যদি শুধু সাহসটাই সম্বল হয় তাহলে সামষ্টিক একটা ক্ষতির সম্ভাবনা থাকে.........এটাকে বাহাদুরী বললে...(-)
আমরা অল্পতেই নাস্তিক হই অসুবিধা নাই.........যারা আস্তিক তাদের বোকা ভাবার প্রবণতাটা.....(-)
আমরা কিছু (তথাকথিত জরায়ুর স্বাধীনতা টাইপ)একটা করে ভালো আছি অসুবিধা নাই.........যারা অন্যভাবে ভালো থাকতে চায় তাদের বোকা ভাবার প্রবণতাটা.....(-)

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৪৯

মন যাযাবর বলেছেন: নাস্তিকগণের জ্ঞানী হিসাবে পরিচিতি পাওয়ার দরকার আছে। কারন এটা তাদের মুখ্য ও একমাত্র চাহিদা। প্রকৃত আস্তিকগণের পৃথিবীর কাছে জ্ঞানী হিসাবে পরিচিত না হলেও সমস্যা নাই। এসব তাঁদের গৌন চাহিদা।

১৬| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৩৬

হাসানুজ্জামান তালুকদার শিমুল বলেছেন: আগামী সভ্যতার দুজন মুসলিম মনীষী; আহমেদ সালমান রুশদি এবং তসলিমা নাসরিন!

ফিরে দেখাঃ একাদশ শতকের বিশিষ্ট দার্শনিক ইবনে সিনা (980 CE-1037 CE)। বুখারায় জম্নগ্রহন করেন। ইউরোপে তিনি আভিৎসেন্না নামে পরিচিত। ধর্মের প্রতি অবিশ্বাস ও স্বাধীন চিন্তার দাবি জানানোর জন্য তাকে ইস্পাহানের কারাগারে নিক্ষেপ করা হয়। এবং কারাগারেই তিনি মৃত্যু বরন করেন। তিনি প্রাকৃতিক বিজ্ঞান, চিকিৎসাশাস্ত্র ও অল কেমির উপর বহু বই লেখেন এবং মুসলিম প্রাচ্যে স্বাধীন চিন্তার অন্যতম পদপ্রদর্শক ও যোদ্ধারুপে পরিচিত। লাতিন ভাষায় তার অনুদিত চিকিৎসাশাস্ত্র কোষ “চিকিৎসাবিষয়ক অনুশাসন” মধ্যযুগে ইউরোপের চিকিৎসকদের প্রধান পথ প্রদর্শক হিসেবে গন্য করা হয়। http://en.wikipedia.org/wiki/Avicenna


তিনি বুড়ো বুড়ো আলিম আর ইমামদের সাথে তর্ক জুড়ে দিতেন। এইভাবে সে সরল বিশ্বাসী শ্রোতাকে সে তার দলে টেনে নিত। শেষ একদিন ইমাম যখন তাকে বলল “তুই বেহেশতের পথে যাচ্ছিস না, জাহান্নামের আগুনে ডুবতে চলেছিস” তার উত্তরে ইবনে সিনা বলল “ আমার কাছ থেকে তফাৎ যান। বেহেশতে আমাকে ডেকে কাজ নেই। আপনি যখন মালা জপা, উপাসনাস্থল আর সংযমের কথা বলেন তখন আমি ভাবি মুহাম্মদের মসজিদে যাওয়া অথবা ঘন্টাধ্বনি মুখরিত ইশার মঠে যাওয়া কিংবা মুসার ভজনালয়ে যাওয়া এসব কি এক নয়? আমি সবর্ত্র আল্লাহকে খুজেছি কিন্তু তাকে পাই নি। আসলে আল্লাহ বলতে কিছু নেই, আল্লাহ তাদেরই কল্পনা যারা তার নামে বেসাতি ছড়ায়।
কিন্তু আজ মুসলিম সভ্যতায় ইবনে সিনার মুল্যায়ন কতটুকু তা বলার অপেক্ষা রাখে না।


স্যার আহমেদ সালমান রুশদি (জন্ম: ১৯শে জুন, ১৯৪৭) একজন ভারতীয়-ব্রিটিশ ঔপন্যাসিক ও প্রাবন্ধিক। তিনি ১৯৮১ সালে প্রকাশিত তার দ্বিতীয় উপন্যাস দ্য মিডনাইট্‌স চিলড্রেন-এর মাধ্যমে খ্যাতি অর্জন করেন। এই উপন্যাসটি বুকার পুরস্কার অর্জন করেছিল। তার প্রথম দিককার উপন্যাসের অধিকাংশেরই কাহিনী বা পটভূমি রচিত হয়েছিল ভারতীয় উপমহাদেশকে ঘিরে। তার লেখার ধরণকে “জাদুকরী বাস্তবতা” হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। তিনি স্যাটানিক ভার্সেস রচনার মাধ্যমে ধর্মানুরাগী জনতার সাথে বিতর্কে জড়িয়ে পড়েন। ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয়নেতা তার শিরোচ্ছেদেরে জন্য বিশাল অংকের পুরস্কার ঘোষনা করেন।http://en.wikipedia.org/wiki/Salman_Rushdie


কিন্তু ইবনে সিনার ইতিহাস কি বলে?
আজ হতে কয়েকশ বছর পর হয়তো মুসলমানরাই তাকে ইমাম উপাধি দিবে আর রুশদিকে নিয়ে ধেই ধেই করে নাচবে যে তিনি বিশিষ্ট মুসলিম মনীষি। হতে পারে কয়েক শত বছর বা সহস্র বছর। সে তো অনেক, কিন্তু অনন্তের কাছে অতি ক্ষুদ্র।


রুশদিকে ইমাম উপাধি দিলে নাসরিনকে কি দেয়া হবে? ইমামী? নাহ সেটা যেন কেমন শোনায়। তবে মা জননী হযরত ফাতেমার মত বেহেশতে তামাম দুনিয়ার নারীকুলের সর্দারিনী হয়তো মুসলিমরা তাকে বানাতে পারবে না। হতে পারে সেইদিন সুদূর, হয়তো কয়েক শতক। কয়েক শতক মানুষের জীবনে স্কেলে অনেক, কিন্তু অনন্তের কাছে! কিন্তু এই দিনটিকেও যথার্থ মর্যাদা আমাদের এই ‘নষ্ট সমাজকে’ একদিন দিতে হবে, নইলে পরিত্রান নেই, পরিত্রান নেই এই পৃথিবীর। আগামীদিনের মানুষ ২৫শে আগষ্ট তসলিমা নাসরিনের জম্নদিন দিনটিকে সাড়ম্বরে উদযাপন করবে। http://en.wikipedia.org/wiki/Taslima_Nasrin


তসলিমা নাসরিনের ভাষায়ঃ
নিজেকে এই সমাজের চোখে আমি ‘নষ্ট’ বলতে ভালবাসি। …নারীর শুদ্ধ হওয়ার প্রথম শর্ত ‘নষ্ট হওয়া’। ‘নষ্ট’ না হলে এই সমাজের নাগপাশ থেকে কোনও নারীর মুক্তি নেই। সেই নারী সত্যিকারের সুস্থ ও মেধাবী মানুষ, লোকে যাকে নষ্ট বলে। (নষ্ট মেয়ের নষ্ট গদ্য)


এই নষ্ট সমাজ ওত পেতে আছে, ফাঁক পেলেই মেয়েদের ‘নষ্ট’ উপাধি দেবে। সমাজের নষ্টামি এতদূর বিস্তৃত যে, ইচ্ছে করলেই মেয়েরা তার থাবা থেকে গা বাঁচাতে পারে না।’ (‘নির্বাচিত কলাম’ পৃ ১৭)


তারা ঠগ। প্রতারক। হিপোক্রেট। ভীতু। ভন্ড। তারা প্রেমিক ছিল না একজনও। আজ বেলায় এসে দুখের দিনগুলোকেও যে সুখের দিন ভেবে সুখ পেতাম, টের পাই। হৃদয় নিংড়ে প্রেম দিয়েছি, যাদের দিয়েছি, বুঝি তারা পুরুষ ছিল সবাই, প্রেমিক ছিল না।’ (‘নারীর কোনো দেশ নেই’, পৃষ্ঠা ৪১)


আমরা নারীরা আজ কাকে কী করে বলবো যে আমরা ভাল নেই! হাজার বছর ধরে পিঠে কালশিটে, চোখ নির্ঘুম, হাজার বছর থেকে আমরা ভাষাহীন। নারীর কণ্ঠে এবার ভাষা উঠে আসুক, স্ফুলিঙ্গ হোক সে, আগুনের মত ছড়িয়ে যাক সবখানে। নারীরা পুড়ে পুড়ে ইস্পাত হোক, নারী শক্তিময়ী হোক।’

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৬

মন যাযাবর বলেছেন: হয়তো.. .. .. ..
হুমায়ুন আজাদ বা তসলিমা নাসরিন বা সালমান রুশদি বা আপনার কথামত ইবনে সিনার মতানুসারীরা ওনাদের ওপর যেরকম ব্যক্তি সম্মান দেখান বা অন্ধ হন, এতে ঐ মানুষগুলোও কিছুটা লজ্জা পান। কারন তাদেরকে এরকম ব্যক্তি-পূজা করা হোক এটা তারা চান না।
..... আরেকধরনের ব্যক্তি পূজা আর কি।
বর্তমানের নাস্তিকগণ কখনো সখনো ব্যক্তি-দর্শনকে ঐশি গ্রন্থ থেকেও বেশী সম্মান প্রদর্শন করে থাকেন।
এটাও আরেক ধরনের আফিম।
.. .. .. এবং ধন্যবাদ।

১৭| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ১:৩৮

হাসানুজ্জামান তালুকদার শিমুল বলেছেন: মৌলবাদীদের চাপে তসলিমাকে কলকাতা থেকে বিতাড়িত করার প্রতিবাদে দুষ্ট কবির ধৃষ্ট কবিতা অবলম্বনে দেবাশিস রায় এর সুরে ও কণ্ঠে গান “কলকাতা মুখ ঢাকো লজ্জায়”
Click This Link


দিল্লীতে তাঁর গৃহবন্দী অবস্থায় তসলিমা কিছু কবিতা লিখেছিলেন | দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকা তা ৩০.১.২০০৮ থেকে ১৭.৩.২০০৮ পর্যন্ত নিয়মিত ছেপে বার করতে থাকেন | এখানে কলকাতার দৈনিক স্টেটসম্যান পত্রিকার সৌজন্যে, সেই কবিতাগুলি হুবহু তুলে ধরা হল |

১। সময়, ২১.১.২০০৮
Click This Link
২। যে ঘরটিতে আমাকে বাধ্য করা হচ্ছে..., ৩১.১.২০০৮
Click This Link
৩। ভয়, ১.২.২০০৮
Click This Link
৪। দেশ বলে কি কিছু থাকতে নেই আমার, ২.২.২০০৮
Click This Link
৫। বাঁচো, ৩.২.২০০৮
Click This Link
৬। অন্তরিন, ৪.২.২০০৮
Click This Link
৭। কয়েক বছর, ৫.২.২০০৮
Click This Link
৮। সিসিইউ থেকে সিসিইউ, ৭.২.২০০৮
Click This Link
৯। নো ম্যানস ল্যান্ড, ৮.২.২০০৮
Click This Link
১০। এমন দেশটি, ৮.২.২০০৮
Click This Link
১১। মুক্তি, ১০.২.২০০৮
Click This Link
১২। মানুষ, ১১.২.২০০৮
Click This Link
১৩। ওরা, ১২.২.২০০৮
Click This Link
১৪। ছোটখাটো জিনিষ, ১৪.২.২০০৮
Click This Link
১৫। নিরাপত্তা, ১৫.২.২০০৮
Click This Link
১৬। প্রশ্ন, ১৬.২.২০০৮
Click This Link
১৭। নিরাপদ বাড়ি, ১৭.২.২০০৮
Click This Link
১৮। কন্যাটির কথা, ১৮.২.২০০৮
Click This Link
১৯। দুঃসময়, ১৯.২.২০০৮
Click This Link
২০। সাফ কথা, ২০.২.২০০৮
Click This Link
২১। নিষিদ্ধ বস্তু, ২১.২.২০০৮
Click This Link
২২। আমার ভাষা, আমার মা, ২২.২.২০০৮
Click This Link
২৩। আমার কলকাতার বাড়ি, ২৩.২.২০০৮
Click This Link
২৪। সাত মাসের শোকগাঁথা, ২৫.২.২০০৮
Click This Link
২৫। বাঁচা, ২৬.২.২০০৮
Click This Link
২৬। খুব উঁচু মানুষ, ২৭.২.২০০৮
Click This Link
২৭। মাসি, ২৮.২.২০০৮
Click This Link
২৮। ওই গোলাপ ওই জল, ২৯.২.২০০৮
Click This Link
২৯। আমি ভালো নেই, তুমি ভালো থেকো কলকাতা, ১.৩.২০০৮
Click This Link
৩০। বইমেলা, ২.৩.২০০৮
Click This Link
৩১। আজ যদি গান্ধিজি বেঁচে থাকতেন, ৩.৩.২০০৮
Click This Link
৩২। ভয়ংকর, ৪.৩.২০০৮
Click This Link
৩৩। বাঙালি, ৫.৩.২০০৮
Click This Link
৩৪। গুডবাই ইন্ডিয়া, ৬.৩.২০০৮
Click This Link
৩৫। সেই সব দিন, ৭.৩.২০০৮
Click This Link
৩৬। সেই সব দিন ২, ৮.৩.২০০৮
Click This Link
৩৭। দিক-দর্শন, ৯.৩.২০০৮
Click This Link
৩৮। তারা কারা, ১০.৩.২০০৮
Click This Link
৩৯। দূর-দৃষ্টি-হীন, ১১.৩.২০০৮
Click This Link
৪০। পরাধীনতা, ১২.৩.২০০৮
Click This Link
৪১। নাম, ১৩.৩.২০০৮
Click This Link
৪২। রেটিনোপ্যাথি, ১৪.৩.২০০৮
Click This Link
৪৩। ভারতবর্ষের উপহার, ১৭.৩.২০০৮
Click This Link

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৩:৫৭

মন যাযাবর বলেছেন: লিংকগুলোর জন্য ধন্যবাদ।

১৮| ০৮ ই মে, ২০১০ দুপুর ২:২৭

মাহমূদ হাসান বলেছেন: তার একজন প্রেমিক ছিল আমার নামে, কায়সার, তারপর একদিন ঐ লোকের বৌ ফোন করে বললো
"আপনি না নারীবাদী, আপনি মেয়ে হয়ে আমি একজন মেয়ের সর্বনাশ কিভাবে করেন?"
তসলিমা একটু চুপ থেকে বললো "তুমি ওকে আমার এখানে আসতে না করো"। হা হা । এই হলো নারীদের জন্য তার দরদ।


প্রগতিবাদীরা এতই অন্ধ ... হুমায়ুন আজাদের পাক সার জমিন সাদ বাদ কিংবা তসলিমার বর্ণনাগুলো তাদের কাছে "মাখনের মতো মনে হয়"

আর আপনার লেখা বড়ই অশ্লীল! চোখ থাকিতে অন্ধ কেন?

অনেক ধন্যবাদ আপনাকে!

০৮ ই মে, ২০১০ বিকাল ৪:০০

মন যাযাবর বলেছেন: তসলিমা নাসরিনের শ্রষ্ঠার নাম পুরুষ-ভোগ। তাকে তিনি খুব যত্ন করে পূজো করেন এবং নিজ জীবন-চর্চায় খুব আয়েশ করে তার আস্বাদন নিতে থাকেন।
এই ব্যাপারে তিনি একজন পরিপূর্ণ মেধাবী।

১৯| ০৮ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৬:৫৮

অলস ছেলে বলেছেন: গম আছি বদ্দা। এক ঘন্টা শুনিয়েরে বড় হতাশ অইলাম। আফসুস। ইতারে চাটগাইয়া ফোয়ার দরকার নাই।

০৯ ই মে, ২০১০ সকাল ৯:০৮

মন যাযাবর বলেছেন: বড় বেশী খিদা তার......
তার কি দোষ বল, প্রকৃতি দিয়েছে তাকে এই চাহিদা। প্রকৃতিরাই মেটাচ্ছে সেটা।
জানো তো, প্রকৃতিরা সামাজিকতার উর্ধ্বে ........
ধর্মের আওতার বাহিরে .......
আমি শুধু বলতে চেয়েছি - চিন্তা-কথা-কাজে-প্রকাশে সবাই যেন সচ্ছ হয়। এদিক থেকে চিন্তা করতে গেলে তসলিমা অনেক এগিয়ে। সেই তুলনায় সৈশাহ, ইমি, সম, সুচ.... এবং আরো অনেক রথী-মহরথীরাই অনেক অসচ্ছ।

২০| ১০ ই মে, ২০১০ সকাল ১১:৪৬

'লেনিন' বলেছেন: ট্যামটেমি তো কিং অফ ফাইটার্সের এক নারী চরিত্রের অবতার ব্যবহার করছেন।...

১০ ই মে, ২০১০ সন্ধ্যা ৭:৪৩

মন যাযাবর বলেছেন: ট্যামটেমি কি পুরুষ নাকি, মহিলা না তৃতীয় লিংগের অধিকারী? কোনটা?

২১| ১১ ই জুন, ২০১০ রাত ২:২৩

হুমায়রা হারুন বলেছেন: একবার শামসুন্নাহার হলে গেলাম কি একটা কাজে, দেখলাম হলের সেমিনার লাইব্রেরিতেই হয়তো বা বেগম শামসুন্নাহারের বিশাল পট্রেট বাঁধানো ।
পট্রেটের দিকে তাকিয়ে কেন যে এই ভাবনা মনে এলো জানি না, মন বলল, আজ যেমন করে বেগম শামসুন্নাহারের পট্রেট টাঙ্গানো আছে তেমনি আজ হতে ১০০ বছর পর তসলিমার পট্রেট-ও মানুষ এভাবে বাঁধিয়ে দেয়ালে সাজিয়ে রাখবে এই দেশেই।
আমি তার লেখা পড়ি নাই তার কোন ভক্তও না, কিছুই না। শুধু টিভিতে দেখি একদল লোক লাঠি নিয়ে রাস্তায় নেমেছে তার বিরুদ্ধে। খবর শুনে তা মনেও রাখিনি কখনো। অথচ তাকে নিয়ে এই ভাবনা আমার মনে তখন এসেছিল ! কি স্ট্রেঞ্জ!

১৭ ই জুন, ২০১০ বিকাল ৪:৩২

মন যাযাবর বলেছেন: বন্ধু, পোট্রেট সব সময় যে একই ধরনের ভাবমুর্তি দিবে তা কিন্তু নয়। তসলিমা হচ্ছে এই উপমহাদেশের এক নাজুক রাজনৈতিক পরিস্থিতির বহু ব্যবহৃত এক গুটি। আর যে কুপমন্ডুক লাঠিওয়ালাদের কথা বলছেন তাদেরকে উত্তেজিত করাটা ছিল সেই আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক পক্ষের একটা উদ্ধেশ্য; এদেরকে উত্তেজিত করার জন্য 'তসলিমা' গুটির বিকল্প ছিল না। অসাম্প্রদায়িক দেশ হিসাবে বাংলাদেশের অবস্থান অনেক সভ্য বলে পরিচিত দেশের চেয়েও উপরে ছিল; সেটা অনেকেরই সহ্য হোত না। তসলিমা অতি উৎসাহিত হয়ে কেবল তাদের গুটি হিসেবেই ব্যবহৃত হয়ছেন মাত্র।
ক্লিওপেট্রার পোট্রেটও হয়; কিন্তু আমি কখনো আমার মেয়েকে ক্লওপেট্রার জীবনাচার অনুসরন করতে উৎসাহিত করবনা। তাই বিখ্যাত হলেই যে সবার পোট্রেট সব জায়গায় স্থান পাবে এমন কোন কথা নেই।
... এবং ধন্যবাদ।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.