![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
আমরা অনেক কিছুই হারিয়ে ফেলেছি।অনেক কিছু আমাদের 'চুরি' হয়ে গিয়েছে।আমাদের অনেক সত্য চাপা পড়েছে মিথ্যার কোলাহোলে।সাম্রাজ্যবাদী শক্তির অধিপত্য মানসিকতার ঢেওয়ে পৃথিবীর অনেক 'সত্য ইতিহাস'ভেসে গেছে।হারিয়ে গেছে আমাদের(মুসলমানদের)অনেক অর্জন-ইতিহাসও।বিকৃত হয়েছে আমাদের অনেক ইতিহাস।আর কিছু রয়েগেছে অন্তরালে।
কিন্তু একথা সবাই জানে।মিথ্যুকরাও জানে।জানে ইতিহাস বিকৃতকারীরাও।
যে,'সত্য' কোন দিন মিথ্যা হতে পারে না। সত্য ইতিহাসকে যতই মিথ্যার আড়ালে নিয়ে যাওয়া হোক না কেন,সত্য একদিন সত্য হিসেবেই প্রকাশিত হবে।
মিথ্যার যতই কোলাহোল হোক না কেন,সেই কোলাহোল ভেদ করে 'সত্যকন্ঠ' একদিন বেজে উঠবেই।সত্যের গলা যতই চেপে ধরে রাখা হোক না কেন,সত্যের 'সুর' একদিন মানুষকে মোহিত করে তুলবেই।
এই পৃথিবীকে 'সাজিয়েছেন' মুসলমানরাই।আধুনিক পৃথিবীর যত উন্নয়ন সবকিছুতেই মুসলমানদের রয়েছে স্মরণীয় অবদান।শিক্ষা ,চিকিৎসা, যুক্তি-প্রযুক্তি সবকিছুতেই আলো ছড়িয়েছে মুসলামানরা ই।
কিন্তু!
আমরা হারিয়ে ফেলেছি আমাদের অনেক সোনালী অতীত ইতিহাস।অন্যদিকে পাশ্চাত্য -সাম্রাজ্যবাদী শক্তি বিকৃত করেছে আমাদের আরো অনেক ইতিহাসকে।সেরকম চেপে পড়া একটি সত্য ইতিহাসকে প্রকাশ করেছেন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রজব তৈয়ব এরদোগান।
গত পনেরই নভেম্বর ল্যাতিন আমেরিকার মুসলিম নেতাদের সাথে মতবিনিময়কালের বক্তব্যে এই ইতিহাস তুলে ধরেন তিনি।
তিনি বলেন, 'ক্রিস্টফার কলম্বাসের বহু বছর আগে মুসলিম নাবিকরা আজকের আমেরিকা মহাদেশ আবিস্কার করেন।"এ সত্য ইতিহাস এতদিন আড়াল করে রাখা হয়ে ছিল।
আমেরিকা মুসলিম নাবিক কৃর্তক আবিসস্কৃত,এই ইতিহাস নতুন নয়,বহুল আলোচিত।কিন্তু কলম্বাসের কাহিনী দিয়ে পাশ্চাত্য-সমাজ সেই সত্য ইতিহাসকে আড়াল করে রেখেছিল।
তুরস্কের প্রেসিডেন্টের মুখে এই সত্য ইতিহাসের সাহসী উচ্চারণ বিশ্বজুড়ে আলোড়ন সৃষ্টি করেছে।এবং পাশ্চাত্য গোষ্ঠিকে এক ধরণের হতভম্ব করে দিয়েছে।
ঐতিহাসিক তথ্য তাই প্রমান করে।
ক্রিস্টোফার কলম্বাসের পাঁচ-ছয়শ বছর আগেই মুসলিম নাবিকগণ আমেরিকা আবিস্কার করেন।
এরদোগান তাঁর বক্তব্যে বলেন, "১১৭৮ সালে মুসলিম নাবিকরা যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছেছিলেন।এটা ঐতহাসিকভাবে সত্য।"
অন্যদিকে কলম্বাস ভারত উপমহাদেশের নৌ-পথ আবিস্কার করতে গিয়ে আজকের আমেরিকা নামক মহাদেশে পৌঁছেন। সেখানে তিনি মানুষের বসতি দদেখতে পান।পরবর্তীতে যাদের নাম হয়েছিল "রেড ইন্ডিয়ান " নামে।
এরদোগানের তথ্যমতে,কলম্বাস তার ডায়েরীতে কিউবার পাহাড়ের চূড়ায় একটি মসজিদ* দেখার কথা উল্লেখ করেন।
১৯৯৬ সালে ঐতিহাসিক ইউসেফ মিরাওয়ে তার এক প্রবন্ধে দাবী করেন,কলম্বাসের মসজিদ দেখা প্রমান করে,মুসলিমরাই সর্বপ্রথম আমেরিকায় প্রবেশ করেন।
এটাই বাস্তব সত্য।কারন রাসুলুল্লাহ সাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বিদায় হজ্জের সময় সাহাবাদেরকে দীন-ইসলামের শান্তিবার্তা চারিদিকি ছড়িয় দেয়ার নির্দেশ দেন।
তারপর থেকে সাহাবায়ে কেরাম সমগ্র বিশ্বে ছড়িয়ে পড়েন।তাই তো সুদুর চীন থেকে নিয়ে মরক্কো পর্যন্ত সাহাবিদের কবর দেখা যায়।
ঠিক সেভাবেই মুসলমানরা আজ অবদি দীন প্রচারের কাজে পৃথিবীব্যাপী ছড়িয়ে পড়েছে।
তারা যেখানেই গিয়েছেন,ব্যাবসার জন্য হোক কিংবা ভ্রমনের জন্য সবখাবেই তারা মানুষকে সত্যের পথে দাওয়াত দিয়েছেন।মসজিদ প্রতিষ্ঠা করেছেন।
১৯৫২ সালের ১১ আগষ্ট,দিল্লির এক্সপ্রেস পত্রিকার এক প্রবন্ধে আফ্রিকার একজন পন্ডিত বলেছেন,"ক্রিস্টোফার কলম্বাস নয়,আমেরিকা আবিস্কার করেছে মুসলিম নাবিকরাই।"
ক্রিস্টোফার কলম্বাস একজন দক্ষ নাবিক,বিখ্যাত পর্যটক।তাঁর জন্ম মতান্তরে ২৪৪৬,মৃত্যু ১৫০৬ সালে।কলম্বাস আমেরিকা মহাদেশে পৌছেছিলেন।কিন্তু এর আগে মুসলমানরাই আমেরিকা আবিষ্কার করেন।এই সত্য ইতিহাস এতদিন চেপে ছিল।যা প্রেসিডেন্ট এরদোগান মুসলিম উম্মাহকে দ্বিতীয়বার স্মরণ করে দেন।
এরদোগান কিউবার সেই পাহাড়ের চূড়াই একটি মসজিদ নির্মাণের আশা ব্যক্ত করেন।এ ব্যাপারে তিনি কিউবা সরকারের সাথে আলোচনা করবেন বলেছেন।।
এরদুগানের প্রস্তাবনা অনুযায়ী সেখানে যদি মসজিদ নির্মিত হয়, তাহলে আমেরিকায় মুসলমানদের একটি হারানো নিদর্শন পুনরুজ্জীবিত হবে।।।।
ধন্যবাদ,সাবাশ রজব তৈয়ব এরদুগান!!!!
*এই সংবাদটি গণমাধ্যমে সর্বপ্রথম অমুসলিম মালিকানাদিন মিডিয়া 'বিবিসি' টীকাসহ প্রকাশ করেছে।বিবিসি টীকাতে লিখেছে,"কোন কোন গবেষকদের মতে কলম্বাস পাহাড়ের চূড়ায় যে মসজিদের কথা উল্লেখ করেছে,আসলে তা মসজিদ ছিল না;বরং পাহাড়টাকে মসজিদ আকৃতিতে দেখা গিয়েছিল।"
কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে,কলম্বাস খৃষ্টান, মুসলিম নয়।সুতরাং তাঁর দৃষ্টি কিংবা ধারণা গির্জার দিকে না গিয়ে মসজিদের দিকে যাবে কেন?
দিতীয়ত,মসজিদের আকৃতিতে পাহাড় কীভাবে হয়???
http://www.ibneomar.wordpress.com
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: ههههههههههههههه
২| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৩
মাসূদ রানা বলেছেন: ভালো লিখেছেন
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: শুকরান, পড়েছেন জেনে খুশি হলাম।মন্তব্য পেয়ে উৎসাহীত হলাম।
৩| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৪
টু-ইমদাদ বলেছেন: আপনার কোন আত্মীয় হয় @ খেলাঘর . . .
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:৩৯
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: নইলে কেমনে জানলো!!!! |
৪| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১:০৯
নাইমুল ইসলাম বলেছেন: আমেরিকা আবিস্কার নিয়ে যে বিতর্ক আছে এটাই জানতাম না! যাই হোক, ধন্যবাদ জানানোর জন্য।
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:১৮
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ,মন্তব্যের জপ্ন্য আর্শীবাদ!!!!!
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ ভোর ৬:২১
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: পড়ার জন্য ধন্যবাদ,মন্তব্যের জন্য আর্শীবাদ!!!!!
৫| ১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ দুপুর ১:০২
অপূর্ণ রায়হান বলেছেন: হুম! তা আম্রিকা আবিষ্কার নিয়া তর্ক বিতর্ক করে কি অলীক লাভ বা তৃপ্তির আশায় এতো তোড়জোড় জানাবেন কি! আমি বুঝতে অপারগ!!!
১৩ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১৮
হেজাজের কাফেলা বলেছেন: ইতিহাসের সত্য' কে উদ্ধার করা।
©somewhere in net ltd.
১|
১২ ই ডিসেম্বর, ২০১৪ রাত ১২:১২
খেলাঘর বলেছেন:
আমেরিকা আবিস্কার করেছে নোয়াখালীর এক লোক।
নাম: কলিম উদ্দিন বিশ্বাস, সংক্ষেপে কলম্বাস।