নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সায়েন্টিফিক তাফসীর পর্ব-১,( জেনেটিক ইনফরমেশন)

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৪

..........................................................................................................................................................

“তিনিই মাতৃগর্ভে যেভাবে ইচ্ছা তোমাদের আকৃতি গঠন করেন। তিনি ব্যতীত অন্য কোন ইলাহ নেই। তিনি প্রবল পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।” সুরা আল ইমরান আয়াত 7
..........................................................................................................................................................
আল কোরআনের এই আয়াতটির প্রতি লক্ষ্য করুন এখানে বলা হচ্ছে তিনিই তোমাদের আকৃতি গঠন করেন। অথাৎ আল্লাহই আমাদের আকৃতি গঠন করেন। প্রিয় পাঠক এই বিষয়টিই নিয়ে আজকের আমাদের এই আলোচনা। আয়াতটি স্পষ্টভাবে ঘোষনা করছে প্রতিটি প্রানি স্বয়ং স্রষ্টা আকৃতি গঠন করছে। তাহলে আমরা আসি স্রষ্টার এই আকৃতি গঠন সম্পর্কিত আলোচনায়। প্রজনন তত্বের যে বিষয়টি সেটি নারী ও পুরুষ দারা নিয়ন্ত্রিত। কিন্তু এখানে একটি শিশু জন্মের সাথে তার আকৃতি রং বা কোন পছন্দ বা অপছন্দ সংক্রান্ত কোন বিষয়ে আমাদের বা অন্য কারো হস্তক্ষেপ নেই। এটি সর্ম্পূণ একটি প্রজনন কারখানা এ কাজে সম্পৃক্ত এবং সে কারখানা নির্ধারন করে কোন শিশু কেমন হবে কার কেমন আচরন হবে। কার েগায়ের কি রং হবে। মায়ের থেকে কতটুকু নিবে পিতা থেকে কতটুকু নিবে আর অলৌকিক দেনেওয়ালা কতটুকু সংযোজন করবে। এই দেনেওয়ালার হিসেবের উপর ভিত্তি করেই গঠিত হয় একটি শিশু। তার দেহ কাঠামো ও আচার আচরণ।



যৌনসঙ্গমের মাধ্যমে পুরুষ ও নারী প্রজনন তন্ত্রের মাঝে পারস্পারিক ক্রিয়া প্রতিক্রিয়ার ফলে নারীর ডিম্বাণু পুরুষের শুক্রাণু দ্বারা নিষিক্ত হয়। ডিম্বানু ও শুক্রানু এগুলো হল গ্যামেট নামক বিশেষ এক জাতীয় প্রজনন কোষ, যেগুলো মিয়োসিস নামক প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি হয়। যেখানে সাধারণ কোষে ২৩ জোড়া অর্থাৎ ৪৬টি ক্রোমোজোম থাকে, সেখানে গ্যামেট কোষে শুধুমাত্র ২৩টি ক্রোমোজোম থাকে, এবং যখন দুটি গ্যামেট একত্রিত হয়ে জাইগোট বা ভ্রূণ গঠন করে তখন দুটি গ্যামেটের জেনেটিক বৈশিষ্ট্যের মিশ্রণ ঘটে। এই মিশ্রনকে বলা হয়ে জেনেটিক রিকম্বিনেশন। নতুন ভ্রূণে মাতা পিতা উভয়ের কাছ থেকে আসা ২৩টি ক্রোমোজোম একত্রিত হয়ে ২৩ জোড়া ক্রোমোজোম গঠন করে। একটি নির্দিষ্টকালীন গর্ভধারণ পর্যায়ের পর প্রসবের মাধ্যমে সন্তানের জন্ম হয়। আরো সহজে বললে ডিম্বানু আর শুক্রানু শিশু উৎপাদনের কাচামাল। ডিম্বাণু বলতে জীবের স্ত্রীজননকোষ বুঝানো হয়। যা জীবের যৌন জনন প্রক্রিয়াযর এক পর্যায়ে পুরুষের শুক্রাণুর দ্বারা নিষিক্ত হয়ে থাকে। ডিম্বাণু সাধারনত হ্যপ্লয়েড ক্রোমোসোম ধারন করে থাকে। শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত ডিম্বাণু ডিপ্লয়েড যা প্রথমে জাইগোট গঠন করে যা পরবর্তিতে ভ্রূন এবং শিশু জীবে পরিনত হয়। একটি ডিম্বানু শুধু একটি শুক্রানু দ্বারা নিষিক্ত হয়। আর পুরুষের শুক্রানু হলো পুরুষের স্পাম যা যৌনমিলনের সময় পুরুষ দেহ থেকে বের হয়। যৌনমিলনের একপর্যায়ে পুরুষ দেহ থেকে প্রায় ৩ মিলিয়ন স্পাম বেরোয়। যৌন মিলনের সময় শুক্রানু নারীর যোনিমুখ দিযে জরায়ুতে প্রবেশ করে ( কম পক্ষে ১ মিঃলিঃ এবং এতে ৩ মিলিয়ন শুক্রাণু থাকতে পারে ) তখন কিছু কিছু শুক্রানু জরায়ুর মুখ থেকে সাঁতরে জরায়ুর অভ্যন্তরে প্রবেশ করে। মেয়েদের তখন ডিম্বাণুর নি:সরণ হয । সে সময় শুক্রানু গর্ভাশয়ের মধ্য দিয়ে সাঁতরে ডিম্বনালী (ফেলোপিয়ান টিউব) এ প্রবেশ করে। ডিম্বানু স্থির হয়ে এক জায়গায় স্থির হয়ে বসে থাকে আর ৩ মিলিয়ন শুক্রানু ডিম্বাণুর দিকে সাঁতরে যায় কিন্তু শেষ পর্যন্ত মাত্র একজনই ডিম্বাণুকে পায়। শুক্রাণু ডিম্বাণুর সাথে মিলে হয়ে যায় জাইগোট।

প্রিয় পাঠক, আমার আজকের আলোচনা বিষয়বস্তু হলো একটি শিশুর আকৃতি দান করেন স্বয়ং স্রষ্টা। এর পিছনে কি যুক্তিযুক্ত প্রমান থাকতে পারে? এখন প্রশ্ন হলো “ কেনো এই ৩ মিলিয়ন স্পার্ম এর মধ্যে একটি মাত্র স্পার্ম থেকেই শিশু জন্ম নেয় “ হয়তো নাস্তিকদের ভাষ্য মতে আপনি বলবেন যে স্পামটি যোগ্য ছিলো। কিন্ত আমার প্রশ্ন কেনো সেই স্পামটি যোগ্য হলো? কে তাকে যোগ্যতা দিলো? কোথা থেকে পেলো সে এই যোগ্যতা? প্রতিটি স্পামই তো একই রকম একই ক্ষমতা সম্পন্ন থাকার কথা ছিলো! কিন্ত কেনো এই যোগ্যতা প্রাপ্তি? এর একটি মাত্র উত্তর - স্পামটি নির্ধারিত ছিলো। আর নির্ধারিত থাকার কারনে সেই স্পামটি ডিম্বানুকে নিষিক্ত করে এবং জাইগোট রুপে সন্তান রুপে সৃষ্টি হযে থাকে। এই যোগ্যতাকে অদৃশ্য এক জগত থেকে নির্ধারন করে দেওয়া হয়? যদি এই বিষয়টি নিয়ে পুঙ্খানুপাঙ্খ ভাবে বুঝতে চান তবে শুক্রানুর গমন ও তার পদ্ধতির কিছু বিষয় আলোচনা করা উচিত । কিন্তু কেনো শুক্রানু ছুটে চলে। শুক্রাণুর দৈর্ঘ্য এবং এর যাত্রাপথের দূরত্ব হিসাব করে দেখা যায় যে এটি একটি স্পীডবোটের মত গতিতে চলে। এই বিস্ময়কর ইঞ্জিনের উৎপাদন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে ঘটে থাকে। টেস্টিকলের ভেতরে যেখানে শুক্র উৎপাদিত হয়, সেখোনে রয়েছে প্রায় ৫০০ মিটার লম্বা আণুবীক্ষণিক নল। কোন আধুনিক কারখানায় যেভাবে কনভেয়র-বেল্ট এসেম্বলী সিস্টেম কাজ করে, সেভাবেই এই নলের ভিতরে শুক্র উৎপাদিত হয়। সৃষ্টি করা হয় শুক্রাণুর বর্ম, ইঞ্জিন, এবং লেজের অংশ। একের পর এক জোড়া লাগানো হয় । ফলশ্রতিতে যা পাওয়া যায় তা ইঞ্জিনিয়ারিং এর বিস্ময়কর এক বিষয়। শুক্রানুর এই নিখুত গঠন দেখে বিজ্ঞানীরা স্তম্ভিত হয়ে পড়েছে। তাদের ধারনা এই নিখুঁত গঠনের কারণে শুক্রাণু দ্রুত ছুটে চলে ডিম্বাণুর দিকে। আবার একটি গবেষনায় দেখা গেছে স্টকহোম বিশ্ববিদ্যালয় এবং ম্যানচেস্টার বিশ্ববিদ্যালয়ের এনএইচএস ট্রাস্ট। তাঁদের গবেষণায় বলা হয়, অসংখ্য স্পার্মের মধ্যে কোন স্পার্ম জিতবে তা ঠিক করার জন্য রাসায়নিক সংকেত দেয় ডিম্বাণু। অথাৎ ডিম্বানু নির্ধারণ করে সে কোন স্পাম কে চাই? এগুলা কি আপনা আপনি ঘটে গেছে বিষয়। কখনই না। নির্ধারিত যা প্রমানিত বিষয়। এই বাস্ত বতার মুখোমুখি হয়ে আমাদের একটু চিন্তা করা উচিত। কিভাবে এই অচেতন কোষগুলোকে সঠিক আকৃতিতে শুক্রাণু তৈরি করতে পারে মায়ের দেহ সম্পর্কে কিছুই না জেনে? কিভাবে তারা বর্ম, ইঞ্জিন এবং লেজ তৈরী করা শিখল? এই বর্ম, ইঞ্জিন ও লেজ তৈরী না করলে শুক্রানু ডিম্বানু অভিমুখে যেতে পারতোনা। এই তিনটি বিষয় শুক্রানুতে অবস্থিত জেনেটিক তথ্য সমূহের নিরাপত্তা ও নিশ্চয়তার জন্য কোন বুদ্ধিবলে সঠিক পরম্পরায় তারা এগুলাকে কে জোড়া লাগায়? প্রিয় ভিউয়ার আপনার কি মনে হয় এত কিচু আপনা আপনি এ্যাকসিডেন্টলি হয়ে গেছে? এর পিছনে চিন্তা ভাবনা বা ডিজাইনিং কোন ঘটনা নেই? নেই কোন বৃহৎপরিসরের কনসাসনেসের অস্তিত্ব?



এবার আসি আমরা ডিম্বানু সম্পর্কে আলোচনায়। ডিম্বানুর রয়েছে ব্যপক কার্যকারী ব্যবস্থাপনা। ডিম্বাণুকে ঘিরে রয়েছে একটি শক্ত প্রতিরোধক আবরণ। এই আবরণ ডিম্বাণুর দিকে অগ্রসরমান অপ্রয়োজনীয় অঙ্গাণুগুলোকে মেরে ফেলে। এই আবরণকে ভেদ করাও খুব কঠিন। আর এই বাধাকে অতিক্রম করার জন্য শুক্রাণুগুলোর মধ্যে বিশেষ ব্যবস্থা তৈরী হয়। শুক্রাণুর মাথায় বর্মের নিচে অনেকগুলো গোপন অস্ত্র অবস্থান নেয়, যা লুকায়িত থাকে। এগুলো খুব ছোট এবং দ্রবীভূত করার ক্ষমতা সম্পন্ন এনজাইম গ্রন্থি। এই গ্রন্থিগুলোকে প্রতিরোধক আবরণকে দ্রবীভূত করে তাতে গর্ত তৈরী করে, যার মধ্যে দিয়ে শুক্রাণু এই আবরণের ভিতরে প্রবেশ করে। যখন শুক্রাণু আবরণের ভিতরে নড়াচড়া করতে থাকে তখন তার বর্মটি ক্ষয়প্রাপ্ত হতে থাকে এবং অবশেষে তা খসে পড়ে। এই বর্মটির এভাবে খসে পড়ে যাওয়া নিখুঁতভাবে কার্যরত পরিকল্পনার একটি অংশ। কেননা এর মাধ্যমে দ্বিতীয় ধরনের এনজাইম গ্রন্থির উদ্ভব ঘটে। এই গ্রন্থিগুলোকে শুক্রাণুকে সর্বশেষ বাধা, ডিম্বাণুর আবরণকে ভেদ করতে সাহায্য করে। শুক্রাণুর বর্মটির রং লাল, বর্মটি ক্ষয় প্রাপ্ত হয় এবং শুক্রাণুটি ডিম্বাণুর আবরণ ভেদ করে এর ভিতরে প্রবেশ করে । শুক্রাণুর ডিম্বাণুতে প্রবেশ করার পরপরই আরেকটি অলৌকিক ঘটনা ঘটে। আর সেটি হলো এতক্ষণ পর্যন্ত শুক্রাণু তার সাথে বয়ে আনা লেজটিকে হঠাৎ করে পরিত্যাগ করে। এটা প্রয়োজনীয়, কেননা তা না হলে, সর্বদা ঘূর্ণায়মান লেজটি ডিম্বাণুর মধ্যে প্রবেশ করে একে ধ্বংস করে ফেলত। শুক্রাণুর এই লেজটি পরিত্যাগের ঘটনাটির সাথে একটি রকেটের বায়ুমণ্ডল ত্যাগ করার পর তার তেলের ট্যাংক থেকে বিযুক্ত হওয়ার ঘটনার সাদশ্য পাওয়া যায়। এক্ষেত্রেও তৈলবাহী ট্যাংকটি তার আর কোন কাজে লাগে না। কিন্তু একটি ক্ষুদ্র শুক্রাণু কিভাবে এই সূক্ষ হিসাব করতে পারে? এভাবে শুক্রাণু তার লেজ পরিত্যাগ করে, ডিম্বাণুকে ভেদ করে, ক্রোমোজমগুলোকে ডিম্বাণুতে পৌঁছায়। ডিম্বাণুতে জেনেটিক তথ্য পরিবহনের কাজটি এভাবে শেষ হয়। এমনি করে শত শত বিভিন্ন রকমের এবং স্বাধীন ব্যবস্থার সমন্বিত প্রক্রিয়ার ফলস্বরূপ পুরুষের দেহের জেনেটিক তথ্যগুলো ডিম্বাণুতে পৌঁছায়। শুধুমাত্র শুক্রাণু ও ডিম্বাণুর মিলনও একটি নির্ভুল পরিকল্পনা দ্বারাই সম্ভব যেখানে কোন দৈবের সুযোগ নেই। এমনকি মানুষ এই ঘটনা সম্পর্কে অবগত নয়, এই ঘটনাগুলো প্রত্যেকটি পর্যায়ের বুদ্ধিমত্তা ও পরিকল্পনা সুস্পষ্টভাবে এর সাক্ষ্য বহন করে যে মানুষ স্রষ্টার সৃষ্টি।

অত্যন্ত আশ্চর্য ব্যাপার হচ্ছে, এই কোষটির ভেতরেই এখনও জন্ম না নেয়া মানুষটি যাবতীয় তথ্য রয়েছে। অনাগত শিশুটির চোখ, গায়ের রং, চুলের রং, চেহারার গড়ন এবং অনান্য যাবতীয় শারীরিক বৈশিষ্ট্য কেমন হবে, এসব যাবতীয় তথ্য এখানে সাংকেতিক ভাষায় (কোড) লেখা রয়েছে। শুধু তাই নয়, এতে লিপিবদ্ধ রয়েছে তার কংকাল, অভ্যন্তরীণ অঙ্গসমূহ, চর্ম, শিরা-উপশিরা এমন কি এসব শিরায় প্রবহমান রক্তকণিকার গঠন এবং সংখ্যা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। একজন মানুষের ৭ বছর বয়সের গড়ন থেকে শুরু করে ৭০ বছরে তার গঠন কিরূপ হবে, এ সব যাবতীয় তথ্যই এই কোষে লিখিত আছে। নিষিক্তকরণের অব্যবহিত পরেই এই কোষটি একটি আশ্চর্য কাজ করে। এটি বিভক্ত হয় এবং দুটি কোষ উৎপন্ন হয়। এরপর এদুটি পুনরায় বিভক্ত হয়ে চারটি কোষ উৎপন্ন হয়। একটি নতুন মানুষের গঠন এখন শুরু হলো। কিন্তু কেন কোষগুলো বিভাজনের সিদ্ধান্ত নিল? কেন তারা নতুন একটি মানুষকে গঠনের কাজে হাত দিল? কে এই কোষগুলোকে নতুন মানুষ তৈরীর প্রক্রিয়া শেখালো? এই যেমন ধরেন মানুষের মস্তিষ্কে প্রায় ১০০ ট্রিলিয়ন সংযোগ আছে। যেহেতু মস্তিষ্কের কোষগুলোর নিজস্ব কোন বুদ্ধিমত্তা নেই তাই এই ১০০ ট্রিলিয়ন সংযোগ ঠিকমত স্থাপন করতে হলে মানুষের মস্তিষ্কের চেয়ে অধিকতর শক্তিশালী কোন সত্তাকে দিক-নির্দেশনা দিতে হবে। শুধু মস্তিষ্কের কোষই নয়, অন্যান্য সকল কোষই ভ্রণ হতে বিভাজিত হয়ে যার যার নির্দিষ্ট স্থানে জায়গা দখল করে। এবং যেখানে সংযোগ স্থাপন করতে হবে ঠিক সেখানেই তারা হাজির হয় । কে সেই মহান সত্তা, যিনি এসব বুদ্ধিহীন কোষগুলোকে একটা বুদ্ধিদীপ্ত পরিকল্পনার আওতায় এনেছেন? মাতৃগর্ভে অবিরতভাবে শিশুর গঠনপ্রক্রিয়া চলতে থাকে। কিছু সংখ্যক কোষ অবিরাম প্রসারিত ও সংকুচিত হতে থাকে। এরকম হাজার হাজার কোষ একত্রিত হয় এবং হৃৎপিণ্ডের সৃষ্টি হয়। আর সারা জীবন ব্যাপী এই হৃৎপিণ্ডের কম্পন চলতে থাকে। এ যেন কোন দক্ষ কারিগরের নিপুণ সৃষ্টি।



প্রিয় পাঠক, এতক্ষন ধরে আমি একটি শিশুর গঠন সংক্রান্ত বিষয় আলোচনা করলাম। কিন্তু এখন আমি আলোচনা করতে চাই একটি শিশু গঠনে তার তথ্য বা আকৃতি কেমন হবে সেই বিষয়টি কিভাবে নির্ধারিত হয়? একটি শিশু কিভাবে তার যোগ্যতা গুনাগুন আচরন এসকল কিছু পাই? শিশুটি কেমন হবে এটা কিভাবে নির্ধারিত হয়? লক্ষ্য করুন শুক্রানু নিয়ে আসে কিছু জেনেটিক তথ্য কিন্তু কোন জেনেটিক তথ্য ডিম্বানু গ্রহণ করবে সেটি ডিম্বানু নির্ধারণ করে। পিতার তরফ থেকে কিছু তথ্য ও মায়ের তরফ থেকে কিছু জেনেটিক তথ্য পাওয়া যায়। কিন্তু এই উভয়ের জেনেটিক তথ্য থেকে কতটুকু গ্রহণ করা হবে আর কতটুকু করা হবে না তা সেটি নিধ্যারিত হয় অলৌকিক একটি উপায়ে। সেটি নির্ধারন করে অলৌকিক একটি কারখানা। আমরা যাকে মাইয়োসিস কারখানা বলেই অভিহিত করি। শিশুর গুনাগুন আচার আচরন সহ আকৃতি কেমন হবে সেগুলো্ নির্ধারিত হয় শিশুর মাইয়োসিস বিভাজনের সময়। মাইয়োসিস বিভাজনের মাধ্যমে ক্রোমোজম এর গুনাগুন শুধু মাত্র অঙ্কুরিত ব্যক্তিটা পর্যন্ত সীমাবদ্ধ থাকেনা বরং এটা বংশানুক্রমিক ভাবে ও বংশধরদের মধ্য দিয়েও ও গড়াতে থাকে। মাইয়োসিস এর কারখানার মধ্যেই সিদ্ধান্ত এসে যায পিতৃ-মাতৃ প্রজনন কোষ হতে উৎপন্ন ব্যক্তিটির গুনাগুন কিরুপ হবে? একটি অদৃশ্য উপায়ে এই সিদ্ধান্তটি গ্রহন করা হয়। এক কথায় বলতে পারেন আপনার আমার জীবনটা কেমন হবে তার ব্লুপ্রিন্টটা নির্দ্ধারিত হয়ে এসেছে পিতৃ-মাতৃর উৎপাদন কোষ MEIOSIS বিভাজনের সময়। এই কারখানার মধ্য দিয়েই বাছাই হতে থাকে ৭০ ট্রিলিয়ন ধরনের বিভিন্ন গুনাবলী সম্বলিত জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল একটি CHROMATID তার আর একটি NON SISTER CHROMATID এর সংগে উভয়ে BODY এর কোন একটি জায়গায় একত্রে মিশে যায়।এই স্থানটাকে CHIASMATA বলে। এই মিলিত হওয়ার স্থানের মধ্য দিয়ে তখন এরা উভয়ের জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল একে অপরকে আদান প্রদান করতে থাকে। অনেকটা কৌশল, চতুরতা, দক্ষতার সংগে ও পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে আমাদেরই পিতৃ-মাতৃ জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল গুলীর মিশ্রন বা আদান প্রদান সম্পন্ন করে ফেলা হয়! এখানে কোথায় কার সংগে কিসের আদান প্রদান করা হল তা এ পর্যন্ত কারো লক্ষ্য করবার সাধ্যি হয় নাই। অত্যধিক গোপনীয়তা বজায় রেখে এই কাজটি সম্পন্ন করা হয়। এই জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এর আদান প্রদানের মাধ্যমেই CHROMATID গুলীর গুনাবলী বা ভাগ্য তথা এর থেকে উৎপাদিত ব্যক্তির ভাগ্য এখানেই সকলের অজান্তেই নির্ধারিত হয়ে থাকে। অতএব আপনার আমার ভাগে কী পেলাম বা কী হতে বঞ্চিত হলাম দুনিয়ার কেউই তা জানতে সক্ষম হয়না। শুধু সেই কারখানাই জানে পিতৃ অংশ থেকে কতটুকু গ্রহণ করবে কতটুকু মাতৃ অংশ থেকে অথবা কতটুকু বংশ পরম্পরা থেকে কতটুকুইবা সে নিজস্ব যোগ্যতা পাবে! তার আচরণ, চালচলন, যোগ্যতা আকৃতি প্রকৃতি সমস্তটাই পাই কারখানা থেকে। কারখানা নির্ধারিত করে সমস্তটাই। অথচ এই আদান প্রদানের সময় তার ভাগে কী পড়ল কারখানার নিজস্ব ইচ্ছা অনিচ্ছা উপরই নির্ভর করতেছে। সে একজন আইনষ্টাইন হবে নাকি একজন DOWN’S SYNDROME এর মত একটি স্থায়ী দুরারোগ্য ব্যাধি গ্রস্থ রোগী হবে নাকি, একজন সুস্থ মানুষ হয়ে জন্মাবে নাকি একজন ক্যানসার রোগ গ্রস্থ হয়ে জন্মাবে। তার সমস্তটাই নির্ধারণ করে কারখানা।

এ যেনো অদৃশ্য কোন এক বিষয়বস্তুর ইচ্ছাপ্রকাশের মাধ্যমে সমস্ত প্রকৃয়া ঘটতে থাকে! এমন আশ্চর্যজনক ঘটনা কি আর কোথাও দেখতে পাবেন? অসম্ভব!!! এই জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এর ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন প্রকারের মিশ্রনের মাধ্যমে যে কত ধরনের গুনসম্পন্ন মানব উৎপাদিত হতে পারে তার ইয়ত্তা কারো পক্ষে খুজে বের করা সম্ভবপর নয়। এই কারখানার মধ্য দিয়েই জীব জগতের বৈশিষ্টের বৈচিত্রতা প্রকাশিত হয ও এর মধ্য দিয়েই DNA এর জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল এর পরিবর্তনের মধ্য দিয়েই প্রানী জগতের বংশ ধারার মধ্যে বিবর্তন ধারাও চলতে থাকে। অদ্ভুত ব্যাপার হল এগুলী সবই আমাদেরই ব্যাপার বটে কিন্তু এটা আমাদের হস্তক্ষেপ বা নিয়ন্ত্রনের একেবারেই বাইরে, এবং সম্পূর্ণ দৃষ্টির বাইরে এক অদৃশ্য জগতের কারখানা। আমরা যেন সেখান থেকে কোন এক অদৃশ্য হস্তের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত। একটি শিশু কি গুনাগুন সমৃদ্ধ হবে সেটা অদৃশ্য এক জগৎ যেনো নির্ধারন করে? নিয়ন্ত্রিত একটি বিষয় যেনো!


মন্তব্য ৫৬ টি রেটিং +৬/-০

মন্তব্য (৫৬) মন্তব্য লিখুন

১| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৩০

এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: অত:পর তুমি তোমার রবের কোন কোন অবদান কে অস্বীকার কর! - সুরা আর রহমান। ভালো পোস্ট।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সমস্তটাই স্বীকার করি। আল্লাহ মহান।
ভালো থাকুন।

২| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩০

কামাল১৮ বলেছেন: গায়ের রং আকৃতি অঞ্চল ভেদে আলাদা কেনো।এগুলির বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা আছে।

২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি সম্ভবত আমার লেখাটা পড়েন নাই। শুধু হেডিংটা আর কিচু অংশ দেখেই কমেন্ট করেছেণ। কামাল ভাই, লেখাগুলো একটু পড়েন না কেনো? আপনার বিপক্ষ মানসিকতার তাতে কি? সম্পূন পড়েন। মজা পাবেন।

৩| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৫

কামাল১৮ বলেছেন: বিজ্ঞান দিয়ে কেনো কোরানের সত্যতা প্রমান করতে হবে।বিজ্ঞানের কোন কিছু প্রমানের জন্য কোরানের কাছে যায় না।আল্লাহ বলেছেন এটাই যথেষ্ট।বিজ্ঞান দিয়ে প্রমান করতে যেয়ে আল্লাহকে ছোট করছেন।ডিএনএ ফিয়েনে কোরানের কোথাও নাই।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি যা বোঝেন আর কি?

৪| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫২

কামাল১৮ বলেছেন: আমি কোন কিছু মজার জন্য পড়ি না,পড়ি জানার জন্য।মজা ইউটিউবে অনেক আছে।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ।

৫| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:১৮

বিজন রয় বলেছেন: কি সুন্দর ব্যাখ্যা!!

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ

৬| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৩৫

রাজীব নুর বলেছেন: আমি বিজ্ঞানের সাথে যাবো। ধর্মের রুপকথার সাথে আমি যাবো না।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: রাজীব নুর ভাইয়েরে অর্ধ নাস্তিক অর্ধ আস্তিককে নিয়ে ভাবি না। বুজলে নুর ভাই। আস্তিক হও আল্লার পথে চলো। তারপর তোমাকে নেওয়ার কথা ভাববো। বুঝলে নুর ভাই। নইলে কেয়ামত আসবে। মাথার উপর পাথর পড়বে। বুঝলে নুর ভাই।

৭| ২২ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫৫

রিদওয়ান খান বলেছেন: এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: অত:পর তুমি তোমার রবের কোন কোন অবদান কে অস্বীকার কর! - সুরা আর রহমান।
এটাই আসল কথা।
সুন্দর পোস্ট +

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৪

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আল্লাহ মহান ।

৮| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:১৭

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: কি সব ছেলেমানুষি পোস্ট করছেন!! সন্তানের দৈহিক গড়ন, গায়ের রং, উচ্চতা ইত্যাদি নির্ভর করে বাবা মায়ের উপর, তাছাড়া ভৌগলিক কারণ তো রয়েছেই। পুরো বিষয়টিই হচ্ছে খেয়ালি প্রকৃতির এক রেন্ডম চেয়েজ বা খেলা, উপর থেকে কেউ কোন কিছু নির্ধারণ করে দেয় না।



জেনেটিক পরিবর্তন ঘটিয়ে বিজ্ঞানীরা ইচ্ছে করলেই হাইব্রিডি মানুষ বা নিজদের ইচ্ছে মত দৈহিক গড়নের মানুষ তৈরী করতে পারে তবে আপাদত এটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ যে কারণে এটি করা হয় না। মানুষের জন্মের বিষয়টি এখনো প্রকৃতির হাতেই ছেড়ে রাখা হযেছে যে কারণে এত এত বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে মানুষ যখন এটা নিয়ন্ত্রণ করবে তখন আর এত এত বিকালঙ্গ শিশুর জন্ম হবে না, নির্মূল হবে সমকামী এবং হিজড়া সম্প্রদায়।





তবে মানুষ ব্যতিত হাস-মুরগী, গরু-ছাগল, কুকুর, ভেড়া, ঘোরা এসব পশু পাখির হাইব্রিড জাত মানুষ বহু আগেই থেকেই উদ্ভাবন করে আসছে। নিচের এই ষাড়টার ডিজাইন কিন্তু আপনার ওই কাল্পনিক আল্লাহ করেননি এটা মানুষ করেছে।




জিনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে মানুষ আরও অনেক অদ্ভুত সব কান্ড ঘটাতে পারে যা হয়তো আপনার জানা নেই তা না হলে এমন আবেগী পোস্ট করতেন না।

জোড়াতালি দিয়ে যে কোন ঘটনার পিছনে কিন্তু আল্লার কুদরতি হাত খুঁজে পাওয়া সম্ভব।


২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সন্তানের দৈহিক গড়ন, গায়ের রং, উচ্চতা ইত্যাদি নির্ভর করে বাবা মায়ের উপর, তাছাড়া ভৌগলিক কারণ তো রয়েছেই। পুরো বিষয়টিই হচ্ছে খেয়ালি প্রকৃতির এক রেন্ডম চেয়েজ বা খেলা, উপর থেকে কেউ কোন কিছু নির্ধারণ করে দেয় না। আপনি বলছেন খেয়ালি প্রকৃতির রেন্ডম চেয়েজ বা খেলা। কিন্তু খেলা বলছেন কেনো ভাই? এই প্রকৃতির মাঝে তো কোন চেতনা নেই আপনারাই তো বলেন প্রকৃতি চেতনাহীন। তাহলে আপনি কি মেনে নিচ্ছেন পৃকুতির মাঝে কনসাস আছে? আর সেই কনসাস থাকার কারনে আপনাদের ন্যাচারাল সিলেকশনের মতো প্রকৃতিও চেয়েজ বা খেলা করে। খেলা করে বা সিলেকশন করে শিশুটি কেমন হবে? উপরের কেউ করে না এই কাজটি প্রকৃতি করে? এটাই কি বোঝাতে চাইছেন? যদি তাই হয় তাহলে তো আমাদের ঈশ্বর আর আপনাদের প্রকৃতি এক হয়ে গেলো!

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৩৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: জেনেটিক পরিবর্তন ঘটিয়ে বিজ্ঞানীরা ইচ্ছে করলেই হাইব্রিডি মানুষ বা নিজদের ইচ্ছে মত দৈহিক গড়নের মানুষ তৈরী করতে পারে তবে আপাদত এটা আইনত দন্ডনীয় অপরাধ যে কারণে এটি করা হয় না। মানুষের জন্মের বিষয়টি এখনো প্রকৃতির হাতেই ছেড়ে রাখা হযেছে যে কারণে এত এত বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম হচ্ছে মানুষ যখন এটা নিয়ন্ত্রণ করবে তখন আর এত এত বিকালঙ্গ শিশুর জন্ম হবে না, নির্মূল হবে সমকামী এবং হিজড়া সম্প্রদায়।

আজ থেকে ১৪০০ বৎসর পূর্বে আল কোরআন নাজিল হয়েছিলো। এই তথ্যটা ঠিক সেই সময়য়ের জন্য এই সময়ের হিসেব করাটা ঠিক নয়। ১৪০০ বৎসর পূর্বে কিণ্তু জেনেটিক পরিবর্তন ঘটানোর কথা মানুষেরা কল্পনাও করে নাই। তাই বুঝলাম আয়াতটির নাজিলের সময়কাল হিসেব করে কথা বলেন নি। নাস্তিক্যবাদের আবেগ আপনার কাছ থেকে কমনসেন্সকে কেড়ে নিয়েছে। আপনার উপরোক্ত কমেন্টে সেটাই বোঝা যাচ্ছে।

এখন মানুষ জেনেটিক পরবির্তন করে তার আকৃতির পরিবর্তন করতে পারে। তারপরও মানুষের বিবেক স্রষ্টার দেওয়া নেয়ামত কে গ্রহণ করে। আপনাদের প্রকৃতি বা আমাদের স্রষ্টা আমাদের যা দেয় তাই গ্রহণ করি। তবে মানুষের জিনেটিক পরিবর্তন ঘটানোর মতো যোগ্যতার কাছাকাছি পৌছে গেছে তাই বলে স্রষ্টার কারুকার্য কি থেমে আছে। প্রকৃতি থেকে কোন কিছু গ্রহণ না করে মানুষেরা কি একটি মানুষ সৃষ্টি করতে পারে? পারে না। শুধুমাত্র কিছুটা পরিবর্তন ঘটাতে পারে। আকৃতি বা জিনোমের কোন সিকোয়েন্স পরিবর্তন করে রুপ পরিবর্তন করতে পারে তাতে কি হয়েছে? এই জ্ঞানও তো আল্লার দেওয়া। মানুষ এই জ্ঞান পেয়েই বুজেছে যে এই ভাবে জেনেটিক পরিবর্তন করে ফেরেস্তারা প্রাণি জগতের বিভিন্ন আকৃতি পরিবর্তন করে নতুন নতুন প্রাণি সৃষ্টি করেছেন আর আপনারা ভেবে নিয়েছেন আপনা আপনি হয়ে গেছে? সৃষ্টি করে দিলেন ঠাকুরমা’র ঝুলি বিবর্তনবাদ নামক জাষ্ট সো স্টোরি।

আপনারা ভিনগ্রহের প্রাণী বিশ্বাস করেন অথচ ফেরেস্তা নামক প্রানিকে বিশ্বাস করেন না। একটি মানব দেহের মাঝে কোটি কোটি ভাইরাস তারা তাদের কার্য পালন করে যাচ্ছে অথচ বিশাল এই মহাবিশ্ব নামক একটি প্রানের মাঝে কোঠি কোটি ভাইরাসের মতো প্রাণি হিসেবে ফেরেস্তার কল্পনা করতে আপনারা পারেন না। এই ফেরেস্তারাই যুগে যুগে প্রানের ডিজাইন করেছেন এটা আপনারা মানতে পারেন না আপনা আপনি হয়ে গেছে বলে গল্প মেনে নেন। অথচ ম্যাক্রো এ্যাভুলেশন কোনভাবেই সম্ভব নয় যদি জেনেটিক পারবর্তন না করে দেওয়া সম্ভব হয়।

২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: এত অস্থির হবার কি আছে ভাই? পিতা মাতা থেকেই সব নেওয়া হয় না। বংশপরম্পরা থেকেও নেয়। আরেকটি বিষয় পিতা থেকে কত টুকু নেবে মাতা থেকে কতটুকু নিবে সেটা নির্ধারন করে মােইযোসিস কারখানা। কোন পিতা হতে শিশুটি কতটুকু পাবেন কোন মা হতে শিশুটি কতটুকু পাবেন এটি সেই কারখানা নির্ধারন করেন। এটি্ একটি সিস্টেম প্রসেস! একটা ভাগ্যের ব্যাপার। এভাবে র‌্যান্ডমলি নির্ধারন করার যে সিষ্টেম প্রতিটি শিশুর ভালো মন্দকে তুলে ধরার বিষয়টি স্রষ্টা তুলে ধরেছেন। তিনি একটি সফটওয়্যারের মতো একটি প্রসেস সিষ্টেম নিধ্যারন করে দিয়েছেন আর সেই সিষ্টেমকেই তিনি আকৃতি নির্ধারন করার পদ্ধতিকেই আয়াতটিতে বুঝিয়েছেন।
লক্ষ্য করুন আমাদের নির্মীত সফটওয়্যার সমৃদ্ধ কোন মেশিন কোন কিছু বন্টনে প্রতিবার একই পদ্ধতি ব্যবহার করে। প্রতিটি ভাগ একই রকম হয় কিন্তু শিশু উৎপাদন মেশিন একেকবার একেক পদ্ধতি ব্যবহার করে। আসলে মনে হয় এটি র‌্যান্ডমলি হয়? কিন্তু ধারাবাহিক প্রক্রিয়ায় শুরু থেকে শেষ নিধ্যারণ করা আছে। সেই হিসেব মতে ধারাবাহিকভাবেই শিশু উৎপাদন হয়। আপনি এই বিষয়টিকে যদি এত সহজেই ছেঢ়ে দেন তাহলে আমি ভাববো নাস্তিক্যবাদ আমাকে মোহগ্রস্থ করে ফেলেছে সঠিক সত্য উপলদ্ধি করার মতো মানসিকতা আপনি হারিয়ে ফেলেছেণ। একটি শিশু উৎপাদন এত জটিল পদ্ধতি এত সুন্দর সুক্ষ পদ্ধতি পরিকল্পনা ব্যাতীত কি করে সম্ভব? একটি শুক্রান িসৃষ্টি তার গমন এবং ডিম্বানুর রোসায়নিক সংকেত এর মাধ্যমে সঠিক শুকুনুর নির্ধারন এগুলিকে আপনি এত হালকা ভাবেন কি করে? সত্যিই অবাক হই। এই কারনে আল কোরআনে এক শ্রেনির মানুষদের সম্পর্কে বলা হচ্ছে “ হে মুহাম্মদ তুমি তাকে যতই বোঝানোর চেষ্টা কর সে বুঝিবে না কারন আমি তার দুচোখে পর্দা দিয়েছে দু কানে পর্দা দিয়েছি সে বুঝিবে না সে শুনেবে না।-আল কোরআন” অতএব আপনি যদি এই জাতীয় মানুষ হয়ে থাকেন তাহলে স্রস্ঠার কৃতিত্ব আপনাকে সারাজীবন ধরে গবেষনা করেও বোঝাতে পারবো না। সরি ক্ষমা করবেন

৯| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৪৭

রাজীব নুর বলেছেন: কে কি মন্তব্য করেছেন, সেটা দেখতে এলাম।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৫৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: দেখেন।

১০| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৭

মো. নিয়াজ মোর্শেদ বলেছেন: শিশুর জন্মে তার আকৃতি/রং-এ একেবারেই যে হস্তক্ষেপ করা যায় না, তা নয়। আমি শুনেছি টেস্ট টিউব বেবির ক্ষেত্রে চোখের রং কি হবে তা পছন্দ করে নেয়া যায় এখন। কথা হলো যেকোন ন্যাচারাল প্রসেস যেটা বা দূর্বোধ্য বা আপাতত এক্সপ্লেইন যাচ্ছেনা, এরকম কিছু পেলেই সেটা আপনারা ধর্মীয় আলোচনায় ক্রেডিট হিসেবে ব্যবহার করেন, এটাতো ঠিক না। একটা কিছু বোঝা যাচ্ছেনা তার মানে এটা প্রমান করেনা যে এটা তাহলে কেউ বানিয়েছে।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:২০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: শিশুর জন্মের আকৃতি/রং হস্তক্ষেপ করা যায় না তা আমি বলছি না। এখনকার বিজ্ঞান পারে আল কোরআন যখন তখনকার বিজ্ঞান পারতো না। আমি যে মূল কথাটি বলতে চাইছি এই যে শিশুর উৎপাদনের সিষ্টেম এই সিষ্টেমটি সত্যিই চমকপ্রদ। এই সিষ্টিমটি স্রস্টা আমাদের দিয়েছেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। আর এই সিষ্টেমের মাধ্যমে তিনি আমাদের বা শিশুদের আকৃতি গঠন করে। একটি শুক্রানু কত নিরাপত্তাজনিত সিষ্টেমের মাধ্যমে ডিম্বানুর দিকে গমন করে ডিম্বানুতে মিলন হওয়ার জন্য একটি সাংকেতিক বার্তার মাধ্যমে শুক্রানু নির্ধারণ করে। সেই শুক্রানুর তথ্য ডিম্বানু ধারন করে। এবার এই দুইটি এক ঐক্যবদ্ধ হয়ে তাদের ট্রিলিয়ন ট্রিলিয়ন জেনেটিক মেটেরিয়াল গহণ করে কোন অংশ বেশি করে কোন অংশ কম করে এটা একান্তই মাইযোসিস ফ্যাক্টরির ব্যাপার। এই যে জটিল সুক্ষ পরিকল্পনার অংশগ্রহণ এগুলোকি আপনা আপনি হতে পারে? মানুষের জন্য স্রষ্টার এত নিয়ামত আমরা মানুষেরা অসিকার করি কি করে? এই কারনে অকৃতজ্ঞ মানুষ জাতিকে নিয়ে আল কোরআন বলে- অত:পর তুমি তোমার রবের কোন কোন অবদান কে অস্বীকার কর! - সুরা আর রহমান।

১১| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:২৮

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: সুতরাং বুঝা গেলো বর্তমান সময়ে কুরআনের উক্ত আয়াতটি পুরোপুরি ভুল বা অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে।

না, আমি কোন ভিনগ্রহের প্রাণী বা এলিয়েনে বিশ্বাস করি না এগুলো এখন পর্যন্ত কল্পনা পর্যায়েই রয়েছে বা এখন পর্যন্ত খুজে পাওয়া সম্ভব হয়ে উঠেনি, তবে বিজ্ঞান মহল ধারণা করছে ভিন গ্রহে প্রাণী থাকার যথেষ্ট সম্ভবনা রয়েছে।

না, প্রকৃতির কোন বিষয়কেই আমি হালকা ভাবে দেখি না প্রাকৃতিক ক্রিয়া কালাপ সত্যিই অনেক জটিল বিষয়, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আরও অনেক কিছু জানতে পারবে। আর কোন কিছু একটু জটিল হলেই বা বোধগম্যের বাইরে হলেই ইহা স্রষ্টা করেছে এমন ভাবনা মানুষের জ্ঞানকে সংকুচিত করে।

আর নবী মোহাম্মদের জন্মেরও হাজার বছর আগে মানুষের ভ্রণতত্ব সমন্ধে ধারণা ছিল, সুতরাং ভ্রুণ বিদ্যা সম্পর্কে কুরআনই সর্বপ্রথম ধারণা দিয়েছে এমন ধারণা অবান্তর। নিশ্চই বিধর্মীরা কুরআন গবেষণা করে ভ্রুণ বিধ্যা সমন্ধে জ্ঞান অর্জন করেনি।
ইন ফ্যক্ট- মানব জাতির এখন পর্যন্ত অর্জিত সকল জ্ঞানের মধ্যে এমন কোন নতুন জ্ঞান নেই যে জ্ঞান সমন্ধে কুরআনই সর্বপ্রথম মানুষকে ধারণা দিয়েছে। এসব ভিত্তিহীন দাবী শুধু ইসলামি স্কলারগণই করে থাকেন।

সরি আপনার প্রায় সব বিষয়ের সাথেই দ্বীমত পোষণ করতে হচ্ছে- না, নাস্তিকতা কোন আবেগ নয় বরং আবেগের অপজিট। নাস্তিকতা হচ্ছে যুক্তি নির্ভর জ্ঞান আবেগ যেখানে মূল্যহীন আর নাস্তিকতা সবার সাথে সুইটেবল নাও হতে পারে, তাই বাসায় একা একা নাস্তিকতা চর্চা করবেন না।

ধন্যবাদ।




২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:৩৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: সুতরাং বুঝা গেলো বর্তমান সময়ে কুরআনের উক্ত আয়াতটি পুরোপুরি ভুল বা অকার্যকর প্রমাণিত হয়েছে। আপনি আপনার মুখের ফু দিয়ে আল কোরআনের আলো নিভিয়ে দিতে চান! এই কারনে আল কোরআন আপনাদের নিয়ে বলে “তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। যদিও কাফিররা তা অপছন্দ করে। ৬১:৮” আপনি বললেই তো আল কোরআন মিথ্যা হলো না। শুক্রানু সৃষ্টি থেকে শুক্রানুর গমন ডিম্বানুর সাথে মিলন জেনেটিক মেটিরিয়াল গ্রহণ মিশ্রন সব অদ্ভুদ একটা সিস্টেমের মাধ্যমে পরিচালিত যা আল্লাহর দান। আল্লাহর দ্বারা আমাদের এই আকৃতি গঠনের প্রক্রিয়া। আপনি না মানলেও আমরা বুঝতে পারছি এই গুরুত্বপূর্ন বিষয়টি আপনা আপনি ঘটে না। এগুলো কে ঘটানো হয় একটি সিস্টেমিক ওয়েতে। আর সেই ওয়েটিও সৃষ্টি করেছেন আমাদের স্রষ্টা। কত গুরুত্বপূর্ন বিষয়! আপনি অবাক হচ্ছেন না। হাসছেন! আমরা্ কিণ্তু অবাকে হচ্ছি।

আপনার অনেক কিচু ই মানতে চান না। কেনো আমাদের গ্যালাক্কিটি একটি বৃহৎ কসমিক ভয়েড এর মাঝে বিদ্যমান। এটা যদি এখানে না থাকতো তাহলে এই গ্যালাক্সিটা প্রানময় হতো না। আমাদের সৌরজগৎ এর অবস্থান আমাদের কাছে পরিকল্পিত বলেই মনে হয়। কারন এটা না হলে আমাদের এই দুনিয়ায় দিন রাত হতো না। আর আমরা এটাও জানি আমাদের পৃথিবীটা হেবিটেবল জোনে অবস্থান করছে এটাও আমাদের স্রষ্টার একটি অবদান। আমরা এগুলো অস্বীকার করতে পারি না। আপনারা করেন। এই যে প্রাণ সৃষ্টি এটাও তার অবদান আমরা এটা স্বীকার করি। প্রাণের যে বিবর্তন মাহক্রো বিবর্তন এই মাইক্রো বিবর্তন
কে কাজে লাগিয়ে আপনারা কিন্তু রুপকথার একটি গল্প জুড়ে দিয়ে আজগুবি বিজ্ঞান আওড়ালেন।

সবচেযে বড় সমস্যা আপনাদের অস্বীকার করার প্রবনতা খুব বেশি। আপনারাও অস্বীকার করলেও আমরা স্রষ্টার কৃত্ত্বিত্ব স্বীকার করি।

১২| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৩৬

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: আপনি বরং কুরআনেই বিজ্ঞান খুঁজতে থাকুন। :`>
ধন্যবাদ।

০২ রা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:০০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ। আপনাকে।

১৩| ২৩ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১১:৪১

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: ভ্রুণ বিদ্যা সমন্ধে ধারণা পেতে জেনেটিক সাইন্স নিয়ে পড়াশুনা করুন কুরআন নয়, বিশ্বাস করুন কুরআন থেকে কিছুই জানতে পারবেন না। তাছাড়া কুরআন কোন বিজ্ঞান গ্রন্থও নয়, এটি হচ্ছে একটি ধর্মীয় বই।

১৪| ২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১:০৬

কলাবাগান১ বলেছেন: আপনি লিখেছেন
"পূর্ণ গোপনীয়তা বজায় রেখে আমাদেরই পিতৃ-মাতৃ জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল গুলীর মিশ্রন বা আদান প্রদান সম্পন্ন করে ফেলা হয়"
chiasmata কিভাবে কাজ করে নিজেই তো বুঝেন না। chiasmata কাজ করে পিতা/মাতার ক্রমোজমে আলাদা আলাদা ভাবে, কখনই মিশ্রত ভাবে না। chiasmata শুক্রানু তৈরীর সময় বাবার শরীর এর কম্োজমে কাজ করে। আবার মায়ের ডিম্বানুর বানানোর সময় মায়ের শরীর এর ক্রমজমে chiasmata হয়। কখনই chiasmata মার আর বাবার জেনেটিক ম্যাটেরিয়াল কে গোপনীয়তার সাথে আদান প্রদান করে না।
শিশু আসলে দাদা/দাদি এবং নানা/নানীর বিভিন্ন বৈশিস্ট লাভ করে। প্রবাবিলিস্টিক ওয়াইজ দাদার ২৫%, দাদির ২৫%, নানার ২৫%, এবং নানীর ২৫% জিন রিসিভ করে। এখন শিশু কার থেকে ডমিনেন্ট আর কার থেকে রিসিসিভ কপি লাভ করে, সেটার সন্মিলনে ই শিশুর বৈশিস্ট দেখা যায়।

কোন জিন কিভাবে জেনেটিক রিকম্বিনেশন কে প্রভাবিত করে সেটা বিজ্ঞানীরা ভালভাবেই জানে। আজকাল জিন এডিটিং টেকনোলজি CRISPR দিয়ে ক্রমোজম এর প্রিসাইজ লোকেশনে recombination করা খুব ভাল ভাবেই করা যাচ্ছে।
In-vitro gametogenesis ইদুর এর মাঝে ভাবে সম্পুূর্ন হয়েছে, অচিরেই হয়ত অন্য প্রানীতেও সম্ভব হবে। ইদুর এর মাঝে শরীর এর চামড়া থেকে নেওয়া কোষকে স্টেম সেল বানিয়ে, সেই স্টেম সেলকে ঔষুধ দিয়ে শুক্রানো ও ডিম্বানু বানিয়ে নিষিক্ত করা হয়েছে..মানে হল এক প্রানী থেকে নতুন বাচ্চা তৈরী করা যাবে অদুর ভবিষ্যতে। ছেলে এবং মেয়ে লাগবে না সন্তান তৈরী করতে....তখন আবার পোস্ট দিয়েন যেটা এটা তো ধর্মে বলা আছে অনেক আগে থেকেই? আপনাদের মত লোকদের কাজ হল কোন কিছু আবিস্কার হলে সেটা কে ধর্ম দিয়ে ব্যাখা করতে জীবন দিয়ে ফেলেন কিন্তু আবিস্কার হওয়ার আগে এ সম্বন্ধে বিন্দুমাত্র ও জ্ঞান দিতে দেখা যায় না।

দুনিয়াতে সব কিছুই প্রবাবিলিট ভিত্তিক....কোন কিছুই আগে থেকেই ফিক্সড না.. ১০ বার কয়েন টস করুন প্রায় সময়ই ৫ বার হেড ৫ বার টেল হবে না....এখন এখানেও আপনি সৃস্টার হাত আছে বললে মানতে হবে আপনার চিন্তার সীমাবদ্ধতাকে।

আমি জানি আপনি বিরাট বিশাল 'আবোলতাবল' উত্তর নিয়ে আসবেন কিন্তু আপনার মত এমন একমুখী 'বিজ্ঞানীর' সাথে তর্ক করার মানসিকতা এবং সময় নাই বলেই এটাই আমার একমাত্র কমেন্ট।

২৪ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৪৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি জানি আপনি বিরাট বিশাল 'আবোলতাবল' উত্তর নিয়ে আসবেন কিন্তু আপনার মত এমন একমুখী 'বিজ্ঞানীর' সাথে তর্ক করার মানসিকতা এবং সময় নাই বলেই এটাই আমার একমাত্র কমেন্ট। আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার সময়ও আমার নেই কারন আপনি শুধু বলতেই জানেন শুনতে জানেন না। পৃথিবীর সব সত্য শুধু আপনিই জানেন অন্যরা যা জানে তা আবোল তাবোল। অতএব আপনার প্রশ্নের উত্তর দেওয়া থেকে আমি বিরত থাকলাম। আপনি ভালো থাকুন।

১৫| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ৭:১০

ফিনিক্স পাখির জীবন বলেছেন: আমরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে ডিএনএ-র কোডিং বদলে দিতে পারি ঠিকই, কিন্তু ভ্রুনকে জরায়ুতে স্থাপনের পর থেকে আমাদের আর কিছু করার থাকে না। এখানেই অদৃশ্য শক্তির কাজের শুরু। এখন কেউ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, তাই সেটার নাম দিয়েছেন প্রকৃতি; আর যারা ঈশ্বর বিশ্বাস করেন, তারা ধর্ম অনুযায়ী তার নাম দেন।
যারা টেস্টটিউব বেবী নিয়েছেন বা নেবার চেষ্টা করছেন, তাদের সাথে কথা বললেই বুঝবেন মানুষ হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু।
আর কোরানে বিজ্ঞান খোজার চেষ্টা করাটাতে কোরানের মান বাড়বে বা কমবে না। কোরানে আল্লাহ তায়ালা নিজেই বলেছেন, 'বিজ্ঞানময় কোরান'। মুসলমানজাতি কোরানে বিজ্ঞান দেরিতে খুজতেছে, কিছু করার নেই। তবে এটাও সত্য যে, বিজ্ঞানীরা অনেক কিছু নিজ গবেষণার দ্বারা বের করেছেন বলেই আমরা কোরানের কথাগুলোর মূল্য বুঝতে পারছি।

লেখক এবং মন্তব্যকারী সকলকে আলোচনার জন্য ধন্যবাদ।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:৩১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, আপনি সঠিক সত্যিটা বুঝতে পেরেছেন।

১৬| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সকাল ১০:১৮

নূর আলম হিরণ বলেছেন: স্পার্মের মধ্যে কোন স্পার্ম জিতবে তা ঠিক করার জন্য রাসায়নিক সংকেত দেয় ডিম্বাণু। অথাৎ ডিম্বানু নির্ধারণ করে সে কোন স্পাম কে চাই?
তাহলে বিকলঙ্গ হওয়া শিশুর স্পাম ডিম্বাণু কেনো বাচাই করবে? এখানে কি ডিম্বাণু সুস্থ সবল স্পাম নির্ধারণে ভুল করে, নাকি স্রষ্টা ভুল করে। কারণ স্রষ্টা বলেছেন “আমি মানুষকে সৃষ্টি করেছি সুন্দর অবয়বে।”
আমাকে আবার নাস্তিক ট্যাগ দিবেন না। কারন আপনারা স্রষ্টাকে যেভাবে খুঁজছেন, আমি সেভাবে খুঁজি না।

২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: স্পামই যে বিকলাঙ্গ হওয়ার কারন ঠিক তা নয়। ডিম্বানুতেও সমস্যা থাকতে পারে। আমার জানা মতে একটি ফ্যামিলির জায়গোটে ৩ জন ব্যাক্তির জিন। বিষয়টি ছিলো নারীর ডিম্বানুতে সমস্যা ছিলো কিছু জিন অসুষ্তা। সেই বিষয়টি লক্ষ্য করে ডাক্তারগন অসুস্থ্য জিন পরিহার করে আরেকজন নারীর ডিম্বানুর জিন সংগ্রহ করে শিশুটির জন্ম দেওয়া হয়।
এখন আমি আপনাকে যে বিষয়টি বলতে চাই এই ৩য় ব্যাক্তির প্রবেশের কারনে বংশের সুরক্ষা থাকে না। ডিএনএর ধারাবাহিকতা থাকে না। এর যে নেগেটিভ কোন প্রভাব পরে না এ ব্যাপারে গবেষনা চলছে। তারপরও মানুষ এইগুলো করছে সন্তানের ভবিষ্যতের কথা ভোবে।

পৃথিবীর প্রতিটি প্রাপ্তির পিছনে কারন থাকে ভাই। আপনি অনেক প্রশ্ন করতে পারেন। একজন রিক্সাওয়ালা কেনো গরীব হলো? একজন ইন্ডাষ্ট্রিয়ালের সন্তান কেনো ধনী হলো? স্রষ্টা তো সকলের সমান তাহলে কেনো এই বিভেদ? ঠিক তেমনি আপনি প্রশ্ন করতে পারেন বিকিলঙ্গ শিশু স্রষ্টা কেনো পাঠায়? এগুলোর কারন আছে ভাই। আপনি যেমন প্রশ্ন করতে পারেন করিম চোখ অন্ধ হয়ে জন্ম নিয়ে সারা জীবন সকলে লাথিঝাটা খেয়ে গেলো। আর রহিম ব্যাটা কোটি পতির সন্তান পাজেরো নিয়ে ঘোরে যত সুখ রহিম ব্যাটার আর করিম ব্যাটার কপালে লাথি ঝাটা! আপনি প্রশ্ন করতেই পারেন অভিযোগ করতেই পারেন। কিন্তু ভাই এসকল ঘটনারও কারন আছে। এএই সকল প্রশ্নের উত্তার এইভাবে ব্লগে দেওয়া সম্ভব নয়। কারন গোপন ব্যপার বলে কিছু একটা থাকে। এটি ধমীয় ভাবে গোপন কিছু আছে। মারেফত যাকে বলে।

১৭| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৩৮

নতুন বলেছেন: কিন্ত আমার প্রশ্ন কেনো সেই স্পামটি যোগ্য হলো? কে তাকে যোগ্যতা দিলো? কোথা থেকে পেলো সে এই যোগ্যতা? প্রতিটি স্পামই তো একই রকম একই ক্ষমতা সম্পন্ন থাকার কথা ছিলো! কিন্ত কেনো এই যোগ্যতা প্রাপ্তি? এর একটি মাত্র উত্তর - স্পামটি নির্ধারিত ছিলো।

আপনার সকল ধারনার পেছনে আছে এই ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন। অর্থ সকল কিছুই সৃস্টিকর্তার দ্বারা নিয়ন্ত্রিত।

* যদি একটা স্পামই সৃস্টিকতার নিদ্ধারিত হতো তবে পুরুষের একটা স্পামই যথেস্ট ছিলো। মিলিওন বিলিওন স্পার্ম দরকার ছিলো না।
* দুনিয়াতে প্রতিবছর ৫০ লক্ষের বেশি বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়,
* প্রায় ২.৩ কোটি মিসক্যারেজ হয়।

অর্থ আপনার থিউরি অনুযায়ী ৭ বিলিওন মানুষের মাঝে প্রতিবছর ৩ কোটির উপরে সৃস্টিকর্তার স্প্রাম এবং ডিম্বানু ঠিক মতন মানব শিশুতে পরিনত হতে পারেনা।

এটা সৃস্টিকর্তার ব্যর্থতা নয় কি? যদি তিনি এতোই সঠিক হতেন তবে কোন বাবা মা কে এতো কস্ট পেতে হতো না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:০০

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ব্যাস্ততার কারনে এ্যানসার দিতে দেরী হযে গেলো। ব্যবসায়িক কারনে আমাকে অনেক ব্যস্ত থাকতে হয়। সরি ভাই।
* যদি একটা স্পামই সৃস্টিকতার নিদ্ধারিত হতো তবে পুরুষের একটা স্পামই যথেস্ট ছিলো। মিলিওন বিলিওন স্পার্ম দরকার ছিলো না ‘
এর আগে আপনি এমন প্রশ্ন করেছিলেন একটি পৃথিবী থাকলেই তো হতো এত গ্রহ উপগ্রহের কি দরকার ছিলো? আপনাকে সেদিন সেই প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেলাম। অসংখ্য গ্রহ বানানেরা দরকার ছিলো ্তটি পৃথিবীর জন্য। অসংখ্য স্পামের দরকার ছিলো। প্রতিটি ঘটনার পিছনে কারন থাকে। একটি সুক্ষ সমন্ময় থাকার প্রয়োজনে এগুলো প্রয়োজন ছিল। একটি উদাহরন দিয়ে বলি। “একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। আমরা যদি সম্পূর্ণ ডিএনএ কে একটা বড় সুতার মত ধরি, তবে সুতার কিছু অংশ থেকে প্রোটিন তৈরি হবে আর বেশিরভাগ অংশ থেকে হবেনা। ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করে তাকে বলে জিন, বা প্রোটিন কোডিং ডিএনএ। এই অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষ। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই? যখন ডিএনএ আবিস্কার হল এবং বিজ্ঞানীরা দেখলেন যে মানুষের ডিএনএ র প্রায় ৯৮% নন-কোডিং। অর্থাৎ এরা প্রোটিনের তথ্য ধারণ করে না। ব্যস বিবর্তনবাদীরাতো মহাখুশি। ইভোলিউশনিস্টরা বলে বসলেন এগুলো হল Junk DNA. বিবর্তনের বিভিন্ন সময়ে মিউটেশনের ফলে এগুলো নাকি রয়ে গেছে। এর উপর ভিত্তি করে দাড় করানো হল Phylogenetics এর তত্ত্ব সৃষ্টি হল মলিকিউলার ইভোলিউশন শাখা। রিচার্ড ডাকিন্স 'Junk DNA' এর গুরুত্ব নিয়ে 'The Selfish Gene' নামক বই লিখেছেন। বইও বাজারে আছে, আছে ডকিন্স এবং আছে নতুন গবেষণায় প্রাপ্ত 'Junk DNA' এর 'Reality'। এ অবস্থায় নিশ্চয়ই মন্তব্য নিষ্প্রয়োজন! কি বলেন?? সময়ের প্রবাহে ধীরে ধীরে 'Junk DNA' এর কনসেপ্ট 'মিথ' এর কাতারে সামিল হবে এবং হবে এর প্রবক্তারা।
এই নন কোডিং ডিএনএ এর ব্যপকতা দেখে একসময় নাস্তিক মনা কিছু জীববিজ্ঞানীরা ভেবে বসছিলো ওগুলো জাংক্ ডিএনএ। ওদের কোন কাজ নেই। বিবর্তনের ধারার ফলে ওগুলো রয়ে গেছে। কিন্তু বিজ্ঞান যখন প্রমান করে দিলো কোন ডিএনএ জাংক নয়। প্রত্যেকেই গুরুত্বপুর্ন কাজে রত। ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।
এখন আমি যেটা বলতে চাইছি কোটি কোটি গ্রহ উপগ্রহ বা গ্যালাক্সি সৃষ্টি কি আপনি পূর্বের বিবর্তণবাদীদের জাংক ডিএনএ এর মতো জাংক বলতে চাইছেন? আপনি কি বলতে চাইছেন এগুলোর কোন প্রয়োজনীয়তা নেই? এতো গ্রহ বানিয়ে শুধু একটাতেই মানুষের বসবাসের যোগ্য হয়েছে। কারন এই একটি পৃথিবী বানাতেই এত পর্দাথের প্রয়োজন ছিলো। ঠিক তেমনি একটি যোগ্য স্পাম বানাতে এতগুলো স্পামের প্রয়োজন ছিলো।
এ জাতীয় স্বস্তা প্রশ্নের কি প্রয়োজন আছে নুতন ভাই বুঝিনা। এসব ছেলেমানুষি প্রশ্ন কেনো মাঝে মাঝে করেন বুঝি না!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:২১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: * দুনিয়াতে প্রতিবছর ৫০ লক্ষের বেশি বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়, * প্রায় ২.৩ কোটি মিসক্যারেজ হয়। অর্থ আপনার থিউরি অনুযায়ী ৭ বিলিওন মানুষের মাঝে প্রতিবছর ৩ কোটির উপরে সৃস্টিকর্তার স্প্রাম এবং ডিম্বানু ঠিক মতন মানব শিশুতে পরিনত হতে পারেনা। আপনার এ প্রশে।নর উত্তর দিতে গিয়ে আমাকে চমকে যেতে হচ্ছে। কারন আপনি তো ভাগ্য বিশ্বাস করেন না। ভাগ্য বিশ্বাস করলে অবশ্যই আপনি মানতেন যে ব্যাটা ন্যাংড়া খোড়া হিসেবে জন্ম নিয়েছে তার ভাগ্য ভালো নয়। এর পিছনে আরো গভীর কিচু ব্যাক্ষা আছে এগুলো জানতে হলে আপনাকে বৌদ্ধ ধর্মের “দুঃখ কেনো আসে মানুষের জীবনে?” এই প্রশ্নের উত্তর বৌদ্ধ ধর্ম অনুসারে আপনি জানার চেষ্টা করুন পাবেন কেনো মানুষের জীবনে দুঃখ আসে বা কেনো বিকলাঙ্গ হয়ে শিশু জন্ম নেয়?

আপনি তো ভাগ্য বা তাকদীর মানেন না! অতএব আপনাকে এসব উত্তর দিতে গেলে সাধারণ কমেন্টের মাধ্যমে কি সম্ভব? আমার এত সময় নেই। তবে সহজে বলি বিকলাঙ্গ শিশু সব তার ভাগ্য। এর পিছনে আরো অনেক গভীরের কারন আছে।

১৮| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৩:৫৫

নতুন বলেছেন: আপনি যে কম্পিউটার ব্যবহার করেন সেখানে কি অলৌকিকতা দেখেন না?

আপনি একটা সুইচ চাপ দিলেই কম্পিউটার একা একা মনিটর, কি বোর্ড, মাউসকে জীবিত করে তোলে, ইন্টারনেটে গুগুলে কোন প্রশ্নের জবাব খুজতে হলে টাইপ করে ইন্টার দিলেই চলে আসে...

এই সব কিছু কোন অলৌকিক শক্তি ছাড়া কি ভাবে সম্ভব বলেন?

এইগুলি আমাদের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয় না। কারন এর পেছনের ব্যক্ষা আপনার জানা।

তেমনি সৃস্টির অজানা ঘটনার ব্যক্ষা জানা হয়ে গেলে অলৌকতার মজাও চলে যাবে।

যেই শিশুটি জন্ম আইভিএফ পদ্বতীর দারা হয়। সেটার স্পার্মটা কে সিলেক্ট করে? সৃস্টিকর্তা না কি ঐ ডাক্তার?

যদি ডাক্তার ঐ ভ্রুনে জেনেটিক মডিফিকেসন করে তবে সেখানে সৃস্টিকর্তা কি অবদান রাখে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি একটা সুইচ চাপ দিলেই কম্পিউটার একা একা মনিটর, কি বোর্ড, মাউসকে জীবিত করে তোলে, ইন্টারনেটে গুগুলে কোন প্রশ্নের জবাব খুজতে হলে টাইপ করে ইন্টার দিলেই চলে আসে... এই সব কিছু কোন অলৌকিক শক্তি ছাড়া কি ভাবে সম্ভব বলেন? এইগুলি আমাদের কাছে অলৌকিক বলে মনে হয় না। কারন এর পেছনের ব্যক্ষা আপনার জানা।

নতুন ভাই। অদ্ভুদ এক কমেন্ট করলেন। আপনি সুইচ চাপ দিয়ে কম্পিউটার চালু করে অলৌকিক খুজে পেলেন। কিন্তু কেনো ভাবলেন না কম্পিউটার চালু করতে একজন মানুষের প্রয়োজন। তাকে সুইচ অন করতে হয়েছিলো। আবার বলছেন কম্পিউটারের অলৌকিকেতার ব্যাক্ষা আমাদের জানা তাই ব্যাপারটা খুব সহজ। কিন্তু আপনি কেনো বুজেন না কম্পিউটারটা একজন সৃষ্টি করেছে এবং একজন এর অপারেটিং প্রোগ্রামিং ডিজাইন করেছে। আপনা আপনি কম্পিউটার তৈরী হয় না। এবং আমরা আমরা ইচ্ছা করলেই স্রষ্টার সমস্ত জ্ঞান অর্জন করতে পারবো না।আমাদের জ্ঞানের সীমাবদ্ধতা আছে। কারন আমরা প্রোটিন দিয়ে গঠিত সাধারণ মানুষ মাত্র। সহজ ভাবে আপনাকে বোঝায়। আপনি কম্পিউটার দিয়ে বোঝালেন আমি মানুষ এবং প্রোটিন দিয়ে বোঝায়। আপনা আপনি যে কোন কিছু হতে পারে না সেই সর্ম্পকে একটু আলোচনা করি।

জীব কোষের আভ্যন্তরভাগ ব্যতীত প্রকৃতিতে প্রোটিন তৈরি হয়না। যখন প্রাকৃতিক ভাবে প্রটিনই তৈরি সম্ভব নয়, তখন যে আর.এন.এ প্রটিন তৈরি করে তা কীভাবে প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে যেতে পরে? আবার, যেহেতু জিনের জেনেটিক কোড ব্যতীত আর.এন.এ তৈরি হতে পারেনা, তখন আর.এন.এর প্রাকৃতিক ভাবে হয়ে যাওয়ার কথা উচ্চারণই যুক্তিজ্ঞান রহিত হওয়ার লক্ষণ।

মানুষের ডি.এন.এ তে যে পরিমাণ তথ্য রয়েছে তা যদি কাগজে লিপিবদ্ধ করা হয় তবে তা একটি বিশাল লাইব্রেরির রুপ ধারন করবে, যেখানে নয় শত খণ্ডের একটি বিশ্বকোষ রয়েছে যার প্রতিটি পাঁচ শত পৃষ্ঠার।এও কি মহাজ্ঞানী স্রষ্টার একটি নিদর্শন নয়? বিবর্তনবাদি জীববিজ্ঞানী Frank Salisbury, কোষের স্রষ্টা ব্যতীত সৃষ্টি হওয়ার অসম্ভাব্যতা সম্পর্কে বলেছেন, “একটি মধ্যম ধরনের প্রটিনে প্রায় ৩০০ এ্যামাইনো এসিড থাকে। পৃথিবী নিয়ন্ত্রণকারী ডি.এন.এ জিনের শেকলে প্রায় ১০০০ নিউক্লিয়টাইড থাকে। যেহেতু ডি.এন.এতে চার প্রকারের নিউক্লিয়টাইড থাকে, প্রত্যেকটি ১০০০ সংযোগ নিয়ে ৪১০০০ সংখ্যক রূপে অবস্থান করে। সামান্য বীজগণিত ব্যবহার করে আমরা দেখতে পাব যে, ৪১০০০=১০৬০০। দশকে দশ দ্বারা ৬০০ বার গুন করলে ১ এর পর ৬০০ টি শুন্য বিশিষ্ট সংখ্যা পাওয়া যাবে! এ সংখ্যাটি আমাদের বোধগম্যতার সম্পূর্ণ ঊর্ধ্বে।”

জীব বৈশিষ্ট্যের অনুরূপ বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন একটি যন্ত্র তৈরিতে কতটা জ্ঞান, বুদ্ধিমত্তা, ও পরিশ্রমের প্রয়োজন রয়েছে তা এখন নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন। সুতরাং প্রাণ সৃষ্টির জন্য অবশ্যই একজন স্রষ্টা আছেন যিনি জ্ঞানময় যিনি সুপার ইন্টেলেকচুয়েল ইজ্ঞিনিয়ারিং মেধাসম্পন্ন চেতনা। কশ্পিউটারের মতো যিনি মানুষের বডি স্টাকচার তৈরী করেছেন আবার তার অপারেটিং সিষ্টেমও তৈরী করেছেন। ত্রি মাত্রার মানুষ আমার ত্রিমাত্রার বাইরে কিছু বুঝিনা তাই সব আপনা আপনি হয় বলেই ভগর ভাগর করি।

১৯| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৮:০৩

নতুন বলেছেন: কিন্তু ভাই এসকল ঘটনারও কারন আছে। এএই সকল প্রশ্নের উত্তার এইভাবে ব্লগে দেওয়া সম্ভব নয়। কারন গোপন ব্যপার বলে কিছু একটা থাকে। এটি ধমীয় ভাবে গোপন কিছু আছে। মারেফত যাকে বলে।

জ্ঞান হইলো আলো। আর ধান্দাবাজীর সুবিধা হয় গোপনে... এই জন্যই মারেফতী তত্ব গোপন ব্যপার।

দুনিয়ার কোন জ্ঞানীরা নিজেরা যা জানতে পেরেছে বা বুঝতে পেরেছে তা গোপন রাখে নাই। এই কারনেই দুনিয়া এগিয়ে এসেছে, এগিয়ে যাচ্ছে...

ধর্মকে ব্যবসায়ী কাজে লাগানোর অন্য তম স্তর এই মারেফত/হকিকত/বিলায়েত তরিকা গুলি...
এর পীরেরা মুরিদের কাছ থেকে সুবিধা নেওয়ার জন্যই এই সব ভন্ডামী শুরু করেছে...

দেওয়ানবাগী তার চমতকার উদারহন... B-))

জ্ঞানী মানুষের জ্ঞানের ব্যবহারে উদাহরন দেই আপনি জানেন...

অভ্র কিবোডদের কাহিনি...
কিছুদিনের মধ্যে ক্যাম্পাসে জানাজানি হয়ে গেলো, মেহদী কম্পিউটারে বাংলা লেখার জন্য নিজস্ব একটা সফটওয়্যার বানাচ্ছে। তো এরপর দেখা হলে মেডিক্যালের সিনিয়র ভাইরা জিগেস করতো - ’কত করে নিবি?’
মেহদী অবাক হয়ে উত্তর দিতো -’ মানে? কিসের কত করে নিবো?’
- আরে তোর সফটওয়্যারের দাম কত করে রাখবি?
- দাম রাখবো কেন? ওটা তো ফ্রি। কোন টাকা পয়সা দিতে হবে না।
- বলিস কি!
- হ্যাঁ। ভাষার জন্য টাকা নেবো কেন?
মেহদীর কথা শুনে তাদের আক্কেলগুড়ুম হয়ে যেতো। ১৯ বছরের একটা ছেলে বলছে এই কথা!

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:২৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: গোপন তত্ত্ব বলতে “দুঃখ কেনো আসে মানুষের জীবনে”? এই প্রশ্নটি? কেনো বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়। এই ভাগ্য সংক্রান্ত বিষয়টি বৌদ্ধধর্ম আপনাকে দিতে পারবে। আর আমার দ্বারা এই ব্লগে কমেন্টের মাধ্যমে এই বিশাল বিষয়টি বোঝানো সম্ভব নয় এটিই বুঝিয়েছি। কিন্তু আপনি অযথা টাকা পয়সা বা ধান্দা ধুণ্দি কেনো নিয়ে এলেন বুঝলাম না। আপনার কোন মানসিক দৌদ্যলমনাত রয়েছে কোন কারনে। চুন খেয়ে মুখ পুড়িয়ে দই দেখেও ভয় পাওয়া। এই জাতীয় মানসিক সমস্যা।

মারেফত কে অস্বীকার করা বা হাসাহাসির কি প্রয়োজনীয়তা আছে বুঝলাম না। ধর্মে অনেক গোপন বিষয় আছে যেগুলো সচরাচর আলোচনা করা হয় একান্ত বাধ্যগত না হলে।

২০| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৪০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: @নতুন ভাই খুব ভালো বিশ্লেণ করেছেন, আপনার আর কলাবাগান১ মন্তব্য এই পোস্ট'কে পুরোপুরি অসাড় প্রামাণ করে দিয়েছে। কিন্তু এর পরেও এরা এসব প্রাচীন গ্রন্থ থেকে বিজ্ঞান খুঁজেই যাবে।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৫:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ব্যাবসায়িক ব্যস্ততার কারনে অনেক সময় প্রশ্নের উত্তর দিতে সময় লাগে। এত সহজেই পোষ্টের অসড়তা প্রমান করে দিলেন। “এ যে দেখছি বিচার মানি কিন্ত তালগাছ আমার” -হাস্যোকর। নতুন ভাইয়ের প্রতিটি প্রশ্নের উত্তর আমি দিয়েছি কিন্তু কলাবাগান এর প্রশ্নের উত্তর দিতে আমি বাধ্য নই কারন সে সবজান্তা শমসের আলী। নিজে শুধু বলতে চাই অন্যের কথা শুনতে চাইনা। কিন্তু দেখেন কলাবাগানের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছে ‘ফিনিক্স পাখির জীবন’। সেক্ষেত্রে আমার উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন পড়ে নাই। না হয় ফিনিক্স পাখীর জীবনের কমেন্টের কিছু অংশ বলি “আমরা জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং করে ডিএনএ-র কোডিং বদলে দিতে পারি ঠিকই, কিন্তু ভ্রুনকে জরায়ুতে স্থাপনের পর থেকে আমাদের আর কিছু করার থাকে না। এখানেই অদৃশ্য শক্তির কাজের শুরু। এখন কেউ ঈশ্বরে বিশ্বাস করেন না, তাই সেটার নাম দিয়েছেন প্রকৃতি; আর যারা ঈশ্বর বিশ্বাস করেন, তারা ধর্ম অনুযায়ী তার নাম দেন। যারা টেস্টটিউব বেবী নিয়েছেন বা নেবার চেষ্টা করছেন, তাদের সাথে কথা বললেই বুঝবেন মানুষ হিসেবে আমাদের সীমাবদ্ধতা কতটুকু।”

তবে কলাবাগানের প্রশ্নের বেশ কিছু বিষয় তুলে ধরে আমি তাকে বোঝাতে চেয়েছিলাম কিন্তু তিনি জ্ঞানপাপী মানুষ। তার সাথে কথা না বলাই ভালো। সবজান্তা শমসের আলী কাছে আমাদের মতো ক্ষুদ্র মানুষের আলোচনা করার কিছু নেই। তবে তার কিছু কথা আমার কাছে হাস্যোকর মনে হয়েছে। জয়ী হওয়ার জন্য অনেক শিশু যেমন কান্নাকিাটি করে আমার মনে হয়েছে জয়ী হওয়ার জন্য তিনি তেমন কান্নাকাটি করছে। খুবই হাস্যোকর। তিনি বলছেন- দুনিয়াতে সব কিছুই প্রবাবিলিট ভিত্তিক....কোন কিছুই আগে থেকেই ফিক্সড না.. ১০ বার কয়েন টস করুন প্রায় সময়ই ৫ বার হেড ৫ বার টেল হবে না....এখন এখানেও আপনি সৃস্টার হাত আছে বললে মানতে হবে আপনার চিন্তার সীমাবদ্ধতাকে “ । কিন্তু উনি স্বল্প কমনসেন্স সম্পন্ন মানুষ নইলে এজাতীয় উদাহরণ দিতেন না। একটা কথা কি আপনি যতবারই টচ করুন না কেনো আপনার আঙ্গুলের প্রেসারের কারনে হেড বো টেল হয়। আপনার আঙ্গুলের গতি কয়েনটির ঘুণনের কারন হয়। আপনি যদি আঙ্গলের এই গতিটিকে বুঝতে পারেন তাহলে আপনি হেড বা টেল ইচ্ছাকৃত ভাবে করতে পারবেন। সবচেয়ে বড় কথা টস দিয়ে জেনিটিক মিশ্রনকে তুলনা করা যায় না। কারন এটি একটি অন্য রকম প্রক্রিয়া। তার বক্তব্য মাতে দাদার ২৫%, দাদির ২৫%, নানার ২৫%, এবং নানীর ২৫% জিন রিসিভ করে।
এখন শিশু কার থেকে ডমিনেন্ট আর কার থেকে রিসিসিভ কপি লাভ করে, সেটার সন্মিলনে ই শিশুর বৈশিস্ট দেখা যায়। আশ্চয্য রকম বোকা লোক তিনি! তিনি নিজেই স্বিকার করছে সম্মিলনের ব্যাপারটি। দাদা, দাদী, নানা, নানী বড় কথা নয় বড় কথা হলো কার কাছ থেকে কতটুকু গ্রহন করবে এবং সম্মিলন করবে। একটি সিস্টেমের মাধ্যমে এগুলো করা হয় আর এটাকেই স্রষ্টা আকৃতি গঠন করা বুঝিয়েছে। তো যাই হোক কলাবাগান১ নিয়ে আলোচনা ভালো লাগছে না।

এত সহজেই পোষ্টের অসড়তা প্রমান করছেন! আরো পোষ্ট আসছে। অপেক্ষা করুনঅ

২১| ২৫ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ১০:৫০

জ্যাক স্মিথ বলেছেন: তারা তাদের মুখের ফুৎকারে আল্লাহর নূরকে নিভিয়ে দিতে চায়, কিন্তু আল্লাহ তাঁর নূরকে পূর্ণতাদানকারী। -
এই আয়াতটি ১৪০০ বছর আগের কাফেরদের উদ্দেশ্যে রচনা করা হইছে, আমার জন্য নয়। আপনি পুরো কুরআন তন্ন তন্ন করে খুঁজেও আমার কোন নাম পাবেন না, ইনফ্যাক্ট আল্লাহ পাক আমাকে চিনেই না, তাছাড়া আল্লাহর নিজেরই কোন আলো নেই সে আবার কোন কিছু ডিজাইন করবে কিভাবে?

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: অাপনার হাস্যোকর কমেন্ট পড়ে খুব হাসি পেলো। হাসলাম ও বটে। অবোধ মানুষদের ভূল ত্রুটি ধরতে নেই। সাথে পেলাম লিংকে আপনার বিশাল এক লেখা পড়লাম। যদিও সর্ম্পন পড়া হয় নাই। তবে বিষয়বস্তু বুঝলাম। আপনি আল কোরআনের আয়াতের ভূল ধরে নিজেকে বিশাল হিরো বানিয়ে ফেলেছেন। এবার আপনার দরকার ছিলো হিরোইন। আমি হিরোইন বলতে আবার নায়িকা বোঝায় নাই বুঝিয়েছি মাদক হিরোইন। কারন আপনি যে যথেষ্ট হিরোইনের মতো হয়ে যাচ্ছেন তা আপনার আলোচনায় বোঝা যাচ্ছে। আপনাকে আপনার লেখা থেকে তুলে ধরলাম।
সূরা ফুরকানের ৬১ নাম্বার যে আয়াতটির কথা বলেছেন আমি পুরো আয়তটি এখানে কপি করে দিচ্ছি।
تَبَارَكَ الَّذِي جَعَلَ فِي السَّمَاءِ بُرُوجًا وَجَعَلَ فِيهَا سِرَحًا وَقَمَرًا مُّنِيرٌ
বাংলা- কত মহান তিনি, যিনি নভোমণ্ডলে সৃষ্টি করেছেন তারকারাজি এবং তাতে স্থাপন করেছেন প্রদীপ ও জ্যোতির্ময় চাঁদ। ইংরেজি- Blessed is the One Who has placed constellations in the sky, as well as a radiant lamp and a luminous moon.

জ্যাক স্মিথ ভাই, আপনার লেখাটা পড়ে খুবই হেসেছি। আপনি অযথা কথা খরচ করে লেখাটা অনেক লিখেছেন। কিন্তু সেখানে আপনার আবেগই শুধু ছিলো। বাস্তবতার পরিমান খুবই কম ছিলো। আপনি অযথা লিখেছেন। দেখেন আয়াতে সুর্যের ক্ষেত্রে বলা আছে প্রদীপময়। যার অর্থ এমন একটা বিষয় যেখানে প্রদীপ বা আলো জ্বলছে। সূর্যের ভিতরে ঠিক এমনি আলো জ্বলছে। আর চাঁদ কে বলছে জৌাতির্ময়। যার সহজ অর্থে জৌাতির্ময় বলতে আলোকিত। এখানে চার্দ আলোকিত। তার নিজের আলোতে জ্বলতে পারে নাও পারে। জ্যোতিময় শব্দের প্রকৃত অর্থ আলো ধারন কারী। আমি জ্যোতিময় শব্দের প্রকৃতি বাংলা ডিকশনারী শব্দের ব্যাক্ষা তুলে ধরলাম।
জ্যোতির্ময়
বানান বিশ্লেষণ: +ম্+অ+র্+অ
উচ্চারণ: .moē (ও.শু ময়)।
ময় [পরবর্তী ধ্বনি উকারযুক্ত হওয়ায় অং ধ্বনি ও ধ্বনিতে পরিণত হবে। অবশিষ্ট উকারান্ত শ্ ধ্বনি একাক্ষর শু ধ্বনি তৈরি করবে। ম-এর সাথে অর্ধ-স্বরধ্বনি হিসেবে ময় একাক্ষর তৈরি হবে]
শব্দ-উৎস: সংস্কৃত স্যু--ন জ্যোতিময় < বাংলা জ্যোতির্ময়।
রূপতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ: জ্যোতি { + ময় (ময়ট) আচ্ছন্ন অর্থে।
অর্থ: জ্যোতি (আলো) ধারণ করে বা যুক্ত আছে এমন।
সমার্থক শব্দাবলি: অংশুধর, অংশুমৎ, অংশুময়, অংশুমান, অংশুমালী, অংশুযুক্ত, অংশুল, আভাময়, উজ্জ্বল, কিরণময়, কিরণযুক্ত, জ্যোতির্ময়, জ্যোতিষ্মান, তেজোময়, দীপ্তিমান, দীপ্তিময়, দ্যুতিময়, দ্যুতিমান, দেদীপ্যমান, প্রদীপ্ত, প্রভাবিশিষ্ট, প্রভাযুক্ত, প্রভাশালী।
বিপরীতার্থক শব্দ: জ্যোতির্ময়ী (স্ত্রীলিঙ্গার্থে)
ইংরেজি: lumininous, radiant

২২| ২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:২৮

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: গোপন তত্ত্ব বলতে “দুঃখ কেনো আসে মানুষের জীবনে”? এই প্রশ্নটি? কেনো বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়। এই ভাগ্য সংক্রান্ত বিষয়টি বৌদ্ধধর্ম আপনাকে দিতে পারবে। আর আমার দ্বারা এই ব্লগে কমেন্টের মাধ্যমে এই বিশাল বিষয়টি বোঝানো সম্ভব নয় এটিই বুঝিয়েছি। কিন্তু আপনি অযথা টাকা পয়সা বা ধান্দা ধুণ্দি কেনো নিয়ে এলেন বুঝলাম না। আপনার কোন মানসিক দৌদ্যলমনাত রয়েছে কোন কারনে। চুন খেয়ে মুখ পুড়িয়ে দই দেখেও ভয় পাওয়া। এই জাতীয় মানসিক সমস্যা।

মারেফত কে অস্বীকার করা বা হাসাহাসির কি প্রয়োজনীয়তা আছে বুঝলাম না। ধর্মে অনেক গোপন বিষয় আছে যেগুলো সচরাচর আলোচনা করা হয় একান্ত বাধ্যগত না হলে।


ভাই সমালোচনা সহ্য না করতে পারলে অথবা পছন্দ না হলে বলে দেবেন আমরা প্রশ্ন করবো না।
কিন্তু প্রশ্ন করলে মানসিক সমস্যা আছে, জ্ঞানপাপাী, সময় নাই বলে বিস্তারিত বলা যাবেনা এটা সম্ভবত ব্লগিং এর ম্যানারের সাথে যায় না।

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:০৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নতুন ভাই, আপনি আমাকে অযথা ভূল বুঝছেন। আপনার কোন মানসিক দৌদ্যলমনাত রয়েছে কোন কারনে। চুন খেয়ে মুখ পুড়িয়ে দই দেখেও ভয় পাওয়া। এই জাতীয় মানসিক সমস্যা। আমি এখানে বোঝায়েছি ধর্মব্যাবসায়ী কারো কাছে গিয়ে আপনি আমাকেও ধান্দাবাজ মনে করছেন। “মানসিক সমস্যা” বলতে আমি আপনাকে ঐভা্বে বলি নাই। জ্ঞানপাপী শব্দটা আমি আপনাকে বলি নাই। অন্য কাউকে বলেছি। যিনি আমাকে আবোলতাবোল উত্তর দেয় বলে অভিহিত করেছেন। তার কমেন্টে আমি কোন উত্তর দিই নি। শুধু বলেছি আমি আপনাকে উত্তর দেওয়া থেকে বিরত থাকলাম। অন্য কাউকে বলেছি তিনি জ্ঞানপাপী। কারন আমি তো আবোল তাবোল বলি। তিনি অনেক জ্ঞানে জ্ঞানপাপী হয়ে গেছে।

আমি সরি নতুন ভাই। আপনি তো আমাকে চেনেন জানেন। ৩/৪ বছরের ব্লগিং পরিচিতি। আমি খুব ব্যাস্ত মানুষ ভাই। আপনি কমেন্ট করেছেন ৩ দিন আগে আর আমি কমেন্টের উত্তর দিলাম ৩ দিন পরে। আমি ব্যস্ততার জন্য অনেক সময় উত্তর দিতে পারি না। আপনাদের প্রশ্ন দেখি কিন্তু উত্তর দেওয়ার সময় পাইনা । তাই বলেছি ধমীয় গোপন বিষয়গুলো কমেন্টোর মাধ্যমে আপনাকে বোজানোর সময় আমার নেই।

সরি নতুন ভাই, আপনি আমার খুব কাছের ব্লগার। আপনি আমার উপর এমন রাগ বা অভিমান করতে পারেন না।

২৩| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৩৮

নতুন বলেছেন: আপনার উপর রাগ করিনা। অভিমান করি কারন আপনি আমার অন্যতম প্রিয় ব্লগার।

আপনি জ্ঞানী মানুষ, ব্লগে খুবই কম ব্লগার আছে যারা চিন্তা ভাবনা করে ( ফিলোসফিক্যাল ভাবনা) এবং ব্লগলেখার আগে পড়াশুনা করে ব্লগ লেখে।

আপনার ব্লগে অনেক কিছুই নতুন করে জেনেছে সেই জন্য আপনার প্রতি কৃতঙ্গ আমরা।

আপনি সৃস্টিকর্তার উপরে অসীম বিশ্বাসী, আমি বিশ্বাস করতে পারছিনা।

আপনি সকল বিষয়ে সৃস্টিকর্তার ইন্টেলিজেন্ট ডিজাইন দেখেন, আমি সৃস্টির বিভিন্ন গোজামিল/ক্রমাগত চেস্টা দেখে সৃস্টিকর্তার বিষয়ে প্রশ্ন করি।

আপনি ভাবেন বলেই আপনার কাছে জিঙ্গাসা করি।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৭:১৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই।

২৪| ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:৪৭

নতুন বলেছেন: লেখক বলেছেন: গোপন তত্ত্ব বলতে “দুঃখ কেনো আসে মানুষের জীবনে”? এই প্রশ্নটি? কেনো বিকলাঙ্গ শিশু জন্ম নেয়। এই ভাগ্য সংক্রান্ত বিষয়টি বৌদ্ধধর্ম আপনাকে দিতে পারবে। আর আমার দ্বারা এই ব্লগে কমেন্টের মাধ্যমে এই বিশাল বিষয়টি বোঝানো সম্ভব নয় এটিই বুঝিয়েছি। কিন্তু আপনি অযথা টাকা পয়সা বা ধান্দা ধুণ্দি কেনো নিয়ে এলেন বুঝলাম না। আপনার কোন মানসিক দৌদ্যলমনাত রয়েছে কোন কারনে। চুন খেয়ে মুখ পুড়িয়ে দই দেখেও ভয় পাওয়া। এই জাতীয় মানসিক সমস্যা।

মারেফত কে অস্বীকার করা বা হাসাহাসির কি প্রয়োজনীয়তা আছে বুঝলাম না। ধর্মে অনেক গোপন বিষয় আছে যেগুলো সচরাচর আলোচনা করা হয় একান্ত বাধ্যগত না হলে।


মারেফতে কি কথা আছে? --

* সৃস্টিকর্তা তার নিজের আদল মানুষ সৃস্টি করেছেন...
* সৃস্টিকর্তকে পেতে হলে মানুষরে কলব (হৃদপিন্ড ) জাগ্রত করতে হবে..
* কলবকে জাগ্রত করতে পারলে সৃস্টিকর্তার সাথে কানেকসন তৌরি হবে...
* অনেক তরিকার মানুষ পূর্নজনমে বিশ্বাসী যে মানুষের বর্তমান জীবনের কস্ট তার আগের জীবনের ফল...
* বিকলাঙ্গ বা অন্য কোন সমস্যার জন্য আগের কাজ দায়ী...
* অনেকে মোরাকাবাতে সৃস্টিকর্তাকে নিজের মতন অথবা পীরের মতন আকারে দেখেছেন...

এই রকমের থিউরি গুলি পীরেরা মুরিদ বা অনুসারীদের মাথায় দিতে পারেন.... এটাও এক রকমের হিপনোট্রিস বলেই আমি মনে কির।

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ রাত ৯:৫৯

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মারেফতে কি কথা আছে? --
* সৃস্টিকর্তা তার নিজের আদল মানুষ সৃস্টি করেছেন...
* সৃস্টিকর্তকে পেতে হলে মানুষরে কলব (হৃদপিন্ড ) জাগ্রত করতে হবে..
* কলবকে জাগ্রত করতে পারলে সৃস্টিকর্তার সাথে কানেকসন তৌরি হবে...
* অনেক তরিকার মানুষ পূর্নজনমে বিশ্বাসী যে মানুষের বর্তমান জীবনের কস্ট তার আগের জীবনের ফল...
* বিকলাঙ্গ বা অন্য কোন সমস্যার জন্য আগের কাজ দায়ী...
* অনেকে মোরাকাবাতে সৃস্টিকর্তাকে নিজের মতন অথবা পীরের মতন আকারে দেখেছেন...
এই রকমের থিউরি গুলি পীরেরা মুরিদ বা অনুসারীদের মাথায় দিতে পারেন.... এটাও এক রকমের হিপনোট্রিস বলেই আমি মনে কির।

* সৃস্টিকর্তা তার নিজের আদল মানুষ সৃস্টি করেছেন... আপনার এই বক্তব্যে পিছনে আমি কোন তথ্য প্রমান পাই নাই। এই জাতীয় কোন কিচু আল কোরআনে নেই। এইগুলো হাদীসের হয়তোবা। এই সব হাদীস নির্ভর ধর্মব্যাবসায়ীদের কর্মকান্ড।

* সৃস্টিকর্তকে পেতে হলে মানুষরে কলব (হৃদপিন্ড ) জাগ্রত করতে হবে.. মানুষের সৃষ্টিকর্তার প্রতি বিশ্বাসবোধ অথবা বেশি বেশি ইবাদত মানুষের কলবকে জাগ্রত করে এটা সত্য। বৈজ্ঞানিকভাবে এ ধরনের প্রমান আছে। মানুষের মস্তিস্কের টেম্পোরাল লোবের রয়েছে গডস্পট নামক একটি কেন্দ্র। মানুষ যখন নিয়মিত প্রাথনা করে তখন তার টোম্পোরেল লোবে এক জাতীয় লাল স্পট দেখা যায় যত বেশি ইবাদহ ততবেশি লাল স্পট দেখা যায়। মানুষের মস্তিস্কের টেম্পরাল লোবে গডস্পট এর পরিমান যত গভীর হয় দেহের মাঝে হীম শীতলতাও ঠিক ততটুকুই বৃদ্ধি পায়। আল্লা ভক্ত মানুষদের দেহ থেকে নুর বের হয় র্দীর্ঘ দিন ধরেই আমরা জানতাম। এই শ্রেণীর মানুষদের আমরা নুরানী চেহারার মানুষ বলতাম। অতি প্রার্থনার সময় মস্তিস্কের excitatory and inhibitory neurotransmitters উদ্দীপ্ত হয় তখন কিচু হরমোন মানব দেহে মস্তিক্ত থেকে প্রবেশ করে ফলে দেহ শীতল এক ঐশ্যরিক অনুভূতী লাভ করে। আল কোরআন বলে “ নামাজ তোমার চিত্তের প্রশান্তি এনে দেয়” অথাৎ বিষয়টি সত্য। সত্যিই অতি প্রার্থনা মানুষের দেহে এক হিমশীতলাতা ছড়িয়ে দেয়।
মানুষের মস্তিস্ক থেকে যেমন ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভ বের হেয়ে ঠিক তেমনি মানব দেহ থেকেও এমনটাই ইলেট্রম্যাগনেটিক ওয়েভ মানুষ দেহ বের হয়ে থাকে। যারা বেশি বেশি প্রাথনর্নান করে তাদের ওয়েভ ফ্রিকোয়েন্সি যথেষ্ট বর্ণিল এবং ঔজ্জল। এই ঔজ্জল্যতা সুস্থতার লক্ষন বলেই প্রতিয়মান হয়।
মানুষ যখন প্রার্থনায় বা ঈশ্বর-চিন্তায় মগ্ন থাকে তখন মস্তিষ্কের কিছু রাসায়নিক যৌগের ক্ষয়িত হয়ে একটি অভুতপূর্ব উপলদ্ধি বোধ সৃষ্টি করে ? রাসায়নিক যৌগের ক্ষয়িত হয়ে মস্তিষ্কে সৃষ্টি করে এমন কোনো পরিবেশ, যা চিরবিরাজমান সেই উচ্চতর সত্ত্বার উপলব্ধির জন্য একান্ত অনুকূল? মানুষ যখন মসজীদ, গীর্জায় প্রার্থনায় বসে তখন তার মনে একটা অপরাধবোধ উৎপন্ন হয়। সত্যিই খুব আশ্চর্যজনক বিষয় হলো মানুষ প্রাথনা করবার পর তার মস্তিস্কের ওয়েভ পরিবর্তন ঘটে মানুষের ব্রেনের ভিতরেও এর পরিবর্তান হয় । ব্রেইন স্ক্যান করে দেখা গেছে মানুষের ব্রেনের উপর প্রাথনার প্রভাব পড়ে। প্রাথনা করবার পর মানুষের ব্রেন ওয়েভ কেমন যেনো সৌন্দর্যময় হয়ে ওঠে। ব্রেন স্কেন করে এমআরআই মেশিনে এটি প্রমান করা সম্ভব হয়েছে।

* কলবকে জাগ্রত করতে পারলে সৃস্টিকর্তার সাথে কানেকসন তৌরি হবে... সম্ভবত স্রষ্টাই মানুষের মস্তিস্কে ‘স্রষ্টা-বিন্দু’ সৃষ্টি করেছেন কারণ এটাই তাঁর সৃষ্ট মানবকুলের সাথে সংযোগের মাধ্যাম। আমরা যদি তাঁকে বেশী করে জানতে চাই তবে এই মাধ্যামের উন্নতি সাধন প্রয়োজন। মস্তিস্কের এই অংশটাই আমাদেরকে উন্নত প্রাণী হিসেবে নিম্ন প্রাণী থেকে পৃথক করেছে; আর এই সুবাদেই আমাদের মন গভীর ভাবে ভাবতে পারে ও বিশ্বাসের ভিতকে শক্তিশলী করতে পারে। যদিও বলা হয়ে থাকে যে টেম্পোরাল লোবই হল স্রষ্টাবিন্দুর গডস্পট এর বাসস্থান এবং আধ্যাতিকতা অর্জনের পিঠস্থান তবু এটি এন্টিনা স্বরূপ কাজ করে। আমরা যখন গভীর প্রার্থনার মাধ্যামে আধ্যাতিকতার উন্নয়ন করি তখন ইলেকট্রম্যেগনিটিক ওয়েভ স্বচ্ছ বনালী দেয়। মানুষের দেহ থেকে বেরোনো ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভের সাথে প্রকৃতির ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভের কানেক্টিং হয়। আমাদের দেঞ থেকে বেরোনো ওরেয়ভের লেভেল এর সাথে প্রকৃতির ইলেকট্রমেগনিটিক ওয়েভের লেভেল যখন এক পর্যায়ে থাকে তখন প্রকৃতির ও মানুষের একটি সম্মিলন ঘটে। এটাকেই স্রষ্টার সাথে অর্থাৎ প্রকৃতির সাথে মিলন বলা হয়। এমন কি আমাদের দেহ থেকে বেরোন সকল ইলেকট্রম্যাগনেটিক ওয়েভের ফ্রিকোয়েন্সি লেভেল প্রকৃতিতে জমা হতে পারে। যা আপনার ইবাদতের প্রমান স্বরুপ। নীরিক্ষায় দেখা গেছে যে,সাধারন মানুষের তুলনায় ধার্মীক ব্যাক্তিদের দুঃশ্চিন্তা মুক্ত হওয়া সহজ। তুলনামূলক নিম্নরক্তচাপে ভোগেন। কখনো কখনো অধিক আয়ুষ্কাল প্রাপ্তিও দেখা গেছে।
* অনেক তরিকার মানুষ পূর্নজনমে বিশ্বাসী যে মানুষের বর্তমান জীবনের কস্ট তার আগের জীবনের ফল... আপনি কি হিন্দু ধর্মের মতো পূর্নজন্ম বোঝাতে চাইছেন? যদি তা চান তাহলে সেটি ভূল? কারন এক মহাবিশ্বে কখনই কেউ ফিরে আসে না। তবে
মহাবিশ্ব পৃথিবী ধ্বংশের পর আবার মহাবিশ্ব পৃথিবী সৃষ্টি হবে তখন মানুষের পূনরাত্থান হবে। সেক্ষেত্রে যদি আপনি তার পূর্নজন্ম বলতে চান বলতে পারেন। কারন বেহেস্ত দোজখ তো মহাবিশ্ব যতদিন আছে ততদিনের। লক্ষ্য করুন আল কোরআন বলে “যারা হতভাগা হবে তারা জাহান্নামে যাবে, সেখানে তাদের জন্য আছে হা-হুতাশ আর আর্ত চীৎকার। সেখানে তারা স্থায়ী হবে, যতদিন পর্যন্ত আসমানসমূহ ও যমীন থাকবে, অবশ্য তোমার রব যা চান। নিশ্চয় তোমার রব তা-ই করে যা তিনি ইচ্ছা করেন। আর যারা ভাগ্যবান হয়েছে, তারা জান্নাতে থাকবে, সেখানে তারা স্থায়ী হবে যতদিন পর্যন্ত আসমানসমূহ ও যমীন থাকবে, অবশ্য তোমার রব যা চান, অব্যাহত প্রতিদানস্বরূপ।” সূরাঃ হূদ আয়াতঃ ১০৬-১০৮ । অতএব দোজখ বেহেস্ত চিরন্তন বিষয় নয়। যদি তাই হয় তাহলে মানুষের পাপাচারের শাস্তি স্বরুপ দোজখ এবং পূন্যকর্মের জন্য বেহেস্ত। কিন্তু এখানেই কি শেষ? এরপর কি কিছু নেই?
এরপরও আছে। মহাবিশ্ব ধ্বংশ হয়ে যাবে। এখানেই কি শেষ ? না এখানেই শেষ নয়। এই মহাবিশ্ব আবার সৃষ্টি হবে। মানুষের আবারও পুনরুত্থান ঘটবে। এ বিষয়ে আল কোরআন বলছে “যিনি আদিতে সৃষ্টি করেন তিনি আবারও সৃষ্টি করিবেন” (২৭:৬৪) তাহারা কি লক্ষ্য করে না কিভাবে আল্লাহ যিনি আকাশমন্ডলী ও পৃথিবীকে সৃষ্টি করিয়াছেন তিনি অনুরুপ সৃষ্টি করিতে সক্ষম। তিনি উহাদের জন্য স্থির করিয়াছেন একটি কাল। ইহাতে কোন সন্দেহ নাই।” (১৭:৯৯) “সেইদিন আকাশকে গুটাইয়া ফেলিব যেভাবে গুটানো হয় লিখিত দফতর, যেভাবে আমি প্রথম সৃষ্টির সূচনা করিয়াছিলাম, সেইভাবে পূনরায় সৃষ্টি করিবো।” (২১:১০৪) এই আয়াত গুলো দিয়ে প্রমানিত হয় এই মহাবিশ্ব একটি সময়ের চক্রে সৃষ্টি করা হয়েছে। এবং তিনি এই মহাবিশ্ব আবারও সৃষ্টি করিবেন একই রুপে একই রকম। তাহলে এখন প্রশ্ন হলো আসমান জমিন আবার কেনো সৃষ্টি হবে? মানুষ বিহীন তো আসমান জমিন হয় না। তাহলে মানুষ সৃষ্টি আবার হতে হবে। আল কোরআন বলে “আমি উহাদের আঙ্গলের ছাপও পুঙ্খানুপুংখ সৃষ্টি করতে সক্ষম।” আবার ও বলছে “ উহাদের একজনের পুনরুত্থান উহাদের সকলের পুনরুত্থানের অনুরুপ। যেহেতু আল কোরআন আবার মানুষ সৃষ্টির কথা বলছে অতএব মানুষ আবার সৃষ্টি হবে। ‘যেদিন পরিবর্তিত করা হবে এ পৃথিবীকে অন্য পৃথিবীতে এবং পরিবর্তিত করা হবে আকাশসমূহকে’ (ইবরাহীম ৪৮)।
সুতরাং আগামীর পৃথিবীতে যেহেতু আগামীর মানুষেরা পূনরাত্থিত হবে সেহেতু এর আগে মহাবিশ্ব ছিলো কিনা অথবা আমরা কি পূনরাত্থিত কিনা প্রতিদানস্বরূপ কিনা তা জানিনা তবে তাতো হতেই পারে। সুতরাং যে মানুষের বর্তমান জীবনের কস্ট তার আগের জীবনের ফল এটাতো হতেই পারে!
* বিকলাঙ্গ বা অন্য কোন সমস্যার জন্য আগের কাজ দায়ী... হ্যা হতেই পারে। পুর্বে র পাপোর ফলস্বরুপ প্রতিদান হতেই পারে। নতুন ভাই, আমি আপনাকে বোঝাতে পারছিনা ধর্ম হলো স্পশকাতর একটি বিষয়। এসব আলোচনা ব্লগে করা ঠিক নয়। কারন এ সকল মুক্ত আলোচনা ক্ষতির কারন হতে পারে। কট্টরবাদী ধামীর্কেরা মুক্ত আলোচনা পছন্দ করে না। কতল হয়ে যেতে পারি। এসব আলোচনা থাক। আরো যথেষ্ট জ্ঞান অর্জন না করে গোপন গোপন রাখাই ভালো।
* অনেকে মোরাকাবাতে সৃস্টিকর্তাকে নিজের মতন অথবা পীরের মতন আকারে দেখেছেন... এসব ধর্মব্যবসায়ীদের কথা। এর পিছনে কোন যুক্তি নেই। এই সব করে পীরেরা তাদের প্রতি ভক্তিভাব বেশি সৃষ্টি করায়ে টাকা পয়সা বেশি আয়ের ধান্ধা করে। এগুলো ভূল। সত্যিই ভূল এবং ভন্ডামি। ব্যাবসা।

২৫| ৩০ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ দুপুর ২:০৫

নতুন বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই আপনার উপরের জবাবে আমি কিছুটা হলেও আপনার ধর্মদর্শন সম্পর্কে ধারনা পেলাম।

ঠিক আছে এই সব বিষয়ে আলোচনা করবো না। সমাজে অনেক নির্বোধ আছে যারা কট্টরবাদী ধামীর্কেরা মুক্ত আলোচনা পছন্দ করে না।

সৃস্টিকর্তার বিষয়ে আমরা কেবল কল্পনা করতে পারি। কিন্তু কোন কনক্লুসনে আসতে পারিনা।

মানুষের উপদান দুনিয়ার অনু/পরমানু তাই মানুষের শরীরের ধংষ হয় না বরং রুপান্তর হয় মাত্র।

ভাগ্য থিউরি মানুষের একটা সান্তনা নেওয়ার ব্যবস্থা হতে পারে কারন মানুষ ভবিষ্যত জানেনা তাই এখন কি করলে আগামীতে ভালো হবে সেটা বোঝে না। আর যারা অলস তারা ভাগ্যে বেশি বিশ্বাস করে।

ধর্মের গোপন বিষয়গুলিকে পুজি করে সমাজে ধর্ম ব্যবসা চলছে.... চলতেই থাকবে... যতদিন না মানুষ আত্নবিশ্বাসী হচ্ছে।

জীবনের উদ্দেশ্য সাধারন হউয়া উচিত।

দুনিয়ার সকল প্রানীর মঙ্গল কামনা করা, কারুর ক্ষতি না করা এবং যথাসাথ্য উপকারের চেস্টা করা।

ভালো থাকবেন...

৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ বিকাল ৪:৫৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ভাগ্য থিউরি মানুষের একটা সান্তনা নেওয়ার ব্যবস্থা হতে পারে কারন মানুষ ভবিষ্যত জানেনা তাই এখন কি করলে আগামীতে ভালো হবে সেটা বোঝে না। আর যারা অলস তারা ভাগ্যে বেশি বিশ্বাস করে। আপনার এ মন্তব্যর সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারন সমস্তটাই ভাগ্য ভাই। আমার আপনার ইচ্ছায় এ মহাবিশ্বে কিছু হয় না। সমস্তটাই হয় অদৃশ্যের ইচ্ছায়। আপনি তাকে প্রকৃতি বলছেন। আমরা ইশ্বর বলছি। এক অদৃশ্য থেকে জগৎ নিয়ন্ত্রিত। আপনার ডিএনএ তে উল্রেখ আছে আপনি কত বছর বাঁচবেন। কোন অসুখে আমি মারা যাবো তা আমার ডিএনএতে উল্লখ আছে। সমস্তটা প্রকৃতি বা ঈশ্বরের কাজ কোঝা যায় না।

২৬| ৩১ শে ডিসেম্বর, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬

নতুন বলেছেন: আপনার এ মন্তব্যর সাথে আমি একমত হতে পারলাম না। কারন সমস্তটাই ভাগ্য ভাই। আমার আপনার ইচ্ছায় এ মহাবিশ্বে কিছু হয় না। সমস্তটাই হয় অদৃশ্যের ইচ্ছায়। আপনি তাকে প্রকৃতি বলছেন। আমরা ইশ্বর বলছি। এক অদৃশ্য থেকে জগৎ নিয়ন্ত্রিত। আপনার ডিএনএ তে উল্রেখ আছে আপনি কত বছর বাঁচবেন। কোন অসুখে আমি মারা যাবো তা আমার ডিএনএতে উল্লখ আছে। সমস্তটা প্রকৃতি বা ঈশ্বরের কাজ কোঝা যায় না।

আপনি যেটা নিয়ন্ত্রন বলছেন সেটা প্রমানিত না। আপনার ধারনা মাত্র।

মানুষের শরীর আর একটা গাড়ীর মাঝে একটা মিল আছে..... আপনি যদি ঠিক মতন যত্ন নেন তবে গাড়ী এবং শরীর বেশি দিন চলবে.... ( আপনি বলতে পারেন যে গাড়িটা টয়োটার তৌরি এবং আরেকটা টেসলা ( ভালো জিনেটিক বৈশিস্ট) ) কিন্তু কতদিন যাবে সেটা আপনার ব্যবহারের উপরে নির্ভর করে।

খিচুড়ি রান্না করার সময় একটু খেয়াল করবেন তবে সৃস্টির বৌচিত্র সম্পর্কে একটু ধারনা পাবেন।

আপনি চাল, ডাল, তেল, নুনের সাথে দুনিয়াতে পাওয়া যায় হাজারো তরকারী দিয়ে কোটি কোটি পদের/স্বাদের খিচুড়ি রান্না করতে পারবেন....

অর্থ সব কটা স্বাদই পূর্ব নিদ্ধারিত সেটা বললে কেমন যেন মনে হয়...

২৭| ০৫ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সন্ধ্যা ৭:২৫

গেঁয়ো ভূত বলেছেন: ভাল পোস্ট। পোস্টদাতা এবং মন্তব্যকারীদের অসংখ্য ধন্যবাদ।

০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৪২

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকেও ধন্যবাদ।

২৮| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:০৯

আলামিন১০৪ বলেছেন: লাবলু ভাই, আপনার অশেষ ধৈর্য্য, যেভাবে আপনি সময় নিয়ে নাস্তিকদের কটু কথার জবাব দিয়েছেন, আমি আশ্চর্য হয়ে গিয়েছি। আসলে এরা নাস্তিকতা তত্ত্বে বিশ্বাসী এবং এদের মধ্যে অধিকাংশই কলাবিজ্ঞানী, নিজেদের কোন academic background নাই, অন্যের কধায় বিশ্বাস করে সত্য থেকে বিচ্যুত হয়েছে।
মূলতঃ আমরা যাকে বিজ্ঞান বলি তার গোড়ায় রয়েছে, স্বতসিদ্ধ ‍কিছু সিদ্ধান্ত যা প্রমাণ করা যায় না। কোয়ান্টাম ম্যাকানিক্স পড়লে আপনি বুঝতে পারবেন যে কেউ একজন মানুষকে পর্দার আড়ালের ঘটনা দেখতে দিতে চায় না (Youngs Double Slit Experiment) । সেখাানে অদ্ভুত-অদ্ভুত সব ঘটনা ঘটে। সেখানে তারা প্রশ্নের উত্তরে বলে, ”shut up and calculate" (Copenhagen Interpretation)।
আল্লাহ কিভাবে জরায়ুতে মনুষ্য বীজ থেকে মানুষ সৃস্টি করে তা যদি আমরা Reverese Engineering এর মাধ্যমে জানতে পারতাম (যেভাবে ইরান, ইউএ্সএর ড্রোন capture করে তো ব্যবচ্ছেদ করে নিজেরা ড্রোন বানিয়েছে) তবে আমারা বাজারে
আজকে গাড়ির বীজ কিনতে পারতাম। বিভিন্ন Design এর বাড়ির বীচিও পাওয়া যেত। বাড়ি তৈরীর জন্য কোটি কোটি টাকা খরচ করতে হতোনা।
আমার মনে হয়, আপনি এসব অন্ধদের পিছনে বৃথা সময় নস্ট না করে বই প্রকাশে মনোযোগী হন। ভালো থাববেন।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.