![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হযরত মাওলানা হারুন সাহেব রহ।গতকাল যার নামের শেষে বলা হত, মু,জি,আ, দা,বা, ইত্যাদি।কিন্তু এখন তার নামের শেষে বাধ্য হয়ে বলতে হচ্ছে রাহমাতুল্লাহি আলাইহ,রাহিমাহুল্লাহ ইত্যাদি।
কারণ! তিনি আজ ২৬/১০/২০১৩ ইংরেজী রাত ৩ টা ৪৫ মিনিটে চলেগেছেন,হাজার- হাজার ছাত্র, মুরিদ, ভক্তবৃন্দদেরকে এতিম করে না ফেরার দেশে।
তিনি! এই ছোট্ট পরিসরে উনার জীবনী লেখা সম্ভব নয়।(তবুও নিজের অভিজ্ঞতা থেকে কিছু লিখছ্তেছি)
কারণ,উনার জীবন একটি সংগ্রাম,একটি অন্দোলন।
তিনি সারা জীবন কোরআন- হাদীছের জন্য বিলিয়ে দিয়েছেন,খিদমত করেছেন তালিবুল ইলম এবং মাদ্রাসার।
উনার জন্য এই উপাদি-ই সর্বাধিক উপযোগী যা ইমাম হাসান বাসরী রহঃ ব্যাপারে বলা হয়েছিল যে,তিনি[كان جامعا عالما رفيعا فقيها ثقة مامونا عابدا ناسكخ كثير العلم فصيحا جميلا وسيما....]
ছাত্রজীবনে তিনি খুবই মেধাবী ছিলেন।তিনি নিজেই বলেছিলেন যে,ছাত্র জীবনে তিনি শেখ সাদীর গুলিস্তা,,,বোস্তা সম্পূর্ণ মুখস্ত করেছিলেন।আর অন্যান্য ছোট-খাট আরবী- ঊর্দু,ফার্সী সাহিত্যের কিতাবতো উনার কন্ঠস্থ ছিল।
কর্মজীবনে তিনি ঢাকার লালবাগ মাদ্রাসার অনেকদিন স্বনামধন্য শিক্ষক ছিলেন,এবং নাওঁগার পোর্শা মাদ্রাসা ও চট্টগ্রামের কৈগ্রাম মাদ্রাসায়ও অনেকদিন যাবত হাদীছের দরছ দিয়েছিলেন।এরপর জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি হাটহাযারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সচিব এবং সিনিয়র মুহাদ্দীছ ছিলেন।
হাদীছের মধ্যে তিনি মুসলিম শরীফ প্রথম খন্ড,আবু- দাউদ শরীফ ১ খন্ড,ইবনে মাজা,ও মেশকাত শরীফ ২ খন্ড ইত্যাদির দরস দিয়েছিলেন।
ইলমে হাদীছের সাথে উনি আরবী ভাষা সাহিত্যের মধ্যেও অনেক পন্ডিত ছিলেন তাইতো উনি লোকেমুখে আদীব হুজুর নামে প্রসিধ্য হয়েছিলেন ।এ ব্যাপারে একটি ঘটনা আছে যে,,
পাকিস্তানের মুফতিয়ে আজম মুফতি শফি রহঃ যখন ইন্তেকাল করেন,তখন ভিবিন্ন দেশ থেকে উনার জন্য শোকবার্তা পাঠানো হয়েছিল,বাংলাদেশ থেকে যারা পাঠিয়েছিলেন তাদের মধ্যে হারুন সাহেব রহঃ শোকবার্তা হিসেবে ২-৩ টি পংতি লিখে পাঠিয়েছিলেন যেই কবিতাগুলোর মধ্যে মুফতী সাহেব রহঃ 'র পুরো জীবনী চলে এসেছিল।এই কবিতাগুলো পড়ে বিখ্যাত হাদীছ বিশারদ পাকিস্তানের সাবেক বিচারপতি আল্লামা তকি উসমানী সাহেব উনাকে দেখতে বাংলাদেশে এসেছিলেন.…
উনি বড়োমাপের একজন মুত্তাকী ছিলেন।হালাল- হারাম এবং মুশতাবাহ জিনিসের ব্যাপারে তিনি ছিলেন খুবই কঠোর।তিনি এতোই সাদাসিদে ভাবে জীবন যাপন করতেন যে,এ ব্যাপারে মাওলানা আবু তাহের মিসবাহ সাহেব দা,,বা,, বলেছেন " হুযুরকে দেখার এবং চেনার পর বিশ্বাস করতেই হবে যে,,মানুষ মাটির সৃষ্টি "
ইন্তেকালের সময় উনার বয়স ছিল ৭৩ বছর…
আল্লাহ তা'আলা উনাকে জান্নাতের সু উচ্চ মর্যাদা দান করুন.…আমীন… । ।
২| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৪৫
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: bikal 3 Tai janazar namaj onuSThito hobe.....
৩| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:৫৫
উযায়র বলেছেন: জীবনের শেষ মূহুর্ত পর্যন্ত তিনি হাটহাযারী আরবী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা সচিব এবং সিনিয়র মুহাদ্দীছ ছিলেন।
৪| ২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ দুপুর ১:০৪
কামরাজ বলেছেন: তাঁর রূহের মাগফেরাত কামনা করছি।
৫| ২৭ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১০:৫৮
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: S
©somewhere in net ltd.
১|
২৬ শে অক্টোবর, ২০১৩ সকাল ১১:২১
সাইবার অভিযত্রী বলেছেন: ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন।