![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
২৫ এপ্রিল ইতালির বিজয় দিবস।দিনটিকে সামনে রেখে ইতালির একটা জুতার কোপ্মানী ইতালীয় পতাকার রংয়ের নকশায় একধরণের জুতা বাজাররত করে,তরুণ তরুনীরা সেই জুতা পায়ে পরে বিজয়ের উৎসব পালন করে।কিন্তু সেখানে কেও উচ্চবাক্য করে না। স্বাধীনতা গেল রে…!! ইতালীয়রা মনে করে দেশপ্রেম মানে দেশের জন্য কাজ করা।দেশকে উন্নতির শিখরে নিয়ে জাওয়া।কোন মামুলী বিষয় নিয়ে সময় নষ্ট না করা।বিজয়ের দিনে তাদের মিডিয়া জুড়ে থাকে উন্নয়নের গল্প।কে বেশি দেশের জন্য অবদান করেছেন,কীভাবে করেছেন,দেশকে কী দিতে পেরেছেন ইত্যাদি।স্বাধীনতার সময় দেশের অবস্থা কেমন ছিল,এখন তারা কোথায় নিয়ে এসেছে,আগামীতে তারা কোথায় নিয়ে জেতে চায়,গল্প শুধু এগুলোরই থাকে।একদম জেন পেছনে ফিরে তাকাবার সময় নেই।জুতার কোম্পানী ব্যাখ্যা দিয়ে বলেছিলেন যে, বাঁশের মাথায় পতাকা বেঁধে রাখার নাম দেশপ্রেম নয়।বরং দেশের পতাকা সর্বস্থরে সকল কাজে সহজভাবে পৌছে দেয়াই তাদের লক্ষ।
আমি বলছিনা এমনটা আমাদের দেশে করতে।
কিন্তু যা বলছি…
মাত্র ছয় দশক আগে ইতালি যখন স্বাধীনটা অর্জন করে তখন ইতালির অর্থনৈতিক অবস্থা এতটাই শোচনীয় ছিলো যে,সাধারণ মানুষ মাত্র সপ্তাহে একদিন মাত্র মাংস খেতে পারত।ছাগলের দুধের পনির ছিল তাদের কাছে স্বপ্নের খাবার।
অথচ মাত্র ৬২ বছরের ব্যাবধানে আজ ইতালিতে প্রায় ষাট লাখেরও বেশি বিদেশী শ্রমিক কাজ করছে,জীবিকা নির্বাহ করছে।
অথচ আমাদের দেশ কম হলেও সাব্ধীনতার ৪২ বছর পার করছে,,কিন্তু এখনো ৭১ সালের অবস্থা রয়েগেছে।
রাজনৈতিক দলগুলোর হিংসা প্রতিহিংসা মারামারি হানাহানি ইত্যাদি বেড়েছে।
দূর্নীতি,সুদ,ঘুষ চুরি ডাকাতি সন্ত্রাসী ইত্যাদি ই বেড়েছে।
জনগণকে ধোকা দিয়ে পালাবদল করে শুধু দুই দলই ক্ষমতা আকড়ে ধরে।একদল উঠলে আর নামতে চাই না,নামানোর জন্য আরেকদল আশ্রয় নেই মারামারির হানাহানির আর বিদেশিদের দারস্থ হয়।
একদল মুক্তিযুধের চেতন বিক্রি করে খায়,চুরি সন্ত্রাসী সবই করে অন্য দলও ক্ষমতাই এসে সে পথ অবলম্বন করে।
উন্নয়নের ফিরিস্তি দেয়ার মধ্যে আসবাই যেন প্রতিযোগিতায় নেমে পড়ে আর বাস্তবের বেলায় সবাই খালি হাত।
দেশ ও জনগণের উন্নয়নের দিকে না তাকিয়ে শুধু নিজেদের স্বার্থ রক্ষায় ব্যাস্থ আছে সবায়…
জানি না এই বেড়াজাল থেকে বাংলাদেশ কখন মুক্তি পাবে..……
©somewhere in net ltd.