নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

আমার ব্লগবাড়িতে আপনাকে স্বাগতম...

হেজাজের কাফেলা

বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র..

হেজাজের কাফেলা › বিস্তারিত পোস্টঃ

নারীর উপর আওয়ামীদের বর্বরতা,হেফাজতের কথিত নির্যাতনঃ সুশিলদের চুলকানি!

০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ সন্ধ্যা ৭:১৯



৬ ই এপ্রিল হেফাজতে ইসলামের লংমার্চ পরবর্তী মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছিল,মতিঝিল শাহাদাত চত্বরে(শাপলা চত্বর)।সরকারের সব ধরনের বাঁধা-বিপত্তি উপেক্ষা করে সেই দিন সারা দেশ থেকে লক্ষ লক্ষ তাওহীদি জনতা সেখানে জমায়েত হয়েছিল।আমাদের দেশের তথাকথিত কিছু প্রগতীশিল "নারিবাদী সংগঠন"হেফাজতের সমাবেশে একুশে টেলিভিশনের রিপোর্টার নাদিয়া শারমিনকে কথিত নির্যাতনের ধোয়া তুলল।এবং হেফাজতকে নারী বিদ্ধেষি হিসেবে উপস্থাপন করার অপ চেষ্টায় মেতে উঠল।শেষ পর্যন্ত তাদের সকল ষড়যন্ত্র বিফলে গেল।এবং তাদের কথিত নারী নির্যাতনের ধোয়াও যে একটা নাটক ছিল তা জনসম্মুখে প্রকাশ পেল।

কারণ!কথিত নারী নির্যাতনের স্ব-পক্ষে তাদের কাছে কোন স্পষ্ট প্রমানই ছিল না(অবশ্য তারা অপ্রাণ চেষ্টা করেছিল প্রমাণ্যচিত্র আনার)।মিডিয়াতে কথিত নির্যাতনের কিছু চিত্র আসলেও,সেগুলোতে নাদিয়া শারমিনের উপর কাওকে কিল,,ঘুষি,চড় দিতে দেখা যায় নি।বরং একটি অস্পষ্ট ভিডিওতে দেখা গিয়েছিল,কিছু দাড়ী-টুপিবিহীন ব্যাক্তি তাকে তাড়া করছিল।আর কয়েকজন তাকে রক্ষা করার চেষ্টা করছে।অথচ!সেই দিন হেফাজতের সমাবেশে আলেম ওলামা সাধারণ মানুষ,যারাই এসেছিল সবার মাথায় টুপি ছিল।

হামলার কারণ সম্পর্কে কেও কিছু স্পষ্টভাবে বলতে পারে নায়।তবে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায় লক্ষ লক্ষ লোকের মহা সমাবেশকে হাজার হাজার বলায় উপস্থিত জনতা তাকে ধাওয়া দিয়েছিল।অন্যদিকে নাদিয়ার দাবী ছিল"হেফাজতের সমাবেশে নারী সংবাদিক কেন? এই বলে তার উপর আক্রমন করা হয়েছিল।অথচ সেখানে দেশি-বিদেশী আরো অনেক নারী সংবাদিক সমাবেশ দেখতে এসেছিল,তাদের উপর তো কোন আক্রমন হয়নি?

বস্তুত এ ছিল আমাদের দেশের কিছু নারিবাদী সংগঠনের ষড়যন্ত্রের অংশ।যা দিয়ে তারা হেফাজতকে নারী-বিদ্ধেষী হিসেবে প্রমান করতে চেয়েছিল।কিন্তু এই চরম সত্য তারাও জানে যে,হেফাজতই নারীদের বাস্তব অধিকার নিয়ে কাজ করে।তবুও গুটিকয়েক নারিবাদী চেঁচামেচি করতে থাকলে হেফাজত সাংবাদিক সম্মেলন করে এর জন্য দূঃখ প্রকাশ করে।এবং দোষীদের শাস্তির আওতায় এনে কঠোর ব্যাবস্থা নেয়ার জন্য সরকারের প্রতি আহব্বান জানায়।কিন্তু এই পর্যন্ত সরকার এর কোন কূল-কিনারাও পেল না।

গত ২৯ ডিসেম্বর,রোববার।১৮ দলীয়জোটের ডাকা "মার্চ ফর ডেমক্রেসিতে" যোগদানের জন্য সুপ্রিমকোর্টে যান বি এন পি পন্থি আইনজীবীগণ।সেখান থেকে তারা মিছিল নিয়ে পল্টনের দিকে যেতে চাইলে পুলিশ তাদেরকে গেইটে বাধা দেয়।অতঃপর আওয়ামী সন্ত্রাসীরা এসে গেইটের তালা ভেংগে দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিমকোর্টে নরকীয় তান্ডব চালায়।পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে না এনে উল্টো তাদের সাহায্য করে।সেখানে প্রবেশ করে তারা দুইজন নারী আইনজীবীর উপর হিংস্র পশুর ন্যায় হামলে পড়ে।

সিমকি হোসেন এবং রেহেনা আক্তার।সন্ত্রাসীদের মায়ের সম বয়সী এই দুই আইনজীবীর উপর তারা তারা অমানবিক নির্য্তন করে।কিল,ঘুষি,লাত্থি,বেড়দড়ক লাঠিপেটা করে তাদেরকে গুরুতর আহত করে। এ সময় সিমকি ইমামের গলায় থাকা স্বর্ণের চেইন এবং কানের দুলও তারা লুট করে নিয়ে যায়।পরে কিছু সাংবাদিক এসে তাদেরকে অর্ধ নগ্ন অবস্থায় উদ্ধার করেন।এ সময় তাদের শরীর প্রায় তেতলে যায়।তাদের উপর এই অমানবিক নির্যাতনের চিত্র স্পষ্টভাবে প্রায় সকল মিডিয়ায় আসে।

কিন্তু আশ্চার্যের বিষয় হল এমন অমানবিক ঘটনার পরও আমাদের দেশের তথাকথিত নারিবাদীরা একদম নিশ্চুপ!

মনে হচ্ছে যেন কিছুই হয়নি!

হেফাজতের কথিত নারী নির্যাতনের সময় যারা চেঁচিয়ে গলা ফাটিয়ে ছিল,তাদের কাওকে এখন অমানবিক নারী নির্যাতনের পর বুলি আওড়াতে দেখা যাচ্ছে না।কারণ!আক্রমনকারীরা ছিল মুক্তিযুদ্ধ স্ব-পক্ষ(!)দলের লোক।তাই এখানে তারা একদম বধির।

তাদের কাছে নারীদের প্রতি কতটুকু দরদ(!)তা এখানেই প্রকাশ পেল।

আমাদের দেশে কিছু ভূইফোড় নারী সংগঠন আছে।তারা নারীদের কথিত অধিকার নিয়ে সময়ে সময়ে মায়াকান্না করে।কিন্তু যখন নারীরা বাস্তব নির্যাতনের শিকার হয়,তখন তাদের মায়াকান্না যেন কোথাই হারিয়ে যায়।আসলে তারা নারীদের অধিকার নয় বরং নারীদেরকে বাজারী পণ্য বানানর্র জন্য তৎপর..…

সুতরাং,সাধু সাবধান…!!!

মন্তব্য ৩ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (৩) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১১:৪৬

হেজাজের কাফেলা বলেছেন: Ra8

২| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ রাত ১২:০৩

~*~নির্ঘুম~*~ বলেছেন: নারীবাদী সুশীলরা এখন ইদুরের গর্তে , সময়সুযোগ বুঝে আবার বের হয়ে আসবে

৩| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০১৪ ভোর ৫:৫৬

হেজাজের কাফেলা বলেছেন: ঠিক বলছেন…
ধন্যবাদ নির্ঘুম ভাই

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.