![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
৩। প্রশ্ন – সত্য ধর্ম পৃথিবীতে কতদিন গ্রহণযোগ্য থাকে এবং কতদিন উহা নিষ্কলঙ্ক অবস্থায় বিদ্যমান থাকে
উত্তর – সৃষ্টিকর্তার সত্য ধর্ম যে যুগে যে মাধ্যম ব্যক্তির দ্বারা জগতে প্রতিষ্ঠিত হয়, তাঁহার জীবিত কাল পর্যন্ত উহা পূর্ণ নিষ্কলঙ্ক থাকে। যেহেতু ধর্ম তখন এক মতবাদের উপর কায়েম থাকে। উক্ত মাধ্যম ব্যক্তির মৃত্যুর পর তাঁহার অনুসরণকারীগণ যতদিন পর্যন্ত আপোষে একজনের আনুগত্য স্বীকার করিয়া একই নিয়ন্ত্রণাধীনে চলিতে থাকে ততদিন পর্যন্তও সত্য ধর্ম গ্রহণযোগ্য ও নিষ্কলঙ্কই থাকে। কিন্তু যখন আপোষে মতানৈক্য ঘটে ও একাধিক মতবাদের সৃষ্টি হয় তখন হইতেই সত্য ধর্মে কলঙ্কের কালি লাগিতে থাকে। কারণ তখন ধর্মের কোন শাখা-প্রশাখাই সম্পূর্ণ নির্দোষ থাকে না, আবার কোন শাখা-প্রশাখাই সম্পূর্ণ দোষীও থাকে না। কাজেই তখন কোন শাখা পূর্ণ গ্রহণযোগ্য বা বর্জনযোগ্য তাহা বিবেচনা করা অত্যন্ত কঠিন হইয়া পড়ে। তখন ধর্মের অবস্থা চাউল-ডাউলে মিশ্রিত খিচুড়ি সাদৃশ্য হয়; ডাউলও বলা যায় না, যেহেতু চাউল আছে, আবার চাউলও বলা যায় না যেহেতু ডাউল আছে। কাজেই দীর্ঘকাল পরে উক্ত ধর্মের অনুসারীদের বংশধরগণের মধ্যে উহা গোত্রীয় ধর্ম বা পৈত্রিক ধর্ম রূপে প্রতিপালিত হইতে থাকে। তখন উহাকে আর সত্য ধর্ম বলা চলে না। এই একই কারণে পৃথিবীতে বহুবার বহু মাধ্যম দ্বারা সেই একই সৃষ্টিকর্তা তাঁহার একই সত্য ধর্ম জগতে আবির্ভূত করিয়াছেন এবং ধর্মের একই ধারা, অর্থাৎ নবাগত সত্য ধর্ম পূর্ববর্তী ধর্ম সমূহকে বাতিল করিয়া দেয়।
উল্লেখ্য, যে যুগে সত্য ধর্ম জগতে আবির্ভূত হয়, সেই যুগের চিহ্ন এই যে, তখন পৃথিবীতে কোথায়ও শান্তি থাকে না। তাহার কারণ হইল, সুনিয়ন্ত্রণাধীনে থাকার মধ্যেই মানব জাতির শান্তি, কিন্তু সেই সময় সুনিয়ন্ত্রকেরই অভাব থাকে। এক শ্রেণীর ধর্মগুরু জনসাধারণের নেতা হইতে চাহেন, কিন্তু তাহারা নিজেরা কাহারো আনুগত্য স্বীকার করেন না। তাহারা শুধু মুখের জোরে বলেন, “আমরা ধর্মশাস্ত্র অনুসরণ করি।” কিন্তু শাস্ত্র লইয়াই যে আপোষে ঝগড়া তাহার মীমাংসা করিতেই তাহারা অক্ষম। অপর পক্ষে চিন্তাশীল বৈজ্ঞানিক, দার্শনিকগণ স্বরচিত আইন-কানুন দ্বারা জন সাধারণকে নিয়ন্ত্রিত করিয়া জগতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করিতে চেষ্টা করেন, কিন্তু তাহারা স্রষ্টার সত্য ধর্মের আনুগত্য স্বীকার করেন না। অথচ স্রষ্টার অদৃশ্য হস্তেই যে মানব জাতির শান্তি। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি শান্তি কায়েম না করেন, ততক্ষণ পর্যন্ত জগতবাসীর পক্ষে শান্তি পাওয়ার অন্য উপায় নাই। তাই এমনি যুগেই সৃষ্টিকর্তা পৃথিবীতে আসমানী মীমাংসার ব্যবস্থা করিয়া থাকেন। (আংশিক দেয়া হইল)। লেখক - মোঃ বরকত উল্লাহ খান
২| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ দুপুর ১:১৭
রাজীব নুর বলেছেন: দেশকে এগিয়ে নিতে হলে শিক্ষার কোন বিকল্প নেই।
এই শিক্ষা ধর্ম শিক্ষা না।
৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ সন্ধ্যা ৬:৪৮
ইকবাল সরদার বলেছেন: ধর্মের ফল দুইটি
১) ইহকালে ঐক্য হবে এবং শান্তি হবে।
২)পরকালে মুক্তি হবে।
যেহেতু আমাদের ধর্মীয় গুরুরা ঐক্য প্রতিষ্ঠা করতে পারছেনা, বিভিন্ন দলে দলে বিভক্ত হয়েছে, অজান্তেই শান্তির অন্তরায় হয়ে আছে।
তাই আধুনিক শিক্ষায় শিক্ষিত গন ধার্মিক দের নিয়ে হাসি ঠাট্টা করে।
-------
প্রত্যেকটি আসমানি কিতাব পূর্বের কিতাবের সত্যতা প্রকাশ এবং পূর্বের কিতাবের নির্যাস বহন করে এবং কিতাবগুলোর মধ্যে সময়ের ব্যাবধান লক্ষণীয় তাই নিরাকার একজন আছেন তা সহজেই বোঝা যায়।
------
আমাদের জাগতিক প্রয়োজনের সবকিছু তার অসীম জ্ঞান থেকে মানুষের অজান্তেই দান করেন এবং মানুষের মাধ্যমেই বাস্তবায়ন করেন, কিন্তু পরকালে মুক্তির জন্য কিতাবের পাশাপাশি কিতাবের সঠিক বুঝ বোঝানর জন্য মোজাদ্দেদ দরকার হয়।
৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ৮:২৭
আকতার আর হোসাইন বলেছেন: ধর্মতত্ত্ব নিয়ে পড়তে গেলে মাথা ঘুরায়। নিজের বিশ্বাসে ছেদন ধরায়। অশান্তি আসে
৫| ২৮ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৫:৪৪
ইকবাল সরদার বলেছেন: هُوَ الْأَوَّلُ وَالْآخِرُ وَالظَّاهِرُ وَالْبَاطِنُ وَهُوَ بِكُلِّ شَيْءٍ عَلِيمٌ
তিনিই প্রথম, তিনিই সর্বশেষ, তিনিই প্রকাশমান ও অপ্রকাশমান এবং তিনি সব বিষয়ে সম্যক পরিজ্ঞাত।
He is the First and the Last, the Evident and the Immanent: and He has full knowledge of all things. ৫৭:০৩
প্রকাশ্য আল্লাহ কে খুঁজুন, লেগে থাকুন, যখন পাবেন তখন দেখবেন ধর্ম খুবই সহজ
#আকতার আর হোসাইন
©somewhere in net ltd.
১|
২৭ শে ডিসেম্বর, ২০১৯ রাত ১:০৯
হাসান কালবৈশাখী বলেছেন:
মানব ইতিহাস দেখলে বোঝা যায় কোন একক ধর্ম সমগ্র মানব জাতীর জন্য আসেনি বা নাজেল হয় নি।
ধর্ম শৃষ্টি হয়েছে ভয় থেকে, রিজিয়ন ভিত্তিক বিভিন্ন প্রক্রিয়ায়। প্রথমে ৮-১০ জন ভক্ত, এরপর ১০০-২০০ ....
চন্দ্র, সুর্য, পাহাড় পর্বতকে দেবতা মনে করে পুজা, পরে মুর্তি বানিয়ে ...
একসময় দেখা গেল মুর্তিফুর্তি আর ভয় পায়না লোকে। তাই সময়য়ে লৌকিক মুর্তি বাদ দিয়ে অদৃশ্ব ঈশ্বর অলৌকিকে বদলে গেল। কিছু চতুর ঈশ্বর প্রতিনিধী দাবি করে বিভিন্ন বুজুর্গি দেখিয়ে বদলে দিল।
মাত্র ২ হাজার বছর আগে বড় ধর্মগুলো আবির্ভাব।
কিছু সমাজপ্রধান মুলত নেতৃত ও শৃক্ষলা বজায় রাখতেই ঈশ্বর বা অশরিরির কিছু ভয় দেখায়। কিছু চালাক বুদ্ধিমান নেতা যুদ্ধের জন্য সৈন্য/সেচ্ছাসেবক সংগ্রহের জন্যই স্বর্গ-নরকের স্বপ্ন দেখিয়ে কিছু দুর্বল মানুষকে মানুষকে দাস বানায়, সৈনিক বানায়। ক্ষমতা কুক্ষিগত করে ।
এরপর সমাজ গোত্র বড় হয়, গোত্রের মাস্তান চতুররা সময় কেউ বুঝে গাছতলায় ধ্যানে বসে, কেউ পর্বতের গুহায় বসে নিজেকে ঈশ্বররের প্রতিনিধি দাবি করে, মিশরে তো একজন পর্বতে সরাসরি ঈশ্বররের সাথে দেখা করে। আর একজন তো ঈশ্বরকে অদৃশ্ব নিরাকার বলে নিজেকে ঈশ্বরপুত্র দাবি করে বসে! বিভিন্ন স্থানে বিভিন্ন জনে ৮-১০ টি বড় ধর্ম সহ হাজার হাজার ধর্ম।
এভাবেই মুলত বিভিন্ন প্রেক্ষাপটে মানব মননে ঈশ্বরের, গড, গডেসের আবির্ভাব। স্বর্গ-নরকের লোভনীয় স্বপ্ন দেখিয়ে।
বর্তমানে সোসাল মিডিয়ার কিছু বান্দা ব্লাক হোলের ভয় দেখিয়েও ..
অতচ মানবকুল ৯৯.৯% সময় ঈশ্বর বিহীন ধর্ম বিহীনই বন জঙ্গলে কাটিয়েছিল।