নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার কবিতা

ইকবাল মাহমুদ

নিজের সম্পর্কে নিজের আসলে তেমন একটা কিছু বলার থাকেনা, সহজ সরল অনেক, মানুষ কে বিশ্বাস করতে ভালো লাগে। ল' পরতেসি, গীটার আর গান খুব ভালবাসি, কবিতা ভালবাসি , আর ভালবাসি বন্ধুদের সাথে জমিয়ে আড্ডা । আর হাল্কা লিখালিখির বদভ্যাস আছে। https://www.facebook.com/iqusan

ইকবাল মাহমুদ › বিস্তারিত পোস্টঃ

অতন্দ্রিলা ও বৃষ্টি ভেজা লোনা চোখ

১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৩

আমার খুব ইচ্ছে হয় কাউকে কাঁদাবো অঝোর বৃষ্টির মধ্যে, দেখতে ইচ্ছে হয় আসএলি বৃষ্টির পানি আর চোখের জল আলাদা করা যায় কিনা। কিন্তু কাঁদানোর মত আমার কেউ নেই, তবে একদম কেউ নেই বললে অবশ্য ঠিক হবেনা। কারন আমার অতন্দ্রিলা আছে, তবে ওকে কখনো কাঁদাতে ইচ্ছে করেনা।



এই যা! আজ তো অতন্দ্রিলার সাথে দেখা করার কথা টি,এস,সি তে। তিনটা তো বাসাতেই বেজে গেলো, অতন্দ্রিলার আসার কথা ১.৩০ টায়। এত ভুলো মন আমার, আর পারিনা- উফ!!

তাড়াহুড়ো করে পাঞ্জাবী টা গায়ে দিয়ে বের হলাম বাসা থেকে। ফার্মগেট থেকে বাসে উঠবো শাহবাগ এর উদ্যেশ্যে। বাস গুলো তে এত ভিড় মনে হচ্ছে যে কোন সময় বাস উলটে যেতে পারে, তবে কিছুই করার নেই এগুলো করেই যেতে হবে। একেকটা বাস আসছে আর কত গুলো মানুষ রাস্তার উপর হুমড়ি খেয়ে পরছে আবার রাস্তা থেকে কতগুলো মানুষ লাফ দিয়ে বাসে উঠে যাচ্ছে। কেউ কেউ আবার বাঁদরের মত বাসের হ্যান্ডেল ধরে ঝুলে আছে।

সবার এত তাড়াহুড়োর কারন হল আকাশে প্রচণ্ড মেঘ যে কোন সময় বৃষ্টি হতে পারে। অনেক চেষ্টা করেও কোন বাসে উঠতে না পেরে শেষমেশ হাটা দিলাম শাহবাগ এর দিকে।



আকাশে অনেক মেঘের ঘনঘটা হলেও কেন জানি মনে হচ্ছে আজ বৃষ্টি হবেনা।

“বারকিং ডগ সেলডম বাইট” এই প্রবাদের উপর ভরসা করেই হাঁটছি, আজ কুকুর নাও কামড়াতে পারে। দ্রুত পা চালানর আরেক কারন হল আজ অতন্দ্রিলার বড় ভাই এর ও আসার কথা, আমার সাথে দেখা করতে চেয়েছিলেন উনি, পরিচিত হতে চান আমার সাথে।

ইশ! ফার্স্ট ইম্প্রেশন টাই খারাপ হবে আজ, পাক্কা দুই ঘণ্টা লেট।



শাহবাগ থেকে টি,এস,সি এর দিকে যেই মাত্র পা বাড়ালাম পাশ থেকে একটা রিকশার খোঁচা লেগে পাঞ্জাবীর হাতা টা ছিঁড়ে গেলো।

থাক! রিকশাওয়ালার সাথে এখন ঝগড়া ক্রতে গেলে দেরি হয়ে যাবে, অতন্দ্রিলা অপেক্ষা করছে ওদিকে ।



টি,এস,সি তে যেয়ে দেখি বাইরের চা এর দোকানের সামনে অতন্দ্রিলা বসে আছে গালে হাত দিয়ে, ওকে সবসময় ই অসাধারন লাগে । আজ ও তার কোন ব্যাতিক্রম নেই।

অতন্দ্রিলার চোখ ছল ছল করছে; আমাকে দেখেই বলে উঠলো_

তুমি কি আমাকে আসলেই ভালোবাসো ? নাকি অভিনয় করছ? আমি কিছু বলিনা, অতন্দ্রিলার দিএক তাকিয়ে আছি, ছল ছল চোখে অতন্দ্রিলা কে দেবির মত লাগছে। আমি কখনো দেবি দেখিনি, তবে আমি জানি, দেবি ঠিক এমনই হয়।

কি কথা বলছনা কেন? ভাইয়া অনেক চিল্লাচিল্লি করে চলে গেছে। বলেছে আমি নাকি এমন ভ্যাগাবন্ড এর সাথে প্রেম করছি যার নুন্যতম সময় জ্ঞান টুকুও নেই, তার উপর ফোন ও ব্যাবহার করনা যে একটু ফোনে খোঁজ নিব। তুমি কি চাওনা আমাদের বিয়ে টা হোক? তুমি কি আমাকে সত্যিই ভালোবাসো?

আমি তোমাকে অনেক ভালোবাসি রাজকন্যা !!

এহ! আবার রাজকন্যা! আসছ ভাইয়ার সাথে দেখা করতে, তা আবার ছেঁড়া পাঞ্জাবী পরে। তোমাকে নিয়ে আমি কি করব?



এমন সময় বৃষ্টি শুরু হল অঝোর ধারায়। এই যাহ! কুকুর আজ কামড়েই দিলো? আমি ভাবছি আর অতন্দ্রিলা কে দেখছি_

অতন্দ্রিলা কাঁদছে...... কি আশ্চর্য ! বৃষ্টির মধ্যেও অতন্দ্রিলার প্রত্যেকটা চোখের অশ্রু আলাদা আলাদা করে বোঝা যাচ্ছে।

কি আশ্চর্য ! চোখের জল আর বৃষ্টির পানির রং তাহলে এক নয়। একদম আলাদা!

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ১১ ই মে, ২০১৪ রাত ১২:৫৯

কান্ডারি অথর্ব বলেছেন:


অতন্দ্রিলা নামটা খুব মায়াবী

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.