![]() |
![]() |
নির্বাচিত পোস্ট | লগইন | রেজিস্ট্রেশন করুন | রিফ্রেস |
হে চাটার্ড অ্যাকাউন্টেন্ড,
পৃথিবীর সাথে তাল মিলিয়ে ডলার আর ইউরোর বাজারে যখন টাকার মান ধরাশায়ী। অর্থনীতির এই মন্দায় যেখানে খোদ ব্যাংকই দেউলিয়া, মানুষ যেখানে অ্যাকাউন্ট খোলা থেকে দুরে সেখানে আপনি বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে কখনো বন্ধ হওয়ার কারনে কখনো ইচ্ছে করে ফেক হিসেবে এক বা একাধিক নয় কমপক্ষে গড়ে চারটা অ্যাকাউন্ট খুলেছেন।
তাই চার্টাড (চারটা'র পাস্ট টেন্স) অ্যাকাউন্টেন্ড বলা দোষনীয় নয়।
হে মনখারাপের হোলসেলার,
আপনি কী বুকে হাতদিয়ে বলতে পারবেন, মন খারাপ সংক্রান্ত কোনো স্টেটাস আপনি দেননি কখনো? মন খারাপ কখনো আপনাকে নিয়ে গেছে জনপ্রিয়তায়। কখনো দিয়েছে আরো মন খারাপের খোরাক। তারপরও আপনি থেমে থাকেননি। মন খারাপ অব্যাহত রেখেছেন। স্টেটাস নাজিল করে গেছেন ঘন্টায় পাঁচটা। জুকারবার্গের এই প্রজেক্টকে রেখেছেন সজীব সচল।
হে ত্যাগ (ট্যাগ) এর মহিমায় ভাস্বর,
যেভাবে নিজের মানুষের জন্য কাজ করে গেছেন, মানুষকে নতুন কিছু দেবার চেষ্টায় নিজের জীবন খরচ করে গেছেন তা বিরল। কোনো একটা কিছু নিজে তো দেখেছেনই, অন্যের দেখার জন্য ট্যাগ করে গেছেন যেভাবে সে কৃতিত্ব অনস্বীকার্য।
হে উত্তম প্রশংসাকারী,
যে কেউ কোনো ছবি, স্টেটাস দিলেই আপনি যেভাবে লাইক দিয়েছেন। কমেন্টে ঝাপিয়ে পড়েছেন তা তুলনাবিহীন। মনে মনে কী বলেছেন সেটা মনেই থাকুক। মহান সৃষ্টিকর্তা আপনার উপর প্রশংসার ফুলঝুড়ি ফেলুক।
হে বৃক্ষপ্রেমিক.
ফেসবুকে নিজের কষ্টে, অথবা অন্যের আনন্দ দেখে যেভাবে দীর্ঘশ্বাসের মাধ্যমে কার্বন ডাই অক্সাইড নির্গত করেছেন, যা দিয়ে গাছ তার জীবন ধারণ করছে ব্যাপক আনন্দে তা তা বোটানিকাল সায়েন্সের ইতিহাসে অবিস্মরণীয়।
হে সৌন্দর্যের প্রতীক,
যতভাবে পারা যায় নিজের সুন্দর ছবি তুলে অথবা বিদেশী নায়ক নায়িকা কিংবা সুন্দর ফুল পাখির ছবি দিয়ে যেভাবে সৌন্দর্যের প্রতীক হয়েছেন তা প্রশংসনীয়।
হে জীবন্ত রয়টার্স,
নিজের ঘরের খবর থেকে শুরু পাড়া প্রতিবেশি এবং যে কোনো কিছু জানা মাত্রই যেভাবে দুনিয়াকে জানিয়েছেন তাতে বিশ্ব মিডিয়া হতবাক। এতো দ্রুত সংবাদ পৌছে দেবার দক্ষতা কেউ দেখাতে পারেনি।
হে সালমান এফ রহমান,
শেয়ারবাজারে সালামান এফ রহমান আর কতটা কী করতে পেরেছে। শেয়ার নিয়েও যে কত শেয়ার করেছেন সেটা একটা বিশাল বিষয়ই। ছবি শেয়ার, স্টেটাস শেয়ার, পোস্ট শেয়ার করেও সালমান এফ রহমানকে পেছনে ফেলার ক্ষমতা জানে সবাই।
হে জীবনানন্দ,
স্টেটাসের মাধ্যেমে ফেসবুক দিয়ে কবিতা গল্প মিনি উপন্যাসে আপনি যে কাজ করে যাচ্ছেন তার জন্য বাংলা সাহিত্যের একটা আসন ফিক্সড। সেটা চেয়ার হোক বা সোফা।
হে ইবনে বতুতা,
ফেসবুকে আপনার ছবির অ্যালবাম ঘাটলে দেশের নানান কোনে যে ছবি দেখা যায় তাতে আপনার বতুতা প্রতিভা প্রমানিত। টেকনাফ থেকে তেতুলিয়া কিংবা সুরমা থেকে কুশিয়ারা অথবা অতি সাম্প্রতিক হাতিরঝিল প্রজেক্ট ভ্রমন শেষে আপনার যে ছবি তা দেখে বতুতাও আফসোস করবে, আমি আর কী-ই-বা দেখতে পারলাম!
হে প্লেবয়,
যেভাবে ফেসবুকের খেলাধৃলার অপশন কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন খেলা খেলে গেছেন, মানুষকে খেলতে উৎসাহিত করে গেছেন তাতে ক্রীড়া জগতে আপনাকে মেসির চেয়ে কম বললে আমি নিজেই রাগ করবো।
হে সঠিক পথের দিশারী,
আপনি গঠনমূলক আলোচনায় বারবার করেছেন সমাজকে আলোকিত। সেটা বাঙ্গালী সমাজ হোক। হোক সেটা আমেরিকান। আপনার গঠনমূলক সমালোচনা থেকে বাদ পড়েনি খালেদা জিয়ার ছেলে থেকে শুরু করে ওবামার মেয়েরা অবধি। আপনার সমালোচনায় আজ শাকিব খান মেয়েলী আচরন থেকে বের হবার চেষ্টা করেছে। নায়ক অনন্ত জলিল করছে সঠিক ইংরেজি উ্চ্চারনের চেষ্টা।
(এরকম আরো পচিশটি গুন আছে আপনার আপাতত টায়ার্ড হবার কারণে প্রকাশ করা সম্ভব হলোনা)
২| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:০২
আহসান২২ বলেছেন: +++
৩| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১:১০
উড়োজাহাজ বলেছেন: ভাই মনে হয় কোন বিষয় নিয়া ভালই চিবাইতে পারেন। অসাধারণ দক্ষতা!
৪| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:২১
চেয়ারম্যান০০৭ বলেছেন: +
৫| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ২:৩৯
রাইসুল সাগর বলেছেন: বেফুক হইছে +
৬| ২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ৩:৪৮
অ্যামাটার বলেছেন: দারুন!
©somewhere in net ltd.
১|
২১ শে জানুয়ারি, ২০১৩ রাত ১২:৫৪
রাশান শাহরিয়ান নিপুন বলেছেন: হে প্লেবয়,
যেভাবে ফেসবুকের খেলাধৃলার অপশন কে কাজে লাগিয়ে বিভিন্ন খেলা খেলে গেছেন, মানুষকে খেলতে উৎসাহিত করে গেছেন তাতে ক্রীড়া জগতে আপনাকে মেসির চেয়ে কম বললে আমি নিজেই রাগ করবে।
হা হা হা হা!!! হেব্বি হইছে ভাই।