![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
কায়রোওয়ান। উত্তর আফ্রিকা মহাদেশের একটি শহর।এই শহরের জন্মের ইতিহাসটা চমৎকার।
সেই হিজীরী একান্ন সনের ইতিহাস।তখন মুসলমানদের খালিফা ছিলেন আমিরে মুয়াবিয়া (রাজিঃ)।রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের প্রিয় সাহাবি।
তিনি উকবা বিন নাফে' ১(রাজিঃ)কে আফ্রিকার গভর্ণর নিযুক্ত করলেন।সাথে দশহাজার মুজাহিদের একটি বাহিনী দিলেন,সমগ্র আফ্রিকাকে ইসলামের ছায়াতলে নিয়ে আসার জন্য।
তখনকার সেই(উত্তর) আফ্রিকা।আজকের মিসর থেকে নিয়ে মরক্কো হয়ে আটলান্টিক মহা-সাগরের উপকুল পর্যন্তকে বুঝানো হত।'
....ঐতিহাসিকগনের বর্ণনা অনুযায়ী....
আসুন জেনে নিই সেই 'কায়রোওয়ান ' শহরের ইতিহাস।
উকবা বিন নাফে' রাজিঃ আল্লাহর রাস্তায় জিহাদ করতে করতে আফ্রিকার গহীন অরণ্যে পৌছে গেলেন।সেই অরণ্যে তাঁরা সবুজ-শ্যামল জান্নাতের টুকরার মত এক স্থানে উপস্থিত হলেন।স্থানটি যেমন দেখতে নয়নাভিরাম, মনকাড়া।তেমনি তার পরিবেশ ছিল স্ব্যাস্থ সম্মত।
জায়গাটি হযরত উকবার এতই পচ্ছন্দ হলো,যে তিনি সাথে সাথে এই স্থানে একটি শহর বানানোর ফায়ছালা করে ফেললেন।
কিন্তু সমস্যা ছিল অন্যদিকে।
জায়গাটি যেমন সুন্দর,আবার তেমন বিপদজনকও।
এখানে জঙ্গলের বড় বড় হিংস্র পশু আর বিষাক্ত সাপের আস্তানা ছিল।দিন-রাত তাদের হুংকারে পুরো এলাকাটি প্রকম্পিত হত।
এই হিংস্র পশু-পাখি থাকা অবস্থায় এখানে শহর আবাদ করা ছিল অসম্ভব।তাছাড়া সেগুলোকে হত্যা করাও ছিল কঠিন কাজ।
হযরত উকবা এই জায়গাটির নিকটে তাবু টাঙ্গালেন।
একদিন ফজরের নামাজের পর।গাছগাছালির ফাঁকে সেই স্থানের নিকটে গিয়ে উচ্চ আওয়াজে ঘোষণা দিলেন।
" হে জীবজন্তু! এই স্থানে মুসলমানরা আবাদ হতে চাচ্ছে।ঐ মুসলমান,যারা শেষ নবি হযরত মুহাম্মাদ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উম্মত।এবং আল্লাহ তা'আলার অনুগত বান্দা।সুতরাং,তোমরা এই স্থান থেকে চলে যাও।যদি তোমরা না যাও,তাহলে আমরা তোমাদেরকে হত্যা করে ফেলবো।"
লাগাতার তিন দিন পর্যন্ত তিনি ফজরের নামাজের পর এভাবে জঙ্গলে ঘোষণা করে আসতেন।
তৃতীয় দিন জানোয়ারগুলো উক্ত স্থান ছড়ে চলে গেল।
(বলা হয়েছে,এমনকি বাঘিনী তার বাচ্চা,বিষাক্ত সাপ তার বাচ্চাকে মুখে নিয়ে উক্ত স্থান ছেড়ে চলে গেল।)
তারপর মুসলিম মুজাহিদগন সেই শহর আবাদ করলেন।
ইতিহাসের পাতায় যা " কায়রোওয়ান " শহর নামে প্রসিদ্ধ।
...........
.★★★............
................
১- হযরত উকবা বিন নাফে' রাজিঃ।তিনি সাহাবি নাকি তাবেঈ এ ব্যাপারে ঐতিহাসিকদের মতভেদ রয়েছে।তবে কেউ কেউ বলেছেন তিনি সাহাবি এবং কোরাইশ বংশের ছিলেন।আল্লাহ সর্বাজ্ঞ।undefinedundefinedwww.ibneomar.wordpress.com
©somewhere in net ltd.