![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কার্ডোবা আরবীতে " আল- কুরতুবা "। হিজীরী প্রথম শতাব্দিতে যখন মুসলমানরা স্পেন বিজয় করেন,তখন এখানে " কুতিয়াহ" দের শাসন ছিল।তারেক বিন জিয়াদ রহঃ ৯২ হিজীরীতে এটাকে বিজয় করেন।মুসলিম সৈনিকরা নগরবাসীর সাথে ন্যায়- ইনসাফের আচরন করেছেন।
মুসলমানগন উন্দুলুস বিজয় করার শুরুতেই " ইশবিলিয়্যাহ "(স্পেনের এক শহর) কে দারুল হকুমত ( রাজধানী) বানিয়েছিল।কিন্তু,সুলাইমান বিন আব্দুল মালিক এর সময়ে উন্দুলুসের গভর্ণর সামাহ বিন মালিক দারুল হকুমত ইশবিলিয়্যাহ থেকে কার্ডোবায় স্থানান্তর করেন।এর পর অনেক দিন পর্যন্ত কার্ডোবা উন্দুলুসের দারুল খিলাফাহ হিসেবে ছিল।
১৩৮ হিঃ তে আব্দুর রহমান আদ-দাখেল যখন এখানে উমুবি খিলাফত কায়েম করেন,তখন এই শহরের অনেক উন্নতি হয়েছিল।
উমুবি খান্দান তিন শতাব্দির চেয়ে বেশি কার্ডোবায় হকুমত করেছেন।এরপর এখানে বনু হমুদ,বনু জহুর,বনু আবদ,মারাবেতিন,মুওয়াহ্হেদিনরা শাসন করেছিল।
অতঃপর,৬৩৪ হিঃ তে কুস্তালার খৃস্টান বাদশাহ ফারডিনেন্স সেটি দখল করে নেয়।
এই শহরে মুসলমানদের শাসন ৫৩৪ বছর পর্যন্ত ছিল।
ক্রমশ।
মুসলমানদের শাসনামলে কার্ডোবাকে পৃথিবীর উন্নত এবং সভ্য শহরগুলোর মধ্য গনণা করা হত।একুশটি বড় বড় মহল্লা নিয়ে এই শহর গঠিত।
খালিফা হিশাম আল- মুআইয়্যিদ এর শাসনামলে (১৩৮ হিঃ-১৭২ হিঃ)যখন শহর গনণা করা হল,তখন শহরে বাড়ীর সংখ্যা আড়াই লাখের চেয়েও বেশি ছিল।দোকানের সংখ্যা ছিল প্রায় আশি হাজার।
আব্দুর রহমান আদ-দাখেলের সময়কালে(১৩৮হিঃ-১৭২হিঃ)শহরে মসজিদের সংখ্যা চারশত নয়টি ছিল।পর ষোলশ মসজিদের সংখ্যাও ইতিহাসের গ্রন্থগুলোতে পাওয়া যায়।(নাফহুত তীব খঃ ২,পৃঃ৭৯)
মুসলমানগন তাদের উত্থানের সময় এমন অত্যাধুনিক বিল্ডিং,বড় বড় সড়ক,মজবুত পুল,এবং সেই সময়ের উন্নতমানের কারখানা কার্ডোবাকে দান করেছিল।যার আলোচনা করার জন্য ঐতিহাসিকগণ এবং সাহিত্যিকগণ আলাদা কিতাব রচনা করেছিলেন।উন্দুলুসের প্রখ্যাত ঐতিহাসিক আল্লামা মুকাররী রহঃ " নাফহুত তীবের" একটি খন্ডের পুরা অংশজুড়ে কার্ডোবার আলোচনা করেছিলেন।
ইলমের দিক দিয়েও কার্ডোবাকে উন্দুলুসের সবচেয়ে বড় শহর হিসেবে গণ্য করা হত।উন্দুলুস থেকে ইলম এবং জ্ঞানের ময়দানে পৃথিবী কাঁপানো যে সমস্ত আলেম- ব্যাকতিত্ব তৈরি হয়েছিল,তাদের অধিকাংশই কার্ডোবার মানুষ কিংবা সেখানে বসাবাসকারী।
বিশিষ্ট মুফাসসীর(তাফসীরে কুরতুবীর গ্রন্থকার)এবং মুসলিম শরীফের ব্যাখ্যাকার আল্লামা কুরতুবি,ফিকাহ এবং দর্শনশাস্ত্রের ইমাম আল্লামা ইবনে রুশদ,আহলে জাহেরের ইমাম আল্লামা ইবনে হাজম,ডাক্তারী এবং সার্জারী পারদর্শী আবুল কাছেম জাহরাবী। সব বড় বড় নক্ষত্রগুলো এই শহরেই ইলম এবং আকল বিতরণ করতেন।…
ক্রমশ…
©somewhere in net ltd.