| নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
রাশিদুল ইসলাম লাবলু
প্রকৃত সত্যকে উপলদ্ধি করতে হবে খোলা মন নিয়ে।
কিছুদিন যাবৎ রাজপথ গরম। মিছিল মিটিং বিচার চাই ইত্যাদি।বাউল আবুল সরকারের বিচার চাই?বিচার চাওয়ার কারন পালাগানের আসরে ধর্মীয় কটূক্তি করেছেন—এমন অভিযোগ তুলে করা মামলায় বাউল আবুল সরকারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ঘিওর থানায় বাউল আবুল সরকারের বিরুদ্ধে একটি মামলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার ভোরে মাদারীপুর জেলায় একটি গানের অনুষ্ঠানস্থল থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বাউল আবুল সরকারের বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লি ইউনিয়নে। তিনি আল্লাকে নিয়ে উপহাস বিদ্রুপাত্বক ভঙ্গিতে প্রশ্ন করেছেন। "আল্লাহর কথার কোন গোয়া মাথা পাই না। এহক সময় একেক কথা কয়। আল্লাহ একবার কয় -প্রথম সৃষ্টি করছে নূর, আরেকবার কয় আরশ, আরেকবার কয় রুহ, আরেকবার কয় ইশক। এইডা কেমুন কথা, একমুখে চাইর কথা। আল্লাহর ওইডা মুখ না গোয়া। আমার জানবার মুন চায়। (নাউজুবিল্লাহ) " মানিকগঞ্জে একটা বড় রাজনৈতিক দল কতৃক আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন বাউল আবুল সরকার। সেখানে তিনি আল্লাহকে নিয়ে অত্যন্ত কুরুচিপূর্ণ ও বিদ্রুপাত্বক এই জাতীয় মন্তব্য করেন।
তার আলোচনায় জানা যায় আল্লা কেনো প্রথম সৃস্টি বলতে ৪ টি বিষয়কেই তুলে ধরেছেন কিন্ত কি করে এ্কই সাথে ৪টি বিষয় কি করে প্রথম সৃষ্টি হতে পারে? তিনি সেখানে আল্লাহর প্রথম সৃষ্টি কী, সে বিষয়ে আলোচনা করতে গিয়ে অশুদ্ধ ভাষায় কয়েকটি আরবি বাক্য পাঠ করেছেন। যে আরবি বাক্যগুলো আল্লাহর কথা বলে চালিয়ে দিয়েছেন, তা আদৌ কোরআনে তো নেই-ই; বরং সহিহ হাদিসের গ্রন্থগুলোতেও সেগুলোর অস্তিত্ব পাওয়া যায় না। সুতরাং সেগুলো আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের কথা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। জাল জালিয়াতির উপর ভিত্তি করেই তিনি আল্লার উপর এহেন ন্যাক্কারজনক দোষারোপ করেছেন। বিস্তারিত ব্যাখ্যায় তিনি বলেন, ‘আওয়ালু মা খালাকাল্লাহুল ইশক” এই বাক্যটি কোরানেতো নেই এমনকি কোন প্রামাণ্য হাদিসের গ্রন্থ যেমন বুখারি, মুসলিম, আবু দাউদ, তিরমিজি, নাসায়ী, ইবনে মাজাহ, মুসনাদে আহমাদ, তাবরানী, বায়হাকী প্রভৃতি গ্রন্থে এই বাক্যটির একটি শব্দও পাওয়া যায় না। ‘আওয়ালু মা খালাকাল্লাহুর আরশ” অথাৎ প্রথম যে জিনিস আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তা হলো আরশ। আমার জানা মতে কোরানে এই বিষয়টির উল্লেখ নেই তবে 'মিরকাত শরহে মিশকাত' এর ১ম খন্ডের ২৯১ নং পৃষ্ঠায় এই হাদীসে উল্লেখ রয়েছে "আল্লাহপাক সর্বপ্রথম আরশ সৃষ্টি করেছেন"। এই হাদীসটির গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে ইসলামিক স্কলারদের ভিতরে ঋনাত্বক মনোভাব পাওয়া যায়। । ও ‘আওয়ালু মা খালাকাল্লাহু মিন নুরি” অথাৎ প্রথম যে জিনিস আল্লাহ সৃষ্টি করেছেন তা আল্লার নূর। ‘মুতালিউল মেরাত শরহে দালায়েলুল খাইরাত' কিতাবে রয়েছে "আল্লাহ তায়ালা সর্বপ্রথম আমার নূর সৃষ্টি করেছেন আর আমার নূর দিয়ে বাদ বাকি সবকিছু সৃষ্টি করেছেন।" এই হাদীসটিও ইসলামিক স্কলারগণ বাতিল করে দিয়েছেন বহু পূর্বেই। এটি সহী নয় জইফ বা জাল হাদীস। ‘আওয়ালু মা খালাকাল্লাহু মিন রূহি’ অথাৎ আল্লাহ প্রথম যে জিনিস সৃষ্টি করেছেন, তা আমার রূহ। এটিও 'মিরকাত শরহে মিশকাত' এর ১ম খন্ডের ২৯১ নং পৃষ্ঠায় এই হাদীস টি উল্লেখ আছে। ইবনে তায়মিয়াহ, ইবনে কাসীর, আল-শাওকানী, ইবনে জাওযী, আস-সাখাওয়ী প্রমুখ হাদিসের ইমামগণ বলেছে এটিও মাওজু তথা জাল বর্ণনা বা জাল হাদীস। একে পুরোপুরি বাতিল ও জাল বলেছেন। এটিরও বিশ্বস্ত কোনো সিলসিলা নেই।
এখন আমি যে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করতে চাইছি। আবুল সরকারের আলোচনার কোন বিষয়বস্তু। আমি বিভিন্ন সময় লক্ষ্য করেছি যে বিষয়গুলো স্কলারগণ বাতিল করেছেন সেই সকল হাদীস নিয়েই নাস্তিকগণ বা সমালোচকগণ সমালোচনা করে। আল কোরআনের কোন আয়াত ব্যাতিরেকে কি কোন কিছু দলিল হিসেবে উপস্থাপন করা ঠিক? মুসলিমদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। হাদীস কোন ধর্মগ্রন্থ নই। রাসুলের মুখ নিঃসৃত বানী তাও সেটি রাসুলের মৃত্যুর ২০০ বৎসর পর সংগ্রহ করা শুরু হয়েছে। তাহলে কিছু ভূল তথ্যের উপর ভিত্তি করে তার কি বলা উচিত হয়েছে “আল্লার কথার কোন গোয়া মাথা নেই”। এটি তার মুখ নাকি? আমি সর্ম্পূন ভিডিওটি দেখেটি আমি মনে করি বাউল আবুল সরকার কথাগুলো খুব নোংরা ভাবে উপস্থাপন করেছেন। তিনি প্রশ্ন করতে পারতেন। ইসলামে প্রশ্ন করার অধিকার আছে। তিনি প্রশ্ন করতে পারতেন কেনো প্রথম সৃস্টি বলতে ৪ টি বিষয়কেই বোঝানো হলো? কিন্তু আরেকজনের বিশ্বাসের উপর আঘাত করা কোনভাবেই যুক্তিসংগত নয়। বিশেষ করে মুখ না গোয়া শব্দ ব্যবহারের অধিকার বাউল আবুল সরকার কি করে রাখে? তার শাস্তি হওয়া উচিত। কিন্তু তাই বলে একজন বাউল আবুল সরকার অপরাধ করেছে বলে সকল বাউলের পিছনে লাগতে হবে এটাও কিন্তু ঠিক নয়।আমি আবুল সরকারের কাছে প্রশ্ন রাখতে চাই মুহাদ্দিসগনের কাছে বাতিল হয়ে যাওয়া হাদীসসমূহ নিয়ে আলোচনা করার পিছনে কি এমন কারন তিনি খুজে পেলেন? নাকি সত্যিই তিনি ইসলাম বিদ্মেষী।আমি ইতিপূর্বে বহু স্থানে বহুধর্মঅবিশ্বাসী বা নাস্তেকের আলোচনায় মুনাফা হিসেবে ব্যবহার করতে দেখি এই সকল জাল হাদীস। জাল হাদীস ব্যবহার করে ধর্মকে অবমাননা করাটা যেনো খুব সহজ বিষয়।
এবার আসি হাদীস নিয়ে আলোচনায়। আমরা জানি হাদীস নিয়ে মুহাদ্দিসদের ব্যপক তদন্ত চলমান। জাল জইফ নাকি সহী? মুহাদ্দিসদের এই কষ্ট চেষ্টার পিছনে কি কারন? কারন রাসুলের মৃত্যুর প্রায় ২০০ বৎসর পর হাদীস তথা রাসুলের মুখ নিঃসৃত বানী সংগ্রহ করা শুরু করেন ইমাম বুখারী (রহঃ) তৎকালীন সময়কাল উমাইয়া শাসকদের সার্বিক সহায়তায় । ইমাম বুখারী (রহঃ) রাসুলের মুখ নিঃসৃত বানী সংগ্রত করতে খুরাসানের প্রসিদ্ধ শহর বুখারা (সাবেক, বর্তমান উজ্বেকিস্তান) থেকে মক্কা গমন করেন এবং সেখানে তিনি ৬ বৎসর থেকে হাদীস সংগ্রহ করেন। ইমাম বোখারী (রহঃ) এর পর ধারাবাহিকভাবে অনেকেই হাদীস সংগ্রহ করতে শুরু করে যেমন মুসলিম, দাউদ সহ অনেকেই। এভাবেই হাদীস সংগ্রহ করা শুরু হয়।
তাহলে আপনাদের মনে কি প্রশ্ন জাগে কোন ইমাম বোখারী (রহঃ) এর পূর্বে বাজারে হাদীস কেনো কেই সংগ্রহ করে নাই। কেনো বোখারী সাহেবের পূবে বাজারে কোন হাদীস পুস্তক ছিলো না। কারন হাদীস সংগ্রহ নিষিদ্ধ ছিলো । ইতিহাস থেকে জানা যায- রাসুল (সাঃ) হাদীস লিখতে নিষেধ করে গিয়েছিলেন। কেননা তার ধারনা ছিলেন হাদীস লিখিত করলে বা সংগ্রহ করলে আল কোরআন এবং হাদীস মিলে মিশে একাকার হয়ে যেতে পারে। সঠিক সত্যটি হারিয়ে যেতে পারে। তাই তিনি আল কোরআনকে রক্ষা করতে হাদীসকে নিষিদ্ধ করেন। মুসলিম হাদীস সহ অনেক হাদীসেই এ বিষয়টি উল্লেখিত। "আমার কোনো-কথাই লিখো না। কেউ কুরান ছাড়া অন্য কিছু লিখে থাকলে তা মুছে ফেল। তবে আমার কথা প্রচার কর। এতে কোনো দোষ নাই। কিন্তু মৌখিক বর্ণনায় যেন কোনো মিথ্যা বলো না। যে আমার সম্পর্কে কোনো মিথ্যা বলবে, সে যেন জাহান্নামে তার আশ্রয় গ্রহণ করে।" (সহি মুসলিম, ২য় খন্ড, পৃষ্ঠা ৪১৪)
একই বর্ণনাকারী থেকে আর একটি হাদিস: আমরা রাসুল সঃ থেকে (কুরান ছাড়া অন্য কিছু) লিপিবদ্ধ করে রাখতে অনুমতি চেয়েছিলাম, কিন্তু তিনি অনুমতি দেন নি।" যায়দ বিন সাবিতও একই রকমের হাদিস বর্ণনা করেছেন। রাসুল সঃ তাদেরকে বলেন: তোমরা এসব কী লিখছ? ...আল্লাহর কিতাবের সাথে মিশিয়ে আর একটা কিতাব লিখছ? বর্ণিত আছে, রাসুল সঃ বলেন: কোরান ছাড়া আমার কাছ থেকে তোমরা আর কিছুই লিখবে না। যে এরকম যা কিছু লিখেছ, মুছে ফেল। তখন এইসব সাহাবি কর্তৃক কোরান-হাদিস মিলিয়ে যা কিছু লেখা হয়েছিলো, সব পুড়িয়ে ফেলা হয় (রেফ: মুসনাদে ইমাম আহমদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৭১, মজমায়ুজ জাওয়ায়িদ, ১ম খন্ড, পৃ. ১৫২)
রাসুলের মৃত্যুর পর হাদীস সংগ্রহ নিষিদ্ধ ছিলো। তবে আবু বকর (রহঃ) কিছু হাদীস সংগ্রহ করার চেষ্ট করলেও পরবতীতে সেই সংগ্রহকৃত হাদীসগুলো পুড়িয়ে দিয়েছিলেন। হযরত আয়িশা (রাযিঃ) বলেন, আমার পিতা হযরত আবু বকর (রাযিঃ) পাঁচশত হাদীসের একটি ভাণ্ডার জমা করিয়াছিলেন। একরাত্রে তাঁহাকে দেখিতে পাইলাম, তিনি অস্থিরতার সাথে পার্শ্ব পরিবর্তন করিতেছেন। আমি এই অবস্থা দেখিয়া বিচলিত হইয়া জিজ্ঞাসা করিলাম, কোন কষ্ট হইতেছে, না কোন দুঃসংবাদ শুনিয়াছেন কিনা? মোটকথা, সারারাত্র এভাবে অস্থিরতার মধ্যে কাটাইলেন এবং ভোরে আমাকে বলিলেন, তোমার কাছে যেসব হাদীস রাখিয়াছিলাম তা লইয়া আস। আমি সেইগুলি লইয়া আসিলাম। তিনি সেইগুলি পুড়াইয়া দিলেন। আমি জিজ্ঞাসা করিলাম, কেন জ্বালাইয়া ফেলিলেন? তিনি বলিলেন, আমার আশংকা হইল যে, এমন না হইয়া যায় যে, আমি মরিয়া যাই আর এইগুলি আমার নিকট থাকিয়া যায়, কারণ এইগুলির মধ্যে অন্যেদের নিকট হইতে শোনা হাদীসও রহিয়াছে যাহা হয়ত আমি নির্ভরযোগ্য মনে করিয়াছি অথচ বাস্তবে উহা নির্ভরযোগ্য নয়। এমতাবস্থায় বর্ণনার মধ্যে কোন ভুলভ্রান্তি থাকিলে উহার দায় আমাকে বহন করিতে হইবে। (তাযকিরাতুল হুফফাজ)” জানা যায় ওমর আঃ এর হাদীস সংগ্রহ বা আলোচনা কঠোরভাবে নিষিদ্ধ ছিলো।ওসমান আঃ হাদীস সম্পর্কে উদাসীন ছিলেন। তার সময়েও হাদীস নিয়ে কোন আলোচনা হতো না। আলী আঃ এর সময় থেকে হাদীস কিছুটা শিথিল হয় কারন আলী আঃ এর কাছে কিছু হাদীস ছিলো। কিন্তু তার মৃত্যুর পর আর হাদীস আলোর মুখ দেখতে পারে নাই। পরবর্তীতে ইমাম বুখারী (রহঃ) এর সময় উমাইয়া শাসকদের ছত্রছায়ায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে হাদীস সংগ্রহ শুরু করেন। রাসুলের মৃত্যুর প্রায় ২০০ বৎসর বা প্রায় ৫ জেনারেশন মৃত্যুর পর রাসুল কি বলেছিলেন সেই বিষয়টি সংগ্রহ করতে শুরু করেছিলেন ইমাম বুখারী (রহঃ)। তারা হাদীস সংগ্রহ কবরার সাহস দেখে অনেকে তাদের মতো হাদীস সংগ্রহ করতে শুরু করেন। সেইগুলোই মুসলিম, দাউদ সহ বহু হাদীসের নামে নামকরন কর হয়।
প্রিয় পাঠক আপনি হয়তো প্রশ্ন করতে পারেন কেনো এমন একটি প্রয়োজনীয় বিষয়বস্তুকে রাসুল সংগ্রহ করতে বা লিখতে নিষেধ করেছিলেন। তার কারন ছিলো আল কোরআনের সঠিকত্ব বা সংরক্ষন পদ্ধতি যেনো ভেস্তে না যাই। আবার আপনি প্রশ্ন করতে পারেন তাহলে কেনো ইমাম বুখারী (রহঃ) এর সময় রাসুলের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে হাদীস সংগ্রহের প্রয়োজন পড়লো? উত্তর খুব সহজ। এই টিও প্রয়োজন ছিলো। রাসুল যে প্রয়োজনে হাদীসের উপর গুরুত্ব দিতেন না ততদিনে সেই প্রয়োজন পুনাঙ্গভাবে প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠেছিলো। অথাৎ আল কোরআন পুস্তক আকারে প্রকাশ হয়ে পড়েছিলো। কিন্তু আল কোরআনের বিষয়বস্তু বুঝতে তৎকালীন ইসলামিক স্কলারগনের হাদীসের প্রয়োজনীয়তা অনুভব করতেছিলেন আর সেই বিষয়টি মাথায় রেখে তৎকালীন উমাইয়া শাসকগণ হাদীস সংগ্রহে সহায়তা করেছিলেন। কিন্তু বেশ কিছু সময় পরে কিছু ইহুদীদের তালমুদের মতো আমাদের হাদীস নিয়ে ষড়যন্ত তত্ত্ব মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে এবং হাদীসের মাঝে জাল জইফ প্রবেশ করানো শুরু হয়। ধরেন আমি মেনে নিলাম হাদীসে ৯৯ % হাদীস সত্য কিন্তু ১% হাদীস মিথ্যা বা কেউ মিথ্যা রস রাঙায়ে হাদীসের নামে চালিয়ে দিয়েছে। তখন আমি কি করবো? আমরা মেডিকেল সাইন্সে লক্ষ্য করি হাতের বা পায়ের একটি অংশে যদি কোন অংশে একটু ইনফেকশনের কারনে অনেক সময় হাত কেটে ফেলতে হয়। তাহলে ঐ ১% মিথ্যা হাদীসের জন্য আমাদের ধর্মকে নিয়েই অন্যেরা কটুক্তি করবে। মূল সমস্যা আমাদের হাদীসে বিদ্যমান সেই বিষয়ে আমাদের সকলকে সজাগ থাকতে হবে। আমাদের ধর্মগ্রন্থ আল কোরআন। হাদীস আমাদের ধর্মগ্রন্থ নয়। অতএব আল কোরাানকেই ছাকনি হিসেবে ব্যবহার করেই হাদীস নিয়ে আলোচনা করতে হবে । নইলে অবশ্যই আমরা প্রতিবাদ করবো। আর তা না হলে এসকল জাল জইফ মাওজু হাদীস নিয়ে নাস্তিকদের (অবিশ্বাসীদের) হাস্যরসের পরিবেশ সৃষ্টি হবে
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪২
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: বোবার কোন শত্রু নেই। তাই আপনার প্রতিউত্তরে বোবা হয়ে থাকলাম। ধন্যবাদ।
২|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ ভোর ৫:৫৬
অগ্নিবাবা বলেছেন: আইছে সব আহলে কোরান, হাদীস না থাকলে কোরান বুঝবে কিভাবে? হাদীস বন্ধ করে এরা মহম্মদের মুখ বন্ধ করতে চায়। বাউলের পরে এখন আহলে কোরানের মাইর খাওয়ার পালা, এর পরে এই ব্লগের মডারেট মুসলমান গনের পালা। তোৈহিদী জনতা কোথায়? তারা কি চাপাতিতে শান দেয়?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আহলে কোরআন আরো কঠিন একটি বিসয়। যারা হাদীসকে মানতেই চাই না। কিন্তু আমার লেখাই হাদীসকে একটি গন্ডীর মাঝে রাখতে বলেছি। আল কোরআনের সাথে সামঞ্জস্যপূর্ন বক্তব্যগুলোই গ্রহন করা উচিত।
৩|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:২৪
রাজীব নুর বলেছেন: আবুল সরকারের কোরআন মূখস্ত বাংলা অর্থসহ।
একজন বাউল অনেক কথা বলতেই পারেন। এটা স্বাভাবিক। সে তো কোনো মানুষ খুন করেনি।
অতি সামান্য বিষয় ধার্মিকেরা লাফাচ্ছে। ধার্মিকদের কাজই অযথা চিল্লাচিল্লি করা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৪
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আচ্ছা।
৪|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:২৪
সৈয়দ কুতুব বলেছেন: কথা হলো বুলেটের মতো । বেরিয়ে গেলে আর কিছুই করার নেই ।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৫
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: ঠিকই বলেছেন।
৫|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৩৫
অগ্নিবাবা বলেছেন: কথা হলো বুলেটের মতো । বেরিয়ে গেলে আর কিছুই করার নেই । - করার আছে, ভূল করে বলে ফেললে, ক্ষমা চাইলে আর কি কিছু করার থাকে? কুতুবুদ্দিন ভাইয়ের বুদ্ধি সুদ্ধি দিন দিন মুমিনদের মত হয়ে যাচ্ছে। কথার জবাব ক্থা দিয়ে হয়, কলমের জবাব কলম দিয়ে দিতে হয়। ক্থা কলমের জবাব যারা চাপাতি দিয়ে দেয় তারা আর যাই হোক মানুষ না, তারা মুমিন, তাঁরা নাকে দড়ি বাঁধা উট।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৬
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: কথা বলার একটি লিমিট থাকে। আনলিমেটেড কথা বলা শাস্তি যোগ্য। যেমন একজন মামলা করেছে আব্দুল রহমান সরকারের বিরুেদ্ধে।
৬|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৪১
ধুলো মেঘ বলেছেন: আবুল সরকারের আগেও অনেক বাউল ওয়াজ করতে গিয়ে উল্টাপাল্টা বলেছে। তাদের বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। আওয়ামী সরকার থাকায় অল্পে পার পেয়ে গেছে। এখন যে আবোল তাবোল বলে পার পাওয়া যাবেনা - এটা বুঝেও আবুল সরকার কেন ফাউল মারতে গেল? আর বলল যদি আল্লাহ্র পবিত্র নাম মুখে আনতে গেল কেন? স্রষ্টা বলা যায়, ঈশ্বর বলা যায়, বিধাতা বলা যায়। আল্লাহই বলতে হবে কেন?
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৮
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: যে ভূল ভাল কথাগুরো বলেছে সেগুলো প্রমাণ্য কোন দলিল নয়। আল কোরআনের সাথে কোন সামঞ্জস্য নেই।
৭|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১১:১৯
নতুন বলেছেন: কিছু মানুষ অযাথা এমন কথা বলে ধর্মীয় চেতনায় আঘাত করে।
ধর্ম বিশ্বাস যাই হোক না কেন কিন্তু অন্যের খারাপ লাগে তেমন কথা বলা ঠিক না। জ্ঞানীরা কখনোই করেনা।
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
রাশিদুল ইসলাম লাবলু বলেছেন: আপনাকে ধন্যবাদ। সুন্দর যথাযোগ্য একটি মন্তব্য প্রদানের জন্য।
৮|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:৪৯
আলামিন১০৪ বলেছেন: একে মৃত্যুদন্ড দেওয়া উচিত...
তবে এসব অশিক্ষিত লোকজনকে দিয়ে দেশ অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কেউ তৈরীর পায়তারা করার চেষ্টা করছে কিনা তা জানার জন্য এর গোয়ায় মরিচ ভরে জিজ্ঞাসবাদ করা উচিত, দেশের গোয়েন্দা বাহিনীর বলদদের সরকার মিছাই টাকা দিয়ে পুশতেছে
৯|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১:০৩
অগ্নিবাবা বলেছেন: নতুন ভাই আমাদের নবীকে কি অপমান করলেন না? তোওহিদি জনতা কোথায়?
সহীহ বুখারী (তাওহীদ)
৪৬/ অত্যাচার, কিসাস ও লুণ্ঠন
পরিচ্ছেদঃ ৪৬/৩২. মদের (মৃৎপাত্র) মটকা ভেঙ্গে ফেলা অথবা মশক ছিদ্র করা যায় কি? যদি কেউ নিজের লাঠি দ্বারা মুর্তি বা ক্রুশ অথবা তবলা অথবা কোন অপ্রয়োজনীয় বস্তু ভেঙ্গে ফেলে (তবে তার হুকুম কী)?
২৪৭৮. ‘আবদুল্লাহ ইবনু মাসঊদ (রাঃ) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম যখন (বিজয়ীর বেশে) মক্কায় প্রবেশ করেন, তখন কা‘বা শরীফের চারপাশে তিনশ’ ষাটটি মূর্তি ছিল। নাবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নিজের হাতের লাঠি দিয়ে মূর্তিগুলোকে আঘাত করতে থাকেন আর বলতে থাকেনঃ ‘‘সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে, (আয়াতের শেষ পর্যন্ত)’’- (বনী ইসরাঈল/ইসরাঃ ৮১)। (৪২৮৭, ৪৭২০) (আধুনিক প্রকাশনীঃ ২২৯৯, ইসলামিক ফাউন্ডেশনঃ ২৩১৬)
হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih)
বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইব্ন মাসউদ (রাঃ)
©somewhere in net ltd.
১|
০৩ রা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:১১
স্বপ্নের শঙ্খচিল বলেছেন: হাদীস আমাদের ধর্মগ্রন্থ নয়।
...............................................................
এটা অবশ্যই আমাদের মনে রাখা উচিৎ
এবং কোন এক পাগল কি বল্ল তাতে
ইসলাম বা অন্য যেকোন ধর্মর কিছুই আসে যায়না ।