নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

চাদেঁর বুকে ফাটল’ আল-কোরআনের সাথে সঙ্গতিপূন বক্তব্য যাচাই সাপেক্ষে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সর্তকীকরণমূলক কতিপয় তথ্য!

০৮ ই জুন, ২০১৬ রাত ৯:০৮

আজ থকেে ১৪৩৮ চন্দ্র বছর আগে এই মাসে (১৪ই জ্বিলহজ্ব) বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সা.)’র মোজেযার প্রকাশ হিসাবে তাঁর আঙ্গুলের ইশারায় র্পূণ চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো বলে জানা যায়। আবু জাহেলের নেতৃত্বে একদল মূর্তীপূজারী ও ইহুদি জানায় হযরত মুহাম্মাদ (সা.) যে আল্লাহর রাসূল তা তারা মেনে নিবে যদি তিনি চাঁদকে দ্বিখন্ডিত করে দেখাতে পারেন। এ ব্যাপারে আরো জানা যায় রাসুল সা: সেদিন উপস্থিত সকলকে কিয়ামতের নির্দশন হিসাবে এ ঘটনা ঘটে বলে জানায়। হাদীস থেকে আমরা যতটা জানতে পারি আঙ্গুলের ইশারা করলে ওই অলৌকিক ঘটনাটি ঘট। ওই আরব মুশরকিরা এই মোজেজা অস্বীকার করে একে জাদু বলে অভিহিত করে। কিন্তু উপস্থিত ইহুদিরা চাঁদ দুই ভাগ হওয়ার ঘটনা ঘটার সঙ্গে সঙ্গেই ইসলাম র্ধম গ্রহণ কর। ওই ইহুদিরা তাওরাতে পড়েছিলো যে হযরত মূসা (আ.)’র উত্তরসূরি হযরত ইউশা (আ.)’র জন্য মহান আল্লাহ চাঁদ ও র্সূযকে স্থরি করে রেখেছিলেন।
আল কোরআনের সুরা ‘কামার’ এর প্রথম আয়াতে হঠাৎ করেই কাফিরদের দৃষ্টি আকর্ষন করে হঠাৎ করেই আল্লাহপাক ঘোষনা করেন “কিয়ামত নিকটবর্তী চন্দ্র বিদীর্ন হয়েছে”। আবার অসংখ্য হাদীসে চাঁদ দ্বিখন্ডিত বিষয়টি জানা যায়। সুধী পাঠক, চন্দ্র বির্দীনের সাথে কিয়ামতের কি সর্ম্পক? একটু গভীরভাবে ভেবে দেখুন উপরোক্ত আয়াতে চাঁদের সাথে পৃথিবীর একটি গভীর সম্পর্কের কথা স্রষ্টা তুলে ধরেছেন সাথে তিনি এটাও বলেছেন চাঁদে ফাটল বা দ্বিখন্ডিত এবং পৃথিবীতে কিয়ামত আসন্ন হয়ে পড়েছে। পবিত্র হাদীস গ্রন্থ বোখারী, মুসলিম, তিরমিযি, আহমাদ এর বিভিন্ন স্থানে চাঁদের দ্বিখন্ডের বিষয়টি জানা যায়। আলোচনার স্বার্থে আল- কোরআনের সাথে সংগতিপূর্ণ হাদীস গ্রহন করা হয়েছে। হযরত আলী, হযরত আবদুল্লাহ ইবনে মাসউদ, হযরত হুযাইফা, হযরত জুবায়ের ইবনে মুতয়িম (রা) স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন যে তারা এ ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষী। এ সকল হাদীস সমূহ একত্রিত করলে যে বিষয়টি জানা যায় তা হলো, একদা মক্কায় রাসুল (সাঃ) এর কাছে মুজেযা দেখতে চেয়েছিলেন সেই কারনে তিনি চাঁদের দিকে ইশারা করা মাত্র চাঁদ দু ভাগ হয়ে যায়। পবিত্র বুখারী শরীফ এর সাদাকা ইবনে ফায্ল কতৃক আব্দুল্লা ইবনে মাসউদ (রা) থেকে বর্নিত, তিনি বলেন নবী করিম (সাঃ) এর যুগে চাঁদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো। তখন নবী করিম (সাঃ) বললেন তোমরা সাক্ষী থেকো।” (৩৩৭৫ বুখারী শরীফ) আব্দুল্লা ইবনে মুহাম্মদ ও খলিফা (রা) কর্তৃক আনাস ইবনে মালিক (রাঃ) থেকে বর্নিত যে মক্কাবাসী কাফিররা রাসুল্লাহ (সাঃ) এর নিকট মুজেযা দেখানোর জন্য দাবী জানালে তিনি তাদেরকে চাঁদ দ্বিখন্ডিত করে দেখালেন।” (৩৩৭৬ বুখারী শরিফ) নবী (সাঃ) হিজরতের প্রায় পাঁচ বৎসর পূর্বে সেদিন চন্দ্রমাসের ১৪ তম রাত্রি ছিলো। সবেমাত্র চন্দ্রোদয় ঘটেছে। নবীজীর কাছে কতিপয় কাফির তাকে তার নবুওতের মুজিযা দেখতে চাইলো। তখন নবীজী তাদেরকে কিয়ামতের নিদর্শন দেখার জন্য আহ্বান করে। নবীজী চাঁদের দিকে অঙ্গুলি ইশারায় সকলকে দেখতে বলে সকলে তাকালে দেখা যায় আকাশের চাঁদ হঠাৎ দুই ভাগ হয়ে যায়। এক ভাগ সম্মুখের পাহাড়ের একপার্শ্বে এবং অপর অংশটি অপর পার্শ্বে দেখা গেলো। এই অবস্থাটি মূহুত্বমাত্রের জন্য থাকলো। নবী (সাঃ) এর ঘটনা দেখে কাফিরেরা আলোচনা-সমালোচনা শুরু করে দেয়। কিছু কিছু কাফির তার অনুসারি হয়ে গেলো আর কিছু কফির বলতে লাগলো (নবী সাঃ) তাদের যাদু দেখিয়েছিলেন। এ ব্যাপারে তারা সিদ্ধান্ত নেয় যারা মক্কার বাইরে অবস্থান করছে তাদের কাছে জানতে হবে সেদিন এজাতীয় কোন ঘটনা ঘটেছিলো কিনা? কারন রাসুল যদি তাদের চোখে যাদু করে থাকে তাহলে বাইরের লোকেরা এসব ঘটনা প্রত্যক্ষ করবে না। কিন্তু কাফিররা যখন বাইরের এলাকার লোকদের কাছে জানতে চাইলো সেদিনকার ঘটনা প্রসঙ্গে। তখন তারা একবাক্যেই জানিয়ে দিলো এমন একটি ঘটনা তারা প্রত্যক্ষ করেছে। ভারতের দক্ষিণাঞ্চলে অবস্থিত মালাবার রাজ্যের (বর্তমান কেরালা অঞ্চল) ততকালীন রাজা চক্রবর্তী ফারমাস (চেরামান পিরুমেল) আকাশে চাঁদ দুই টুকরো হয়ে যাওয়ার ওই অলৌকিক ঘটনাটি স্বচক্ষে দেখেছিলেন। যখন তিনি জানতে পারেন যে আরব দেশে শেষ নবীর আবির্ভাব ঘটেছে ও রাসূল (সা.)ই চাঁদ দ্বিখণ্ডিত করেছেন, তখন তিনি মক্কায় গিয়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ভারতের ইতিহাস গ্রন্থ ‘তারিখে ফেরেশতা’য় ওই ঘটনা উল্লেখিত হয়েছে। চেরামানের নামে ভারতের কেরালা রাজ্যে একটি মসজিদ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

সুধী পাঠক’ প্রকৃত পক্ষে সেদিনকার ঘটনাটা ছিলো ‘রাসুল সা: কিয়ামতের নির্দশন বা কিয়ামত কিভাবে ঘটবে তার একটি উদাহরন হিসেবে মক্কাবাসীকে দেখতে বলেছিলো চাদেঁর দিকে তাকিয়ে। তাহলে সেদিন চাঁদের বুকে কি ঘটেছিলো? কেনো চাঁদে এই বিকট বিস্ফোরন ঘটেছিলো? আর সেই বিস্ফোরনের সাথে কিয়ামতের কি সম্পর্ক থাকতে পারে? আমাদের জানা মতে রাসুল সা: সেদিন মক্কাবাসীদের ডেকে জড়ো করেছিলেন কিয়ামতের নিদর্শন দেখানোর জন্যে। যার অর্থ দাড়ায় কিয়ামত কিভাবে হবে? সেদিন কি হয়েছিলো চাদেঁর বুকে? এই প্রশ্ন আজ আমাদের মাঝে প্রশ্ন সৃষ্টি করে কিয়ামত কিভাবে হবে? আসলে পাঠক’ সেদিন চাঁদের বুকে বিশাল এক প্রস্তরখন্ড আঘাত করেছিলো। যার আঘাতের কারনে চাদ দ্বিখন্ডিত হয়েছিলো। “বিজ্ঞান অবহিত করেছেন যখন কোন পাথরখন্ড বা গ্রহানূ মহাশূন্য থেকে চাঁদেও মধ্যাকর্ষনের কারনে তার পৃষ্ঠের দিকে সবেগে ছুটে আসতে থাকে তখন চাঁদেও কোন বায়ুমন্ডল না থাকায় এরা বিনা বাঁধায় এতো প্রচন্ড গতিতে চন্দ্রপৃষ্ঠে আঘাত হানে যে পতিত স্থানে কল্পনাতীত ধাক্কায় Fusion পদ্ধতিতে পারমানবিক বোমার মত ব্যাপক প্রতিক্রিয়া ঘটে । ফলে ব্যাপক তাপের সৃষ্টি হওয়ায় পতিত স্থানে মুহুর্তেই বিরাট অগ্নি গোলকের সৃষ্টি হয়। অগ্নিগোলকের প্রচন্ড তাপে চাঁদেও শক্ত কঠিন মাঠি, পাথর সব গলে গিয়ে উত্তপ্ত লাভায় পরিনত তয়। পরবর্তীতে ঐ লাভা সৃষ্ট গর্তেও কিয়দংশ পূর্ন করে থাকে। এই অবস্থায় পাথরখন্ড বা গ্রহানু অথবা ধুমকেতু চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হওয়ার কারনে যদি প্রচন্ড ধাক্কায় প্রতিক্রিয়ায় পতিত স্থান থেকে কোন বড় শক্ত পাথরখন্ড বা একটা পাহাড়খন্ড দলাবদ্ধ অবস্থায় মহাকাশের দিকে উৎক্ষিপ্ত হয়, তাহলে ঐ উৎক্ষিপ্ত মাটির দলাটিও Fusion পদ্ধতি লাভ করে পারমানবিক বোমার মতো প্রচন্ড অগ্নিগোলক সৃষ্টি করে মহাশুন্যে জ্বলতে থাকবে এবং ধাক্কায় Trust প্রাপ্ত উধ্বগতি শেষ হওয়া মাত্রই চাঁদের মধ্যার্কষন বলের আর্কষনে আবার চাঁদের দিকে ফিরে আসবে। *(কুরআন কিয়ামত পরকাল-মুহাম্মদ আনোয়ার হুসাইন) উল্লেখিত র্বণনায় প্রমানস্বরুপ বহু চিহ্ন ইতোমধ্যেই বিজ্ঞানীরা সনাক্ত করতে সক্ষম হয়েছেন। এ ধরনের একটি গর্তকে বলা হয় Tsioik Ovskh যার ব্যাস হচ্ছে প্রায় ১৫০ মাইল। গভীরতা ও হাজাার হাজার ফুট। আমরা পূর্ণচন্দ্র রাতে এর বুকে ওপর কালো গর্তেও মত যে দাগটি দেখতে পাই যা ‘মৃত সাগর’ নামে পরিচিত, এর ব্যাস প্রায় ১০০০ মাইল। ভাবতে পারেন কত বড় আঘাতের চিহ্ন বুকে ধারন করে অসহায় চাঁদটি আমাদের দিকে তাকিয়ে আছে? অতএব আমরা তথ্য প্রমানের ভিত্তিতে এক প্রকার নিশ্চিত হতে পারি যে মক্কায় চন্দ্র সম্পর্কে যে দৃশ্যের অবতারণা করা হয়েছে, তাতে স্পষ্ট হয়ে উঠে যে একটি বড় ধরনের পথরখন্ডই চন্দ্রপৃষ্ঠে পতিত হয়েছিলো এবং আল্লাহ তায়ালা তার নবীর মাধ্যমে মক্কাবাসীকে এ দৃশ্য অবলোকন করায়ে বুঝাতে চেয়েছেন যে পৃথিবীর ধ্বংশ অনুরুপ কোন এক ব্যবস্থায় ঘটানো হবে। একটি পাথর খন্ডের আঘাতে।
১৯৬৯ সালে এ্যাপোলো -১১ নামের একটি মার্কিন মহাকাশযানে মানুষ সর্বপ্রথম চাঁদে অবতরন করে। এর আগেও চাঁদ সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণার জন্য এ্যাপোলো-১০ নামের রকেট চাঁদে পাঠানো হয় চাঁদের সর্বাধিক ছবি তুলে আনার জন্য। ঐ সময়ে চাঁদের যেই ছবি এলো, এতে দেখা যায় চাঁদের বুকচিরে একটি ফাঁটল বিদ্যমান। ফাঁটলটি লম্বায় ২০০ [কিঃমিঃ] এর ও বেশি এবং চওড়ায় ৩ [কিঃমিঃ]
বিজ্ঞানীগণ এর নাম দিয়েছেন "হাইজিনাস রিলী"। এই "হাইজিনাস রিলী"র মাটি ও পাঁথর গবেষণা করে বিজ্ঞানীগণ আবিষ্কার করলেন যে, এই ভাঙ্গা ও জোড়া লাগার ঘটনাটি ১৪০০ বছরেরও পুরোনো। এই ঘটনায় অভিভূত হয়ে একাধিক বিজ্ঞানী ইসলান ধর্ম গ্রহন করেন। তাহলে প্রমান হচ্ছে আল কোরআনের কথাই সত্য। চাদঁ বির্দীন। যার অর্থ চাঁদে ফাটল আছে। চাঁদের সেই ফাটলটির ছবি এবং শুধু তাই নয় ফাটলটির পাশে রয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত যা দেখে বোঝা যায় চাঁদের বুকে কিছু আছড়ে পড়ার নিদর্শন। উল্কাপিন্ড, ধূমকেতু, গ্রহানুর মতো মহাজাগতিক আঘাত। চাঁদ সত্যিই বির্দীন ? এ ক্ষেত্রে বৈজ্ঞানিক পটভূমী ও নাসার তথ্য উপাত্ত সংগ্রহ বিষয়টির মিমাংসা করতে পারে। “চাঁদে প্রায় ৩ হাজার ২০০ কিলোমিটার প্রশ্বস্থ একটি আয়তাকার ফাটল উপত্যকার চিহ্ণ পাওয়া গেছে। এটির অবস্থান সেখানকার পৃষ্টতলের ঠিক নিচে।” আবার এ ব্যাপারে ললেন্স ফিৎরেজ তার চাদের বুকে মানুষ বইতে উল্লেখ করেছেন “চাঁদের ওই স্থানটি কয়েক’শত কোটি বছর আগের কোন ফাটল উপত্যাকার ধ্বংশাবশেষ। এটি পরর্বর্তী সময়ে লাভার পরিপূর্ণ হয়ে যায়। চাঁদে আগ্নেয়গিরির সক্রিয়তার ইঙ্গিত দেয়।” চাঁদে যে ফাটল আছে সেটা বিভিন্ন তথ্য উপাত্তে জানা যায় । এবং সে ফাটল কে নিয়ে বিভিন্ন বিজ্ঞানিদের বিভিন্ন রকম মন্তব্য রয়েছে । তার মধ্যে দুটি অনুমান বিজ্ঞানী সমাজে গ্রহনযোগ্য। বিজ্ঞানীরা ধারনা করছেন, “চাঁদের বুকে কোনো গ্রহানু আছড়ে পড়ার কারণ সেখানে পাথুরে র্দীঘ ভাজ সৃষ্টি হয়েছিলো”। আল-কোরআনের ভাষ্যমতে “কেয়ামত আসন্ন চন্দ্র বির্দীন হয়েছে। যাতে স্পষ্ট বোঝা যায়। বির্দীণ হয়েছে মাত্র। অথাৎ কিছুদিন পূর্বে বা কিছু সময়ের ব্যবধানে এঘটনা ঘটোছে। যদি চাঁদের জন্মের শুরু থেকেই অথবা ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি বছর আগেই এঘটনা ঘটে থাকতো তাহলে উপল্লোখিত আয়াতে অবশ্যই ‘বির্দীন হয়েছে’ শব্দটির প্রয়োগ থাকতো না। নাসার প্রাপ্ত তথ্য উপাত্ত এবং চিত্রে পাওয়া যায় এই ফাটলের চিহ্ন। যা বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক প্রবন্ধে নাসার বিভিন্ন বিজ্ঞানী আলোচনা করেছেন। পাওয়া যায় চাঁদের কলংক নামে অভিহিত বিশাল বিশাল গর্ত। নিুের ছবিটির দিকে তাকালেই বোঝা যায় চাঁদের সেই ফাটলটির ছবি এবং শুধু তাই নয় ফাটলটির পাশে রয়েছে বিশাল বিশাল গর্ত যা দেখে বোঝা যায় চাঁদের বুকে কিছু আছড়ে পড়ার নিদর্শন। এটা সহজে অনুমেয় চাঁদ দীর্ঘদিন ধরে বুকে অমানসিক যন্ত্রনা কিষ্টতা দিয়ে ঘন ঘন আঘাত হেনেছে উল্কাপিন্ড, ধুমকেতু সহ গ্রহানু জাতীয় বিভিন্ন পাথর। চাঁদের ছবিগুলোর দিকে বোঝা যায় ক্ষতকিক্ষত চেহারা নিয়ে আজও চাঁদ অসহায়ের মতো তাকিয়ে আছে আমাদের দিকে। তার মধ্যাকর্ষণ আজো আমাদের সমুদ্রে জোয়ার-ভাটার সৃষ্টি করছে। চাঁদে যদি কেয়ামতের নিদর্শন দেখাতে ফাটল ঘটে তবে সেই ফাটল জোড়া লাগলো কিভাবে? জোড়া লেগেছে চাঁদের জ্বালামুখের লাভার নির্গত পদার্থ দ্বারা। চাঁেদ অসংখ্য জ্বালামুখের সন্ধান পাওয়া গেছে। সেই সকল জ্বালামুখের উদগীরিত লাভা বের হয়ে ফাটল জোড়া লেগেছে। ফাটলের অভ্যন্তর থেকেও গলিত লাভা বের হয়ে ফাটল জোড়া লাগিয়েছে।

চন্দ্রপৃষ্ঠে বড় ধরনের পাথর খন্ডের আঘাতে বিরাট এলাকা বা কয়েকটি পাহাড় প্রচন্ড আঘাতে মহাশুন্যে উৎক্ষিপ্ত হয়ে যে বিশাল গর্তের সৃষ্টি করেছে, তার মধ্যে ‘ক্লেভিয়াস’ গর্তটি একটি। যার ব্যাস প্রায় ১৪৬ মাইল এবং গভীরতা ১০০০০ ফুট এরুপ অসংখ্য গর্ত চন্দ্রপৃষ্ঠে আবিস্কৃত হয়েছে।

পাঠক, আমরা এমন এক সময়ের মুখোমুখি অবস্থান করছি যে সময়কাল ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কোন প্রস্তুরখন্ডের আঘাত পৃথিবীর কতিপয় জাতিসত্বার বিলীন ঘটাতে পারে। সেটা কোন এস্টিরয়েডের আঘাত! সেই প্রস্তরখন্ডের আঘাত মানবজাতরি জন্য ভয়াবহ এক অভিশাপ। সেই দিন মানুষ অজানা আতংকে ভীত্ববিহ্ববল হয়ে পড়বেে। ঘটনা কখন ঘটবে? তার বক কোন নিদর্শন রয়েছে? যখন চারদিকিে ভুমীকম্প হতে থাকব। অগ্নুৎপাত ঘটব। আল কোরআন বলে “ হে মানুষ তুমি কি নিশ্চিত আমি তোমাদরে উপর প্রস্তরখন্ড এর আঘাত করিব না”- আলকোরআন “ তুমি কি জান সে আঘাত কারী কি - আল কোরআন। পাঠক আপনারা নিশ্চয় বুঝতে পারছনে। আল কোরআন প্রস্তর খন্ডের আঘাতের কথা বলছ। বারবোর আল কোরআন শুধু ভয়াবহ একটি দিনের কথা বলা হয়ছে। মানবজাতিকে সঠিক পথে ফিরে আসতে বলছে। শাস্তিদিবস নামে অভিহিত আল কোরআনে এই দিনের ভয়াবহতার কথা বলা হয়ছে।কিন্তু চূড়ান্ত আযাবের দিন আল্লাহ কিছু মানুষকে রক্ষা করবে। “ আমরা আশংকা করি আমাদের প্রতিপালকের নিকট থেকে এক ভীতিপ্রদ ভয়ংকর দিনের। পরিনামে আল্লাহ তাদের রক্ষা করিবেন সেই দিবসের অনিষ্ট হইতে এবং তাহাদের দিবেন উৎফুল্লতা ও আনন্দ” এই শাস্তি দিবসে আল্লাহ তার অনুগৃহিত কিছু মানুষকে রক্ষা করিবেন। তিনি রক্ষা করিবেন তাদের যাদের প্রতি তার ভালবাসা অগাধ এবং যাদের তিনি নির্ধারিত করে রেখেছেন।

“তোমরা কি উহা নির্ভয় হইয়াছো যে যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদেরকে সহ ভূমীকে ধ্বসাইয়া দিবেন . অনন্তর উহা আকস্মিকভাবে থরথর করে কাপিঁতে থাকিবে অথবা তোমরা কি নির্ভয় হইয়াছো যে যিনি আকাশে রহিয়াছেন তিনি তোমাদের উপর কংকাবাহী ঝঞ্চা প্রেরণ করিবেন? তখন তোমরা জানিতে পারিবে কিরুপ ছিল আমার সতর্কবানী। উহাদের পূর্ববতীরা অস্বীকার করিয়াছিলো ফলে কিরুপ হইয়াছিলো তাহার শাস্তি। (৬৭:১৭,১৮,১৯ ) উপরোক্ত আয়াতে গভীর ভাবে লক্ষ্য করুন অতীতের পূর্ববর্তীরা অস্বীকার করেছিলেন তাই তাদের উপর চাপিয়েছিলেন সেই শাস্তি। এবারে সর্তকবানী যদি মানুষ গুরুত্ব না দেয় তবে অতীতের পূববর্তীদের মতো আবারও প্রলয় ঘটাইবেন ভয়াবহ এক শাস্তি মানবজাতির উপর চাপাবেন। সেই শাস্তিটি কিরুপ- মানুষ সহ ভূমী ধ্বসাইয়া দিবেন। এবং প্রস্তরখন্ডের আঘাতে ধ্বংশলীলা চালাইবেন। সতর্কবানী না শুনে পাপের পরিধি বৃদ্ধি করার অপরাধে মানুষের এই শাস্তি। তাহলে এই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটার পূর্বের কিছু সিমটম বা নিদর্শন কি? কি ঘটতে পারে সেই ভয়াবহ শাস্তিকালের পূর্বে। “পৃথিবী যখন আপন কম্পনে প্রবল প্রকম্পিত হবে এবং যখন উহা আপন ভার বাহির করিয়া দিবে। (৯৯: ১-২)” যার অর্থ পৃথিবী জুড়ে ব্যপক কম্পন সৃষ্টি হবে অথাৎ ভূমীকম্প হবে। ব্যাপক ভূমীকম্প। আর পৃথিবীর ভার বের করা বলতে পৃথিবীর বিভিন্ন জ্বালামুখ হতে ঘন ঘন অগ্নুৎপাত ঘটার ঘটনা।

“শপথ আকাশের এবং আঘাতকারীর। তুমি কি জান সেই আঘাতকারী বস্তুটি কি? উহা একটি প্রজ্জলমান জোতিষ্ক। (৮৬:১-৩) ভয়াবহ প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। কোন প্রস্তুরখন্ডের আঘাত পৃথিবীর কতিপয় জাতিসত্বার বিলীন ঘটাতে পারে। সেটা কোন এস্টিরয়েডের আঘাত! পৃথিবীর সকল জাতিসত্তার বিনাশ ঘটবে না ঘটবে কিছু জাতির। যারা অহংকারি। কিছু জাতিসত্বার অস্তিত্ব টিকে থাকবে। এবং তারাই আগামীর পৃথিবীকে নিয়ন্ত্রিত করবে।

আল কোরআনের আরেকটি আয়াতের পানে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করুুন ‘অতঃপর তোমরা মুখ ফিরাইয়া লইলেও আমি যাহাসহ তোমাদের নিকট প্রেরিত হইয়াছি। আমি তো তাহা তোমাদের নিকট পৌছাইয়া দিয়াছি; এবং আমার প্রতিপালক তোমাদের হইতে ভিন্ন কোন সম্প্রদায়কে তোমাদের স্থলাভিষিক্ত করিবেন এবং তোমরা তাহার কোন ক্ষতি সাধন করিতে পারিবে না! নিশ্চয়ই আমার প্রতিপালক সমস্ত কিছুর রক্ষনাকেক্ষনকারী। এবং যখন আমার নির্দেশ আসিল তখন হুদ ও তাহার সঙ্গে যাহারা ঈমান আনিয়াছিলো তাহাদেরকে আমার অনুগ্রহে রক্ষা করিলাম এবং রক্ষা করিলাম তাহাদেরকে কঠিন হইতে। এই আদ জাতি তাহাদের প্রতিপালকের নিদর্শন অস্বীকার করিয়াছিলো এবং অমান্য করিয়াছিলো তাহার রাসুলগনকে এবং উহার প্রত্যেক উদ্ধত স্বৈরাচারীর নির্দেশ অনুসরন করিয়াছিলো।এই দুণিয়ার উহাদেরকে করা হইয়াছিলো লা’নতগ্রস্থ এবং লানতগ্রস্থ হইবে উহার কিয়ামতের দিনেও।" (১১-) এই আয়াতে বলছে আদ জাতি যারা তারা রাসুলগনকে অস্বীকার করিয়াছিলো তাহাদেরকে করা হয়েছিলো লানতগ্রস্থ অথাৎ তাহাদেরকে ধ্বংশ করা হয়েছিলো প্রলয়কান্ডের মাধ্যমে এবং আগামীতে এই আদজাতির বংশধর যারা স্বৈরাচারির নির্দেশে চলবে তাদের উপর লানতগ্রস্থ হইবে কিয়ামতের এই শাস্তি দিবসে।

মন্তব্য ১ টি রেটিং +০/-০

মন্তব্য (১) মন্তব্য লিখুন

১| ০২ রা জানুয়ারি, ২০২৩ দুপুর ১২:৪৯

জিয়াউর রহমান ফয়সাল বলেছেন: পুরা ঘটনা টি মিথ্যা বানোয়াট, এত কষ্ট করে হুদায় লিখসেন। জাল হাদিস অইটা।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.