নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

রাজনীতি বিশ্লেষণ

আমি কার পক্ষে নই, আমি সেই পক্ষে, যে পক্ষে ঘুমিয়ে আছে ৩০ লক্ষ শহীদ

রাজনীতি বিশ্লেষণ

এই সমাজ পচা গলা এই সমাজ ভাঙতে হবে। ভাঙতে গেলে লড়াই হবে। সেই লড়াই এ জিততে হবে।সমাজের প্রত্যেকটি অপ্রত্যাশিত ঘটনার জন্য আমার উপর ও সে দায় পরে।

রাজনীতি বিশ্লেষণ › বিস্তারিত পোস্টঃ

'অপারেশন শাপলা', গবীর রাতের অভিযান এবং লাশের রাজনীতি

১০ ই মে, ২০১৩ বিকাল ৪:২৪

উত্থান কবে? নারীনীতি বাতিলের দাবি করে ২০১০ সালের ১৯ এপ্রিল আত্মপ্রকাশ করে হেফাজতে ইসলাম। আল্লামা শফী এর আমির হন। ইসলামী ঐক্যজোটের তৎকালীন চেয়ারম্যান মুফতি ফজলুল হক আমিনী হেফাজতকে সমর্থন দেন। নারীনীতিবিরোধী আন্দোলনের পর ঝিমিয়ে পড়ে হেফাজত। তারপর ৫ ফেব্রুয়ারী শাহবাগে গণজাগরণ হওয়ার পর সেখানকার সবাইকে নাস্তিক আখ্যা দিয়ে এবং সকল নাস্তিক ব্লগারদের ফাঁসির দাবীতে তাদেরকে দেখা যায়, চট্টগ্রামে গণজাগরণ মঞ্চের সমাবেশ হতে দেয় না, এবং আশুলিয়ায় বাধা দেওয়ার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়, হেফাজত তারপর ৬ এপ্রিল চট্টগ্রাম টু ঢাকা লং মার্চের ঘোষণা দেয় শুরু হয় তাদের নিয়ে ভিবিন্ন মহলের রাজনীতি , লং মার্চের দিন ঘাতক দালাল নির্মূল কমটির হরতাল চিল। তাদের সবাই ঢাকা আস্তে পারে না, ভিবিন্ন জায়গাতে তারপর তারা সমাবেশ করে তাদের শক্তি প্রদর্শন করে, এসব কর্মসূচিতে তাদের কোটি কোটি টাকা খরচ হয়, এই টাকার কোথায় থেকে আসলো তা আজ প্রশ্নবিদ্ধ? লং মার্চ সমাবেশ এর পর তাদের ১৩ দফা দিয়ে যায়, এবং বলে যায় ৫ মের মধ্যে দাবি না মানলে ৫ মে ঢাকা অবরোধ, তাদের দাবি নিয়ে সর্ব মহলে আলোচনা সমোলচনা হয়েছে,

অবশেষে আসলো ৫ মে ঢাকায় আসার ৬ টি পথে তারা অবরোধ করে ছোটো খাটো সংঘর্ষের মধ্যে দিয়ে হটাত তাদের দাবি তারা সমাবেশ করবে এমন কি অনুমতি না দিলেও তখন পুলিশ অনুমতি দেয় সন্ধ্যা ৬ টা পর্যন্ত।



তারপর............



দিনভর পুলিশ-র‌্যাবের সঙ্গে পল্টন ও মতিঝিলজুড়ে হেফাজতের কর্মীদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলে। এরপর প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করে সমাবেশ শেষে সন্ধ্যার পর থেকেই শাপলা চত্বরে টানা অবস্থান। সন্ধ্যা পেরিয়ে রাত গভীর হতে থাকে। সরকার ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তারা ভেতরে ভেতরে হেফাজতের নেতাদের সঙ্গে আলোচনাও চালান। এমন আলোচনার ফল শূন্য হওয়ায় বাড়ছিল উদ্বেগ আর উৎকণ্ঠা। তবু শাপলা চত্বরে তাদের অনড় অবস্থান। রাত ১০টার পরপরই সরকারের বেশ কয়েকজন নীতিনির্ধারকের সঙ্গে আলোচনার পর আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সমন্বিত অভিযানের চিন্তাভাবনা। পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের দফায় দফায় বৈঠক। এর পরের আলোচনা, কখন হবে অভিযান_ রাতে, নাকি সোমবার সকালে। এর পক্ষে-বিপক্ষে চলে যুক্তি আর পাল্টাযুক্তি। শেষ পর্যন্ত মতৈক্য, রাতেই চলবে অভিযান। প্রথম সারিতে থাকবে পুলিশ-র‌্যাব। দ্বিতীয় সারিতে থাকবে বিজিবি। তাদের হাতেই থাকবে ভারী অস্ত্রশস্ত্র। পুলিশ ও র‌্যাবের ওপর আঘাত এলে তাদের উদ্ধার এবং প্রতিপক্ষকে সামলানোর দায়িত্ব বিজিবির। খোঁজ পড়ে কমান্ডো অফিসার আর পুলিশের চৌকস কর্মকর্তাদের। 'অপারেশন শাপলা'র রুদ্ধশ্বাস অভিযানে র‌্যাব আর বিজিবির পাঁচ কমান্ডো অফিসার তাদের বাহিনীকে মাঠপর্যায়ে নেতৃত্ব দেন। পুলিশের পাঁচ হাজার, র‌্যাবের এক হাজার ২০০ ও বিজিবির

১৮ প্লাটুন সদস্য এতে নিয়োজিত ছিলেন। এ ছাড়া বিজিবির আরও ১০ প্লাটুন সদস্য রিজার্ভ ফোর্স হিসেবে পিলখানায় প্রস্তুত রাখা হয়। শুধু তা-ই নয়, অভিযান কতটা পরিকল্পিত তার প্রমাণ পাওয়া যায় মতিঝিল-পল্টন ছাড়াও রাত ৩টার আগেই রাজধানীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় বিজিবিসহ আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের মোতায়েন করায়। শাপলা চত্বর থেকে হটানোর পর হেফাজতের কর্মীরা যাতে রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে না পারে, সে লক্ষ্যে এমন প্রস্তুতি।

পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা মাঠপর্যায়ে উপস্থিত থেকে তাদের বাহিনীর নেতৃত্ব দেন। আর অভিযান শুরুর পর কন্ট্রোল রুমে থেকে গোটা পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন ডিএমপি কমিশনার বেনজীর আহমেদ। বিজিবির মহাপরিচালকও তার বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে ফোনে-ওয়্যারলেসে দফায় দফায় কথা বলেন। রোববার র‌্যাব সদর দফতরে বসে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের অভিযান পর্যবেক্ষণ করা হয়। ওই দিন অঘোষিতভাবে সব র‌্যাব সদস্যের ছুটি বাতিল করে সদর দফতরে ডেকে আনা হয়।

পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রথম সারিতে যারা ছিলেন, তারা বহন করেন গ্যাস গ্রেনেড ও সাউন্ড গ্রেনেড; সঙ্গে সাঁজোয়া যান, দাঙ্গা দমনের গাড়ি ও এপিসি। তবে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির কৌশলী সমন্বিত অভিযানে হেফাজতের কর্মীরা বড় ধরনের কোনো প্রতিরোধ গড়ে তোলেনি। অভিযানের মূল লক্ষ্যই ছিল আহত না করে হেফাজতের কর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে বিতাড়িত করা। সাউন্ড গ্রেনেড আর গ্যাস গ্রেনেড মারার পরপরই হেফাজতের কর্মীরা শাপলা চত্বর ছাড়তে থাকে। মূলত ২০ মিনিটের মধ্যেই শাপলা চত্বর ফাঁকা হয়ে যায়। অভিযান শুরুর আগে যেটা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ কল্পনাও করেনি।

রাতে কেন অভিযান চালানো হয়েছে_ এমন প্রশ্নের জবাবে বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, 'অন্ধকারের একটা অচেনা ভীতি আছে। রোববার দিনভর আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষ ও গরমের মধ্যে রাস্তায় অবস্থানের পর অধিকাংশ হেফাজতের কর্মীই সন্ধ্যার পরপর ক্লান্ত হয়ে পড়েন। রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে রাজপথে ঘুমিয়ে পড়েন। আবার অনেকে ক্লান্ত দেহে ঝিমিয়ে পড়েছিলেন। রোববার দুপুর থেকে মতিঝিল ও পল্টনজুড়ে উত্তাল থাকলেও রাত বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে অনেকে ওই এলাকা ত্যাগ করেন। তবে কেন্দ্রীয় নেতাদের নির্দেশনা না পেয়ে অনেকে শাপলা চত্বরে অবস্থান নেন। দিনে অভিযান চালানো হলে ক্ষতির পরিমাণ বেশি হওয়ার সম্ভাবনা ছিল।'

অভিযানের আগে পল্টন ও মতিঝিল রেকি :পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির সাঁড়াশি অভিযান পরিকল্পনা বাস্তবায়নের আগে গোটা এলাকা রেকি করে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী। শাপলা চত্বরে কতসংখ্যক লোক জড়ো আছে, তার একটা হিসাব করা হয়। রোববার দিনে র‌্যাবের হেলিকপ্টার থেকে মতিঝিল-পল্টন এলাকার যেসব চিত্র পাওয়া যায়, তা নিয়ে চলে চুলচেরা বিশ্লেষণ। রাত আড়াইটার দিকে অভিযান শুরুর সময় মতিঝিলে ৩০-৪০ হাজার লোক ছিল। র‍্যবের প্রাথমিক পরিকল্পনা ছিল, তিন দিক থেকে শাপলা চত্বরে অভিযান চালাবে। পরে সিদ্ধান্ত বাতিল করা হয়।



কিভাবে হয়েছিল অভিযান? :অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া মাঠপর্যায়ের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তা আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের দুটি অংশে ভাগ করা হয়। একটি অংশ নয়াপল্টন থেকে দৈনিক বাংলা হয়ে শাপলা চত্বরের দিকে, অপর একটি অংশ নটর ডেম কলেজের সামনের দিক থেকে শাপলা চত্বর লক্ষ্য করে অভিযান শুরু করে। শাপলা চত্বর থেকে হেফাজতের কর্মীদের নিরাপদে সরে যাওয়ার জন্য যাত্রাবাড়ীর দিকটি খোলা রাখা হয়। অভিযানে র‌্যাবের গোয়েন্দা শাখার প্রধান লে. কর্নেল জিয়াউল আহসান, র‌্যাব-১০-এর অধিনায়ক লে. কর্নেল ইমরান ও র‌্যাব-৩-এর অধিনায়ক মেজর সাবি্বর মাঠপর্যায়ে তাদের বাহিনীকে প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেন। আর বিজিবির ১৮ প্লাটুন সদস্যের নেতৃত্ব দেন দু'জন লে. কর্নেল পদমর্যাদার কর্মকর্তা। বিজিবি সদস্যদের হাতে ছিল এসএমজি। যারা মাঠের অভিযানে নেতৃত্ব দেন, তাদের বেশির ভাগ কমান্ডো অফিসার। বিজিবির দুই কর্মকর্তার বাইরে বেশ কয়েক মেজর পদমর্যাদার কর্মকর্তা, জেসিও এবং এনসিওরা উপস্থিত ছিলেন। রাত ৩টার দিকে মুহুর্মুহু টিয়ার শেল আর সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ শুরু। এ সময় হেফাজতের মাইকে ঘোষণা দেওয়া হয়, কোনো কর্মী শাপলা চত্বর ছাড়বে না। এর পরও তাদের জ্বালাময়ী ভাষণ। কিছু সময়ের মধ্যে মঞ্চ লক্ষ্য করে টিয়ার গ্যাসের শেল ও গ্যাস গ্রেনেড ছোড়া হয়। একই সঙ্গে রাবার বুলেট, কাঁদানে গ্যাস ও গুলির প্রচণ্ড শব্দে কেপে ওঠে মতিঝিল এলাকা। এমন অভিযানের মুখে দলে দলে হেফাজতের কর্মীরা পালাতে থাকে। কেউ চলে যায় সোনালী ব্যাংকের ভেতরে, কেউ পাশের ভবনে, কেউ বা অলিগলিতে। গোটা অভিযানে যারা অংশ নেন, তাদের পরনে ছিল বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট। অভিযানের সময় প্রস্তুত ছিল ফায়ার সার্ভিসের টিম ও অ্যাম্বুলেন্স। অপারেশন শাপলায় মাঠপর্যায়ের পুলিশ সদস্যদের নেতৃত্ব দেন অতিরিক্ত কমিশনার শেখ মারুফ হাসান, ডিসি আনোয়ার হোসেনসহ কয়েকজন কর্মকর্তা। ডিবির একটি চৌকস টিমও এ অভিযানে অংশ নেয়।



কেন রাতে অভিযান? :হেফাজতের নেতাকর্মীদের শাপলা চত্বর থেকে সরাতে অন্ধকার রাতে অভিযানের ব্যাপারে চলছে নানা আলোচনা-সমালোচনা। তবে অভিযানের তদারককারী আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর শীর্ষ কর্মকর্তা ও মাঠপর্যায়ের অফিসারদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, দিনে অভিযান চালানো হলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ বাড়তে পারে_ এমন চিন্তা থেকে রাতে অভিযান চলে। এ ছাড়া দিনের ক্লান্তির পর রাতে সমন্বিত অভিযান চালালে হেফাজতের কর্মীরা সেভাবে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে পারবে না_ এমন চিন্তাও অভিযানকারীদের মাথায় ছিল। এ ছাড়া মতিঝিল এলাকায় দিনের আলোতে অভিযান চালানো হলে সাধারণ মানুষের মধ্যে অহেতুক ভীতি ছড়ানোর আশঙ্কা ছিল। এমনকি গোয়েন্দা তথ্য ছিল, সোমবার ফজর নামাজের পর জামায়াত-শিবির ও বিএনপির কয়েক হাজার নেতাকর্মীর শাপলা চত্বরসহ আশপাশের এলাকায় অবস্থান নেওয়ার কথা ছিল। এসব কারণ বিবেচনা করেই রাতে অভিযান চলে।

অভিযানের আগেই রাজধানীর গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তা বৃদ্ধি :গভীর রাতে শাপলা চত্বরে পুলিশ-র‌্যাব-বিজিবির সাঁড়াশি অভিযানের আগেই রাজধানীর বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ এলাকার নিরাপত্তা জোরদার করা হয়। সচিবালয়, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল (আইসিটি), মন্ত্রীপাড়া, কূটনৈতিক এলাকা ও কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশনে অতিরিক্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়। বিজিবির মহাপরিচালক বলেন, শাপলা চত্বর থেকে সরানোর পর হেফাজতের কর্মীরা যাতে রাজধানীর অন্য কোনো গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় হামলা চালাতে না পারে, এ লক্ষ্যে অনেক এলাকায় বিজিবি সদস্যদের রাতেই মোতায়েন করা হয়েছিল।



কত জনের মৃত্যু হয়েছিল?



বিএনপির বিবৃতি, জামায়াত-শিবিরের ওয়েবসাইট আর জামায়াত নিয়ন্ত্রিত সংবাদমাধ্যমে অবিশ্বাস্য সংখ্যায় লাশের হিসাব দেওয়া হলেও লাশের দাবি করে নিহতদের স্বজনদের তেমন দেখা যাচ্ছে না।



পুলিশের মহাপরিদর্শক জানিয়েছেন,ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গ এবং বিভিন্ন বেসরকারি হাসপাতাল থেকে এ তথ্য পাওয়া গেছে।



নিহতদের মধ্যে পুলিশের একজন সদস্য রয়েছেন। এ ছাড়া একটি ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির কর্মকর্তা, একজন হকার এবং একজন পরিবহন শ্রমিকও রয়েছেন। তারা কেউই হেফাজতের কর্মী নন বলে পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন। তবে মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (মতিঝিল) জানান, গত সোমবার ভোর পর্যন্ত ৯ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে। তাদের মধ্যে একজন পুলিশ সদস্য।



নিহত ২২ জনের পরিচয়: নিহত ২২ জনের মধ্যে ১৭ জনের পরিচয় জানা গেছে। তারা হলেন- যাত্রাবাড়ীর পূর্ব কাজলা ভাঙা প্রেস এলাকার বাসিন্দা কাজী রাকিবুল হক (৪০), নওগাঁ সদর উপজেলার মৃত মামুন আহসানের ছেলে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) কম্পিউটার সায়েন্সের ছাত্র একেএম রেহান আহসান (২৮), মুন্সীগঞ্জ সিরাজদীখানের বাসিন্দা দ্বীন ইসলাম (৩২), গাজীপুরের কালীগঞ্জের একটি মসজিদের ইমাম মোহাম্মদ ইউনুস আলী (৩৫), ফরিদপুরের আবদুল জব্বার শেখের ছেলে আল-আমিন (৩০), হানিফ পরিবহনের হেলপার সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিক (২৮), বরিশালের মেহেন্দীগঞ্জের দেলোয়ার সিকদারের ছেলে ও বায়তুল মোকাররম মার্কেটের একটি দোকানের কর্মচারী নাহিদ শিকদার (২৬), জাতীয় শ্রমিক পার্টির ঢাকা মহানগরের নেতা কাজী রাকিব হোসেন (৪০), পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার চরপাড়ার বাসিন্দা ও বরিশাল ব্রজমোহন কলেজের স্নাতকোত্তর ছাত্র ইব্রাহিম খলিল (২৭), চট্টগ্রামের মিরসরাই উপজেলার মুরাদপুরের শিহাবউদ্দিন (৬৫), নরসিংদী শহরের সাটিরপাড়া বকুলতলার আবদুল বাছেদের ছেলে মাহমুদুল হাসান ওরফে জুবায়ের (২৪), বরিশাল সদর উপজেলার চ ীপুরের ইউনুস মোল্লা (৪৫), কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের সামছুল আলম (৪৫), নরসিংদীর রায়পুরার মুক্তার হোসেন (৪৫), কুমিল্লার মাহমুদ হাসান (৪৮), মিরপুর ১৪ নম্বর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়নের এসআই মোহাম্মদ শাহজাহান (৫০) এবং দেশ জেনারেল ইন্স্যুরেন্স কোম্পানির ম্যানেজার কামাল উদ্দিন খান। তিনি ঘটনার সময় ভয় পেয়ে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যান বলে জানা গেছে।



বাকি পাঁচজনের পরিচয় এখনও পাওয়া যায়নি। অজ্ঞাতদের মরদেহ ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে রয়েছে। তাদের মধ্যে ১৯ জন গুলিবিদ্ধ ও দু'জন ছুরিকাহত হয়ে মারা যান। এ ছাড়া এসআই মো. শাহজাহানকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।



মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে রাজনীতি!!!!!!



মৃত্যুর সংখ্যা পুলিশের ও র‍্যবের হিসাব অনেকে মেনে নেন না , কারন এটা রাত্রে করেছে বিদায় এখানে আসলে কত লোক মারা গেছে তার হিসাব ও তারা সঠিক দিতে পারে না, ২৫০০ থেকে ১০০০০ জন পর্যন্ত মানুষ মারা গেছে বলে অপপ্রচার করচে, কিন্তু যাদের বলার কথা হেফাজতে ইসলাম তারা এই সংখ্যা কত তা এখনও বলতে পারে না,



প্রশ্ন???????????????



যদি ২৫০০ জন লোক মারা যায়, এত লোক মারলে অবশ্যই গুলি করে মারতে হবে, তাহলে মারা যায় না এমন আহত বা গুলি বিদ্ধ এমন কত জন? ২৫০০ জন মানুষ মরলে আহত হওয়ার কথা ৫০০০? তা কি হয়েছে? যদি হয়ে থাকে তাহলে তারা কোন হসপিটালে? র‍্যাব এবং পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে যারা মৃত্যুবরন করেছে তাদের স্বজন আসতে তাদের কাচে, কত জন স্বজন এসেছিল তাদের কাচে ? যেসব মসজিদের ইমাম এসেছিল আজ কি সেই মসজদের ইমাম পিরে নাই, যদি না পিরে তাহলে র‍্যাবের কাচে কি এসেছে?



শেষ কথা......... ওইদিনের সমাবেশ হেফাজতের নিয়ন্ত্রণে ছিল না ছিল ১৮ দলের কাছে তাই ১৮ দল প্রত্যাশা যা ছিল তা বেস্তে গেছে, তাই এখন চলছে লাশ নিয়ে রাজনীতি।







মন্তব্য ২ টি রেটিং +২/-০

মন্তব্য (২) মন্তব্য লিখুন

১| ১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৮:৫৯

সিফাতুল্লাহ বলেছেন: আমি হেফাজতের কর্মি না, তবে মুসলমান হিসেবে ১৩ দফা আন্দোলনের ঘরোয়া সমর্থক (ঘরোয়া কারণ আমি মাঠ পর্যায়ে মিছিল, সমাবেশে যোগ দেই নি)।
আমার কাছে বি.এন.পি-জামাতের ২,৫০০ লাশের কথা যেমন অযৌক্তিক মনে হয়েছে তেমনই ২২ লাশের কথাও অযৌক্তিক মনে হয়। আল্লাহই প্রকৃত খবর জানেন।

আপনার পোস্ট তথ্যবহুল। তবে তথ্যের উৎস না থাকায় কোনো কাজে আসবে বলে মনে হয় না!

১০ ই মে, ২০১৩ রাত ৯:০৭

রাজনীতি বিশ্লেষণ বলেছেন: টিভি তে পুলিশ ও র‍্যাবের বক্তব্য সরাসরি দেখানো হয়েছে এবং ভিবিন্ন পত্রিকায় এসব তথ্য দিয়েছে, এখানে আমার মনঘরা কিছু নাই,

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.