![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রফিক সাহেব বয়স ৩০ বছর
ব্যাঙ্কে চাকরি করেন। মায়ের
জোরাজুরিতে একটা বিয়ে করেছেন মায়ের
পছন্দ করা মেয়েকে। কিন্তু তার
যেয়ে একটা স্ত্রী আছে সেদিকে তার কোন
ভ্রুক্ষেপ নেই! তিনি সকাল
থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অফিস করেন
রাতে ঘুমানোর আগে দুটি সিগারেটের ছাই এ
এশ ট্রে ভরে ফেলেন। অতঃপর এক সাইড
হয়ে ঘুমিয়ে পড়েন। আর তার স্ত্রী এ
কারণে তার অফিস আওয়ারে পরকিয়ায়
জড়িয়ে পড়ে।
অথচ রফিক সাহেবও একসময়
একটা মেয়েকে ভালবাসতেন,
তাকে নিয়ে জীবনের স্বপ্ন দেখতেন।
মেয়েটির নাম ছিল নীলা ইন্টার ফার্স্ট
ইয়ারে পড়ত আর রফিক সাহেব তখন অনার্স
ফার্স্ট ইয়ারে পড়তেন। বাইরের এক
জেলা থেকে তাদের জেলায় এসেছিল
মেয়েটি। মেয়েটি রফিক সাহবের
সাথে একজন প্রেমিকার মতই আচরণ করত। আর
রফিক সাহেব যখন জিজ্ঞাসা করত,
আমাকে ভালবাস কি? উত্তরে মেয়েটি শুধু
মুচকি হাসত আর বলত, আমি আমার মনের
ভিতরের কথা কাউকে বলি না। আর
রফিককে কিল, ঘুষি, চিমটি দিত।
ভালই চলছিল তাদের খুঁনসুটি। কিন্তু
আরেকটা ছেলে ছিল আজিজ যে ছিল নীলার
বাল্যকালের বন্ধু, নীলাকে খুব পছন্দ করত।
কলেজে উঠে সে আরেক জেলায় চলে গেছে।
আর একজন ছিল বিবাহিতা শায়লা আপু যে এই
সব ঘটনার সাক্ষী ছিল। আজিজ শায়লার
মারফতে নীলাকে তার ভাললাগার কথা বেশ
কবার জানিয়েছিল। তখন নীলার
মনে কিছুটা অনুভূতি এসেছিল কিন্তু
আস্তে আস্তে দুজনের পথ আলাদা হয়ে যাওয়ায়
আর সম্ভবত রফিকের কারণেই
সে আজিজকে ভুলে যেতে লাগল। এ সময়
শায়লা এ ৩ জনের মাঝে প্রভাবক
হিসাবে কাজ করল কিন্তু কোন সমাধান দিত
না। এর কথা ওকে ওর কথা ওকে এভাবে ৩
জনের কাছে ৩ জনের কথা বলত। আজিজের
সাথে প্রায়ই নীলার যোগাযোগ করার
চেষ্টা করত।
রফিক ভাবল, আমার তো মাত্র কদিনের
পরিচয় ওদের যদি বাল্যকাল
থেকে একটা সম্পর্ক থাকে তাহলে আমার
ওদের মাঝে দেয়াল হয়ে দাঁড়ানোর কোন
দরকার নেই। আস্তে আস্তে রফিক নীলার
জীবন থেকে নিজেকে সরিয়ে নেয়ার
চেষ্টা করতে লাগল।
শায়লার জানানো ঘটনাগুলোতে আজিজের
কিশোর মনে নীলার জন্য বাল্যকালের
ভাললাগা আস্তে আস্তে ঘৃণায় রূপ নিল। যৌবন
আসতে আসতে সে অনেক তার জুনিয়র মেয়েদের
আকর্ষণেও চলে আসল, নীলাকে একসময় ভুলেই
গেল!
আর সবাই সবার নিজ পথে দেখে।
শায়লা তাদের চর্চা বাদ দিয়ে নিজের
স্বামী, ছোট বাচ্চা আর সংসার নিয়ে ব্যস্ত
হয়ে পড়ল।
নীলা হারাল যে তাকে পছন্দ করত। হারাল
যে তাকে নিঃস্বার্থ ভালবাসত।
এমনকি হারাল যাকে সে নিজের বড় বোন
মনে করত সেই শায়লা আপুকে।
চাপা স্বভাবের
অভিমানী মেয়েটি পরিবারের
চিন্তা না করেই একসময় আত্মহত্যার পথ
বেছে নিল।
এ ঘটনার পর রফিক তা জানতে পারল।
নীলা হল লাশ আর রফিক সাহেব তার
যৌবনের প্রথম ভালবাসা হারিয়ে হল একজন
জীবন্ত লাশ, ভালবাসার অনুভূতীহীন এক
রোবট।
রফিক সাহেবের স্ত্রী রফিক
সাহেবকে ইমপোটেন্ট মনে করে। কিন্তু রফিক
সাহেবর যে বিশেষ অঙ্গ ইমপোটেন্ট
না ইমপোটেন্ট তার মন তা কেউই না বুঝে।
গল্পের পাঠকগণ, বলুন তো উক্ত
গল্পে সবচেয়ে বড় কালপ্রিট কে?
..একটি মৃত ও একটি জীবিত লাশ
-- এস এম রাকিব
১১/১/২০১৪
২| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৩৫
রাকিব শেখ বলেছেন: এতটাই দূর্বোধ্য ছিল?
৩| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৯:৫৩
হাসান মাহবুব বলেছেন: এইটা এক কনফেশন পেইজে পড়সিলাম। দোষ হইল নীলার। হুদাই আত্মহত্যা করছে।
৪| ১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৩৪
রাকিব শেখ বলেছেন: মাহবুব ভাই নীলার কাকে বেছে নেওয়া উচিত্ ছিল বলে আপনি মনে করেন? আর লেখাটা আমারই ফেসবুক নিক S M Rakib আমি আসলে ব্লগে নিয়মিত না।
৫| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সকাল ১০:১৩
নাহিদ রুদ্রনীল বলেছেন: ফেসবুকে আপনার আইডিতেই পড়েছিলাম
৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৬:০৪
রাকিব শেখ বলেছেন: ধন্যবাদ কেমন লেগেছে?
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ৮:৩৩
উদাস কিশোর বলেছেন: গল্প টা ঝড়ের মত উড়ে চলে গেল !
আমরা দেখলাম আর বুঝলাম এটা ঝড় ।
উপলব্ধি করতে পারলাম না ।
শুভকামনা