নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস

প্রকৃত সত্যের দিকে আমাদের ছুটতে হবে..

রাশিদুল ইসলাম লাবলু

প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।

রাশিদুল ইসলাম লাবলু › বিস্তারিত পোস্টঃ

সায়েন্টিফিক তাফসীর পর্ব-২ মহাজাগতিক পরিকল্পনা।

০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৮:২১

………………………………………………………………………………
هُوَ الَّذِيْ جَعَلَ لَكُمُ الَّيْلَ لِتَسْكُنُوْا فِيْهِ وَ النَّهَارَ مُبْصِرًا اِنَّ فِيْ ذٰلِكَ لَاٰيٰتٍ لِّقَوْمٍ يَّسْمَعُوْنَ.
তিনি সে-ই সত্তা,যিনি তোমাদের জন্য রাত সৃষ্টি করেছেন,যাতে তোমরা তাতে বিশ্রাম গ্রহণ কর এবং দিনকে করেছেন আলোয় উজ্জ্বল। নিশ্চয় এতে বহু নিদর্শন রয়েছে সে লোকদের জন্যে,যারা শোনে। Ñসূরা ইউনুস (৯) : ৬৭
………………………………………………………………………………
আজকের পর্বে আমরা আলোচনা করতে বসবো দিন ও রাতি সৃষ্টি নিয়ে। আমি অনেক নাস্তিক্যবাদী বিজ্ঞানমন্সকদের দেখেছি আল কোরআনের এই আয়াত নিয়ে হাসাহাসি করতে। তাদের সহজসাধ্য উত্তর পৃথিবী ঘোরেই বলেই তো দিন রাত্রি উদয় হয়। রাত্রির আবার সৃষ্টি কিসের? তারা সৃষ্টি শব্দটা মানতে নারাজ। সরাসরি তাদের প্রশ্ন এখানে সৃষ্টি শব্দটা প্রয়োগ কেনো? তাদের সহজসাধ্য বোধগম্যতা হলো সুর্য যখন পৃথিবীর একপাশে আলোকিত করে সেই পাশে দিন হয় অপর পাশে রাত্রি হয়। এই সহজ্য সাধ্য বিষয়টিকে ধর্মগ্রন্থ কেনো জটিল করে তুলেছে? আসলে নাস্তিক্যবাদী লেখক বা এই শ্রেনির মানুষের বোধগম্যতা তাদেরকে ধর্ম বিরোধীতা করতে শেখায় কারন কখনই তারা ধর্মগ্রন্থের গভীরে যাই নাই ধর্মের প্রকৃত সত্য উদ্ঘাটনে তাদের আগ্রহের স্বল্পতা তাদের ধর্মবিরোধী মানসিকতা বোধকে আবেগ দ্বারা তাড়িত করে। কিন্তু একটি বিষয় সত্য এখন বিজ্ঞান আমাদের অনেক জ্ঞান দিয়েছে আমাদের জানার পরিধিও অনেক বেড়েছে। আর সেই জানার জ্ঞানই আমাদের বুঝতে শেখাচ্ছে যে রাত্রি স্রষ্টার একটি মহান দান মানুষের জন্য। এই রাত্রি যদি আল্লাহর উপহার না হতো তবে এই ধরাধামে মানুষের আর্বিভাবই হতো না। আল কোরআনের এই আয়াতটিতে বলা হচ্ছে যে “তিনিই সেই স্বত্তা যিনি সৃষ্টি করেছেন রাত্রি যাতে মানুষ বিশ্রাম নিতে পারে। আর দিনকে করেছে আলোক উজ্জল। নিশ্চয় এতে নিদর্শন আছে মানুষের জন্য যারা শোনে।” কিন্তু কি নিদর্শন আছে এ আয়াতের মধ্যে যারা শোনে। মানুষের বিশ্রামের জন্য রাত্রি সৃষ্টি করেছে স্রষ্টা কিন্তু কি নিদর্শন আছে সেই বিষয়টি আমি আলোচন করবো। এখন বিজ্ঞানের বদৌলতে আমরা অনেকটি এগিযে গিয়েছি আমরা স্রষ্টার সৃষ্টির জন্য তার অবদানকে স্বীকার করতে বাধ্য হচ্ছি।
প্রিয় পাঠক, ধর্মগ্রন্থের এই প্রকৃত সত্য তুলে ধরে আপনাদের সামনে স্রষ্টার একটি মহৎ পরিকল্পনার কথা প্রকাশ করার জন্য আজকের আমার এই লেখা। আসলে আমাদের কাছে দিন ও রাত্রি সৃষ্টি খুব সহজসাধ্য বিষয় বলেই পরিগনিত হয়। কারন সুয পৃথিবীর কাছে এলেই দিন হয় আর দুরে থাকলে রাত্রি হয়। কিন্তু এর গভীরে আরো অনেক বিষয় আছে যেগুলো আমাদের কাছে অজানা। আর অজানা বিষয় গুলো আমরা জ্ঞাত হলে সত্যিই আমরা অবাক হবো সৃষ্টির কি অভূতপূব পরিকল্পনা আর এই কারনেই আল কোরআন আমাদের বলে-“তোমরা তোমাদের পালনকর্তার কোন কোন অবদানকে অস্বীকার করবে?” সত্যিই কি স্রষ্টার কোন অবদানকেই অস্বীকার করা যাই? ঠিক তেমন দিন রাত্রি সৃষ্টির ক্ষেত্রেও রয়েছে স্রষ্টার পিছনের কারিগরি নিদশর্ণ। যে মহান পরিকল্পনায় স্রষ্টা এই দিন রাত্রি সৃষ্টি করেছেন সেই পরিকল্পনাটি বুঝতে পারলে আপনি অবশ্যই অবাক হবেন এবং স্রষ্টার প্রশংসায় পঞ্চমুখ নাহয়ে আপনি থাকতে পারবেন না। এই দিন রাত্রি সৃষ্টির পিছনে রয়েছে ব্যপক চিন্তাভা্বনা। শুধুমাত্র পৃথিবীর স্থান পরিবর্তনের কারনে বা ঘোরাঘুরির কারনেই যে দিন রাত্রি হয় ঠিক তা নয় এর পিছনে রয়েছে ব্যপক পরিকল্পনা। একটি সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়েই পৃথিবীতে দিন রাত্রি সৃষ্টির ব্যবস্থা করা হয়েছে। সুয পৃথিবীর কাছে এলেই দিন হয় আর দুরে থাকলে রাত্রি হয় বস্তুত সামনে থেকে এটা মনে হলেও এর পিছনে আমাদের গ্যালাক্সির অবস্থান, আমাদের সৌরজগতের অবস্থান এমনকি আমাদের এই পৃথিবীর অবস্থানও অনেক ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ন ভূমীকা পালন করছে। এখন আপনি যদি বলেন তাদের অবস্থানের সাথে আমাদের পৃথিবীর দিন রাত্রি ঘটার কি এমন কারন হতে পারে? হ্যা সেই কারনটি জানানোর জন্য আমার এই লেখা।

সমগ্র মহাবিশ্ব জুড়ে অস্ংখ্য নক্ষত্র গ্যাস, ধুলীকনা, নীহারিকা, তারকা রাজ্য, গ্রহ, গ্রহানু গ্যালাক্সি খুবই ঘন ঘন স্থানে সন্নিবেশিত ও সজ্জিত।এ সকলকিছুই যেনো একটি জাল দ্বারা আবদ্ধ।মহাকাশ গবেষণা ইদানিং দেখছে একটি মাকড়সার জালের মতো একটি জাল যা মাহাজাগতিক সমস্ত কিছুকে আবদ্ধ করে রেখেছে।কসমিক স্ট্রিং জাতীয় কোন কিছু।সমস্ত গ্যালাক্সি একটির পর একটি খুব ঘনঘন স্থানে সজ্জিত।কোন কোন স্থানে একটি গ্যালাক্সির সাথে আরেকটি গ্যালাক্সির গায়ে গায়ে লেগে থাকে।এত ক্ষুদ্র পরিসরে এত গ্যালাক্সি যার উঞ্চতা কল্পনাই করা যায় না।কোটি কোটি গ্যালাক্সি চারিদিকে।একটার পর একটা। চারিদিকে ব্যপক উঞ্চতা এবং উত্তাপ। এই উঞ্চতার কারন চারিদিকে গ্যালাক্সি ও নক্ষত্রজগৎ এর প্রাবল্য।এই সকল স্থানে কোন রাত নেই।এই সকল স্থানে যে কোন গ্রহে এত বেশি আলোকময় থাকে যে সেখানে রাত বলে কোন সময় থাকে না।উজ্জলতা আর উজ্জলতা,আলো আর আলো,দিন আর দিন।আর এই বিশাল স্পেসের মাঝে কিছু কিছু স্থান আছে যা শুন্যস্থান।সেখানে প্রায় কিছুই নেই আর থাকলেও সামান্য কিছু গ্যালাক্সি রয়েছে।বিশাল শুন্যতা।চারিদিকে অন্ধকার আর অন্ধকার।এই শুন্যস্থান এলাকাটির নাম কসমিক ভয়েড। মহাবিশ্বে এরকম অনেক ভযেড রয়েছে যে গুলো প্রায় শুন্য।ব্যাপক শুন্যতার মাঝে বিশাল দুরত্ব নিয়ে দু একটি পাচটি গ্যালাক্সি অবস্থান করছে মাত্র। চিত্রের দিকে লক্ষ্য করুন।



লক্ষ্য করুন চারিদিকে নীল আস্তরন গ্যালাক্সি আর গ্যালাক্সি আর মাঝখানে কালো শুন্য একটি স্থান।চারিদিকে গ্যালাক্সির ফিলামেন্টের ব্যাপক উজ্জল্যময়তার মাঝে ব্যপক স্থান জুড়ে রয়েছে একটি বিশাল শুণ্যস্থান।কালো মতো সেই ফাকা স্থানকে বিজ্ঞানের ভাষায় বলা হয় কসমিক ভয়েড । এই শূন্যতাগুলি মহাবিশ্বের বৃহৎ আকারের কাঠামোর অংশ, যা দেখতে অনেকটা সুইস পনিরের একটি ব্লকের মতো মনে হয়। চিত্রের দিকে হয়তো লক্ষ্য করলে আপনারা বুঝবেন অপেক্ষাকৃত ফাঁকা অঞ্চলগুলির চারপাশে গ্যালাক্সিগুলি খুবই ঘন ফিলামেন্ট দ্বারা গঠিত। এই শুন্যস্থানটি চাপ দিয়ে ধরে রেখেছে পাশ্ববর্তী ধুলিমেঘ এবং গ্যালাক্সির সমাহারকে।

প্রিয় পাঠক, হয়তো জেনে অবাক হবেন ২০১৩ সালে নেওয়া পর্যবেক্ষণের উপর ভিত্তি করে একটি গবেষণায় নিশ্চিত করা হয় যে আমাদের এই গ্যালাক্সি মিল্কিওয়ে গ্যালাক্সি একটি মহাজাগতিক শূন্যতা বা কসমিক ভয়েড এর অভ্যন্তরে অবস্থিত ৷ অর্থাৎ আমরা একটি বিশাল শুন্যতার মাঝে অবস্থান করছি।আমাদের এই গ্যালাক্সি তার সৌরজগৎ এবং পৃথিবীকে নিয়ে কেবিসি নামক একটি কসমিক ভয়েড এর অভ্যন্তরে অবস্থিত।এই স্থানীয় শূন্যস্থানটি "উইসপি ফিলামেন্টস" নামক ব্রিজ দ্বারা পৃথকীকৃত তিনটি সেক্টরের সমন্বয়ে গঠিত যা ১৯৮৭ সালে ব্রেন্ট টুলি এবং রিক ফিশার আবিষ্কার করেছিলেন। শূন্যতার নির্দিষ্ট পরিমাণটি অজানা হলেও এর ব্যাপ্তি কমপক্ষে ৪৫ এমপিসি বা ১৫০ মিলিয়ন আলোক-বছর জুড়ে এবং সম্ভবত ১৫০ থেকে ৩০০ এমপিসি। কসমিক ভয়েড এর মাঝে যে সকল গ্যালাক্সি থাকে তাদের পরিমান বা ঘনত্ব অত্যন্ত কম হয়ে থাকে। মহাবিশ্বের সবচেয়ে বড় ভয়েড বুটিস ভয়েড যা পৃথিবী থেকে হতে ৭০ কোটি আলোকবর্স দুরে অবস্থিত এতে মোট ৬০ টি গ্যালাক্সি খুজে পাওয়া যায়। এখানে গড়ে ১ কোটি আলোকবর্ষের ভিতরে মাত্র একটি গ্যালাক্সি পাওয়া যায যা স্বাভাবিক হতে অনেক কম। যেমন আমাদের পাশ্ববর্তী এন্ড্রোমিডা গ্যালাক্সি আমাদের মিল্কিওয়ে থেকে প্রায় ২৫ লক্ষ আলোকবর্স দুরে অবস্থিত।

প্রিয় পাঠক, একটি মুহুত্বের জন্য নিজেকে প্রশ্ন করুনতো-কেনো আমাদের গ্যালাক্সিটা ভয়েড বা শুন্যস্থানের মধ্যে সৃষ্টি হলো? এর মাঝে রয়েছে গুরুত্বপূর্ন উত্তর। কারন এই ভয়েডের মাঝে আমাদের পৃথিবীর অবস্থানের সাথে নির্ভর করছে প্রানি প্রজাতির সৃষ্টির কারন এবং দিবা রাত্রি সৃষ্টির রহস্য।যদি আমাদের এই গ্যালাক্সিটা কসমিক ভয়েড বা শুন্যস্তানে সৃষ্টি না হয়ে যদি ফিলামেন্ট দ্বারা গঠিত ব্যাপক উষ্চতাময় বা অত্যাধিক তাপমাত্রাময় অবস্থানে সৃষ্টি হতো তবে কি আমরা চারিদিককার ব্যপক উষ্ণতার ও আলোকিত পরিবেশের কারনে এই পৃথিবীতে কোথাও রাত্রি নামের কোসময়কাল পেতাম? না পাওয়া সম্ভব হতো না। কারন ফিলামেন্ট এরিয়ায় চারিদিকে কোটি কোটি সুর্যসম নক্ষত্রের আলোতে চারিদিকে সবসময় আলোকিত থাকতো তাই আমাদের এই সুর্যের অনুপস্থিতি সত্ত্বেও আমাদের এই পৃথিবীতে রাত্রি সৃষ্টি হতো না।লক্ষ কোটি নক্ষত্রের আলোর কারনে। সবসময় থাকতো চকচকে আলোকিত। আপনি যদি এই পৃথিবীতে রাত্রির প্রয়োজনীয়তা অনুভব করেন তাহলে নিসন্দেহে আপনি স্বিকার করবেন অবশ্যাই এই গ্যালাক্সিকে কসমিক ভয়েডের মাঝে অবস্থিত হওয়ার দরকার ছিলো!! নইলে আশে পাশের অসংখ্য নক্ষত্র থাকার কারনে এবং তাদের ব্যাপক উজ্জলতার কারনে এই পৃথিবি সবসময় সবদিক দিয়ে আলোকিত থাকতো ফলে রাত্রি বলে কিছুই থাকতো না।মানুষ না পেতো রাত্রির প্রশান্তি বা বিশ্রাম নেওয়ার সময়। সুতরাং নিসন্দেহে এটা প্রমানিত পরিকল্পনাহেতু পৃথিবীর অবস্থান নির্ধারন করা হয়েছে।সুতরাং উপরোক্ত আয়াতে রাত্রীকে সৃষ্টি করার যে প্রসঙ্গ তুলে ধরা হয়েছে তা যুক্তিসঙ্গত। শুধু রাত্রি সৃষ্টি হতো না তা নয় বরং আমাদের এই প্রাণীজগৎ এই পৃথিবীতে আর্বিভূত হতো না। লক্ষ্য করুন কসমিক ভয়েডে এই বিশাল পরিমান স্পেস জুড়ে শুন্যাস্থান থাকার কারনে একটি গ্যালাক্সি থেকে আরেকটি গ্যালাক্সির যে বিশাল দুরত্ব তাতে একটি গ্যালাক্সি তার পাশ্ববর্তী কোন গ্যালাক্সির উষ্চতা বা তাপ শক্তি গ্রহন করতে পারে না ফলে পৃথিবীটা একটি মাত্র নক্ষত্র সুর্যের উপর ডিপেন্ড করে ছিলো। তাই গ্যালাক্সিটি নিজস্ব তাপমাত্রা নিয়েই টিকে থাকে। কসমিক ভয়েড এলাকায় যথাযথ পরিমানযোগ্য রেডিয়েশন থাকায় এবং একেকটি গ্যালাক্সির মাঝে এত বিশাল দুরত্ব বলেই আমাদের গ্যালাক্সি তার নির্ধারিত সৌরজগতে এমন ফুলে ফলে সুন্দর বাসযোগ্য পৃথিবীকে উপহার দিতে পেরেছিলো। নইলে অত্যাধিক তাপ বাসযোগ্য পৃথিবী গড়ার ক্ষেত্রে অন্তরায় হয়ে উঠতো। আপনারা হয়তো জানেন অত্যাধিক রেডিয়েশন প্রাণ টিকে থাকার পক্ষে যথেষ্ট নয়। আমাদের পৃথিবীতে যদি ওজন স্তর পর্যাপ্ত না থাকতো তবে সুর্য নামের একটি গ্রহের আল্ট্রাভয়োলেট রে, গামা রে এর সাথে পাশাপাশি গ্যালাক্সির অসংখ্য নক্ষত্রের অত্যাধিক তাপীয় অবস্থা ওজন স্তুরকে ক্ষতিগ্রস্থ করতো ফলে প্রাণ উৎপাদন ব্যহত হতো। তার মানে কসমিক ভয়েড এলাকার গ্যালাক্সির ভিতরের দুরত্বই যথাযথ ও সুক্ষপরিকল্পিত তাপমাত্রা সৃষ্টি করেছে ফলে প্রাণি জগৎ আত্মপ্রকাশ করেছে।যদি আমাদের গ্যালাক্সিটা ভয়েড এর মধ্যে অবস্থিত না হয়ে গ্যালাক্টিক ফিলামন্টের মাঝে অবস্থিত হতো তাহলে কখনই পৃথিবীতে প্রাণ আত্মপ্রকাশ করতে পারতো না।কখনই এই পৃথিবীতে রাতের আকাশ দেখা দিতো না এইং রাতের আকাশ দেখার জন্য দর্শক মানুষও কখনও এই পৃথিবীতে অস্তিত্বশীল হতো না।



প্রিয় পাঠক, এই পৃথিবীকে সুযের্র চারদিকে ঘুরিয়ে দি্লেই তো রাত্রি হতো না এই রাত্রি সৃষ্টি করার জন্য স্রষ্টাকে অনেক পদ্ধতি প্রয়োগ করতে হয়েছে।যার মাঝে কসমিক ভয়েডে গ্যালাক্সির অবস্থান ছিলো একটি অন্যতম সিদ্ধান্ত। তাছাড়া আরো একটি সিদ্ধান্ত ছিলো যেটি রাত্রি সৃষ্টির অন্যতম কারন। সেটি হলো আমাদের সৌরজগতের অবস্থান।আমাদের সৌরজগৎও একটি রহস্যময় অবস্থানে অবস্থান করছে। আমাদের এই গ্যালাক্সির ঠিক মধ্যবর্তী কেন্দ্র থেকে দুই বাহুর মাঝে সমান্তরাল স্থান থেকে যথেষ্ট উচু ও যথেষ্ট দুরবর্তী স্থানে আমাদের সৌরজগৎ অবস্থিত। গ্যালাক্সির প্রায় বাইরের এলাকাতে স্বল্প তাপমাত্রায় এলাকায় সৌরজগৎ অবস্থিত । গ্যালাক্সি জুড়ে চালিদিকে নক্ষত্র আর নক্ষত্র একটির গায়ে আরেকটি নক্ষত্র সজ্জিত। উজ্জলতা ও তাপমাত্রা এতটাই ব্যাপক যা ভাবাই যাই না। আমাদের সৌরজগৎটি যদি তীব্র রেডিয়েশনময় এলাকায় অবস্তিত হতো তাহলে প্রচন্ড উজ্জলতার কারনে দিবা রাত্রি সৃষ্টি তো হতো না কোনভাবেই আমাদের এই পৃথিবীতে প্রান উৎপাদন করা সম্ভব হতো না। লাখ লাখ কোটি কোটি নক্ষত্র আলোকিত থাকায় চারিদিকে অত্যাধিক আলোর প্রজ্জল্য থাকায় একটি সুর্যের কার্যকারিতা হারিয়ে গিয়ে লক্ষ কোটি সুর্যের উপস্থিতিতে পৃথিবীতে রাত্রীর উপস্থিতি হারিয়ে যেতো। রাত্রি বলে কিছুই থাকতো না । এবং ঠিক এই স্থানে সৌরজগৎ আছে বলেই লক্ষ কোটি সুর্যের পরিবর্তে একটি সুর্যের আলো দ্বারা আমাদের পৃথিবীতে দিবা রাত্রির পরিক্রমা চলছে। সুর্য থেকে অন্যান্য নক্ষত্রসমূহ যথেষ্ট দুরে অবস্থিত। সুর্য থেকে যে নক্ষত্রটি সবচেয়ে কাছে সেই নক্ষত্রটির নাম প্রক্সিমা সেন্টরাই। স্কটিশ জোতিবিদ রবার্ট আইনেস কম ভরের এই লাল বামন তারা আবিস্কার করেন যার সুর্য থেকে দুরত্ব প্রায় 4.23 আলোকবর্ষ । আধুনিক বিজ্ঞানের ধারনা আমাদের সৌরজগতের পার্শ্ববতী কোথাও যদি কোন নক্ষত্র অবস্থান করতো তাহলে পৃথিবী প্রতি মূহুত্ব সুর্য থেকে যে পরিমান আলোক কনা বা ফোটন কনা গ্রহন করতো পার্শ্ববতী স্থানে আরেকটি নক্ষত্র অবস্থান করার কারনে ফোটন কনার পরিমান দ্বিগুন হতো ফলে পৃথিবী অত্যাধিক তাপ ও চাপের কারনে রাতের শীতলতা দিনের উঞ্চতাকে সমতার ভিত্তিতে শোষন করতে পারতো না, তাই দিন দিন পৃথিবীর উঞ্চতা বৃদ্ধি পেতো ফলে কখনই পৃথিবীতে প্রাণ উৎপাদনের পরিবেশ সৃষ্টি হতো না। যথেষ্ট দুরবর্তী স্থানে অন্য নক্ষত্র অবস্থান করায় পৃথিবী অন্য কোন নক্ষত্রের রেডিয়েশন বা পর্যাপ্ত আলোক কনা শোষিত করতে পারে না। ফলে শিতলতা উঞ্চতার এক সুক্ষ সন্মময় পৃথিবীকে প্রাণ উৎপাদনের চারনভূমীতে পরিনত করতে পেরেছে।

দিবা রাত্রির এই সিস্টেম আমাদের পৃথিবীকে প্রানের চারনভূমী হিসেবে পরিগনিত করেছে।আজ এই রাত্রি সৃষ্টির কারনে আমরা এই দুনিয়ার রঙ্গমঞ্চে এসেছি। আধুনিক বিজ্ঞানের মতে আমাদের সৌরজগতের অবস্থান এতটাই পারফেক্ট যে ঠিক এই অবস্থানে আছে বলেই পর্যাপ্ত তাপমাত্রা ও পর্যাপ্ত উজ্জলতা পৃথিবীকে হেবিটেবল জোন সৃষ্টিতে সহায়ক ভূমীকা পালন করেছে।
প্রিয় পাঠক, আমি আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেনো সৃষ্টি এমন হলো? নাও তো হতে পারত? সৌরজগতের অবস্থান কি করে গানিতিক রুল মেনে স্বল্প তাপীয় অবস্থানে অবস্থিত হয়? একটিমাত্র সুর্য দ্বারা রাত্রি দিন সৃষ্টি করে সৌন্দর্যময় আকাশ দেখার জন্য আমাদের মতো মানুষদের কেনো মহাজাগতিক দর্শক বানানো হয়েছে? আর আমাদের গ্যালাক্সিটাই বা কেনো তাপহীন একটি বিশাল ভয়েডের মাঝে অবস্থিত হলো? আমাদের গ্যালাক্সির সৌরজগতকে কেনো দুরবর্তী স্থানে সংস্থাপন করা হলো? এগুলো কি কোন মিরাকল নয়? এসকল রহস্যময় অবস্থানের মাঝে সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট! কে যেনো গানিতিক নিয়ম সহ একটি রুল দিয়ে একটি মহাজাগতিক পান্ডুলিপিতে পূনাঙ্গ ভাবে পরিস্ফুটিত করে রেখেছে! একজন পরিকল্পনাকারীর অস্তিত্বকে আমরা এড়িয়ে গেলেই কি এড়িয়ে যাওয়া সম্ভব? এই সুজলা সুফলা পৃথিবীকে গড়ার জন্য এতটা হিসেব করে সৃষ্টির নান্দনিকতা শুরু করতে হয়েছে। সমগ্র মহাবিশ্বটাকে সৃষ্টি করা হয়েছে সুপরিকল্পিত, নিয়মতান্ত্রিক ও নিয়ন্ত্রিত প্রক্রিয়ার মাধ্যমে। এই জন্য বিশিষ্ট বিজ্ঞানী পল ডেভিস বলছেন: “এমন ধারণা মনে স্থান দেয়া থেকে নিজেকে বিরত রাখা খুবই কঠিন যে, বিশ্বজগতের বিদ্যমান কাঠামো যা কিনা ক্ষুদ্র থেকে ক্ষুদ্রতম পরিবর্তনের ব্যাপারের স্পর্শকাতর যত্নের সঙ্গে চিন্তা-ভাবনা করেই অস্তিত্বে আনা হয়েছে।”-(Paul Davies, God and the New Physics, New York: Simon & Schuster, 1983, p.189)

মন্তব্য ১৬ টি রেটিং +৪/-০

মন্তব্য (১৬) মন্তব্য লিখুন

১| ০৩ রা জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ১০:০৯

এক চালা টিনের ঘর বলেছেন: Good post. Thanx.

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভালো থাকুন।

২| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ৯:৫৪

বিজন রয় বলেছেন: দারুন লেখা।

আপনি নিজে কিছু লিখবেন?

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৬

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: নিজে তো কিছু জানিনা।

৩| ০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১০:৪৪

রাজীব নুর বলেছেন: ধর্ম ছাড়া বেচে থাকা যায়। বিজ্ঞান ছাড়া বেচে থাকা সম্ভব নয়।

০৪ ঠা জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৭

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আমি তো আল্লাহ ছাড়া বেচে থাকতে পারি না। আপনি হয়তো পারেন।

৪| ০৬ ই জানুয়ারি, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ডঃ এম এ আলী বলেছেন:



মুল্যবান লেখাটির জন্য ধন্যবাদ ।
প্রিয়তে নিয়ে গেলাম । হাতে সময়
নিয়ে ফিরে আসার বাসনা রেখে
গেলাম ।

ইংরেজী নববর্ষের শুভেচ্ছা রইল

০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ১:৪৮

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ ভাই, ভালো লাগলো। আপনার ফিরে আসার অপেক্ষায়,,,,,,,

৫| ০৮ ই জানুয়ারি, ২০২৪ দুপুর ২:৩১

নতুন বলেছেন: প্রিয় পাঠক, আমি আপনাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি কেনো সৃষ্টি এমন হলো? নাও তো হতে পারত? সৌরজগতের অবস্থান কি করে গানিতিক রুল মেনে স্বল্প তাপীয় অবস্থানে অবস্থিত হয়? একটিমাত্র সুর্য দ্বারা রাত্রি দিন সৃষ্টি করে সৌন্দর্যময় আকাশ দেখার জন্য আমাদের মতো মানুষদের কেনো মহাজাগতিক দর্শক বানানো হয়েছে? আর আমাদের গ্যালাক্সিটাই বা কেনো তাপহীন একটি বিশাল ভয়েডের মাঝে অবস্থিত হলো? আমাদের গ্যালাক্সির সৌরজগতকে কেনো দুরবর্তী স্থানে সংস্থাপন করা হলো? এগুলো কি কোন মিরাকল নয়? এসকল রহস্যময় অবস্থানের মাঝে সুগভীর পরিকল্পনার ছাপ স্পষ্ট!

আপনি বিষয়টা উল্টা করে দেখছেন বলেই এমনটা লাগছে।

মহাবিশ্বে বিলিওন নক্ষত্র আছে তাদের পাশে গ্রহ ঘুরছে... তাদের মধ্যে ১টা বাদে বাকীগুলিতে প্রান নাই। এটা পরিকল্পনা না বরং ১ বিলিওন ভাগের ১ ভাগ সম্ভবনা।

নিচের ছবিতে দেখুন আমি জীবনে প্রথম বারের মতন এই ডার্ট ছুড়ে মেরেছিলাম এবং আমার ডার্ট পূর্ব মাঝে লাগানো ডার্টের পেছনে লেগেছিলো।


এটা আমি মেরেছিলাম জিবনে প্রথম বারে।

আমি জানি এখন যদি হাজার বার চেস্টা করি এই জিনিস হবার সম্ভবনা খুবই কম।

এখন যদি আপনি বলেন যে আমার ডার্ট যেহেতু ছবিতে প্রমানিত যে ১০০% র্নভুল ভাবে লক্ষ্য ভেদ করেছে তাই আমি দুনিয়ার সেরা তবে কেমন হয়?

বিলিওন গ্রহের কম্পবিনেসন এবং ট্রায়াল এন্ড এরর এর মাঝে পৃথিবিতে জীবন এসেছে.... প্রতিদিনই প্রকৃতিতে কারেকসনের মাঝ দিয়ে বিবর্তিত হচ্ছে।

সৃস্টিকর্তা হলে তাকে ট্রায়াল এন্ড এরর এর মাঝে যেতে হতো না। কুন বললেই হয়ে যেতো।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৪:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: মহাবিশ্বে বিলিওন নক্ষত্র আছে তাদের পাশে গ্রহ ঘুরছে... তাদের মধ্যে ১টা বাদে বাকীগুলিতে প্রান নাই। এটা পরিকল্পনা না বরং ১ বিলিওন ভাগের ১ ভাগ সম্ভবনা।
নতুন ভাই আমি পূবেই বলেছি আপনি যে সব যুক্তি খাটান সেগুলোকে যুক্তি বলে না। আপনাকে বোঝানো যাই না। প্রকৃতি এমনই। সৃষ্টির এই চক্র বিভিন্ন ক্ষেত্রে একই রকমভাবেই ঘুরে ফিরে আসছে। এখানে কি আমরা প্রশ্ন করতে পারি এত অপচয় কেনো? পারি না আসলে এটা অপচয় নয় এটা সিষ্টেম। সৃষ্টির ধরনটাই এমনটি করা হয়েছে। এবার আরেকটি দৃষ্টান্ত আপনাকে তুলে ধরি। মানবদেহে নন কোডিং ডিএনএ ? মানব দেহে যে অংশ প্রোটিন তৈরী করে সেই অংশকে কোডিং ডিএনএ বলা হয়। এবং মানব দেহের যে ডিএনএ গুলো কোডিং তৈরী করে না তাদেরকে নন কোডিং ডিএনএ বলা হয়। যা মানব জিনোমের 99% অংশ হিসাবে থাকে। উল্লেখযোগ্যভাবে, এটি প্রোটিন-কোডিং জিনগুলির জন্য এনকোড করে না। এর মাধ্যমে এটি প্রোটিন সংশ্লেষণের জন্য নির্দেশনা সরবরাহ করে না। যে গুলো ফালতু যার কোন কাজ নেই আর কোডিং ডিএনএ যার কাজ আছে অথাৎ প্রোটিন তৈরী করে। তাহলে তো আমি প্রশ্ন করতেই পারি এসকল ফালতু অপ্রয়োজনী বিষয় দিয়ে স্রষ্টা কেনো মানবদেহ বানিয়েছেন? স্রষ্টা কেনো এত অপচয় করছেন? কিন্তু আসলে কি এটি অপচয়? নাকি এর মধ্যে রয়েছে অনর্তনিহিত। লক্ষ্য করুন আল কোরানে অসংখ্য আয়াতে বারে বার বোঝানো হয়েছে তিনি অযথা এসব সৃষ্টি করে নাই । ”আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যস্থিত কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি, যদিও কাফিরদের ধারণা তাই। সুতরাং কাফিরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।” (৩৮:২৭, কোরআন)

“একসময় ভাবা হত মানব জেনোমের ৯৮% কোন কাজের না, মানে ফালতু মাল (junk DNA or junk element)। এই ৯৮ সংখ্যা টা এসেছে ডিএনএ’র যেই অংশ প্রোটিন তৈরি করতে পারেনা তার পরিমান থেকে। অংশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারন প্রোটিন তৈরি না হলে কিছুই করতে পারতোনা কোন জীব, এমনকি একটি কোষও গঠন হতো না। তাহলে মানুষের এই ৯৮% নন-কোডিং ডিএনএ’র কি কোন কাজ নাই? সম্প্রতি দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ গুলো অনেকাংশই অনেকগুলি প্রাণীতে সংরক্ষিত। মানে, যদি একটা পান্ডা’র ডিএনএ’র সাথে আমাদের ডিএনএ পাশাপাশি রাখতে পারি তবে দেখতে পাবো যে, দুইজন এরই নন-কোডিং ডিএনএ-গুলোর যায়গাগুলোতে সিকোয়েন্সে মিল আছে। এই সংরক্ষণে মিল থাকার গুরুত্বটা কি? যেমন, ভ্রূণ থেকে আমাদের হাতের আঙুল তৈরির সময় একটা রেগুলেটরি জিন গুচ্ছ কাজ করে, যার নাম হক্স ডি (HoxD)। এই হক্স ডি জিনগুলির এক্সপ্রেশান নির্ভর করে নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সের উপর। দেখা গেছে এই নন-কোডিং ডিএনএ সিকোয়েন্সগুলির কয়েকটির মিল সরীসৃপের সিয়োন্সের সঙ্গেও আছে (স্তন্যপায়ীর কথা বাদই দিলাম)। এই এলাকার নন-কোডিং ডিএনএ’র কোন সমস্যা বিকৃত আঙুল তৈরি করবে।” সুতরাং জাংখ ডিএনএর গাঠনিক সিকোয়েন্স অকৃতি প্রকৃতি বিভিন্ন কর্মকান্ডে প্রয়োজনীয়। সে কোডিং ডিএনএকে প্রভাবিত করে। আরো উদাহরন তুলে ধরতে পারি যেমন পুরুষের শুক্রানু। পুরুষের ক্ষেত্রে কোটি কোটি শুক্রানু নির্গত হয় অথচ একটি মাত্র শুক্রানু ডিম্বানুর সাথে সংস্পর্ষ পায়। পুং জনন কোষ থেকে অসংখ্য শুক্রানু বের হয়। কিন্তু তার মধ্যে একটি মাত্র শুক্রানু সন্তান উৎপাদন কাজে ব্যবহত হয়। তাহলে সেটা ভূল হবে। কারন শুক্রানু সৃষ্টি হয়েছে সন্তান উৎপাদন হবার জন্য 99% অথবা কোটিতে ১% হোক।
ভাই আপনি বোঝাতে চাইছেন এত গ্রহ উপগ্রহ এদের কোন কর্ম নেই এক স্থানে অথাৎ শুধু পৃথিবীতে প্রাণ আছে আর কারো কাজ নেই। এগুলো আমাদের ভূল ধারনা আমার এক সময়ের জাংক ডিএনএ এর মাতো কোন কাজ নেই হাসি ঠাট্টা করছি। আসলে এগলো আমাদের অজ্ঞতার পরিচয়। আমাদের জ্ঞান এখনও অতদুর পৌছে নাই। ভাই অন্যান্য গ্রহ উপগ্রহ এগুলোর ও প্রয়োজন আছে বিশেষ করে এদের গতি প্রকৃতির উপর ডিপেন্ড করে পৃথিবীর ঘটমান কাল। হয়তো আমাদের বিজ্ঞান এ সম্পর্কে
এখনো তেমন কোন তথ্য পাই নাই।

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১১

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনি কেনো লটারী ফটারী তেুলে আনেন ভাই? এত ঘটনা আপনা আপনি ঘটতে পারে নাই। প্রকৃতি লটারীর মাধ্যমে টিকেতে পারে না। এই প্রকৃতিকে নির্মানে অনেক সিদ্ধান্ত নেওয়ার দরকার ছিলো। একটি দুইটি হয়ে লটারী মেনে নেওয়া যায় শত শত হাজার হাজার হলে আপনা আপনি বলা যায়। একজন বিজ্ঞানীর উদাহরন আপনার চিন্ত্তার সাথে খাটে। তিনি বলেছিলেন একটি ভাংড়ী পট্টি সকল লোহা লক্কড় একটি আকস্মিক ঝড়ে এক হয়ে বোয়িং বিমান হয়ে গেলো এবং আকাশে উড়া শুরু করালো। মানে আপনাদের হাস্যকর যুক্তির জন্য কি আর উত্তর খাড়া করবো। এত কিছু আপনাআপনি লটারী ফটারীতে ঘটে না। এই প্রকৃতিতে এতটা আকস্মিক হয় না। এই প্রকৃতি সৃষ্টির জন্য যে গতিতে বিস্ফোরন হয়েছিলো বিজ্ঞানীরা বলছে এই গতি পারফেক্ট ছিলো এর কম বা বেশি গতি হলো এই মহাবিশ্ব সৃষ্টি হতো না। সমগ্র মহাবিশ্ব একটি মানব মস্তিস্কের মতো ইলেকট্রিসিটি প্রবাহিত হুবহু কপিরাইট। এতে ইদানিং বিজ্ঞান ধারনা করছে প্রকৃতিটি কনসাসনেস সম্রদ্ধ। অথাৎ্র এই প্রকৃতির চেতনা আছে সচেতনতা আছে। একবার ভাবেন এই গ্যালাক্সি কসমিক ভয়েডে অবস্থান না করলে প্রকৃতিতে প্রাণ উৎপাদন ঘটতো না। সৌরজগতের অবস্থান ঠিক এই জায়গায় অবস্থান না করলে প্রকৃতিতে প্রাণ উৎপাদন সম্ভব হতো না। একটি বিষয় পৃথিবী সুর্য থেকে যে দুরত্বে অবস্থান করছে আধাুনক বিজ্ঞান বলছে ঠিক এই দুরত্বে অবস্থঅন না করলে পিৃথিবীতে পানি উৎপাদন বা পানি তরল অবস্থায় থাকতো না অতএব পানি না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণ উৎপাদন হতো না। অতএব পৃথিবীর হেবিটেবল জোনে অবস্থান নেওয়াটাও পরিকল্পিত। এবার পৃথিবীর মাধ্যকর্ষন শক্তি ঠিক এই পরিমান না থাকলে পৃথিবীতে প্রাণ উৎপাদন হতো না। এবার আসুন ওয়াটার সার্কেল অথাৎ মেঘ হয়ে পানি আকাশে উড়ে যাওয়া এবং ডিষ্ট্রিল হয়ে ভুপৃষ্টে পানি দিয়ে ভুপৃষ্টে উজ্জীবিত করার মাতো পরিকল্পনা স্রষ্টার দ্বারাই সম্ভব। এই ওয়াটার সার্কেল বিষয়টি পৃথিবীতে ভূপ্রষ্টে প্রাণ উৎপাদনের পরিবেশ এনেছে। আরো অসংখ্য অবদান প্রমান আমরা অস্বীকার করতে পারি না।
ভাই, স্রষ্টার এত অসংখ্য অবদান কে মানুষেরা অস্বীকার করে বলেই সুরা আর রহমান বলে তোমরা অস্বীকার করবে আর কত নিয়ামত কে? ভাই আল্লার এত এত নিয়ামত বা অবদানকে আপনারা অস্বীকার করবেন করেন কিন্তু আমরা আল্লার এত এত এত অবদানকে পরিকল্পনা করে সুন্দর পৃথিবী সৃষ্টির কৃতিত্ব অস্বীকার করবো না। আমরা বলি হ্যা আল্লা আমরা তোমার সকল অবদানকে স্বীকার করি। তুমি আমাদের মালিক মহান স্রষ্টাা।

৬| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৪০

আলামিন১০৪ বলেছেন: Brother, is it your own writings?

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৩

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: হ্যা ভাই ব্যস্ততার জন্য আপনার প্রশ্নের উত্তর দিতে পারি নাই। হ্যা এগুলো সব আমার লেখা। আমার পেজে যান এবং পড়েন আমার লেখা সমূহ। ধন্যবাদ। ভালো থাকুন।

৭| ১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ ভোর ৪:৫৩

আলামিন১০৪ বলেছেন: @ Notun, আপনি Statistics এর ছাত্র হলে "দৈব চয়ন” (random) শব্দ সম্পর্কে জেনে খাকবেন। অতীতে Lottery ’র মাধ্যমে অনেক সময় স্রস্টার সিদ্ধান্ত জানার চেষ্টা করা হতো: ইউনুস (আঃ) কে জাহাজ খেকে ফেলে দেওয়ার ঘটনা। বিন্তু স্রস্টার কোন সৃস্টির জন্য Trial দেওয়ার দরকার হয় না । আমাদের পৃধীবি তিনি এক উদ্দেশ্যে সৃস্টি করেছেন আর অন্য সব গ্রহ নক্ষ্ ত্র সৃস্টির
নিশ্চই অন্য কোন উদ্দেশ্য আছে, আপনার অতি ক্ষুদ্র নাস্তিকতায় বিশ্বাসী ভ্রস্ট মস্তিষ্কের প্রক্ষে সেটা জানা দূরহ বৈ কি।

”আমি আকাশ ও পৃথিবী এবং এতদুভয়ের মধ্যস্থিত কোন কিছুই অনর্থক সৃষ্টি করিনি, যদিও কাফিরদের ধারণা তাই। সুতরাং কাফিরদের জন্য রয়েছে জাহান্নামের দুর্ভোগ।” (৩৮:২৭, কোরআন)

১৩ ই জানুয়ারি, ২০২৪ বিকাল ৫:১৫

রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ধন্যবাদ আলামিন ভাই, আমার অনুপস্থিতি তে আপনি নতুন এর কমেন্ট এর এ্যানসার দিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো। ভালো থাকুন। আল্লাহ ভরসা।

৮| ১৪ ই জানুয়ারি, ২০২৪ সকাল ১১:৩৪

নতুন বলেছেন: আলামিন ভাই। আমিও আপনার সাথে একমত। যদি সৃস্টিকর্তা কোন কিছু করে তবে সেটা trial and error এর মধ্য দিয়ে যাবার দরকার নাই। সেটা হবে কুন ফাইয়া কুন এর তরিকায়।

১টা স্পার্মে কাজ হলে মিলিওন মিলিওন স্পার্ম দরকার হতো না।

সৃস্টিকর্তা পেছনে থাকলে intelligent design দেখা যেতো trial and error.

দুনিয়াতে যত মানব শিশুর জন্ম হয় সেই সময়েই ৩০% শিশু দুনিয়ার মুখ দেখেনা। প্রতিবছর সেই সংখ্যাটা চিন্তা করলেই বোঝা যায় আমরা যতটা intelligent design চিন্তা করি, বাস্থবতা সেই রকমের না।

দুনিয়াতে প্রতিটা জিনিসই trial and error প্রসেসেই এতো দুর এসেছে এখনো হচ্ছে...।

বিশ্বাস করাটা সহজ, মেনে নিলেই হলো।

যাই হউক, বিশ্বাসীরা বিশ্বাস করুন, সবাই অজ্ঞতার চাদর ছিড়ে বাইরে বেরুতে পারেনা... ধর্মের এই বিশ্বাসের চাদর খুবই বড় এবং শক্ত।

আপনার মন্তব্য লিখুনঃ

মন্তব্য করতে লগ ইন করুন

আলোচিত ব্লগ


full version

©somewhere in net ltd.